পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মেঘ -বৃষ্টি

মেঘ -বৃষ্টি এইবছর যাই বলো ,মেঘটা খেলছে ভালো লুকোচুরির খেলায় মেঘটাই জিতলো। বৃষ্টি টার কি হয়েছে কি জানি ,শুধু হারছে মেয়ে বলেই কি মেঘ কে জিতিয়ে দিচ্ছে ? আকাশ টা মা হয়ে কি ভাবছে ? তাহলে শুধুই কি মেঘ কে ভালোবাসছে ? মা রা কি ছেলেদের কে বেশি ভালোবাসে ? বৃষ্টি টা বড্ডো কাঁদে অনায়াসে। এই বৃষ্টি কেঁদে আর  কি করবি  ? এবার থেকে তুই ই শুধু জিতবি। বড্ডো ঝগড়া করিস ভাই বোনে দুজনেই আসতে পারিস  না সমানে সমানে ?

আজ, বৃষ্টির সাথে

আজ, বৃষ্টির সাথে  আজ দিনটা লাগছে বেশ ভালো ঘরে নেই তেমন কোনো আলো , আমি আছি একা ,সাথে বৃষ্টি এক পশলা জানালা টা সকাল থেকেই যে খোলা। আজ দিনটা সত্যিই লাগছে বেশ আজ নেই কারো সাথে কোনো রেশ। আজ আমি উন্মুক্ত একদম বাঁধন ছাড়া আজ আমার কোথাও যেতে নেই কোনো মানা। জানলা দিয়ে লাগছে বেশ আমার প্রকৃতি কে খেজুর গাছের পাতাগুলো জানালার কাঁচগুলো কে বৃষ্টি দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে বারে বারে ইচ্ছে করছে কাঁচের জায়গায় আমি ই থাকি পাতার আদর খেতে। সন্ধ্যে হলেই বাড়ি যাবো আবার তখন বন্ধনে জড়াবো আবার আমার পরিবারে বন্দি হবো এমনি করেই একবার বন্ধন ছাড়া একবার বন্দি রবো।

ইচ্ছে

ইচ্ছে  ইচ্ছেগুলো মনের কোনে থেকে মনকে খোঁচা মারলে ভালো ইচ্ছেগুলো পূরণ না হলেই  সব হয় এলোমেলো। ইচ্ছেগুলো আকাশকুসুম হলে পূর্ণ হলে ,খুব ভালো লাগে ব্যর্থ হলেই বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও থাকে না আর মনে। ইচ্ছে পূরণ না হলে বদলে ফেলো ইচ্ছে কে  আঁকড়ে আর কদিন ই বাঁচবে সাথে নিয়ে সেই জেদ কে। তুমিও দেখিয়ে দাও অনেক রাস্তা তোমার খোলা অনেক রাস্তায় - তোমারি জন্য জ্বলছে কত আলো। ইচ্ছে পূরণ না হলে আত্মহত্যা করাটা বোকামো ইচ্ছের কাছে নিজেকে সপেঁ দেওয়াটা মুর্খামো। একটা ইচ্ছে পূর্ণ না হলে বসে থাকো পরের বছরের জন্য কিংবা বদলে ফেলো ইচ্ছেটাকে নিজের জীবনের জন্য।

স্বপ্ন

স্বপ্ন অনেকগুলো স্বপ্ন পূরণ করে কিছু স্বপ্ন ব্যার্থ হয়ে আরো কিছু নতুন স্বপ্ন কে পূরণ করার উদ্দেশ্যে এখনো আমি হেঁটে চলেছি স্বপ্নের সাথে ,স্বপ্ন কে ভালোবেসে আর স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন পূরণ করে রওনা দেব কবে বিদেশে। স্বপ্ন ছিল ভালোবাসায় ভরিয়ে দেব আমার বোন কে কিন্তু সময় কাটাতাম না একটুও তার সাথে। ভুলটা এখন বুঝতে পেরে ভুলের প্রায়শ্চিত্ব করে উপায় নেই সময় কাটাবো তার সাথে নতুন করে। এখন সে যে অতীত ,তাকে কি করে ফেরায় তার আর আমার মাঝে শুধুই দেওয়াল। এই ভুল থেকে শিখলাম -স্বপ্ন শুধুই দেখতে নেই স্বপ্ন দেখলে তার পিছু ছাড়তে নেই। এমনেই এক স্বপ্নের মুখে আমি,যাকে দিই না সময় সবার আগে ভরিয়ে দিতে হবে তাকে ভালোবাসায় কিন্তু সেই জটিল তত্ব ফর্মুলা কিছুই যে ঢোকে না মগজে তবুও পিএইচডি টা কমপ্লিট করতেই হবে যে আমাকে। জানি না কিভাবে  কোন পথে হাটবো আমি যখনই তাকে  নিয়ে বসি আমি ,আঁখি শুধু ছলছল শুধু   বলতে থাকি পার করে দাও ভগবান দেখাও পথ ,পূরণ করে দাও আমার স্বপন।

স্বান্তনা

মা গো তোমার মতোই অভিমানী আমি তাও সকাল সকাল ঝগড়া করলে তুমি ? মাগো তোমার কষ্টে আমিও কষ্ট পাই এইটুকু বয়সে সেটা কি করে বোঝাই ? মাগো ঝগড়া টা বন্ধ কারো বাবার সাথে ক্ষতি হয় তোমার আর আমার তাতে। মাগো বাবার কি কিছু যায় আসে তোমার কষ্টে? তাহলে সেই বেদনায় জড়াচ্ছো কেন আষ্টেপৃষ্টে ? মাগো তাড়াতাড়ি বড়ো করো আমায় তোমার নিঃসঙ্গতা যে কাটাতে চায়। মাগো তুমিই তো বলো আমি বড় হলে তুমি আমি যাবো একসাথে সিনেমাহলে। মাগো তোমায় আমি বড্ডো বাসি ভালো দেখবে,বড়ো হলে তোমার জীবন করবো আলো। মাগো ততদিন একটু ধর্য্যো ধরো যতদিন না হচ্ছি আমি বড়ো। মাগো ততদিন ঝগড়া টা কম করো আর আমায় শুধু আদর করো। (৫ বছর বয়সের মেয়ের মা কে দেওয়া সান্ত্বনা )

বাবা তোমার জন্য

ছবি
বাবা তোমার জন্য দেখতে দেখতে কেটে গেলো তোমার ৭০ টা বছর। ইচ্ছে করছে আজ তোমার মুখ  থেকে কিছু শুনি জীবন সম্পর্কে তোমার কি মতামত। তবে তোমারটা শোনার আগে কিছু কথা আমি বলি যেগুলো আমি কখনো ভুলবো না।     ফিরে যাওয়া যাক পুরানো দিনগুলোতে। সেই তুমি কখনো সাদা জামা ছাড়া অন্য কোনো রং এর  জামা পরে স্কুল এ যেতে না। সত্যি তোমার ব্যক্তিত্বের কোনো তুলনা হয় না। তুমি ছিলে আমার স্যার।  প্রচুর ভয় পেতাম তোমাকে।ঘরের মধ্যে বা স্কুল এ সব জায়গাতেই তোমাকে ভয় পেতাম।স্কুলে তোমার সাথে আমার্ সম্পর্কটা ছিল শুধুই স্যার আর ছাত্রীর সম্পর্ক। কিন্তু ঘরে তুমি এক দায়িত্ববান পিতা। তুমি ক্লাসরুমে ঢোকার আগেই শুরু করে দিতে তোমার বক্ত্যব্য ,তুমি কি পড়াতে চাও সেইসব। ঠিক তেমনি বাড়িতেও  ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম সবার হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা এতগুলো বোন ,সাথে থাকতো দাদা।  সব মিলে ৭ জনের হোমওয়ার্ক ,বিভিন্ন ক্লাস এর হোমওয়ার্ক।শুধুই কি হোমওয়ার্ক ? ভোরে দিতে হোমওয়ার্ক আর খুব সকালে মা এর সব গামলা ভরিয়ে রাখতে ,কুয়ো থেকে জল তুলে।গামলা ,কলসি  সব পাত্র গুলো ভরিয়ে রাখতে।  চা করাটা কার কাছে শিখলাম সেটা মনে নেই। তবে একটা বকুনি না