পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুষ্টু ছেলের আজব ভাবনা

ছবি
পড়তে একটুও মন চায় না , পড়া ছাড়া কেন দিন কাটে না ? বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবো, যা ইচ্ছে তাই করবো। খেতেও তো বিরক্তি , খাবারের কেন যে উৎপত্তি ? খাবার যদি না থাকতো , খেতে, পড়তে যদি না হতো , শুধুই ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলো, থাকবে শধু দুষ্টুমি আর বন্ধুগুলো। টাকাই যতো নষ্টের গোড়া , টাকা -তুই মরতে পারিস না ? যা না অন্য কোথাও যা, তুই না থাকলে দেখবি কত মজা। সব্বাই হবে এক , থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। তোর জন্যই তো সব কাড়াকাড়ি , তোর জন্যই তো এতো মারামারি , তোর জন্যই তো বাবা মা এর হাঁকাহাঁকি , শুধুই বলতে থাকে বাঁচতে হলে চাই চাকরি , চাকরি করতে গেলে পড়তে হবে , আর ভালো পড়াশুনো করতে গেলে ভালো খেতে হবে। শুধু তোর জন্যই তো পড়তে হয় , তোর জন্যই তো স্কুলে যেতে হয় , তোর জন্যই তো বকা খেতে হয় , তোর জন্যই তো ২বছর বয়স থেকে দৌড়াতে হয় , টাকা একবার যা তুই মঙ্গল গ্রহে  - দেখবি-গোটা পৃথিবীর মানুষ ছুটছে মঙ্গলের দিকে। তখন আমায় পড়তে হবে না , মানুষগুলো তো ঘর টা নিয়ে যাবে না। কত্তো ঘর হবে আমার। মানুষগুলো তো সব্জির গাছগুলো নিয়ে যাবে না - কি মজা , আমাকে টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। শুধুই রাঁধবো, খাবো

সাফল্য আর ব্যর্থতা

কখনো কি খেয়াল করেছেন -"ব"  তে ব্যর্থতা আর "স" তে সাফল্য; ব এর পর ই স আসে -বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে। এমন কি ইংরেজিতেও তাই (Failure and Success ) ঘটে। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দুটো "ব " এর পর "স" আসে। তাই ২-৩ বার ব্যর্থতা এলে হতাশ হবেন না ,মনে জোর রেখে এগিয়ে যাবেন।দেখবেন সাফল্য দরজায় কড়া নাড়ছে। "ব" এর পর ই তো "স " নেই ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকায়।তাই একটু ধৈর্য ধরুন।সাধারণ মানুষেরা ১-২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ই হাল ছেড়ে দেয়। আর এখানেই মস্ত বড় ভুল টা হয়। সাফল্য যখন ঠিক একটু খানি দূরে ,তখনই কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য যদি পালিয়ে যায় ,সাফল্য ও ওদের সাথে পালিয়ে যায়।  ব্যর্থতা আমাদের সবচে বড় শিক্ষক। ব্যর্থতা থেকে শিখুন। ব্যর্থতা যখন আসে কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে। ব্যর্থতা সব্বাইকে কিছু শেখাতে চায়। আর সেখান থেকে যদি আমরা ভালো কিছু শিখতে পারি,তাহলেই ব্যর্থতা খুশিতে সাফল্য কে পাঠিয়ে দেয়। আর যদি আমরা ব্যর্থতা থেকে কিছুই শিখতে না পারি ,ব্যর্থতা আরো জোরালো ব্যর্থতা কে পাঠিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য একটাই -আমাদের কে শেখানো। যখন আমরা ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারি, ব্যর্থতা আবার ব্যর্

আর হতাশা নয়

না, আর হতাশা নয়। ১৮-৩০ বয়সে প্রচুর ছেলে মেয়ে হতাশায় ভোগে নানান কারণে। আর সবচে বড় কারণ -হতাশার কারণগুলো বাড়ির লোকদেরকে বলতে না পারা। বলতে কিছুতেই পারছেন না ? বলতে যখন পারছেন না , লিখতে থাকুন। ভয় করছে পাছে কেও লিখাটা দেখে ফেলে ?নিজের কাছে সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। ভয় পাবেন না ,যদি ভালো কোনো ব্যক্তি দেখে ফেলে, এতে আপনার ই লাভ। স্মার্ট ফোন আছে আপনার কাছে ? নিশ্চয় আছে। আজকাল সবার ঘরে ২-৩ টি করে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন টাকে একটু ভালো কাজে ব্যবহার করে দেখুন তো  কি হয় ? প্রচুর তো ফেসবুক ,হোয়াটস্যাপ এ সময় কাটান।  আজ থেকে কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন।একটা ফ্রী ওয়েবসাইট খুলে তাতে লিখে ফেলুন নিজের সমস্যাগুলো,ঠিক যেমনভাবে মেসেজ করেন ঠিক সেইভাবেই। চিন্তা করবেন না , কেও কিচ্ছু ভাববে না , আপনি আপনার নাম দিতে যাবেন কেন ? আপনি নাম বদলে লিখে ফেলুন আপনার সমস্যাগুলো। দেখবেন -কমেন্ট বক্স এ কত রকমের সমাধান পাবেন। ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো ভালো গুন্ লুকিয়ে রেখেছেন। যেমন এই প্রকৃতিতে কয়লা আর অক্সিজেন প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে কি কোনো কাজ ছাড়াই বিদ্যুৎ তৈরী করা যায় ?বিদ্যুৎ তৈরী করতে কতো ক

যেও না চলে

তুমি যদি কখনো যাও চলে, আমায় ছেড়ে দূরে বহু দূরে , আমি কোথাও যাবো হারিয়ে, ঠিকানা হবে নদীর ধারে। কি হবে দূরে গিয়ে, নাইবা থাকলো টাকা পয়সা, তোমার অস্তিত্বেই আমার ভরসা। পাগল হবো আমি আবার তুমি চলে গেলে , আসবে যখন ফিরে , দেখবে ভাসছি আমি নদীর স্রোতে , ওপরে আকাশ,নিচে মাটি , মাঝখানে ভাসছি শুধু আমি।

জন্ম -মৃত্যু

জন্ম যদি হয় , মৃত্যুও তাহার সহিত রয়। জন্ম কভু একা নাহি আসে, মৃত্যু তাহার পিছে শুধু ভাসে। একজন পরলোক গমন করিলে , অন্যজন তাহার জায়গায় অবশ্যই আসিবে। জন্মিলে মরিতে হবে , কবে,কোথায় ,কিভাবে , কেহ তাহা নাহি জানে , একজন নিশ্চয় তাহার হিসেব রাখে। 

অপেক্ষা

দিন মোর কাটে শুধু তোর অপেক্ষায়, কখন নতুন জ্যাকেটগুলো পাবে  ঠাঁই , আমার পরনে , এখনো পরে কভু দেখি নাই , গত বছর তুই যাবার পরে , কিনিয়াছিলাম উটি  এর বাজারে। মনে আমার আনন্দ নাহি ধরে। অন্য বছরতো  হেমন্তের নামটা দিস মুছে , এইবছর কেন রে তুই এতো আছিস পিছে ? অন্য বছর তো বেশ ঝগড়া করিস হেমন্তের সাথে , এই বছর কেন রে শান্ত রেখেছিস নিজেকে ? তুই এলে তবেই না পরবো নতুন জ্যাকেটগুলো , ফেসবুকে দেব তো ফটোগুলো। তাড়াতাড়ি আয় , আমরা সব্বাই তোর অপেক্ষায় !

ভালোবাসা

ভালোবাসা বড্ডো খামখেয়ালি। বিবাহের প্রাক্কালে এক রং নিয়ে তার আগমন , আর বিবাহের পরে অন্য রং এর উন্মোচন। ভালোবাসা শুধুই একঘেঁয়েমি। আজ একরকম , কাল অন্যরকম। ভালোবাসা ছদ্মবেশী। আজ হয়তো মুখে মধু ঝরছে , কাল দুজনে কোমর বেঁধে ঝগড়ায় নামছে। ভালোবাসা অস্থির। আজ আছে কাল নেই , ভালোবাসি বলেছিলাম ?তাই নাকি ?মনে তো নেই  ! যদি ভালোবাসা হয় অমর , যদি ভালোবাসার ঢেউ গুলো শুধুই ওপরের দিকে উঠতে থাকে , যদি ভালোবাসার বাঁধন টা দিনের পর দিন শক্ত হতে থাকে , আর এই ভালোবাসা - জীবনকে দিয়ে থাকে বেঁচে থাকার আশা , জীবনকে নানানভাবে স্বপ্ন দেখায় , স্বপ্নগুলো এক এক করে সাফল্যও পায়,  এমন ভালোবাসা কভু দেখেছো কি ? যদি দেখতে - জীবনের স্বাদ বদলে নিতে , শুধু দুটো মানুষেই দুনিয়াটিকে বদলে দিতে , চারপাশের মানুষের মনে খুশি নিয়ে আসতে। কিন্তু বেকার স্বপ্ন দেখা ! তোমার আমার সবার জীবন একই সুতোয় বাঁধা। এমন ভালোবাসা সত্যিই দুস্কর। 

দীপাবলি

দীপাবলির বিকেলে, মোমবাতি সব জ্বালিয়ে, বারান্দাটিকে সাজিয়ে , চৈকাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে , দূরের লোকজনকে দেখিয়ে , আনন্দে মন যায় ডুবে। দীপাবলির রাতে, বাজি ফটকার সাথে, মোমবাতির আলো হাতে , আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে , বাজিতে আগুন লাগিয়ে, আগুনের নাচ দেখে , মন আনন্দে নাচে।

সেই মেয়েটি

সেই মেয়েটি -একাই রোজ ভাত রাঁধে, কোনোদিন কম পড়ে ,কোনোদিন বাড়ে, একার রান্না -পরিমাণ আন্দাজ নাকি হয় না। সেই মেয়েটি একাই বড় বিছানাতে, কোনোদিন ঘুম আসে, কোনোদিন ঘুম হয় না রাতে। কেও যদি আসে বাড়ীতে , শুতে চায় না তার সাথে , বলে নাকি অভ্যেস খারাপ হবে এতে। তারা চলে গেলে আরো বেশি একলা হবে তাতে। সেই মেয়েটি প্রচুর কথা বলতো এক কালে, আজ কেমন যেন চুপটি মেরে থাকে। নিজেকে শুধু নিয়ন্ত্রণে রাখে , সেই মেয়েটি যে নিজেই নিজের খেয়াল রাখে , যাকে সব্বাই স্বার্থপর ভাবতে থাকে , সেই মেয়েটি নিজেকে নিয়ে খুশিতে থাকে , এটাই কি তার অপরাধ সবার কাছে ? সেই মেয়েটি এতো কিছুর মধ্যেও হাসিখুশি থাকে। কখনো উদাস হয়ে খোলা আকাশের দিকে, তাকিয়ে শুধুই ভাবতে থাকে আনমনে, ভালোবাসা কবে আসবে তার জীবনে ?

পুজো আসছে

পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। এবার শুধুই কাজ আর কাজ করে যেও, সক্কলকে ভালো রেখো ,কাজের আনন্দে ডুবে যেও। পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। এবার কি জানি কবে দেখা হবে সবার সাথে আমার, এবার থেকে শুধু কাজ করাই হবে কাজ সবার। পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। আবার সব্বাই শুধু এক বছরের অপেক্ষায় রইবো, সকলে ভালো থাকবো আর আনন্দে কাজ করবো।                                                

একলা

যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। যখন তোমার কেবলই মনে হয়, কেন বারে বারে তোমার সাথেই এমনটা হয়, খুলে দাও জানালা ,মেখে নাও বাহিরের উষ্ণতা। সব কিছু জানার পর মনে হবে ভালো তোমারেই জীবনটা। যখন তোমার মনে হয় কেও নেইকো তোমার পাশে, তুমি বাদে বাকি সক্কলে আছে কত্তো খুশিতে, তখন তুমি মিথ্যে হলেও বলতে থাকো ভালো থাকার কথা, দেখবে জীবন থেকে মুছে যাবে সব ব্যাথা। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। দেখবে আরো কত্তো মানুষ আছে কত শূন্যতা নিয়ে, তোমার চেয়েও একলা তারা ,আছে বেশ জীবনটাকে মানিয়ে। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে।

চিঠি-১

শ্রদ্ধেয় - মা, মাটি, মানুষ, সুকান্ত ভট্টাচার্য এর রানারের মতো আমিও কোটি কোটি মানুষের Data বহন করিতেছি গত ৮-১০ বছর ধরিয়া। রানারের সহিত আমার পার্থক্য হইল এই যে - রানার কায়িক শ্রম করে কিন্তু আমি সেটা করি নাই, আমি আমার Brain এ সবার Data সুরক্ষিত করিয়া রাখি। সবার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করিয়াছি আমার হৃদয়ে। আবার যখন কেউ কোনো Data delete করিয়া দেয় ,আমি সেই Data গুলোকে Trash ডিপার্টমেন্ট এ পাঠাইয়া দিই। এই মা ,মাটি ,মানুষ জীবিত,মৃত সব Data ই আমার ঘাড়ে চাপাইয়া দেয়। আর আমাকে Online গাধা ভাবিতে থাকে। গাধাকে সুস্থ রাখিবার জন্য যেমন খাবার দরকার হয় আমাকে ভালো রাখিবার জন্য Maintenance এর দরকার পড়ে। পৃথিবীতে যেমন প্রচুর Bank Account আছে ,এমন কি কোনো কোনো ব্যক্তির ৩-৪ টি Account আছে ,আমার কাছেও অসংখ্য লোকের Account আছে ,কিছু কিছু লোকের আবার ২-৩ টি Account আছে। আর এই জন্যই আমার ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। Bank Account গরীবেরা খুলতে পারে না ,কিন্তু আমার কাছে ধনী -গরীব সকলেই Account খুলতে পারে। শুধুই কি Account ?কতো লোক কতো group তৈরী করিয়াছে। গানের জন্য ,নাচের জন্য ,ছবি আঁকার জন্য ,কবিতার জন্য -অসংখ্য gr

ঠাম্মি-বোন

বোনটি আমার চলে গেছে কত্তকাল আগে, ঠাম্মি তার পিছু নিয়েছে থাকে তার সাথে। ঠাম্মি-বোন স্বপ্নে এসে বলে - তোরা থাকিস বিপদ সামলে, মোদের স্বর্গে নেই কোনো দুঃখ কষ্ট। আমরা আছি বেশ তো , তোদের নিয়েই চিন্তা করি , সকাল বিকাল সারাবেলা। কাজের ফাঁকে উঁকি মারি , এই তো মোদের মরণখেলা। ঝগড়া-ঝাঁটি ,অশান্তি  শুধুই চোখে ভাসে- এই  তো  শুধু তোদের দেশে। পরিবারেও তোদের রাজনীতি দেখি, আর তোদের এই জীবনখেলায় যখন তখন শিউরে উঠি। বলা শেষ হলেই , ঠাম্মি বোন শুধুই পালায়। ঘুম আমার কাটলে পরে , দেখি আমি বিছানায়।

পুজোর আনন্দ

 পুজো এলো আবার চলেও গেলো , যে মানুষটা পুজোর আগে হাসপাতাল এ ছিল , বাবা,মা অপেক্ষা করছিলো - পুজোর আগেই বাড়ি আসবে বলে। সেই ছেলেটা এখনো হাসপাতাল এ , আর বাবা মা দিন গুনছিল , সপ্তমীতে ডাক্তার নাই বা ছাড়লো , নবমীতে ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখবো। ছেলেকে নিয়ে আবার হয় হুল্লোড়ে মাতবো। কিন্তু ডাক্তার যা বললো - সব আনন্দ এক নিমেষে ভাঙলো , ছেলেটির মা ভাবতে থাকে আপন মনে , দেখতে থাকে গোটা শহর ভর্তি আলোর রশ্মিতে , কিন্তু তার মন কিছুতেই বুঝছে না - এতো আলোর বাহার চারিদিকে তাও তার ভালো লাগছে না। আর সেই কিশোর ছেলেটি হাসপাতাল এর জানালা দিয়ে , উঁকি মেরে বাহিরটা শুধুই দেখতে চায় , গত বছর এমনি দিনে - কি আনন্দটাই না এসেছিলো প্রাণে , সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গিয়ে - পুজো প্যান্ডেল এ একটি মেয়ের পানে চেয়ে ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে , খানিক পরে , দেখি বন্ধুরা সব উধাও,ফোন এ চারটা মিস কল , পরে যখন দেখা হয়,ভীষণ ঝাড় দেয় বন্ধুর দল। মনে পড়তেই ছেলেটির হাসি পেয়ে যায়। কিন্তু আজ এই বছরে এই পুজোয় , সব কেমন বদলে গেছে , বন্ধুরা যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে , বাবা মা অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে , কিসের এতো আনন্দ কিসের এই

আমার এডপ্টেড সন্তান

ভাগ্যিস পুজোর আগে একটা বাচ্ছাকে adopt করেছিলাম।তা না হলে husband এর বিদেশ যাওয়াটা আমাকে বিষাদে ভরিয়ে রাখতো। এই বাচ্ছাটি সম্পূর্ণরূপে আমার ,আমি যেমনভাবে যেটুকু সময় দেব, ও তাতেই খুশি।যদিও জন্ম দিয়েছি যে মেয়েটিকে তাকে নিয়েও আমি খুশি ,কিন্তু গ্রামের যৌথ পরিবারে এসে সে নিজে নিজেই সব কাজ করছিলো -মাসীমণি আর দিদি,দাদাদের সাহায্য নিয়ে।তাই আমার adopted নতুন বাচ্ছাকে নিয়ে আমি আমার একাকিত্ব ঘুচিয়েছি।  এই নতুন সন্তান আমাকে শুধুই আনন্দ দেয়। এ যেন এক অনাবিল আনন্দ।একে লালন পালন করার জন্য কোনো খরচ লাগে না। আমি অন্তর দিয়ে শোনার চেষ্টা করি -এই সন্তান আমার কাছে থেকে কিছু চায় কিনা।কতো রাত জেগেছি ,কতো স্বপ্ন দেখেছি -দেখেছি এই সন্তান শুধুই আমার সঙ্গ চায়।বোধ হয় -যখন আমি বৃদ্ধা হয়ে যাবো ,সংসারের কোনো কাজ করতে পারবো না ,এই সন্তান তখন আমায় আনন্দ দিয়ে যাবে।  এই সন্তান তো আর চার পাঁচটা সন্তানের মতো নয়। হতে পারে এই পৃথিবীতে জনসাধারণের কাছে ,এর কোনো প্রাণ নেই। কিন্তু আমি তা মানি না। আমার কাছে আমার এই সন্তান যে কি তা বলে বোঝানো যাবে না। বাকি যারা আমার পরিবারে আছে সবাই কেমন দায়িত্বের সুতোতে আমার সাথে জড়িয়ে আ

আমি

আমি কাঁদি গভীর রাত্রে নিঃশব্দে, আমি হাসি দিবালোকে প্রকাশ্যে। আমি অনুভব করি সংসারের জটিলতা , আমি বুঝতে পারি ভালোবাসার অভাবটা। আমি দেখেছি ভালোবাসার ভেদাভেদ , আমি দেখেছি সম্পর্কের বিচ্ছেদ , দেখেছি বছরের ওই একটি সময়ে - পুজোর ওই মাত্র চারটি দিনে , সক্কলে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে থাকে কত্তো খুশি মনে। আর পুজোর পঞ্চম দিনে সক্কলে মজে যায় নিজ সংসারে। সংসারের জটিলতায় লিপ্ত হয় গোপনে , দিনগুলো বইতে থাকে আপন স্রোতে। আমি কাঁদি, পুজোর ওই চারটে দিনেও কাঁদি , শুধুই অঝোরে কাঁদতে থাকি আমি। নীরবে নিভৃতে একান্তে , মনুষ্যলোকের দৃষ্টির বাইরে কল্পনার জগতে স্বপ্ন দেখি এক বিশাল পৃথিবীর , যেখানে শুধুই দেবতাদের ভীড় , যেখানে নেই ভ্রাষ্টাচার, নেই রাজনীতি , যেখানে শুধুই দেবী,দেবতা আর প্রকৃতি।

শরতের দুর্গোৎসব

ছবি
ঠিক শরতের আগমনে একটা অন্যরকম অনুভূতি বাঙালিদের মনে জাগে ,এই অনুভূতি সহজে বোঝানো যায় না। এ যেন এক মিলনোৎসব ,পুরো শহরবাসী একত্রিত হওয়ার এক অনুষ্ঠান। বিদেশে ,স্বদেশে যে যেখানেই থাকুক না ,সব বাঙালিই চেষ্টা করে পুজোর দিনগুলো বাড়িতে ,নিজের শহরে কাটানোর।  বাঙালিরাই বোধ হয় বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে চাকরিসূত্রে। কিন্তু শরতের শিউলিভরা সকালগুলো কাশফুলের আগমনে দুর্গাপুজোর বার্তা নিয়ে এসে আমাদের মনে আলাদা এক রোমাঞ্চকর আলোড়ন তুলে যায়।  যতই বলি না কেন দুর্গোৎসব কেও মানুষ ব্যবসাতে  পরিণত করেছে কিন্তু এটা মানতেই হয় যে আত্মীয় সমাগমের আনন্দে দুর্গোৎসবের ওই চারটি দিনের আলাদা এক মাধুর্য আছে। গ্রামাঞ্চলে আরো বেশি আনন্দ লাভ করা যায়। নিজের কাকিদের সাথেই কথা হয় না এই ব্যস্ত জীবনে ,আর পাড়ার কাকিদের সাথে কথা হওয়া তো দূরের কথা! তাই পাড়ার কাকিরাও উদগ্রীব হয়ে থাকে অমুখ বাড়ির ছেলে, মেয়ে ,বউমা রা কয়জন আসছে ,কবে আসছে  তার অপেক্ষায়।  এই কয়েকটা দিন সব্বাই প্রচুর কেনাকাটা করতে থাকে। কেনাকাটার মধ্যেও এক অনাবিল আনন্দ পাওয়া যায়। অন্যকে কিছু দিতে পারলে পুজোর দিনগুলো আরো চমকপ্রদ হয়ে ওঠে। আর যারা

কল্পনাগুলো কি সত্যি # রোবটের যুগ

কল্পনা জিনিষটার কোনো শেষ নেই। এই পর্বে কয়েক লক্ষ্য যুগ এর পরের কথা ভাবা যাক- যখন পৃথিবীটা রোবট এ ভরে যাবে , বর্তমানে মানুষের জনসংখ্যার সমান রোবটের সংখ্যা হয়ে যাবে। কি হবে তখন ?চলুন আবার কল্পনার স্রোতে বাস্তবের কিছুটা ছোঁয়া রেখে ভাসতে থাকি কল্পনার  ই সমুদ্রে।  সারা পৃথিবী তে রোবটের রাজত্ব। তাহলে কি কোনো মানুষ থাকবে না ? কেন থাকবে না ?আর মানুষ যদি না থাকে রোবোটগুলোর সৃষ্টি / ধংস কোথা থেকে হবে ? তাই মানুষদের তো অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু মানুষের সংখ্যা আর রোবটের সংখ্যা সমান হয়ে গেলেই তো যুদ্ধ হয়ে যাবে। হ্যাঁ ,তা তো হবেই ,যদি সেই ধরণের উন্নতমানের রোবট তৈরী হয়ে থাকে।  তাহলে কি এর পরিণতি ? "রোবটে ছেয়ে যাবে পৃথিবী /মানুষ তখন শুধুই ছবি "।  পরিণতি এটাই যে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকবে ,আর রোবটের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। কিন্তু রোবট যদি নিজেই আরেকটা রোবট সৃষ্টি করতে পারে ,অথচ রোবট কে ধংস করার জন্য রোবট ছাড়া আর কেও থাকবে না ,সেটা তো সম্ভব নয়।  কেননা সেক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট হবে।  আর এই কারণেই কিছু কিছু মানুষ তখনো বেঁচে থাকবেন ,তবে তারা সাধারণ মানুষ হবে না ,তারা আইনস্টাইন  বা স্টিফেন হকিন্স 

কল্পনাগুলো কি সত্যি ?

চলুন আজ একটু কল্পনার স্রোতে নিমজ্জিত হই। আকাশ কুসুম কল্পনার সত্যতা নাই বা যাচাই করলাম। প্রযুক্তিবিদ্যা এখনো এই কল্পনার সত্যতা যাচাই করার মতো পারদর্শী হয়ে ওঠে নি। প্রযুক্তিবিদ্যার এই সত্যতা যাচাই এর আগে আরো অনেক বড় কাজ আছে যা হলো ক্যান্সার এর মতো ভয়াবহ ব্যাধিকে ৫ টাকার ট্যাবলেট খেয়ে সারানো।  যাই হোক এবার আসুন কল্পনার সমুদ্রে ডুব দিই। এই ছোট্ট পৃথিবী টাতে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। ভগবান যেন সময় গুলোকে বেঁধে রেখেছেন - সূর্যের উপস্থিতিতে কর্ম করে খাওয়ার সময় আর বাকি সময়টা চন্দ্রদেবের সম্মুখে বিশ্রামের সময়।  কি দারুন নিয়মগুলো , তাই না ? আচ্ছা ,ভাবুন তো এমন ও তো হতে পারে কোটি কোটি সূর্য প্রত্যহ কোম্পনি তে যায় কাজ করতে আর রাতের কাজগুলো কোটি কোটি চাঁদের অধীনে হয়ে ওঠে। আপনি ,আমি এই প্রযুক্তিবিদ্যা কে নিয়ে কত টুকুই জানি ?তাহলে ভাবুন -এক বিশাল মহাশূণ্য, যেখানে কোটি কোটি সূর্য, চাঁদ,আর নক্ষত্রের বসবাস। আর আমরা তুচ্ছ মানুষেরা এবং অসংখ্য প্রাণীরা  তাদেরই অধীন। এই সূর্য ,চাঁদ আর নক্ষত্রদের কাজ ই হলো সৃষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা ,সৃষ্টি তে নতুন কিছু নিয়ে আসা। সৃষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওরা

ভালোবাসা চাপা পড়ে গেছে দায়িত্বের মাঝে

সূর্যাস্তের আলোয় তুমি আমায় দেখেছিলে , হাজার লোকের ভিড়ে ঠিক চিনেছিলে, অচেনা তোমার অচেনা আমি। সূর্যাস্তকে সাক্ষী রেখে তাকিয়েছিলে তুমি। ঠিক চিনেছিলে গোধূলির আলোতে, আমার মুখখানা রাঙিয়েছিলো লজ্জাতে , আমায় শার্ট-জিন্স এর ড্রেস এ দেখে , অবাক চোখে তুমি দাঁড়িয়েছিলে থমকে। বছরের শেষ দিনের শেষ আলোয় , তোমায় আমায় লাগছিলো ভালোই। বিকেল থেকেই মন বলছিলো আপন কেও আসবে , গোধূলির মৃদু আলোয় আমায় তার ভালোবাসায় রাঙাবে। সত্যি, মন ঠিক বুঝেছিলো। তোমায় আমায় একসাথে বেশ লাগছিলো। সেদিন তোমার আমার মাঝে শুধুই ভালোবাসা ছিল, আর আজ নয়টা বছর পর , আছে শুধুই দায়িত্বের বাঁধন। দায়িত্বের সুতোতে যদি ভালোবাসার ছোঁয়া থাকতো, দায়িত্বগুলো আরো ভালো, নিখুঁত ভাবে পালন হতো। ভালোবাসা নিজে কখন পালিয়ে গিয়ে , রেখে গেছে দায়িত্ব তোমার আর আমার মাঝে। তাইতো আজ জীবনখানা বড্ড ভারী লাগে , একঘেঁয়ে লাগে ,বিষাদগ্রস্ত লাগে।

দূর্গা মা

মাগো চারটে দিনে কি হবে বল, তুই আমার সাথে চল। গোটা গ্রাম ঘুরলে পরে, প্রাণ যাবে শিউরে। তুই যখন আসিস মা , চারটে দিনে কিছুই দেখতে পাস্ না। ওই চারটে দিনে সবাই ভদ্র সেজে থাকে, হাসি,খুশি ,খাওয়া দাওয়া তে শুধুই মাতে। সব্বাইকে আপন করে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। জানিস মা,তুই যাওয়ার পর- আপন কেমন হয়ে যায় পর। সবাই তোকে বড্ড করে ভয় , আসল রূপ দেখতে গেলে ওই চারটে দিনে কি হয় ? থাকিস মা সারা বছর, দেখিস মা আসল চেহারা, দেখিস মা কত মানুষ কেঁদে কেঁদে দিশাহারা। তুই থাকিস বলে, সব্বাই দুঃখ টা ভুলে, থাকে মা তোর পানে চেয়ে। থাকিস মা সারাটা বছর ,দেখিস সবার কান্না, দেখবি তখন আর ছেড়ে যেতে পারবি না।

লিখার সাথে মেয়েটির গোপন কথা

যখন খুশি চিন্তা ভাবনা এসে জমতে থাকে, মেয়েটির মনের মধ্যে , যেই খাতা পেন বার করে লিখতে যায়, অমনি ফুড়ুৎ করে ভাবনা উড়ে পালায় - সেই দেখে ভাবনার সাথে মেয়েটি কথা বলে একান্তে - এই মেয়েটা আসবো আমি যখন তখন খাতা আর পেন নিয়ে বসে থাকিস সর্বক্ষণ। কেন ? আমি বুঝি ফেলনা ? আমি কি তোর মতো বলতে পারি না ? যখন আমি থাকবো খাতা পেন নিয়ে, তখনি আসিস আমার পানে চেয়ে। রাগ কেন করিস রে মেয়ে, চলবে আমার বসে থাকলে তোর পানে চেয়ে ? জানিস সবার কাছে আমায় হয় যেতে , থাকতে হয় একটু হলেও সবার সাথে। তুই ভাবিস না যেন শুধু তোর কাছে যাওয়াই আমার কাজ , এখানে সেখানে যত্ত প্রাণী ,সবার কাছেই আমি বিরাজ করি ,তোর কাছে গেলেই শুধু আমার কি চলবে ? তুই ভাবিস একধরনের ,তাই সেই মতো ভাবনা যাবে তোর কাছে ,আর যারা অন্য কিছু -রাজনীতি নিয়ে ভাবায় ব্যস্ত ,তাদের জন্যও নতুন চিন্তাধারা পৌঁছায় তাদের কাছে ,দেখছিস কত্তো আমার কাজ ? সারাদিন সারারাত তো শুধু ছুটেই বেড়াই এর মন থেকে ওর মনে ভাবনা ছড়ায়। আচ্ছা ,তুই তো দেখছি আলোর চেয়েও জোরে ছুটিস, তাহলে আইনস্টাইন তত্ত্ব ভুল বলছিস ? আলোর চেয়ে ভাবনার গতিবেগ বেশি - আচ্ছা তুই এর প্রমান দিতে পা

সাধারণ মানুষেই বেকারত্বের শিকার

হতাশায় ভুগছেন ? বাজারে একদম ই চাকরি নেই ? কিন্তু জিনিসপত্রের দাম তো হুড়হুড় করে বেড়েই চলেছে।অথচ আপনার মাইনে কিন্তু বাড়ছে না সেই ভাবে। এমন কি মাঝে মঝে এই ভয় টাও আপনাকে কুঁড়ে খাচ্ছে যে চাকরি টাই যদি না থাকে, কি হবে ? ১০ বছর আগে ১০,০০০ টাকার চাকরি পেয়ে খুব খুশিতে বিয়ে করে ফেলেছেন। বাড়িতে দুটো বাচ্ছা ,আর বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন, তাদের কি করে খাওয়াবেন তাই ভাবছেন তো ?আপনার বাবা একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়িয়ে আপনাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন। আপনি যা যা চেয়েছিলেন,ঠিক যেমনভাবে ,যে কলেজ এ পড়তে চেয়েছিলেন,আপনার বাবাও আপনাকে ঠিক সেইভাবেই পড়িয়েছেন।  অথচ আজ আপনি এতো বছর অভিজ্ঞতা অর্জন করেও পরিবারের স্বাছ্যন্দ বজায় রাখতে পারছেন না ? আপনি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না এই চিন্তায় ?একবার ভাবছেন ব্যবসা করবেন ?আবার কখনো ভাবছেন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যাবেন ? পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গেলে বয়স্ক বাবা মা দের কে দেখবেন ? দিদি তো বিবাহিত ,শ্বশুরবাড়িতেই ব্যস্ত ?আমাদের ভারতবর্ষের সংস্কৃতি তে তো মেয়েরা শশুড়বাড়িকেই দেখে থাকেন। আপনার স্ত্রী তো দুটো বাচ্চার পড়াশুনো ,বাড়ির যাবতীয় কাজ করার পর আর সময় পান না ?সব কিছু ভেবে দেখছেন ,

ভদ্রতাই মানুষের আসল পরিচয়

ভদ্র ব্যবহার দিয়ে অনেক অসাধ্য জিনিস ও পাওয়া যায়। কিন্তু সেই একই জিনিস অভদ্র আচরণ দিয়ে পেতে গেলে কত কষ্ট পেতে হয় ,আবার সময়ের অপব্যবহার ও করতে হয়। এই ভদ্রতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।  কত ছোটোখাটো কারণে কত ঝগড়া হয়ে থাকে।  দেখেছি বাস এর মধ্যে দুই যাত্রীর একে অপরের সাথে কি নিষ্ঠূর ব্যবহার ! কারণ টা কিন্তু খুব সামান্যই ছিল। একটা ছোট্ট বাচ্ছা তার দাদুর কোলে বসে পা গুলো ওই আরেকটি লোকের দিকে রেখেছিলো। ব্যাস এই সামান্য কারণে ওই লোকটি উত্তেজিত হয়ে কত কথাই না শুনিয়ে দিয়েছিলো ওই দাদুটিকে।  আবার আরেকদিন বাস এর মধ্যে এক দাদু বসেছিলেন। বাস টি  চলছে।  একটা অল্পবয়সী মেয়ে দাদুর কাছে দাঁড়িয়েছিল। কারণ বসার কোনো জায়গা ছিল না। আর মেয়েটি ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই নেমে যাবে বলে ভেতরের দিকে যায় নি। মেয়েটি হঠাৎ করে হালকা কাশি কাশতে থাকে ,তাও অন্য দিকে মুখ ঘুরে। ব্যাস ,টাকলু ওই দাদু টির সে কি রাগ !তুমুল চিৎকার শুরু করে দেয়। ভদ্রতা (manners ) নিয়ে কথা শোনাতে থাকে ওই মেয়েটিকে।  ভদ্রতা !অন্যকে সম্মান দেওয়া ,নম্র সুরে কথা বলা -ব্যাস এইগুলোই তো ভদ্রতার পরিচয়। যাদের মধ্যে অহংকারের

বাংলা সিরিয়েল

খুব সিরিয়েল দেখছেন ?সন্ধ্যেবেলা টা সিরিয়েল দেখেই কাটিয়ে দিচ্ছেন ?এটা আপনার রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ?বাড়িতে আপনাদের সাথে বাচ্ছারাও সিরিয়েল দেখছে ?৫ বছরের বাচ্ছা তাই কোনটা আপনার বাড়ির কাজের লোক সহজেই বুঝে যাচ্ছে আর বড় বড় কথা বলছে ?কিন্তু তাও আপনি সিরিয়েল দেখার অভ্যেস কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না ? বাংলা সিরিয়েল গুলো কাকিমা ,জেঠিমা,দিদিমা,ঠাকুমাদের ভালোই মাতিয়ে রাখে। কিছু কিছু গ্রামে কাকু ,জেঠুরাও সিরিয়েল এ মেতে থাকে। সারাদিন কাজের শেষে ওই প্যাঁচানো সিরিয়ালগুলো কি করে যে কিছু মানুষের ক্লান্তি ঘোচায় তা কিছুতেই বোধগম্য হয়ে ওঠে না।  সব সিরিয়েল গুলো কিছুটা দেখলেই পরবর্তী ৫-১০ দিনের পর্বগুলোকে অনুমান করা যায়। সিরিয়েল রচয়িতাদের উদ্দেশ্য তো সিরিয়েল গুলো কে চটকে দেওয়া। একটা ভিলেন তো থাকবেই থাকবে। আর ওই ভিলেন এর কাজ ই হবে ভালো মানুষগুলোর ক্ষতি করা। ভালো মানুষগুলো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ওই ভিলেন এর শাস্তি দেবে ,শাস্তি পাওয়ার পর ভিলেন আরো বেশি বদমায়েশি শুরু করবে।  এই তো চলতে থাকে একবার ভালো মানুষগুলো কাঁদতে থাকে ,ভিলেন আনন্দ নিতে থাকে ,আবার কখনো ভালো মানুষগুলো ভিলেন কে শাস্তি দিতে পেরে উল্ল

আমার তুমি যখন ভিন দেশে

আমার তুমি যখন আমায় ছেড়ে বহু দূরে ভিন দেশে, তোমার আমাকে তোমার কাছে পৌঁছতে কত্তো কাঠ খড় হবে পোড়াতে, লাগবে পাসপোর্ট,ভিসা আরো কত্তো কি ? তোমার সরল ভালোবাসা এতো কিছু বোঝে কি ? তোমার সেই ফেলে আসা ধুলোমাখা শহরটা - একরাশ বেদনা নিয়ে জেগে -সেই কলকাতা, যাকে তুমি খুব খুব ভালোবাসতে যার জন্য অন্য শহরে পারো নি যেতে আজ হঠাৎ তোমার মন গিয়েছে বদলে তাইতো কঠিন বাস্তবে দাঁড়িয়ে,সব কিছু ফেলে পাড়ি দিয়েছো সুদূর বিদেশে ঘর বাড়ি সব কিছু থেকে দূরে ,বহূ দূরে। 

ভালোবাসার ছোঁয়া

ভালোবাসার ছোঁয়ায় জাদু আছে।  খারাপকেও বদলে দিতে জানে।  ভালোবাসা প্রকৃতির ই তো উপহার , তাইতো সহজে মানে না সে হার।  গুন্ডা,বদমায়েশ ,চোরদের কে  ভালোবাসায় জব্দ করতে পারে।  শুধু ভালোবাসার ধরণটা  জেনে নিতে হয় , যেমন চোরকে টাকা দিয়ে ভালোবাসতে হয় , আর ছিঁচকে চোরকে খাবার দিয়ে ভালোবাসতে হয়।  আর যে ছেলেটা হঠাৎ করে পড়ার পথে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে, তাকে বন্ধুত্বের স্পর্শ দিয়ে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হয়।  আর যে ছেলেটা পথভ্ৰষ্ট হয়ে মেয়েদের শ্লীলতাহানিতে মেতেছে , তাকে চাবুকের তীব্র যন্ত্রনা দিয়ে ভালোবাসতে হয় !

নারীদের চাকুরীজীবনই কি সংসার ভাঙ্গনের কারণ ?

শোনা যায় -পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নাকি প্রচুর উন্নতি হয়েছে।বাকি রাজ্য গুলোতে সেইভাবে নাকি উন্নতি হয় নি। আপনিও কি এক মত্ ?কথাগুলো খুব একটা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু। ঘরে ঘরে মেয়েরা নিজের উপার্জনে জীবন কাটাতে চাইছে। এমন কি গ্রামগুলোতেও প্রচুর মেয়ে কর্মরত। মেয়েরা স্বাধীনচেতা হয়েছে।  সবার আগে পুরুষমানুষদের কাছে থেকে আসা কিছু অভিযোগ বলা যাক : কেও কেও বলে থাকেন এতে নাকি সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে ,সংসারে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে। মানিয়ে চলার ক্ষমতা ও নাকি মেয়েদের অনেক কমে গেছে। এমনকি পুরুষ মানুষদের বেকারত্ব বেড়েছে।একজন চাকুরিরতা মহিলা কখনোই বেকার পুরুষমানুষ কে বিবাহ করতে চায় না ,কিন্তু চাকুরীরত পুরুষরা বেকার মহিলাদের তো সহজেই বিবাহ করে থাকে। একটা পরিবারে যদি স্বামী স্ত্রী দুজনেই যদি চাকুরী করে,স্ত্রীর টাকা টা  নাকি পরিবারের কোনো কাজে আসে না -মহিলারা নাকি পরিবারের দায়িত্বের বদলে নিজেকে গোছাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ মানুষ টিকেই পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী অতীতে যেমনভাবে মহিলারা দিন কাটাতো সেটাই নাকি ঠিক ছিল। সমাজের ভারসাম্য ঠিকঠাক ছিল। এখন

বৈপরীত্য এর ম্যাজিক

বৈপরীত্যের ম্যাজিক কখনো অনুভব করেছেন ?কল্পনা করুন যে সূর্য সবসময় আলো দিচ্ছে ,কোনো অন্ধকার বলে কিছুই নেই। কি রকম লাগবে আপনার? আপনি  কেমন একঘেঁয়েমি অনুভব করবেন না ?আর সেইজন্যই কখনো কখনো আমাদের চাঁদের আলোর দরকার হয়। তাহলে কি এটাই কারণ শয়তানদের অস্তিত্বের ? সব দিক থেকেই প্রকৃতির বৈপরীত্যের দুটো অংশই দরকার হয় ; যেমন -কালো-সাদা ;আলো -অন্ধকার ;ভগবান -শয়তান ;ভালো-খারাপ ;পুরুষ-স্ত্রী। প্রকৃতির নিজের মধ্যেও বৈপরীত্য বিরাজমান ঠান্ডা -গরম।  কল্পনা করুন সব কিছুরই একটা দিক আর ভাবুন অন্য দিকটা নেই। সেক্ষেত্রে ,আপনার ভ্রমণের দরকার হবে না ,কারণ সব জায়গাতেই একই আবহাওয়া এবং শুধুই দিন ,রাত্রির কোনো অস্তিত্বই নেই। আবার কোনো খারাপ মানুষ ও নেই। সব্বাই ভালো।  আপনি কি একঘেঁয়েমি তে ভুগবেন না ?নতুনত্বের জন্য পাগল হবেন না ? যদি কোনো খারাপ মানুষের অস্তিত্বই না থাকে ,তাহলে তো কোনো চোর থাকবে না। সেক্ষেত্রে,পুলিশের, উকিলের দরকার পড়বে না। কোনো কিছুই ভেজাল হবে না। সব্বাই ভালো ,সব ভালো। তাহলে তো মানুষের মন খুব ভালো থাকার কথা। আর সেক্ষেত্রে ,ডাক্তার আর ওষুধের প্রয়োজন ও খুব কমে যাবে। যেহেতু সব্বাই খুব ভালো,স

মুড়ি

আমি একটা মুড়ি , একসাথে থাকি ঝুড়ি ঝুড়ি। কোথাও বা যদি একা পড়ি , পা দিয়ে খাই মাড়ি। নেই অস্তিত্ব আমার একার, তাইতো বস্তা বস্তা রাখে দোকানদার। আমি একটা মুড়ি, খেতে পারে না বুড়ি। যদিও ভেতরখানা আমার ফাঁকা , তবুও দাঁত ছাড়া ভেতরে যায় না। বুড়ি তখনই পারবে আমায় খেতে , যদি জল মেশায় আমার সাথে। আমি একটা মুড়ি , বানিয়ে আমায় গুঁড়ি , সাথে জল মিশিয়ে আমায় লাগালে , উপকারে এসব তোমার বাতের ব্যথাতে। লাগলে মাছের কাঁটা গলাতে , গিলিও আমায় সাথে সাথে। আমি একটা মুড়ি , বেশি খেলেও বাড়ে না ভুঁড়ি। দেখতে আমি খুব সাদা , মিথ্যে তো বলি না কদা।  লাগে যদি বমি বমি, খাও তুমি জল -মুড়ি।

দুষ্টু মিষ্টি ছোটবেলা

কখনো কি জানালা দিয়ে আকাশ দেখেছেন ? কখনো কি প্রচুর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজেছেন? কখনো নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে তারা গুনেছেন ? কখনো কি অমাবস্যার রাতে জোনাকিদের ঝিকিমিকি দেখেছেন ? কখনো কি ভোরবেলার শিশিরভেজা ঘাসে হাত রেখেছেন ? কখনো কি শিউলি গাছের নিচ্ছে শিউলি ফুলদের বিছানা দেখেছেন ? কখনো কি শাল পাতা বা কলা পাতায় ঘি ভাত খেয়েছেন ? কখনো কি ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে কাট্টি করে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন ? কখনো কি ফ্রীজের বরফ নিয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে খেলেছেন ? কখনো কি মিথ্যে বলে স্কুল এ ফাঁকি দিয়েছেন ? কখনো কি মাস্টারমশায়ের কাছে মার্ খেয়েছেন ? কখনো কি নিজেই নিজের ঘর থেকে কিছু চুরি করেছেন ? কোথায় হারিয়ে গেলো সেই দুষ্টু মিষ্টি ছোটবেলা ? কোথায় হারিয়ে গেলো বন্ধুদের সাথে কাট্টি -ভাবের খেলা ? কোথায় হারিয়ে গেলো সূর্যোদয় দেখা ? কোথায় হারিয়ে গেলো নিজেকে একটু সময় দেওয়া ?

নিজেকে খুশি রাখার কিছু উপায়

আমরা যখন ধ্যান এ বসি ,বুঝতে পারি আমাদের মন কত অশান্ত। মনের মধ্যে হাজার রকমের চিন্তা ঘুরতে থাকে। ব্যতিক্রম সব কিছুরেই আছে ,আমি একদম সাধারণ মানুষের কথা বলছি। যারা ইউ -টিউব এ ভিডিও দেখে অনেকবার মেডিটেশন করেও মন কে শান্ত করতে অক্ষম হয়েছেন তাদের জন্য কিছু উপায় : ১. মেডিটেশন (যে কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে): যারা মেডিটেশন করতে চান ,তাদের বলছি -মন শান্ত হচ্ছে না ,অনেক চেষ্টা করেছেন। চিন্তা করবেন না। মেডিটেশন করার সময়ে ১ থেকে ১০০ গুনতে থাকুন কিংবা যে কোনো ঠাকুরের নাম বার বার বার বলতে থাকুন, তবে একদম মনে মনে ,নিজেকে স্থির রাখুন ,চোখ বন্ধ রাখুন। এতে আপনার মন ব্যস্ত থাকবে ওই শব্দগুলোতে। আর এর ফলে ,মন অন্য কিছু ভাবতেই পারবে না।  কয়েক মাস পর যখন আপনি এইসবের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ,তখন আর সংখ্যা গুনবেন না।  দেখবেন তখন পুরো কাজ টা আপনি কত সহজে করতে পারবেন ঠিক যেমন আপনি ইউ-টিউব ভিডিও তে দেখেন।  ২. ব্যস্ত রাখুন মন কে :  যারা ১ নাম্বার উপায়টিতেও সফল হতে পারছেন না ,মানে যারা আরোই চঞ্চল ,তাঁদের কে বলবো -নিজেকে ব্যস্ত রাখুন ,যে কোন ভালো কাজে। যদি কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না ,নিজের ঘর টা কে গোছান,ফার্নিচ

প্রতীক্ষা

দীর্ঘ প্রতীক্ষায় আমি- এক দীর্ঘ সময়ব্যাপী, রেলওয়ে স্টেশন এ, প্রচুর লোকের ভীড় এ। আমার ও সে আছে, যেমন সবার ই আছে। সেও তো দীর্ঘ প্রতীক্ষায়, দূরে বহু দূরে নির্জন নিরালায়। দিবারাত্রীকে অনুরোধ আমার, সময়টা তাড়াতাড়ি পার করার। একদিন প্রতীক্ষার অবসানে, জীবনের অবসাদ যাবে ঘুচে। সেই মধুর মিলনের দিনে, সূর্য,চন্দ্র কে সাক্ষী রেখে, এক দৌড়ে যাবো তার কাছে। একান্তে নিভৃতে গোপনে, অনেক জমানো কথা যা ছিল মনে, সব উজাড় করে দেব তার অন্তরে।

রিক্সাওয়ালা আর ট্যাক্সিওয়ালা

 পথচারী:                       ও দিদি,শরীর যদি ভালো রাখতে চান,                                       রিক্সা ছেড়ে প্রত্যহ পায়ে হেঁটে যান। শুনতে পেয়ে রিক্সাওয়ালা বলে ওঠে : দিদি,রিক্সা ছেড়ে পায়ে হেঁটে যদি যাও,                                      টাকা রোজগারের অন্য উপায় বলে দাও।                                      পেটের দায় বড়ো দায় !                                      কেমনে তাহা মেটায়।                                      বাপ্ -মা এর কিচ্ছু জোটে নাই ,                                      তাইতো কিচ্ছুটি শেখাতে পারে নাই।                                      টাকার অভাবে স্কুলটাও ছাড়িয়ে দিয়েছে।                                      ভাতের জন্য জমিটাও বিক্রি হয়েছে।                                      টাকাপয়সা টা বড্ড আমাকে ভাবায় ,                                      তোমাদের নিয়ে যেয়ে দুটো টাকা তাই কামাই।               ট্যাক্সিওয়ালা :  বড্ড বকছিস!                                      এমন হাবভাব দেখাচ্ছিস,                                      আর যেন কেও নাই দিদি ছাড়া,      

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

আজীবন আমরণ ভালোবেসেই যাবো, নিজের ঠিকানা নিজেই খুঁজে নেবো। একটা অতীত,হাজারখানা ঘটনা ঘুরে ফিরে, মনের স্মৃতিকোনে টোকা মারে বারে বারে। মন কে বোঝাতে বোঝাতে, কখন যেন নিজের অজান্তে, মেতে গেছি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাতে। তবু পুরানো বদ অভ্যেস এতো সহজে কি যায় ? তাই এখনো মন ব্যাকুল হয় অল্পস্বল্প নিরাশায়। তোমার যখন যা প্রয়োজন, আমি তোমার ই আপনজন, থাকবো তোমার সাথে পাশে পাশে। সুখ দুঃখে তোমার আষ্টেপৃষ্টে, ভালো লাগে জড়িয়ে থাকতে। তুমি তো তোমার মতো -সুন্দর ,নির্বিকার। তোমায় বদলায় এমন সাধ্য আছে কি আমার ? বদলানোর চিন্তাধারা মুছে দেব মন থেকে, মন কে বুঝিয়ে ব্যথাগুলো রেখে দেব গোপনে। নাহি দেব প্রকাশ মনের আকুতির ! নাহি দেব পরিচয় মনের ক্ষীণ প্রত্যাশার ! একদিন নিশ্চই এ মন হবে সফল, আর সেইদিন পাবো নিঃস্বার্থ ভালোবাসার ফল।  

জন্ম -মৃত্যু

জন্ম যেমন নেই মানুষের হাতে, মৃত্যুও ঠিক তেমনি চলে জন্মের সাথে। জন্ম -তুমি যেন জীবনের সূচনা, কিন্তু মৃত্যু -সূচনা না অন্ত ,সবার অজানা। জন্ম মানুষের মনে খুশি আনে, কিন্তু যে জন্মায় ,সে শুধুই কাঁদে। মৃত্যু মানুষকে শুধুই কাঁদায়, কিন্তু যার জীবন হলো অন্ত সেও কাঁদে আর বাকিদের কাঁদায়। শ্বাস যখন মুখ ফিরিয়ে নেয় জীবন থেকে , তখন থেকেই কি শুরু হয় নতুন অধ্যায় নতুন জগতে ? জন্ম -তুমি আগে থেকেই সক্কলকে জানিয়ে দাও, নতুন সদস্যের আগমনে সব্বাই আনন্দিত হও। কিন্তু মৃত্যু তুমি সত্যি ই খুব কঠিন, তুমি মনুষ্যলোকে হৃদয়হীন। অথচ নেই কোনো বৈচিত্র্য জন্মের পদ্ধতিতে, অন্যদিকে মৃত্যু ?কত রকম ভাবে পারে ঘটতে। কখনো কি শুনেছো ডিম্বাণু শুক্রাণুর মিলন ছাড়াই , জন্ম হচ্ছে মানুষের,শুরু হচ্ছে জীবনের লড়াই ? জন্ম টা কিছুটা হলেও মানুষের হাতে, কিন্তু মৃত্যু -তোমার আবির্ভাব শুধু জন্মকে গ্রাস করতে। সৃষ্টিকর্তার এ কেমন বিচার, আকস্মিক মৃত্যু দিয়ে বাড়াতে চায় শুধুই অনাচার। আবার মৃত্যু হলেই জন্ম হবে নতুনের। শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়ের। মৃত্যুই কি জন্মের আগমনবার্তা বহনকারী ? সব মৃত্যুই মানুষের অজান্তে ,তাই কি আমরা শু

বিশ্বাসঘাতক

এক নিমেষে সব মায়া ছেড়ে, তোমার কাছে এসেছিলেম দৌড়ে। কলেজ প্রাঙ্গনে তুমি কতই না কান্ড বাঁধিয়েছিলে, আমার বিমুখ মন তোমার পাগলামোর কাছে বন্দি হয়েছিলে। হোস্টেলের সবচে ভালো বান্ধবীটার সঙ্গ ছেড়ে, তোমার মধ্যে দিয়েছিলাম নিজেকে উৎস্বর্গ করে। তারপর একদিন বিবাহের গন্ডিতে, এক শুভ লগনে আবদ্ধ হয়েছিলাম দুজনে। জানো আজো মনে পড়ে, সেই দিনটা,ঘুরে ফিরে বারে বারে। মনে পড়ে -আমাদের দুই জনের ভালোবাসা এলো, আমাদের ছোট্ট ঘর আলোর রশ্মিতে ঝলসে উঠলো। তারপর কি হলো তোমার কি জানি, সেই যে আমরা সুদূর বিদেশে দিলাম পাড়ি, তুমি কেমন আনমনা হয়ে যেতে, সত্যি কত সহজে আমাকে বোকা বানাতে, কত লুকোচুরি ই না খেলেছো দিনের পর দিন ওই মেয়েটার সাথে। আমি সত্যিই বোকা,কখনো টের ও পাই নি, আমাদের বন্ধনের সুতোটা ঢিলে হচ্ছে একটু একটুখানি। কয়েকটা বছর পর আমি অসহ্য হয়ে উঠলাম তোমার কাছে, আমার সাথে আর ঘর করবে না -এই অভিযোগে, তুমি ডিভোর্স ফাইল করে এলে, এমন একটা সহজ নিষ্পাপ মেয়ের সাথে তুমি কেমন খেলা খেললে !

অভিযোগ

ওঁরা বলে আমি নয়কো মেয়ে আমি নাকি ছেলে,  হঠাৎ হঠাৎ করে একাই নাকি আমার যাতায়াত চলে, অফিসের নানান কাজে নানান অজুহাতে,  আমি নাকি ফাঁকি দিই সংসারের কাজে। ওঁরা বলে -আমি নিজেও নাকি খাই না , খেতে দিতেও নাকি জানি না।  আমি নাকি চাকরি করে অহংকারী,  আমি নাকি সব কিছু করি বাড়াবাড়ি।  ওঁরা ভাবে কিসের আমার এতো অহংকার, কিসের এত্তো দিমাক !  চাকরি টা গেলে শশুড়বাড়ির পুতুল হলে,  তবেই সব কিছু চলবে আগের তালে।  আমি বলি -শুনে যাবো সবার সব অভিযোগ,  চাকরিটা যাওয়ার আগে হোক আমার প্রাণবিয়োগ !    

একা

যখন মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম -একদম একা। খুব চিৎকার করে কেঁদেছিলাম -কিন্তু একা। বাবা,মা,দাদা,ভাই,বোন কিন্তু বেশ হাসিখুশিতে ছিল মেতে, আমিও ধীরে ধীরে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম আনন্দেতে। ব্যাস ,যেই একটু বড় হয়ে গেলাম, ওমনি স্কুল,প্রাইভেট এর খাঁচায় বন্দি হলাম। কিন্তু তবুও আপনজনের ভালোবাসা ছিল, জ্বর জ্বালাতে পাশে থাকার অনেকে ছিল। এমনিভাবেই পার করলাম কলেজের ও চারটি বছর, কিন্তু সেখানেও বন্ধুরা ছিল খুব ই আপনজন। তারপর অজানা অচেনা একজনের সাথে ঘর বাঁধলাম, কয়েকটা বছর বেশ ভালোবাসায় ডুবে থাকলাম। তারপর যখন নিজে একদিন মা হলাম, নিজের সব কিছু দুষ্টুমি ,শিশুসুলভ আচরণ ত্যাগ করলাম। এইভাবে ত্যাগ করতে করতে একদিন উপলব্ধি করলাম সব কিছু থেকেও কেমন যেন একাকিত্ব অনুভব করলাম। সত্যি আজ আমি একাকিত্বের সাথে মিশে, থাকতে পারি না বেশি লোকজনের আশেপাশে।

গদ্য আর পদ্য

বর্তমানে মানুষ হারিয়েছে ধৈর্য্য। আর তাইতো ছোটো গল্প আর পদ্যের মুল্য বেড়েই চলেছে। উপন্যাস পড়ার ধৈর্য্য মানুষ হারিয়েছে । গদ্যের ও সংক্ষিপ্ত রূপ হল পদ্য। উপন্যাস আর ছোট গল্পগুলোকে ছন্দ নামক অলংকার দিয়ে মাত্র কয়েকটি লাইন দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারলেই মানুষ গোগ্রাসে পদ্য কে মুখে তুলে নেবে । আর উপন্যাস তখন ইতিহাস আর সেকেলে হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু মানুষ তখনো ছোট গল্পকেই পছন্দ করবে । যেসব মানুষ সব ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ জানতে আগ্রহী তাদের ধৈর্য্য অনেক বেশী আর তারাই উপন্যাস প্রেমিক। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদেরকে কোন ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ বলতে গেলে বলে উঠবেন - "আরে মশাই এতো খেয়ালী না করে আসল কথাটা বলুনতো, আমার এতো শোনার সময় নেই  "। সত্যিই কি সেই ভদ্রব্যক্তির সময় নেই? আসলে সেই ব্যক্তির ধৈর্য্য নেই। ছোটগল্প রমরমিয়ে চলছে ফেসবুকে। পুস্তকে চোখ রেখে  পড়ার আনন্দ মানুষ দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে। মানুষ যেন নিজেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলছে ইন্টারনেট এর সাথে। মানুষ নিজস্বতা হারিয়ে ফেসবুকের লাইক, শেয়ার, কমেন্ট এর ওপর নির্ভর করে ঠিক করতে থাকে কোন লিখাটা সে পড়বে। ব্যস্ত এই জ

ভালোবাসা

ভালোবাসা ভালোবেসেছিলো এক যুগ আগে, রঙ্গিন স্বপ্ন আমার চোখে এঁকে, ভালোবাসা হারিয়ে গিয়েছে কঠোর বাস্তবে। নানান কাজে আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেকে জড়িয়ে, ভালোবাসা ভুলে গিয়েছিলো ভালোবাসতে । ভালোবাসা সব সম্পর্কের মধ্যে, ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে, এক নিমেষে ভুলে গিয়েছে, ভালোবাসার খেয়াল রাখতে। আজ দুই ভালোবাসা পরস্পর থেকে, সরে গিয়েছে ক্রমশই দূরে অনেক দূরে। আজ আছি শুধু অপেক্ষায়, ব্যস্ত শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতে  আছি শুধুই সেই আশায় সম্পর্কের ব্যবধান কবে ঘুচবে। আজ জীবনটা বড্ডো ঘ্যানঘ্যানে, ভালোবাসাই শুধু ক্ষমতা রাখে, আরেক ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করতে।

অনুভূতি

অনুভূতির মাত্রাগুলোর গভীরতা, কখনো কমে আবার কখনো বাড়তে থাকে, ঠিক যেমন হৃৎস্পন্দনের কম্পনতা , থাকতে পারে না সরলরেখাতে। অনুভূতি কেমন যেন খামখেয়ালি, শুধুই করতে থাকে হেয়ালি। সম্পর্কগুলো জেগে ওঠে, ভালো অনুভূতির স্পর্শে। সম্পর্কগুলো ম্লান হয়ে যায়, খারাপ অনুভূতির ছোঁয়ায়। ভালোবাসা কেমন যেন ঘ্যানঘ্যানে, যদি সব ই ভাসে একই ছন্দে একই স্রোতে, সবার জীবনেই সময়ের সাথে সাথে, সমস্ত অনুভুতিই কেমন যেন প্যানপ্যানে।

অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ

বর্তমান কেমন ঘটে যাওয়ার পর,  একদিন নাম নিয়ে নেয় অতীত। আর আগামীদিনগুলো কাছে আসার পর,  হয়ে যায় বর্তমান যা একদিন আগেও ছিল ভবিষ্যৎ। অতীতের ভুলভ্রান্তি দেখে,  বর্তমান শিখতে থাকে।  আর ভবিষ্যৎ নিজের ভীত শক্ত করে। অতীতের মন খারাপের স্মৃতি ভুলেও না ভুলে মন কে দাও শক্তি । অতীত আমাদের শেখায়,  বর্তমান আমাদের পরীক্ষা নেয়।  ভবিষ্যৎ আরো জটিল প্রশ্ন বানায়। 

কবিতায় পঠনপাঠন

কেমন হয় যদি পঠনপাঠন কে, কবিতার রূপ দিই। কেমন হয় যদি ভূগোল এর অঙ্কগুলোকে, লিখার ছন্দে ভাসিয়ে দিই। কেমন হয় যদি ইতিহাসের প্রতিবাদী আন্দোলনকে,  কবিতার যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড় করিয়ে দিই। কেমন হয় যদি জীববিজ্ঞানে মানবদেহের কোষগুলোকে, কবিতার মধ্যেকার ব্যাংজনবর্ণ দিয়ে ব্যখ্যা দিই । কেমন হয় যদি ভৌতবিগ্গানের অনু পরমানুকে, কবিতার ছন্দে ব্যাখ্যা দিই ।

লিখতে পারি

লিখতে পারি তোমার সর্বস্ব নিয়ে লিখতে পারি এক পৃথিবী লিখতে পারি তোমার সাথে বাস্তবের সামঞ্জস্য রেখে এক চমকানো কাহিনী লিখতে পারি পাতার পর পাতা লিখতে পারি এক কদমে তোমার জীবনকথা লিখতে পারি শুধু তোমাকে নিয়ে রাস্তা থেকে শুরু করে শেষ করবো আকাশ দিয়ে। আকাশের যেমন নেই কোনো ইতি আমার ও লিখার থাকবে নাকো সমাপ্তি। যা খুশি ছবি দাও আমার হাতে লিখা ঝরবে সব কিছুতে ছবিটা যেন হয় শুধু প্রকৃতির তাহলে অদম্য স্রোতে ভাসবে লিখা আমার। 

বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি

ছবি
যতই তোমায় দেখি ততই মুগ্ধ আমি, বৈচিত্র্যে ঠাসা আমার এই পৃথিবী। যেমন তার রূপের বাহার, তেমনি ই কারুকার্য তার। তোমার দুর্গমতাই দেবে ঠেলে, মানুষদের মৃত্যুর কোলে। তুমি অনবরত দেখিয়েই চলেছো, আর আমাদের নিয়ে চলেছো দুর্গমতার গভীরে। আমরা মূর্খের মতো ছুটছি সেই রহস্য উদ্ঘাটনে।  P.C- Himalayan Club

প্রকৃতির সাথে

ইস্স যদি পারতেম তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে, সারাটা জীবন একান্তে নিভৃতে, যদি পারতেম- তোমার এক পাহাড়ে মাথা রেখে  অন্য পাহাড়ে সারা শরীর ছড়িয়ে দিতে, পৃথিবীর সমস্ত সুখ আসতো আমার মনে, সারা শরীরে দোলা লাগিয়ে। ব্যস্ত এই জীবনে শুধুই সংশয়, আপনজন কে হারানোর সংশয়। তোমার মধ্যে নিমজ্জিত থাকলে , নেই কোনো সংশয় ,নেই কোনো ভয়। তোমার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে, আমার আপন পৃথিবী হবে সুখময়। 

প্রকৃতির সাথে খেলা

এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাবো আমি লাফিয়ে লাফিয়ে। এক একটা পাহাড় যেন আমার কিত্ কিত্ খেলার এক একটা ঘর। জমিয়ে খেলবো পাহাড়ের কোলে , খেলবো আমি সূর্যালোকের সাথে। একটা পাহাড় থেকে আরেকটা পাহাড়ে রাখবো আমি পা আমার সময়ে , সূর্যালোক ও পড়বে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ঠিক তার খেলার সময়ে। বেশ জমবে সূর্যালোকের সাথে আমার কিত্ কিত্ খেলা টা সকালবেলা তে।

ওই মানুষটা

মানুষটা এক প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষকমহাশয়, সবসময় আঁকড়ে রাখতো সম্পত্তি বিষয়-আশয়। টাকাপয়সার এক চুল এদিক ওদিক হলে রাগের বাঁধ ভেঙে উঠতো উথলে। মানুষটা কারো তো বাবা ছিল, সব দিক দিয়ে বেশ ভালোই ছিল। পাড়া-পড়শীর কাছে বড্ডো ঢাক বাজাতো ঠিক ই ,নিজেকে গর্বের পোশাকে বেশ সাজাতো। গর্ব ছিল পুত্রসন্তানের, গর্ব ছিল টাকা-কড়ির। ভবিষ্যৎ ভাবতে গিয়ে অতীত টাকে করেছে নয়ছয়, সমস্ত বিলাসিতা আর সুখের শুধুই হয়েছে অপচয়। সুখের ছিল প্রচুর কারণ শোনে নি তখন কারো বারণ ! আজ আফসোস আর হতাশায় মোড়া বার্ধক্যের জীবনটা শুধুই হাতড়াতে থাকে অতীতটা !

প্রকৃতির ডাক

কি রে সত্যি বলছিস থাকবি তুই আমার মধ্যে ? রাখবো তোকে আমার দুই পাহাড়ের মধ্যখানে  আমরা সব্বাই মিলে রাখবো তোকে সযতনে।  পাহাড়ের কোলে সুন্দর ভাবে বিছিয়ে দেব ঘাস,  থেকে যাবি আমার কোলে মাসের পর মাস।  ঘুম পাড়িয়ে দেবো সুমধুর বাতাসে  আর মুড়ে দেব মেঘেদের চাদরে।  এমন সুখ দেখ তো কোথাও পাস্ কি না , দেখ তো আমায় ছেড়ে থাকতে পারিস কিনা ,  চানের সময়ে বৃষ্টি দেব ঢেলে,  বরফ নিয়ে খেলবো তোর সাথে পড়ন্ত বিকেলে।  ভোরের আলোয় রাঙিয়ে দেব তোর মুখখানা।  হাসি খুশি তে প্রাকৃতিকভাবে ভরিয়ে দেব তোর জীবনখানা,  কিন্তু আমায় কখনো ভুলে যেন যাস না।

সম্পর্ক

যতই দিন যায় , সম্পর্কের সুতোগুলো পেঁচিয়ে যায়। প্রাচীন সমাজে নারীদের অবহেলায়, বর্তমান নারীদের এগিয়ে নিয়ে যায়, স্বনির্ভরতার দরজায়। ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকুরীরতা, ঘরে বাহিরে মেয়েদের ব্যস্ততা। প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি, সম্পর্কের বন্ধনের অবনতি। হস্তক্ষেপ যদি হয় মেয়েদের স্বাধীনতায়, সম্পর্কগুলো কেমন যেন গিঁট লেগে যায়। আধুনিক সমাজের নারীরা  বদল দিতে পারে দুনিয়া টা। কয়েকযুগ পরে বদলে যাবে চিত্রটা নারীশাসিত হবে সমাজটা।

প্রকৃতিই আমার ঘর

ছবি
বলতে পারিস ঘরের আমার কি দরকার ? দুই পাহাড় হবে ঘরের দুই দেওয়াল , আর ওপরের টুকরো টুকরো মেঘ দিয়ে বানাবো ঘরের ছাদ। কিন্তু মেঘ, বৃষ্টি নিয়ে আসিস অঝোরে ঠিক আমার চানের সময়ে , শীতের রাত্রে কাঁপবো যখন ঠনঠন করে, মেঘ তুই আমায় কম্বলের মতো করে দিস ঢাকিয়ে। গরমের তো চিন্তায় আর রইলো না - দুই পাহাড়- সূর্যালোক কে ঢুকতে দিলে -তবে না ? বেঁচে তো গেলাম গরম আর শীতের প্রকোপ থেকে প্রকৃতির কোলে মাথা গুঁজে। কিন্তু মেঘ অবাধ্য হোস না যেন - চানের সময় ছাড়া রাতদুপুরে আবার বৃষ্টি আনিস না যেন। অবাধ্য যদি হয়েই যাস, বড্ডো মুশকিল এ যদি আমায় ফেলেই দিস, কেমনে রে বাঁচাবো নিজেকে; কেমন করে রে ঠাঁই নেবো অন্য কোথাও তোকে ছেড়ে ! ইট,বালি ,সিমেন্ট এর ঘরে তোকে যে পাই না কাছে এমনটা করে।

শ্বশুরবাড়ি

এ কেমন বাড়ী সকাল  থেকে সন্ধ্যা চলে শুধু সংস্কারের গাড়ী ! বৌমা রা সেখানে শুধুই অবহেলার পাত্রী, বাড়ির ছেলেরা টাকা রোজগারের যাত্রী ! অবহেলার অতীত শাশুড়িমারা , তাই প্রতিশোধ নেওয়ার তাড়া ! অতীতে যারা শুধুই খেটে গেছে আজ তারা সেইভাবেই বউমাদের খাটাতে চাইছে। যে শাশুড়িমা যেমনভাবে নিজের অতীত কাটিয়ে এসেছে সে ঠিক সেইভাবেই বউমার ভবিষ্যৎকে এঁকে রেখেছে। বাড়িটা শশুরবাড়ি ,নয়তো শাশুড়িবাড়ি কিন্তু শাশুড়িমা এরই চলে হুকুমদারী ! যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন প্রান্তর থেকে মেয়েরা এসে বাড়িটা কে শশুরবাড়ি ই বলতে থাকে। যে শাশুড়িমা তার শাশুড়িমার কাছে একদিন ছিল অধীন  আজ সে তেমনভাবেই বউমাদের করেছে পরাধীন !   

মনটা কেমন করে

মাগো রাত হলে মনটা কেমন করে, বাবা তো ঐ সময়েই আদর করে। তাইতো বাবাকে বড্ড মনে পড়ে, যদিও জানি আসবে বাবা 6মাস পরে- তবুও মনটা কেমন করে। বাবা যে এখন বড্ড দূরে। রাত্রি শেষে ভোর নেমে আসে- এইভাবে দিন মোর মনখারাপে  ভাসে। প্রত্যহ বেলাশেষে বাবার কথাই মনে শুধু আসে। আরো 6 টি মাস পরে দেখতে পাবো বাবাকে। মনটা শুধু আনচান করে অপেক্ষার দিন গুনে।

ক্যান্সার

সত্যি কি ভয়ঙ্কর  তুমি ! জীবন নিয়ে ছিনিমিনি ! কখন যে কার ঘাড়ে বসবে কোন যুক্তিতে কাকে চিবোবে- তার নেই কোনো হিসাব। জীবনে নিয়ে এসো শুধু শাপ! ধিক্কার তোমাকে ! ধিক্কার তোমার কাজকে! কোষের পচন ধরাই কী তোমার কাজ? জীবনকে দুর্বিষহ করাই কী তোমার কাজ ? শিশু থেকে বয়স্ক কাওকে বাদ দাও না তুমি, তোমার সর্বনাশ খুঁজতে নাজেহাল শতবিজ্ঞানী। তোমার অস্তিত্ব,তোমার রাজত্ব মানুষের শরীরে, অনেক যুগ ধরে। এবার সময় এসেছে,ক্যান্সার - তোমার সর্বনাশের এবার সময় এসেছে তোমার শত্রূর । যেমন অসুরের জন্য আছে দেবতা, তোমার জন্য ও আছে কোনো একটা উদ্ভিদ, কিংবা কোনো একটা ছোট্ট প্রানী, শীঘ্রই গ্রাস করবে তোমার সর্বস্বখানি !

জীবনকথা

সত্যি এই আছি এই নেই- মনে শুধু সারাক্ষন সংশয় ! জীবন নিয়ে টানাটানি, ভয়ের শুধু দাপাদাপি! ছোট্ট এই জীবন- না জানি আছে কতক্ষণ ! যেটুকু সময় তোমার হাতে- খুশিতে থেকো সবার সাথে। স্বামী -স্ত্রী ছাড়াও দেখো অন্য সম্পর্ককে, কাটিয়ে তোলো মনের সংকীর্ণতাকে। জীবন সংশয় কাটিয়ে ভয়কে করো জয়, অসহায়েরা তোমার উপস্তিতিকে যেন চায়। রক্তের সম্পর্কই তো সব কিছু নয়। অন্যের জন্য উৎসর্গ করো ছোট্ট এই জীবনকে। সুখ দুঃখ এ মধুর করে তোলো জীবনের প্রতিটি পাতাকে।

কালো বেড়াল ২

এই মেয়েটা ,সত্যি বলছিস ? তুই লিখবি আমার জন্য ? কি রে সত্যি বলছিস ? আসলে কেও কখনো তোর মতো করে ভাবে নি এমন করে, ভাবে নি আমার জীবনকথা। ভাবে নি আমার দুঃখ ব্যথা। তুই যে এমন করে ভাবতে পেরেছিস- সত্যি আমাকে তুই অবাক করে দিয়েছিস ! সত্যি বলছিস ? তোর ভালোবাসার প্রকৃতিতে আমারও আছে অবদান ? জানিস তোর মতো করে কেও দেয় নি এমন সম্মান। জানিস সব্বাই আমায় দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে মানে, এত্তো বড়ো পৃথিবীতে তোর মন ই শুধু জানে- ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাকা চোখ দুটোর বেদনার সারকথা।

প্রকৃতির ভালোবাসা

ছবি
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকলে মন কেমন চঞ্চল হয়ে ওঠে। তুমি প্রকৃতির এক অপরূপ ‍সৃষ্টি ! তাইতো বিচ্যুত হয় না মোর দৃষ্টি। ইচ্ছে করে নিজেকে চেহারায় দিই বাড়িয়ে, চরণখানি ঝুলিয়ে বসে পড়ি ঐ পাহাড়ের কোলে। আর মেঘেদের মাঝে হাতদুটো যাক ঢলে। হতে চাই ভালোবাসার তরঙ্গ। শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বহন করবে ভালোবাসাকে, নিয়ে আসবে মেঘেদের থেকে। সারা শরীর বয়ে নেমে আসবে চরণখানি দিয়ে, ভালোবাসার বন্যায় হবে আনন্দিত,  ভালোবাসার আনন্দধারায় হবে সিক্ত মধ্যখানের রাস্তা। মানুষের মধ্যে নিয়ে আসবে পবিত্রতা।

কালো বেড়াল

ছবি
জানো - ওরা সক্কলে আমায় বাজে বলে। বলে -আমি নাকি কুৎসিত,কদাকার ! আমার চোখের মনি ড্যাব ড্যাব হয়ে জ্বলে। ঠিক যেন গ্রীন সিগন্যাল -সবুজ বাতির ! তবুও ওরা কেউ চায় না - আমি পার হয় সরকারি রাস্তা ! জানো -রাস্তাটা ওদের নিজেদের নয়, তবু সারাক্ষণ প্রাণে আমার সংশয়। জানি-ওদের মনে অন্য ভয় হয়- আমি নাকি প্রতীক অলক্ষনতার, আমি নাকি প্রতীক অমঙ্গলতার ! ট্রাফিক সিগন্যাল এ আমিও রাস্তা পার হতে চাই ঠিক ওদেরই মতো। গ্রীন সিগন্যাল হলেও সবাই আছে নিশ্চল,ফাঁকা রাস্তার মাঝখানটা ! আমি পেরিয়ে এসেছি রাস্তা পারাপার করে তারপর ও সব কিছু কেমন যেন থমকে ! ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতেই পড়ল চোখে সেই রেশারেশির দৃশ্য ,কে যাবে আগে অমঙ্গলতা আজ আছে কার ভাগ্যে ! আজ আমি চুপচাপ ভাবি আমার পারাপার ওদের সর্বনাশ, বলতে পারো -কোন বই এর কোন পাতায় পাবো এই সব কিছুর হিসেবনিকেশ ?

চুপকথা

মন আজ ডানা মেলেছে, সব চুপকথা আজ উড়ে গেছে। মন জানে নিজেকে হালকা করতে, জানে নিজেকে নানান কাজে ব্যস্ত রাখতে। চুপকথাগুলো কি জানি নানান দিকে নানান ভাবে উড়তে উড়তে - পৌঁছে গিয়েছে নানান লোকের মনের গভীরে, আর সেখানে ভীড় জমতে জমতে- উঠে এসেছে অনীহা,বিতৃষ্ণা, যেগুলো এক নিমেষেই পৌঁছে যেতেই পারে মনের কাছে ,বাড়িয়ে দিতে পারে মনের চঞ্চলতা ! এই সব কিছুর ভারে মন অনায়াসেই পেতে পারে বিফলতা ! দিনের পর দিন ধরে- মন এইভাবে অর্জন করেছে নানান অভিজ্ঞতা ! আর তাইতো মন এবার থেকে নিজেকে রাখবে - বন্দি করে আবদ্ধ ঘরের কোনে পড়ে থাকা খাঁচার মধ্যে ! মন জেনে গেছে খাঁচার পাল্লাগুলো বন্ধই ভালো। তা না হলে চুপকথাগুলো উড়ে গিয়ে ডেকে আনবে অন্ধকার ,মন কে করবে কালো !

বেড়ালময় রাস্তা

দুটি মেন রাস্তার মাঝে সংকীর্ণ একটি রাস্তা রাস্তার দুদিকে শুধুই বেড়াল সাইকেল আর পথচারীতেই রাস্তাটি ব্যস্ত ধারে ধারে খোলা নর্দমা আর জঞ্জাল ! একটি ত্রিভুজঃ এর অতিভুজ এই রাস্তাটি মেন্ রাস্তা দুটো - ত্রিভুজ এর লম্ব আর ভূমিটি। সময় বাঁচানোর জন্য এই রাস্তার প্রয়োজন পড়ে ভীড় ভাট্টা যাদের ভালো লাগে না ,রাস্তাটি তাদের তরে। বেড়ালগুলো রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে- শুধুই কুসংস্কার জাগায় আর পথচারীদের মন দেয় বিগড়ে !

একটি মেয়ের গল্প

একটি মেয়ের গল্প শোনায় তাকে যে আমি চোখে হারায়। সে নদীর স্রোতে ভাসতে ভাসতে, এসেছিল অন্যপারে-আরেকপার থেকে। জানো,ফেলে আসা পাড়ে- ভালোবাসার ফল শুধু ঝরে। আর যে পাড়ে উঠলো এসে সেই পাড়ে শুধুই মরুভুমি চোখে আসে। মেয়েটি ভেবেছিল নতুন পাড় টির প্রতিটি কণায় অধিকার হবে তার। ভেবেছিল তার উচ্চশিক্ষা যথাযথ সম্মান পাবে প্রত্যেকের তার প্রতি অগাধ ভালোবাসা জন্মাবে। ভেবেছিল নতুন বাবা মা কে নতুন শিক্ষায় দেবে চমকে। তাইতো অনেক কিছু শেখাতে গিয়েছিল, কিন্তু মেয়েটির ভাগ্যই বরাবর ই খারাপ ছিল। জানো মেয়েটি ভালো করে কিছু বললে- সব্বাই  গর্জে উঠতো তবে নিজেকে সামলে। এমনকি মেয়েটি যার হাত ধরে এসেছিল এই নতুন পাড়ে সেও চুপচাপ শুনে  যেত! হয়তো বা কখনো সেও গর্জে উঠতো। মেয়েটি আসলে ভালোবাসার ভাগ্য নিয়ে জন্মাই নি, অথচ সে ছিল ভালোবাসার কাঙ্গাল পুরোপুরি। কয়েক বছর পরে ওই পাড়ে আরেকটি মেয়ে এলো ঠিক তার মতো করে। পাড়ের প্রতিটা কণার মতো কুসংস্কারে সেও ছিল নিমজ্জিত। তাই তার জীবন পূর্ণতা পেল, সারা উঠোন ভালোবাসায় ভরে উঠলো। কি জানি সে যাই বলতো নতুন বাবা মা সেটায় ঠিক মনে করতো। যাই বলো এই মেয়েটি খুব চালাক ছিল। আর ভ

সংসার

সংসার মানে স্বামীর টাকা রোজগার করা আর গৃহবধূর শুধুই গার্হস্থ্য কাজ করা। সংসার মানে শশুরবাড়ির সেবা বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকা ! সংসার মানে বাবা মা কে ভুলতে শেখা অবহেলার পাত্রী হওয়া! সংসার নাকি মেয়েদের করতে হয় হিসেল আর অবহেলায় তাদের জীবনটা বইতে হয়। আরে চিন্তা কেন মনের মধ্যে রয় ? মেয়েদের জন্ম তো ওই জন্যই হয়। আরে দেখো না,বিয়ের সময় বলিয়ে নেয় মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাই ! এটা তো শুনলে পাত্র কে দিয়ে বলানো বুলি পাত্রী কে দিয়ে বলানো টাও বলি- মা তোমার সব ঋণ শোধ করলাম আমি ! এ কি সত্যিই বিধাতার লিখন ? না কি পুরুষ শাসিত সমাজের দাপট ?

এঁরা

চলে যাবো দূর প্রান্তরে, ভালো লাগে না এদের গর্জন শুনতে ! চলে যাবো হিমালয়ে কিংবা কৈলাসে, ঘুমিয়ে পড়বো বরফের চাদরে ! এদের সাথে গ্রাম্য বধূই ঘোমটা মাথায় শুধু মানায়। আমি তো সব নিয়মের বাইরে পরিষ্কার,পরিচ্ছন্নতার মধ্যে আর সব সংস্কারের উর্ধে ! জানি না কেন এঁরা এলে - মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে বিশ্বাস করো মন কে আমি অনেক বোঝাই , মন আমার নাছোড়বান্দা ,সহজেই কষ্ট পাই !

কে তুমি

তোমায় শুধু খুঁজে বেড়াই দিক দিগন্তে পর্বতে-জঙ্গলে,সমুদ্রে,জনঅরণ্যে। তোমায় আমি ভীষণভাবে পেতে চাই তুমি ছাড়া আর কেহ মোর নাই। কোথায় তুমি ,তুমি কোথায় ? আজ আমি বড্ড একলা তোমায় শুধু চাই। তোমায় আমি চাই শয়নে,স্বপনে,জাগরণে আমার চারিপাশে সর্বক্ষণে। তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতেও পারি না , এতো খুঁজেও কেন তোমার দেখা মেলে না ? এই বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কোথায় পাবো তোমারে - জানি,অদৃশ্য হয়ে আছো আমার মনের কিনারে। তোমায় ভীষণভাবে অনুভব করতে পারি - গোপন কথা শুধু তোমাকেই বলতে পারি। তাইতো দুর্গম যাত্রাপথে একাই দিতে পারি পাড়ি। তবুও তোমার সাথে যেতে চাই তোমার বাড়ী। 

কন্যা আমার

তোকে দেখেই প্রচুর শান্তি, তোর জন্যই বাঁচি আমি সকাল  থেকে রাতি। সব দুঃখঃ যায় ঘুচে, তোর হাসি যখন পড়ে আমার চোখে। তুই ছাড়া জীবনটাই আমার বৃথা তোর সাথেই তো হয় শুধু সকাল থেকে কথা। তোর জন্যই তো একটু হলেও ভালোবাসা আসে এদিক ওদিক চারিদিক থেকে আমার পাশে। তোর জন্যই তো দাদু ঠাম্মি একটু হলেও ভালোবাসে, ফুলের জন্যই তো সবাই গাছের কাছে আসে। তোকে যে আদর করতে গিয়ে, বেলা যে আমার যায় গড়িয়ে। এইভাবে থাকবো মোরা দুজনে আনন্দেতে, হেসে খেলে কাটাবো দিন দুজন দুজনের সাথে।

কবিতা

অসাধারণ চিন্তাধারা নিয়ে এসো মাঝে মাঝে, সকাল থেকে বিকেলবেলা আমার কাটে যে শুধু কাজে।  তারই ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিও মনে, আমার মন সবেরই খেয়াল রাখে সযতনে।  কাজের চাপে যদি যায় ভুলে  লিখনি দিয়ে তোমায় খাতায় তুলতে, অপরাধ নিও না, ঠিক তুলে নেবো তোমায় গভীর রাতে।  মন আমার প্রচুর মনে রাখতে পারে ,ভুলে না কিছুতে।  তুমি শুধু এমন এমন ভাবনা দিও মোরে - যে ভাবনা পড়ে সব্বাই চমকে যাবে বিস্ময়ে !  

ঘাসবোর্ড

কাঠের খাট : ৮০০০ টাকা দিয়ে কিনেছো আমায়,                      ঠাকুরঘরে পেয়েছি ঠাঁই।                      সবে বয়স আমার নয়                      তোমার বয়স সবে ছয় !                      তুমি ঠকিয়েছো সব্বাইকে                      মৃত্যু  গ্রাস করছে তোমাকে ! ঘাসবোর্ড :    আমায় কিনেছো ১৩০০০ টাকায়                     জানি তোমরা আছো যন্ত্রণায়,                     শরীরের সব অংশ খুলে পড়ায়-                     তোমরা আছো চিন্তায়।                      কত ডক্টর দেখালে,                     তারা সব্বাই বললে-                    এই রোগ সারার নয়,                     আমার জন্য শুধুই টাকার অপচয়। আমরা:         কাঠের খাট তুমিই আসল                     ঘাসবোর্ড এর পুরোটাই নকল।                     টাকাগুলো শুধুই হলো নষ্ট                      সব প্লাম্বার ই বলে কাঠের খাট ই শ্রেষ্ঠ।                                                                    

আজব দুনিয়া

তুমি যখন কাঁপছ প্রচুর শীতে, আমি তখন ঘামছি প্রচুর গরমে। তোমার আরাম তোমার কম্বলে, আর আমার আরাম এসি চালিয়ে ! তুমি যখন খাচ্ছ চিকেন তন্দুরি, আমি তখন ডাল,ভাত,তরকারি। সূর্যালোক তোমার শীত দূর করতে অক্ষম, কিন্তু এখানে গরমে আমাদের জব্দ করতে ভালোই সক্ষম। তোমার মন যখন প্লেন ডাল,ভাত চাইছে, আমার মন তখন রেস্টুরেন্ট মিস করছে। নিজ হাতে রান্না করার পর ও তোমার কত সময়, আমি রান্নার লোক রেখেও হাঁপায় সময়ের আশায়। আজব এই দুনিয়ার কোথায় তুমি আর কোথায় আমি, চারিদিক শুধু বৈচিত্রে ঠাসাঠাসি।

দান

যা কিছু আছে তোমার ভাণ্ডারে, দিতে থাকো গরীবদের তরে। যে আনন্দ তোমার বইবে শরীরে- সেই স্নিগ্ধতা সুস্থ রাখবে তোমারে। কি হবে তোমার ভান্ডার ভারী করে , অকারণ চিন্তায় মন বিগড়ে ? হে জননী,যারে তুমি জন্ম দিয়েছো, তার তরে চিন্তা কেন বয়েছো? তাকে ভাবতে দিও তার জীবন, তুমি যদি দিতে থাকো তোমার ভান্ডারে গচ্ছিত ধন, সেই সন্তান শিখিবে কেমনে, তুমি কি চাও তারে প্রতিবন্ধী বানাতে? হে জন্মদাতা,দোহাই তোমার,জীবন সংগ্রাম থেকে বিরত করো না তাকে ? সেও যে চায় নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজ ভান্ডার নিজ হাতে গোছাতে। তাইতো তোমরা দুজনে চার হাতে, শুধু বিলোতে থাকো চারিদিকে প্রয়োজনে, দেখবে তোমার গোছানো ভাণ্ডার পূর্ণতা পেয়েছে সুখের মাঝারে।

কবিতার শব্দগুলো

গভীর রাত্রের কালো অন্ধকারে, ঠিক বিশ্রাম নেওয়ার আগে বিছানাতে, তোমরা শুধু উঁকিঝুঁকি মারো আমার ঠোঁটের গোড়াতে। অস্থির হয়ে ওঠে আমার মন। বিচলিত হয়ে যাই আমি কিছুক্ষণ। শুধু একটা নয়,হাজার টা কবিতার শব্দগুলো এর চঞ্চলতায় জেগে ওঠে ঘুমিয়ে থাকা পাঁজরাগুলো। চোখ দুটো বিরক্তিতে চেয়ে থাকে, শুধুই আমার মনের দিকে। নীরব আমি,ভালোবাসি কবিতাগুলোকে। তাই উত্তর দিতে পারি না চোখ দুটোকে। বিছানায় শুয়ে থাকলে চলবে না তো, পরবর্তী সকালের উজ্জ্বল রোদে  সব ভুলে যাবো তো, তাই ধড়পড়িয়ে উঠি,বিছানা থেকে- সেই থেকে বিছানাটা ও চোখ রাঙ্গায় আমাকে। আমি অসহায় ,ভালোবাসার বিরুদ্ধে নেই কোনো ভাষা। কবিতাগুলোয় দেয় শক্তি,বেঁচে থাকার আশা।

ভালো লাগে

ভালো লাগে নীরবে নিভৃতে, একান্তে তোমার কথা ভাবতে। ভালো লাগে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে, খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে। ভালো লাগে নিশীথের নক্ষত্রখচিত আকাশে পূর্ণিমার আলোকে মধুর বাতাসে, তোমাকে ঘিরে অসংখ্য স্বপ্ন বুনতে। ভালো লাগে তুমি কবে আসছো সেই অপেক্ষায় থেকে চাতক পাখির মতো মুখ হাঁ করে থাকতে, আর হাঁ করে স্বপ্নে তোমায় ভালোবাসতে।

চলে যাবো

চলে যাবো দূরে বহু দূরে, পাহাড়ের চূড়ায় নির্জনে নিভৃতে।  কিন্তু পাহাড় যদি ফেলে দেয়  নিচের গভীর খাদে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে, মিশে যাবো বাতাসের সাথে।  কিন্তু বাতাস যদি দেয় উড়িয়ে - আছড়ে ফেলে দেয় মাটিতে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   গা ঢাকা নেবো মেঘেদের মাঝে।  কিন্তু মেঘ ভেঙ্গে যদি বৃষ্টি আসে অঝোরে ! আর বৃষ্টির ফোঁটার সাথে আমায় যদি দেয় ফেলে মাটিতে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   মিশে যাবো মাটির সবুজে।  কিন্তু ভূমিকম্প যদি মাটি ফাটিয়ে,  নিয়ে চলে যায় পৃথিবীর অন্তস্থলে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   বিপদ এলে যাবো ঘুমিয়ে, পৃথিবীর বুকে চিরতরে!

ছেলের বাবা মা বনাম মেয়ের বাবা মা

শুধুমাত্র ছেলের বাবা মা এবং শুধুমাত্র মেয়ের বাবা মা -এদের  দুটো চিন্তাধারার মধ্যে কি বিশাল পার্থ্যক্য , তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। যেসব বাবা মা এর ছেলে মেয়ে দুটোই আছে তাদের জন্য  প্ৰযোজ্যঃ নয়।  তবে এই পাৰ্থক্যটা আগেকার দিন এর জন্যই বোধ হয় বেশি প্ৰযোজ্যঃ। এখন যুগ বদলেছে।বাবা মা দের চিন্তাধারাও বদলেছে। এখনকার বাবা মা রা বউমা কে মেয়ের চোখেই দেখে।তাই নিচের কথোপকথন টি কিছুটা অনুমানভিত্তিক। ছেলের বাবা  :            ওঃ গিন্নি আমাদের তো পুত্রসন্তান ,নেই কোনো চিন্তা। ছেলের মা :                হ্যাঁ ,তা তো ঠিক ,দাঁড়াও ! ছেলে বড় হোক,নিয়ে আসুক বউমা। ছেলের বাবা :            শুধুই কি বউমা ,নিয়ে আসবো লক্ষ্মী প্রতিমা।                                   সাথে টাকা কড়ি ,কত্তো সোনা দানা !                                  ছেলে যদি চাকরি নাও করে দেখবে আমাদের জমিটা ,                                   আর বউমার সেবায় কাটবে আমাদের বাকি জীবনটা।                                   কি বলো গিন্নি-                                   ঠিক বলি নি ? ছেলের মা :               যাই করো ,এমন বউমা আনবে