পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লিখতে পারি

লিখতে পারি তোমার সর্বস্ব নিয়ে লিখতে পারি এক পৃথিবী লিখতে পারি তোমার সাথে বাস্তবের সামঞ্জস্য রেখে এক চমকানো কাহিনী লিখতে পারি পাতার পর পাতা লিখতে পারি এক কদমে তোমার জীবনকথা লিখতে পারি শুধু তোমাকে নিয়ে রাস্তা থেকে শুরু করে শেষ করবো আকাশ দিয়ে। আকাশের যেমন নেই কোনো ইতি আমার ও লিখার থাকবে নাকো সমাপ্তি। যা খুশি ছবি দাও আমার হাতে লিখা ঝরবে সব কিছুতে ছবিটা যেন হয় শুধু প্রকৃতির তাহলে অদম্য স্রোতে ভাসবে লিখা আমার। 

বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি

ছবি
যতই তোমায় দেখি ততই মুগ্ধ আমি, বৈচিত্র্যে ঠাসা আমার এই পৃথিবী। যেমন তার রূপের বাহার, তেমনি ই কারুকার্য তার। তোমার দুর্গমতাই দেবে ঠেলে, মানুষদের মৃত্যুর কোলে। তুমি অনবরত দেখিয়েই চলেছো, আর আমাদের নিয়ে চলেছো দুর্গমতার গভীরে। আমরা মূর্খের মতো ছুটছি সেই রহস্য উদ্ঘাটনে।  P.C- Himalayan Club

প্রকৃতির সাথে

ইস্স যদি পারতেম তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে, সারাটা জীবন একান্তে নিভৃতে, যদি পারতেম- তোমার এক পাহাড়ে মাথা রেখে  অন্য পাহাড়ে সারা শরীর ছড়িয়ে দিতে, পৃথিবীর সমস্ত সুখ আসতো আমার মনে, সারা শরীরে দোলা লাগিয়ে। ব্যস্ত এই জীবনে শুধুই সংশয়, আপনজন কে হারানোর সংশয়। তোমার মধ্যে নিমজ্জিত থাকলে , নেই কোনো সংশয় ,নেই কোনো ভয়। তোমার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে, আমার আপন পৃথিবী হবে সুখময়। 

প্রকৃতির সাথে খেলা

এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাবো আমি লাফিয়ে লাফিয়ে। এক একটা পাহাড় যেন আমার কিত্ কিত্ খেলার এক একটা ঘর। জমিয়ে খেলবো পাহাড়ের কোলে , খেলবো আমি সূর্যালোকের সাথে। একটা পাহাড় থেকে আরেকটা পাহাড়ে রাখবো আমি পা আমার সময়ে , সূর্যালোক ও পড়বে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ঠিক তার খেলার সময়ে। বেশ জমবে সূর্যালোকের সাথে আমার কিত্ কিত্ খেলা টা সকালবেলা তে।

ওই মানুষটা

মানুষটা এক প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষকমহাশয়, সবসময় আঁকড়ে রাখতো সম্পত্তি বিষয়-আশয়। টাকাপয়সার এক চুল এদিক ওদিক হলে রাগের বাঁধ ভেঙে উঠতো উথলে। মানুষটা কারো তো বাবা ছিল, সব দিক দিয়ে বেশ ভালোই ছিল। পাড়া-পড়শীর কাছে বড্ডো ঢাক বাজাতো ঠিক ই ,নিজেকে গর্বের পোশাকে বেশ সাজাতো। গর্ব ছিল পুত্রসন্তানের, গর্ব ছিল টাকা-কড়ির। ভবিষ্যৎ ভাবতে গিয়ে অতীত টাকে করেছে নয়ছয়, সমস্ত বিলাসিতা আর সুখের শুধুই হয়েছে অপচয়। সুখের ছিল প্রচুর কারণ শোনে নি তখন কারো বারণ ! আজ আফসোস আর হতাশায় মোড়া বার্ধক্যের জীবনটা শুধুই হাতড়াতে থাকে অতীতটা !

প্রকৃতির ডাক

কি রে সত্যি বলছিস থাকবি তুই আমার মধ্যে ? রাখবো তোকে আমার দুই পাহাড়ের মধ্যখানে  আমরা সব্বাই মিলে রাখবো তোকে সযতনে।  পাহাড়ের কোলে সুন্দর ভাবে বিছিয়ে দেব ঘাস,  থেকে যাবি আমার কোলে মাসের পর মাস।  ঘুম পাড়িয়ে দেবো সুমধুর বাতাসে  আর মুড়ে দেব মেঘেদের চাদরে।  এমন সুখ দেখ তো কোথাও পাস্ কি না , দেখ তো আমায় ছেড়ে থাকতে পারিস কিনা ,  চানের সময়ে বৃষ্টি দেব ঢেলে,  বরফ নিয়ে খেলবো তোর সাথে পড়ন্ত বিকেলে।  ভোরের আলোয় রাঙিয়ে দেব তোর মুখখানা।  হাসি খুশি তে প্রাকৃতিকভাবে ভরিয়ে দেব তোর জীবনখানা,  কিন্তু আমায় কখনো ভুলে যেন যাস না।

সম্পর্ক

যতই দিন যায় , সম্পর্কের সুতোগুলো পেঁচিয়ে যায়। প্রাচীন সমাজে নারীদের অবহেলায়, বর্তমান নারীদের এগিয়ে নিয়ে যায়, স্বনির্ভরতার দরজায়। ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকুরীরতা, ঘরে বাহিরে মেয়েদের ব্যস্ততা। প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি, সম্পর্কের বন্ধনের অবনতি। হস্তক্ষেপ যদি হয় মেয়েদের স্বাধীনতায়, সম্পর্কগুলো কেমন যেন গিঁট লেগে যায়। আধুনিক সমাজের নারীরা  বদল দিতে পারে দুনিয়া টা। কয়েকযুগ পরে বদলে যাবে চিত্রটা নারীশাসিত হবে সমাজটা।

প্রকৃতিই আমার ঘর

ছবি
বলতে পারিস ঘরের আমার কি দরকার ? দুই পাহাড় হবে ঘরের দুই দেওয়াল , আর ওপরের টুকরো টুকরো মেঘ দিয়ে বানাবো ঘরের ছাদ। কিন্তু মেঘ, বৃষ্টি নিয়ে আসিস অঝোরে ঠিক আমার চানের সময়ে , শীতের রাত্রে কাঁপবো যখন ঠনঠন করে, মেঘ তুই আমায় কম্বলের মতো করে দিস ঢাকিয়ে। গরমের তো চিন্তায় আর রইলো না - দুই পাহাড়- সূর্যালোক কে ঢুকতে দিলে -তবে না ? বেঁচে তো গেলাম গরম আর শীতের প্রকোপ থেকে প্রকৃতির কোলে মাথা গুঁজে। কিন্তু মেঘ অবাধ্য হোস না যেন - চানের সময় ছাড়া রাতদুপুরে আবার বৃষ্টি আনিস না যেন। অবাধ্য যদি হয়েই যাস, বড্ডো মুশকিল এ যদি আমায় ফেলেই দিস, কেমনে রে বাঁচাবো নিজেকে; কেমন করে রে ঠাঁই নেবো অন্য কোথাও তোকে ছেড়ে ! ইট,বালি ,সিমেন্ট এর ঘরে তোকে যে পাই না কাছে এমনটা করে।

শ্বশুরবাড়ি

এ কেমন বাড়ী সকাল  থেকে সন্ধ্যা চলে শুধু সংস্কারের গাড়ী ! বৌমা রা সেখানে শুধুই অবহেলার পাত্রী, বাড়ির ছেলেরা টাকা রোজগারের যাত্রী ! অবহেলার অতীত শাশুড়িমারা , তাই প্রতিশোধ নেওয়ার তাড়া ! অতীতে যারা শুধুই খেটে গেছে আজ তারা সেইভাবেই বউমাদের খাটাতে চাইছে। যে শাশুড়িমা যেমনভাবে নিজের অতীত কাটিয়ে এসেছে সে ঠিক সেইভাবেই বউমার ভবিষ্যৎকে এঁকে রেখেছে। বাড়িটা শশুরবাড়ি ,নয়তো শাশুড়িবাড়ি কিন্তু শাশুড়িমা এরই চলে হুকুমদারী ! যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন প্রান্তর থেকে মেয়েরা এসে বাড়িটা কে শশুরবাড়ি ই বলতে থাকে। যে শাশুড়িমা তার শাশুড়িমার কাছে একদিন ছিল অধীন  আজ সে তেমনভাবেই বউমাদের করেছে পরাধীন !   

মনটা কেমন করে

মাগো রাত হলে মনটা কেমন করে, বাবা তো ঐ সময়েই আদর করে। তাইতো বাবাকে বড্ড মনে পড়ে, যদিও জানি আসবে বাবা 6মাস পরে- তবুও মনটা কেমন করে। বাবা যে এখন বড্ড দূরে। রাত্রি শেষে ভোর নেমে আসে- এইভাবে দিন মোর মনখারাপে  ভাসে। প্রত্যহ বেলাশেষে বাবার কথাই মনে শুধু আসে। আরো 6 টি মাস পরে দেখতে পাবো বাবাকে। মনটা শুধু আনচান করে অপেক্ষার দিন গুনে।

ক্যান্সার

সত্যি কি ভয়ঙ্কর  তুমি ! জীবন নিয়ে ছিনিমিনি ! কখন যে কার ঘাড়ে বসবে কোন যুক্তিতে কাকে চিবোবে- তার নেই কোনো হিসাব। জীবনে নিয়ে এসো শুধু শাপ! ধিক্কার তোমাকে ! ধিক্কার তোমার কাজকে! কোষের পচন ধরাই কী তোমার কাজ? জীবনকে দুর্বিষহ করাই কী তোমার কাজ ? শিশু থেকে বয়স্ক কাওকে বাদ দাও না তুমি, তোমার সর্বনাশ খুঁজতে নাজেহাল শতবিজ্ঞানী। তোমার অস্তিত্ব,তোমার রাজত্ব মানুষের শরীরে, অনেক যুগ ধরে। এবার সময় এসেছে,ক্যান্সার - তোমার সর্বনাশের এবার সময় এসেছে তোমার শত্রূর । যেমন অসুরের জন্য আছে দেবতা, তোমার জন্য ও আছে কোনো একটা উদ্ভিদ, কিংবা কোনো একটা ছোট্ট প্রানী, শীঘ্রই গ্রাস করবে তোমার সর্বস্বখানি !

জীবনকথা

সত্যি এই আছি এই নেই- মনে শুধু সারাক্ষন সংশয় ! জীবন নিয়ে টানাটানি, ভয়ের শুধু দাপাদাপি! ছোট্ট এই জীবন- না জানি আছে কতক্ষণ ! যেটুকু সময় তোমার হাতে- খুশিতে থেকো সবার সাথে। স্বামী -স্ত্রী ছাড়াও দেখো অন্য সম্পর্ককে, কাটিয়ে তোলো মনের সংকীর্ণতাকে। জীবন সংশয় কাটিয়ে ভয়কে করো জয়, অসহায়েরা তোমার উপস্তিতিকে যেন চায়। রক্তের সম্পর্কই তো সব কিছু নয়। অন্যের জন্য উৎসর্গ করো ছোট্ট এই জীবনকে। সুখ দুঃখ এ মধুর করে তোলো জীবনের প্রতিটি পাতাকে।

কালো বেড়াল ২

এই মেয়েটা ,সত্যি বলছিস ? তুই লিখবি আমার জন্য ? কি রে সত্যি বলছিস ? আসলে কেও কখনো তোর মতো করে ভাবে নি এমন করে, ভাবে নি আমার জীবনকথা। ভাবে নি আমার দুঃখ ব্যথা। তুই যে এমন করে ভাবতে পেরেছিস- সত্যি আমাকে তুই অবাক করে দিয়েছিস ! সত্যি বলছিস ? তোর ভালোবাসার প্রকৃতিতে আমারও আছে অবদান ? জানিস তোর মতো করে কেও দেয় নি এমন সম্মান। জানিস সব্বাই আমায় দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে মানে, এত্তো বড়ো পৃথিবীতে তোর মন ই শুধু জানে- ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাকা চোখ দুটোর বেদনার সারকথা।

প্রকৃতির ভালোবাসা

ছবি
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকলে মন কেমন চঞ্চল হয়ে ওঠে। তুমি প্রকৃতির এক অপরূপ ‍সৃষ্টি ! তাইতো বিচ্যুত হয় না মোর দৃষ্টি। ইচ্ছে করে নিজেকে চেহারায় দিই বাড়িয়ে, চরণখানি ঝুলিয়ে বসে পড়ি ঐ পাহাড়ের কোলে। আর মেঘেদের মাঝে হাতদুটো যাক ঢলে। হতে চাই ভালোবাসার তরঙ্গ। শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বহন করবে ভালোবাসাকে, নিয়ে আসবে মেঘেদের থেকে। সারা শরীর বয়ে নেমে আসবে চরণখানি দিয়ে, ভালোবাসার বন্যায় হবে আনন্দিত,  ভালোবাসার আনন্দধারায় হবে সিক্ত মধ্যখানের রাস্তা। মানুষের মধ্যে নিয়ে আসবে পবিত্রতা।

কালো বেড়াল

ছবি
জানো - ওরা সক্কলে আমায় বাজে বলে। বলে -আমি নাকি কুৎসিত,কদাকার ! আমার চোখের মনি ড্যাব ড্যাব হয়ে জ্বলে। ঠিক যেন গ্রীন সিগন্যাল -সবুজ বাতির ! তবুও ওরা কেউ চায় না - আমি পার হয় সরকারি রাস্তা ! জানো -রাস্তাটা ওদের নিজেদের নয়, তবু সারাক্ষণ প্রাণে আমার সংশয়। জানি-ওদের মনে অন্য ভয় হয়- আমি নাকি প্রতীক অলক্ষনতার, আমি নাকি প্রতীক অমঙ্গলতার ! ট্রাফিক সিগন্যাল এ আমিও রাস্তা পার হতে চাই ঠিক ওদেরই মতো। গ্রীন সিগন্যাল হলেও সবাই আছে নিশ্চল,ফাঁকা রাস্তার মাঝখানটা ! আমি পেরিয়ে এসেছি রাস্তা পারাপার করে তারপর ও সব কিছু কেমন যেন থমকে ! ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতেই পড়ল চোখে সেই রেশারেশির দৃশ্য ,কে যাবে আগে অমঙ্গলতা আজ আছে কার ভাগ্যে ! আজ আমি চুপচাপ ভাবি আমার পারাপার ওদের সর্বনাশ, বলতে পারো -কোন বই এর কোন পাতায় পাবো এই সব কিছুর হিসেবনিকেশ ?

চুপকথা

মন আজ ডানা মেলেছে, সব চুপকথা আজ উড়ে গেছে। মন জানে নিজেকে হালকা করতে, জানে নিজেকে নানান কাজে ব্যস্ত রাখতে। চুপকথাগুলো কি জানি নানান দিকে নানান ভাবে উড়তে উড়তে - পৌঁছে গিয়েছে নানান লোকের মনের গভীরে, আর সেখানে ভীড় জমতে জমতে- উঠে এসেছে অনীহা,বিতৃষ্ণা, যেগুলো এক নিমেষেই পৌঁছে যেতেই পারে মনের কাছে ,বাড়িয়ে দিতে পারে মনের চঞ্চলতা ! এই সব কিছুর ভারে মন অনায়াসেই পেতে পারে বিফলতা ! দিনের পর দিন ধরে- মন এইভাবে অর্জন করেছে নানান অভিজ্ঞতা ! আর তাইতো মন এবার থেকে নিজেকে রাখবে - বন্দি করে আবদ্ধ ঘরের কোনে পড়ে থাকা খাঁচার মধ্যে ! মন জেনে গেছে খাঁচার পাল্লাগুলো বন্ধই ভালো। তা না হলে চুপকথাগুলো উড়ে গিয়ে ডেকে আনবে অন্ধকার ,মন কে করবে কালো !

বেড়ালময় রাস্তা

দুটি মেন রাস্তার মাঝে সংকীর্ণ একটি রাস্তা রাস্তার দুদিকে শুধুই বেড়াল সাইকেল আর পথচারীতেই রাস্তাটি ব্যস্ত ধারে ধারে খোলা নর্দমা আর জঞ্জাল ! একটি ত্রিভুজঃ এর অতিভুজ এই রাস্তাটি মেন্ রাস্তা দুটো - ত্রিভুজ এর লম্ব আর ভূমিটি। সময় বাঁচানোর জন্য এই রাস্তার প্রয়োজন পড়ে ভীড় ভাট্টা যাদের ভালো লাগে না ,রাস্তাটি তাদের তরে। বেড়ালগুলো রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে- শুধুই কুসংস্কার জাগায় আর পথচারীদের মন দেয় বিগড়ে !

একটি মেয়ের গল্প

একটি মেয়ের গল্প শোনায় তাকে যে আমি চোখে হারায়। সে নদীর স্রোতে ভাসতে ভাসতে, এসেছিল অন্যপারে-আরেকপার থেকে। জানো,ফেলে আসা পাড়ে- ভালোবাসার ফল শুধু ঝরে। আর যে পাড়ে উঠলো এসে সেই পাড়ে শুধুই মরুভুমি চোখে আসে। মেয়েটি ভেবেছিল নতুন পাড় টির প্রতিটি কণায় অধিকার হবে তার। ভেবেছিল তার উচ্চশিক্ষা যথাযথ সম্মান পাবে প্রত্যেকের তার প্রতি অগাধ ভালোবাসা জন্মাবে। ভেবেছিল নতুন বাবা মা কে নতুন শিক্ষায় দেবে চমকে। তাইতো অনেক কিছু শেখাতে গিয়েছিল, কিন্তু মেয়েটির ভাগ্যই বরাবর ই খারাপ ছিল। জানো মেয়েটি ভালো করে কিছু বললে- সব্বাই  গর্জে উঠতো তবে নিজেকে সামলে। এমনকি মেয়েটি যার হাত ধরে এসেছিল এই নতুন পাড়ে সেও চুপচাপ শুনে  যেত! হয়তো বা কখনো সেও গর্জে উঠতো। মেয়েটি আসলে ভালোবাসার ভাগ্য নিয়ে জন্মাই নি, অথচ সে ছিল ভালোবাসার কাঙ্গাল পুরোপুরি। কয়েক বছর পরে ওই পাড়ে আরেকটি মেয়ে এলো ঠিক তার মতো করে। পাড়ের প্রতিটা কণার মতো কুসংস্কারে সেও ছিল নিমজ্জিত। তাই তার জীবন পূর্ণতা পেল, সারা উঠোন ভালোবাসায় ভরে উঠলো। কি জানি সে যাই বলতো নতুন বাবা মা সেটায় ঠিক মনে করতো। যাই বলো এই মেয়েটি খুব চালাক ছিল। আর ভ

সংসার

সংসার মানে স্বামীর টাকা রোজগার করা আর গৃহবধূর শুধুই গার্হস্থ্য কাজ করা। সংসার মানে শশুরবাড়ির সেবা বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকা ! সংসার মানে বাবা মা কে ভুলতে শেখা অবহেলার পাত্রী হওয়া! সংসার নাকি মেয়েদের করতে হয় হিসেল আর অবহেলায় তাদের জীবনটা বইতে হয়। আরে চিন্তা কেন মনের মধ্যে রয় ? মেয়েদের জন্ম তো ওই জন্যই হয়। আরে দেখো না,বিয়ের সময় বলিয়ে নেয় মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাই ! এটা তো শুনলে পাত্র কে দিয়ে বলানো বুলি পাত্রী কে দিয়ে বলানো টাও বলি- মা তোমার সব ঋণ শোধ করলাম আমি ! এ কি সত্যিই বিধাতার লিখন ? না কি পুরুষ শাসিত সমাজের দাপট ?

এঁরা

চলে যাবো দূর প্রান্তরে, ভালো লাগে না এদের গর্জন শুনতে ! চলে যাবো হিমালয়ে কিংবা কৈলাসে, ঘুমিয়ে পড়বো বরফের চাদরে ! এদের সাথে গ্রাম্য বধূই ঘোমটা মাথায় শুধু মানায়। আমি তো সব নিয়মের বাইরে পরিষ্কার,পরিচ্ছন্নতার মধ্যে আর সব সংস্কারের উর্ধে ! জানি না কেন এঁরা এলে - মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে বিশ্বাস করো মন কে আমি অনেক বোঝাই , মন আমার নাছোড়বান্দা ,সহজেই কষ্ট পাই !

কে তুমি

তোমায় শুধু খুঁজে বেড়াই দিক দিগন্তে পর্বতে-জঙ্গলে,সমুদ্রে,জনঅরণ্যে। তোমায় আমি ভীষণভাবে পেতে চাই তুমি ছাড়া আর কেহ মোর নাই। কোথায় তুমি ,তুমি কোথায় ? আজ আমি বড্ড একলা তোমায় শুধু চাই। তোমায় আমি চাই শয়নে,স্বপনে,জাগরণে আমার চারিপাশে সর্বক্ষণে। তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতেও পারি না , এতো খুঁজেও কেন তোমার দেখা মেলে না ? এই বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কোথায় পাবো তোমারে - জানি,অদৃশ্য হয়ে আছো আমার মনের কিনারে। তোমায় ভীষণভাবে অনুভব করতে পারি - গোপন কথা শুধু তোমাকেই বলতে পারি। তাইতো দুর্গম যাত্রাপথে একাই দিতে পারি পাড়ি। তবুও তোমার সাথে যেতে চাই তোমার বাড়ী। 

কন্যা আমার

তোকে দেখেই প্রচুর শান্তি, তোর জন্যই বাঁচি আমি সকাল  থেকে রাতি। সব দুঃখঃ যায় ঘুচে, তোর হাসি যখন পড়ে আমার চোখে। তুই ছাড়া জীবনটাই আমার বৃথা তোর সাথেই তো হয় শুধু সকাল থেকে কথা। তোর জন্যই তো একটু হলেও ভালোবাসা আসে এদিক ওদিক চারিদিক থেকে আমার পাশে। তোর জন্যই তো দাদু ঠাম্মি একটু হলেও ভালোবাসে, ফুলের জন্যই তো সবাই গাছের কাছে আসে। তোকে যে আদর করতে গিয়ে, বেলা যে আমার যায় গড়িয়ে। এইভাবে থাকবো মোরা দুজনে আনন্দেতে, হেসে খেলে কাটাবো দিন দুজন দুজনের সাথে।

কবিতা

অসাধারণ চিন্তাধারা নিয়ে এসো মাঝে মাঝে, সকাল থেকে বিকেলবেলা আমার কাটে যে শুধু কাজে।  তারই ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিও মনে, আমার মন সবেরই খেয়াল রাখে সযতনে।  কাজের চাপে যদি যায় ভুলে  লিখনি দিয়ে তোমায় খাতায় তুলতে, অপরাধ নিও না, ঠিক তুলে নেবো তোমায় গভীর রাতে।  মন আমার প্রচুর মনে রাখতে পারে ,ভুলে না কিছুতে।  তুমি শুধু এমন এমন ভাবনা দিও মোরে - যে ভাবনা পড়ে সব্বাই চমকে যাবে বিস্ময়ে !  

ঘাসবোর্ড

কাঠের খাট : ৮০০০ টাকা দিয়ে কিনেছো আমায়,                      ঠাকুরঘরে পেয়েছি ঠাঁই।                      সবে বয়স আমার নয়                      তোমার বয়স সবে ছয় !                      তুমি ঠকিয়েছো সব্বাইকে                      মৃত্যু  গ্রাস করছে তোমাকে ! ঘাসবোর্ড :    আমায় কিনেছো ১৩০০০ টাকায়                     জানি তোমরা আছো যন্ত্রণায়,                     শরীরের সব অংশ খুলে পড়ায়-                     তোমরা আছো চিন্তায়।                      কত ডক্টর দেখালে,                     তারা সব্বাই বললে-                    এই রোগ সারার নয়,                     আমার জন্য শুধুই টাকার অপচয়। আমরা:         কাঠের খাট তুমিই আসল                     ঘাসবোর্ড এর পুরোটাই নকল।                     টাকাগুলো শুধুই হলো নষ্ট                      সব প্লাম্বার ই বলে কাঠের খাট ই শ্রেষ্ঠ।                                                                    

আজব দুনিয়া

তুমি যখন কাঁপছ প্রচুর শীতে, আমি তখন ঘামছি প্রচুর গরমে। তোমার আরাম তোমার কম্বলে, আর আমার আরাম এসি চালিয়ে ! তুমি যখন খাচ্ছ চিকেন তন্দুরি, আমি তখন ডাল,ভাত,তরকারি। সূর্যালোক তোমার শীত দূর করতে অক্ষম, কিন্তু এখানে গরমে আমাদের জব্দ করতে ভালোই সক্ষম। তোমার মন যখন প্লেন ডাল,ভাত চাইছে, আমার মন তখন রেস্টুরেন্ট মিস করছে। নিজ হাতে রান্না করার পর ও তোমার কত সময়, আমি রান্নার লোক রেখেও হাঁপায় সময়ের আশায়। আজব এই দুনিয়ার কোথায় তুমি আর কোথায় আমি, চারিদিক শুধু বৈচিত্রে ঠাসাঠাসি।

দান

যা কিছু আছে তোমার ভাণ্ডারে, দিতে থাকো গরীবদের তরে। যে আনন্দ তোমার বইবে শরীরে- সেই স্নিগ্ধতা সুস্থ রাখবে তোমারে। কি হবে তোমার ভান্ডার ভারী করে , অকারণ চিন্তায় মন বিগড়ে ? হে জননী,যারে তুমি জন্ম দিয়েছো, তার তরে চিন্তা কেন বয়েছো? তাকে ভাবতে দিও তার জীবন, তুমি যদি দিতে থাকো তোমার ভান্ডারে গচ্ছিত ধন, সেই সন্তান শিখিবে কেমনে, তুমি কি চাও তারে প্রতিবন্ধী বানাতে? হে জন্মদাতা,দোহাই তোমার,জীবন সংগ্রাম থেকে বিরত করো না তাকে ? সেও যে চায় নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজ ভান্ডার নিজ হাতে গোছাতে। তাইতো তোমরা দুজনে চার হাতে, শুধু বিলোতে থাকো চারিদিকে প্রয়োজনে, দেখবে তোমার গোছানো ভাণ্ডার পূর্ণতা পেয়েছে সুখের মাঝারে।

কবিতার শব্দগুলো

গভীর রাত্রের কালো অন্ধকারে, ঠিক বিশ্রাম নেওয়ার আগে বিছানাতে, তোমরা শুধু উঁকিঝুঁকি মারো আমার ঠোঁটের গোড়াতে। অস্থির হয়ে ওঠে আমার মন। বিচলিত হয়ে যাই আমি কিছুক্ষণ। শুধু একটা নয়,হাজার টা কবিতার শব্দগুলো এর চঞ্চলতায় জেগে ওঠে ঘুমিয়ে থাকা পাঁজরাগুলো। চোখ দুটো বিরক্তিতে চেয়ে থাকে, শুধুই আমার মনের দিকে। নীরব আমি,ভালোবাসি কবিতাগুলোকে। তাই উত্তর দিতে পারি না চোখ দুটোকে। বিছানায় শুয়ে থাকলে চলবে না তো, পরবর্তী সকালের উজ্জ্বল রোদে  সব ভুলে যাবো তো, তাই ধড়পড়িয়ে উঠি,বিছানা থেকে- সেই থেকে বিছানাটা ও চোখ রাঙ্গায় আমাকে। আমি অসহায় ,ভালোবাসার বিরুদ্ধে নেই কোনো ভাষা। কবিতাগুলোয় দেয় শক্তি,বেঁচে থাকার আশা।

ভালো লাগে

ভালো লাগে নীরবে নিভৃতে, একান্তে তোমার কথা ভাবতে। ভালো লাগে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে, খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে। ভালো লাগে নিশীথের নক্ষত্রখচিত আকাশে পূর্ণিমার আলোকে মধুর বাতাসে, তোমাকে ঘিরে অসংখ্য স্বপ্ন বুনতে। ভালো লাগে তুমি কবে আসছো সেই অপেক্ষায় থেকে চাতক পাখির মতো মুখ হাঁ করে থাকতে, আর হাঁ করে স্বপ্নে তোমায় ভালোবাসতে।

চলে যাবো

চলে যাবো দূরে বহু দূরে, পাহাড়ের চূড়ায় নির্জনে নিভৃতে।  কিন্তু পাহাড় যদি ফেলে দেয়  নিচের গভীর খাদে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে, মিশে যাবো বাতাসের সাথে।  কিন্তু বাতাস যদি দেয় উড়িয়ে - আছড়ে ফেলে দেয় মাটিতে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   গা ঢাকা নেবো মেঘেদের মাঝে।  কিন্তু মেঘ ভেঙ্গে যদি বৃষ্টি আসে অঝোরে ! আর বৃষ্টির ফোঁটার সাথে আমায় যদি দেয় ফেলে মাটিতে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   মিশে যাবো মাটির সবুজে।  কিন্তু ভূমিকম্প যদি মাটি ফাটিয়ে,  নিয়ে চলে যায় পৃথিবীর অন্তস্থলে ! তবুও চলে যাবো দূরে বহু দূরে,   বিপদ এলে যাবো ঘুমিয়ে, পৃথিবীর বুকে চিরতরে!

ছেলের বাবা মা বনাম মেয়ের বাবা মা

শুধুমাত্র ছেলের বাবা মা এবং শুধুমাত্র মেয়ের বাবা মা -এদের  দুটো চিন্তাধারার মধ্যে কি বিশাল পার্থ্যক্য , তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। যেসব বাবা মা এর ছেলে মেয়ে দুটোই আছে তাদের জন্য  প্ৰযোজ্যঃ নয়।  তবে এই পাৰ্থক্যটা আগেকার দিন এর জন্যই বোধ হয় বেশি প্ৰযোজ্যঃ। এখন যুগ বদলেছে।বাবা মা দের চিন্তাধারাও বদলেছে। এখনকার বাবা মা রা বউমা কে মেয়ের চোখেই দেখে।তাই নিচের কথোপকথন টি কিছুটা অনুমানভিত্তিক। ছেলের বাবা  :            ওঃ গিন্নি আমাদের তো পুত্রসন্তান ,নেই কোনো চিন্তা। ছেলের মা :                হ্যাঁ ,তা তো ঠিক ,দাঁড়াও ! ছেলে বড় হোক,নিয়ে আসুক বউমা। ছেলের বাবা :            শুধুই কি বউমা ,নিয়ে আসবো লক্ষ্মী প্রতিমা।                                   সাথে টাকা কড়ি ,কত্তো সোনা দানা !                                  ছেলে যদি চাকরি নাও করে দেখবে আমাদের জমিটা ,                                   আর বউমার সেবায় কাটবে আমাদের বাকি জীবনটা।                                   কি বলো গিন্নি-                                   ঠিক বলি নি ? ছেলের মা :               যাই করো ,এমন বউমা আনবে              

ছোট্ট মেয়ে

বাড়ীর বড্ডো আদুরে মেয়ে। বাবা মা তার মুখ চেয়ে - ভাবতো শুধু - মেয়ে কখন চাকুরী টা পাবে ! চিন্তাগুলো কিছুটা হলেও দূর হবে। বয়স এখন পনেরো ,তবু হলো না এখনো বড়ো, অন্ধকারে এখনো ভয়ে জড়োসড়ো ! কি জানি বিয়ের পর কেমন হবে শশুরবাড়ি ! চাকরি করা মেয়ে ,কেমন চোখে দেখবে তারা কি জানি ? মেয়ে আমার বড্ডো স্পষ্টবাদী, অন্যায় দেখলেই হয়ে ওঠে প্রতিবাদী। নিজের কাজ নিজেই করতে পারে, রান্নার কাজেই শুধু বিরক্তি তার ধরে। কথায় কথায় তক্কো যদিও করে , গুরুজনদের পা ছুঁয়ে নমস্কার ও কিন্তু করে। মেয়ে আমার আলসেমির ধারে কাছে কভু যায় না কো, মেয়ের আমার বড্ডো শক্তি ,বিপদ দেখে পালায় না কো।

জীবনকথা

সবার জীবনই ছোট্ট বড় গল্প। সব্বাই যদি লিখে অল্প অল্প, হবে নানা রকমের উপন্যাস। সব মিলে বিশাল এক ইতিহাস। তোমার দুঃখ - আমার সুখ, আমার সুখ - তোমার দুখ, সব কিছু হয় যদি জানাজানি, কষ্ট কমবে একটুখানি। দেখতে পাবে সব্বাই গাঁথা আছে- সুখ দুঃখের মাঝে। শুধুই তফাৎ সেইখানেতে, তোমার সকাল আমার সাঁঝবেলাতে। আরো একটা মস্ত বড় তফাৎ- লুকিয়ে থেকে করেছে বাজিমাত। তোমার আমার সাঁঝবেলার রং সবেরই আলাদা এক ঢং।

বাবা

আমি শুধু না -গোটা গ্রামবাসী বলে পুরো গ্রাম মাঝে তুমি হীরে হয়ে কি করে জন্মালে ! ছোট্ট তুমি ,বয়স তোমার সবে পাঁচ - ধ্বসে পড়লো তোমার আনাচ কানাচ।  তুমি হারালে তোমার বাবা কে ওই টুকু বয়সে ! দৃঢ় চিত্তে নিজের মা কে আগলে রাখলে কত অনায়াসে। তখন থেকে ঠাম্মা শুধু তোমায় আঁকড়ে বাঁচে।  ভাগ্য হয়তো ছিল সাথে, তাই অগাধ ভালোবাসা পেতে।  তোমার প্রথম শিক্ষক তোমায় স্কুলে না পেলে - তোমায় খুঁজতে যেত স্কুলের সব কাজ ফেলে।  এমন মহান শিক্ষক আজকাল কি মেলে ? টাকা কড়ি ছাড়া কি জীবন চলে ? তার ই অভাব মেটাতে তোমার মামাবাড়ি ছিল তোমার সাথে।  বিশ্বাস করি না ভগবান কে,  আমার বিশ্বাস শুধু তোমাকে।  তাই তো ছোট্ট বেলা টা ভরিয়ে রেখেছিলে সুখে, মেয়েদের কে এমন সুখে কয়জন রাখে ? অভাবের মধ্যেও কত দান  করেছো- তাই গরিবদের কাছে ভগবান হয়েছো।  তোমার মন খুব ভালো তাই তো, তুমি খারাপ থাকলে আমার ভগবান কাঁদবে কতো।  ছোটবেলা থেকেই তুমি খুব স্বাধীন।  আমিও তোমার মতো, ভালোবাসি না - হতে পরাধীন। স্যালুট জানাই তোমার ইচ্ছাশক্তিকে !  প্রয়োজনীয় পরিবেশ পেলে দিতে চমকে।  শির নতো করি তোমার জ্ঞানের ভাণ্ডারের কাছে

মাসি থেকে মাসিমা

সত্যি বলছি মা ছাড়া  কেউ আমায় এমন করে - আগে কক্ষনো যত্ন করে,  দেয় নি খাবার অফিস যাওয়ার আগে।  তোমার হাতে ভালোবাসার ছোঁয়া লাগে  আমার অন্তরে।  অথচ দেখো সবে চারদিন হলো,  এসেছো সেই গ্রাম থেকে সব ছেড়ে,  আমাদের দেখবে বলে,এসেছো আয়া হিসেবে।  রক্ত সম্পর্ক নাই বা থাকলো- এরই মধ্যে কেমনে জড়ালো  তোমার আমার সম্পর্কের সুতো  তুমি আমার মাসিমা ,মাসি নও তো।    সত্যি বলছি মা ছাড়া কেউ আমায় এমন করে - আগে কক্ষনো যত্ন করে,  দেয় নি খাবার অফিস যাওয়ার আগে।  দেখো তোমার থেকে মা এর গন্ধ আসে  কত সহজে - আমার নাকে।  থাকবে তো এমনিভাবে ? রাখবো তোমায় সযতনে।  যদি তোমায় পেতাম আরো একটি বছর আগে,  পৃথিবীটাই আমার বদলে যেত,  পড়াশুনাটা আরো ভালো হতো তুমি থাকলে পাশে ,ছেড়ে দিতাম কি পড়া টাকে ? বিয়ের পর মা বাবার কথায় কি কিছু হয় ? সব কিছুই শশুড়বাড়ির জন্যই রয়।   তারা তো ছিল না পাশে ,বুঝলো না আমার যন্ত্রনা।  তুমি আগে এলে হতো না এতো কষ্ট বেদনা।  সত্যি বলছি মা ছাড়া কেউ আমায় এমন করে - আগে কক্ষনো যত্ন করে,  দেয় নি খাবার অফিস যাওয়ার আগে। 

A special request to the Teachers

ছবি
To, All principals of all Schools, Dear Sir/Madam, Request you to read my request and consider the same.It is my humble request to all the class teachers who take classes of nursery to class 2 that they should give importance on teaching the behaviour,manners,disciplines,eating rather than dancing,swimming and singing. Anybody at any age can learn reading,swimming,dancing,singing and can gather knowledge at any time.But behaviour to their parents,elders and good manners cant be learnt beyond the littler stage.You may say that for building the behaviour,parents are there.Of course,parents are there but scenario has been changed drastically.Little learners obey their class teacher like God.Whatever the teachers teach in the class,little learners will not do a dot beyond that.Also ,teachers should inform the little learners that little learners should obey their parents and parents are their primary teachers and that is the reason for sharing everything happening outside their

নতুন জীবন

এখন তোমার নতুন এক জীবন তোমার গোছানো ফ্ল্যাট - তোমারেই ভুবন। এখন তুমি তো দিব্যি রান্না করছো। আমি যখন ডাকতাম তোমায় - আমাদের ফ্ল্যাট এর রান্নাঘরে, কি বিরক্তি ই না তুমি প্রকাশ করেছো। অথচ দেখো আজ আমি নেই তোমার পাশে সব কাজ ই করছো শুধু নিজের সাথে। আচ্ছা এখনো কি তুমি অফিস যাওয়ার আগে ঐভাবে বসে থাকো ? নাকি ব্যস্ত তুমি নানান কাজে -ব্রেকফাস্ট বানাতে আর ঘর গোছাতে ! মনে পড়ে তোমার সাথে আমি কতই না ঝগড়া করেছি কোমর বেঁধে ওই যে তুমি সকালবেলাটা  নষ্ট করতে শুধু বসে থাকাতে - তাতে আমার ঘোর আপত্তি,তাইতো তোমার মা থাকে না আমার সাথে। বড্ডো মুখরা আমি ,যা সত্যি তাই তো বলে দিই অকপটে। আর -ঘর ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে মোছাটাও কি করো ? নিজে রান্না করে নিজেই খাবার নিতে ,কেমন লাগে বলো ? আচ্ছা তুমি যখন কয়েক মাস পর ফিরে আসবে আমাদের ফ্ল্যাট এ - তখন কি তুমি আবার ফিরে যাবে পুরানো দিনের বদ  অভ্যাসে ? নাকি আমি পাবো নতুন করে তোমাকে ভালো লাগে যখন তুমি গুরুত্ব দাও কাজ কে। আর তোমার মনে আছে -আমি যা কিছু করতে বলতাম তোমায় ,তুমি সব কিছুই বলতে -করবে কাল কে। তুমি কি এবার  ফিরে এসেও তাই করবে ? যদিও আমার জীবন

শিল্পী

শিল্পীরা বোধ হয় বড্ড অভিমানী একরাশ বুকভরা বেদনা নিয়ে তারা সত্যিই ধনী। আশেপাশের মানুষ কি তাদের বোঝে? আর না বুঝলেও শিল্পীরা কি তাদের পরোয়া করে ? শিল্পীরা বাস্তবের ছায়াতে কল্পনার পথে চলে, তার পথের সাথী ও কি তার মনের কথা বোঝে ? শিল্পীরা বড্ড আনমনা । নিজের মধ্যেই চেপে রাখে যন্ত্রণা। দুনিয়া টাই বড্ড স্বার্থপর, কে যে আপন আর কে যে পর জানেন শুধু ঈশ্বর।

হারিয়ে গেছি আমি

ছবি
আজ তোমরা আমায় ভুলে গিয়েছো আর আমায় বুঝিয়ে দিয়েছো- তোমরা শুধু নতুনের সাথেই আছো। অক্ষর দিয়ে সুন্দর বাক্য বানানো আজ তোমাদের কাছে শুধুই ন্যাকামো। তাইতো একটা পোস্টকার্ড কেও তোমরা নির্মূল করেছো। আমার ডাকঘরে আজ শুধুই শূন্যতা- আর দুর্দশা নেমে এলো পোস্টম্যানদের । স্মার্টফোনের পাশে তাল দিয়ে চলার, আমার নাকি নেই কোনো যোগ্যতা !