পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লিখাচোর

সুযোগ পেলেই লিখতে বসি, কাজে দিই ফাঁকি । মনটা শুধু সময় খোঁজে, লিখবো কখন কাজের ফাঁকে । সবার মন চুরি করে রাখবো সযতনে, সেসব কিছু ফুটিয়ে তুলবো আমার কলমে। রাস্তার ধারের আগাছাগুলো - দেখেও তোমরা দেখো না, তাদের সাথে আমার লিখার কথা গুলো- শুনে হিংসা যেন করো না। চুরি করবো তোমার সব দুঃখ, লিখাতে রেখে যাবো সাময়িক সুখ। অলীক স্বপ্ন দেখাবো না।  আমার লিখার আছে সে ভাবনা। তোমরা যতই বলো আমায় - মনচোর, সময়য়চোর, আমিও বলে যায় - আমার লিখার আছে অনেক জোর।

সময় আর লিখা

আর কোনো কবিতা নয় কোনো লেখা নয়, এইভাবেই সময়টা শুধু হয় নয়ছয়।  লিখা তুমি থেকো শুধু মনের মধ্যে ,এস না বাহিরে - খালি আমার মন টাকে বিব্রত করো বারে বারে।  তুমি বুঝে নিও তোমায় নিয়ে থাকলে , টাকা কড়ি কোনোটাই নাহি মিলে।  লিখার নেই কোনো দাম আমার এই ব্যস্ত জীবনে।  তোমায় নিয়ে থাকলে সংসার চলিবে কিভাবে ? সময় টাও তো থেমে থাকে না লিখার কারণে , তাই তো রাতের ঘুমটাও কি লিখা তুমি কেড়ে নেবে ? লিখা তুমিই সময় কে বোঝাবে সে যেন তোমার কথা রাখে মনে , গোধূলীবেলা চাকরীশেষে বাড়ি ফিরে চায়ের সাথে - ঐটুকুই সময় শুধু তোমার ,লিখা আমি তখন তোমার সাথে। চায়ের কাপের সাথে তোমারো হবে ছুটি ,কথাটা যেন মাথায় থাকে।  লিখা তুমি শুধুই তো সব নয় ,আছে আমার পরিবার - আর আছে চাকরি ,তারা তো আগে সবার।  ওদেরকে সময় দেওয়ার পর ও  যদি থাকে কিছু সময়,  তখন না হয় এস আমার কাছে ,থেকো আমার ছায়ায়। 

মা -১

ছবি
   এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা, জানুয়ারী মাসের পনেরো ছিল তারিখটা। সাল টা ছিল 2013,সবে যখন সাতদিন গড়ালো, আমার না বোঝা আওয়াজে ঘরটা ভরে উঠলো। তিনটে মাস মায়ের সাথে কাটলো আধো আধো বুলিতে, সমস্ত ব্যথা সেরে যেত এক নিমেষে মায়ের ছোঁয়াতে। যদি জানতেম তিনটে মাসের পর সব যাবে বদলে যদি জানতেম তিনটে মাস পর আমার পৃথিবীটা যাবে ঘুরে তাহলে প্রার্থনা করতুম তিনটে মাস যেন শেষ না হয়- মা আর আমার মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব তৈরী না হয়। এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা। যখন সবে তিন মাস,চারিদিকে ধনিত হতো মা ডাকটা, শুনসান ফ্ল্যাট টা গম গম করতো মা ,মা ডাকে, মায়ের সাথে হাসি,খেলা,জড়িয়ে থাকতাম শুধু মাকে। হঠাৎ একদিন এক নতুন অতিথি এলো ঘরে, মা আমায় বললো মা-আ-আ-সি বলে ডাকিস তারে। তখনো শিখি নি কথা,শিখি নি বসতে শিখি নি দাড়াতে- এমন একদিন দেখি মা কে ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে, বড্ডো তাড়াহুড়োতে ছিল মা,বললো কেঁদো না সোনা, আরো বলেছিল অনেক কিছুই,যার কিছুই ঢুকল না- এই কচি মনে,তারপর শুধু এদিক ওদিক তাকাতে থাকে আমার নিষ্পাপ চোখ দুটো,শুধু ভাবতে থাকে আনমনে- আমায় নতুন মাসির কাছে রেখে মা তু

কৃপণ

কে  তুমি  অজানা পথচারী ? তোমায় আমি  চিনিতে  না পারি , তবুও দেবো সব গহনা উজাড় করে , রাখিবো  না কিছু নিজের তরে। আমার সর্বস্ব ধন দেবো তোমায় দিয়ে , তুমি শুধু ওঠো ভালো হয়ে। তোমায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার মন উথাল পাথাল করে। তবুও মন নাহি দেবো তোমায় সেই মন সোঁপে দিয়েছি অন্যজনে। আমার থলেতে আছে শুধু বন্ধুত্ব , বিপদে থাকিব পাশে,টাকা দিয়ে কমাবো দূরত্ব। তবুও তোমায় নাহি দেব এই মন , চাহিও না ভিক্ষা ,দৃষ্টি দিও না এমন। কৃপণ আমি ,দেব না মন তাই। যতই চাও না তুমি ,আমার কিচ্ছু করার নাই।। যে মন আমার দ্বারাই তৈরী , সেই মন আমাকেই দিতে নারাজ হলি ? ক্ষিপ্র আমি তোর এই অহংকারে, থাকি না আমি টাকা পয়সা আর পার্থিব জিনিসে। চারিদিকে এতো মন্দির ,এতো ভক্ত - তবুও  তোদের মন এতো তিক্ত! ছিঃ ! ধিক্কার হয় তোদের এই মিথ্যে ভালোবাসাকে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বাঁধতে চাস  আমাকে ? এ হেন সাহস আসে কোথা থেকে ? আসি নি আমি তোর টাকার মন্দিরে থাকতে। দেখ,দুচোখ দিয়ে দেখ ,শুধু দেখ -চারিদিক, দেখ ফুটপাথ ,দেখ ব্রিজ এর নীচ। দেখ প্রাসাদ,দেখ বহুতলা ফ্ল্যাট দেখ দুই দলের মানুষের তফাৎ। দেখ কত মানুষ তোর দিকে আছে চেয়ে, ক

আমার লিখা

ছবি
লিখতে আমি বড্ড ভালোবাসি। আমার লিখায় আছে সব- যা আছে তোমার আমার পাশাপাশি, আর আছে পাখির কলরব ।। আমার লিখা প্রকৃতির সাথে করে মাখামাখি । ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে - শুধু করে চারিদিক দেখাদেখি , ভাবতে থাকে সবার কথা আনমনে।। আমার লিখায় আছে রাস্তাঘাট,গাছপালা, আছে ঝর্নার আওয়াজ - সাথে পাহাড়,জঙ্গল,নদীনালা আর আছে সূর্যের তেজ ।। আমার লিখা আমাকে কাঁদায়,হাসায় আর ভাবায়। আমার লিখা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায় । সেই ছোটবেলায় হাত ধরেছি আমার লিখার, পথে চলতে চলতে হোঁচট খেয়েছি কতবার - তবুও থামি নি লিখা আছে যে সাথে।।

জে.কে.এম -2

সকালটা শুরু আমি ই করি। তোরা শুধু মেজাজেই রইলি। আশা নাকি করিস না তুই। বলিস মুকুল সবসময়ই । দেখলি তো আশা ছাড়া জীবনটাই ছন্নছাড়া  । জয়িতা,কৃষ্ণা সবাই ব্যস্ত যে যার কাজে অভ্যস্ত। সে সেই কাজ নিয়ে খুশি আমিও তাই প্রানভরে লিখছি, তোদের নিয়ে,এটাই তো কাজ আমার, এখানেই থাক আজ।

জে.কে.এম

আমার best school friendsদের জন্য : জে.কে.এম. আমি লিখছি আমার মতো করে । মাঝে মাঝেই মোবাইলটা বেজে ওঠে । জানি এটা তোরা ছাড়া আর কেউ না , তখনই থেমে যায় আমার সব ভাবনা । তোরা যেমন আমার সবচে আপনজন , ঠিক তেমনি লিখাটাও যে আমায় ছাড়া থাকে না একটুক্ষণ । বলতো জয়িতা কৃষ্ণা মুকুল কেমনে করি তোদের আকুল ব্যাকুল ? আমার লিখার সাথে তোরাও চল লিখার হাত ধরে চল যায় জঙ্গল লিখা যদি স্পর্শ করে বাঘকে চল লিখার হাত ধরে আমরাও ঢুকে পড়ি বাঘের খাঁচাতে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় ভরা নদীতে, চল আমরা সাঁতার কাটি লিখার সাথে। লিখা যদি ঝর্না হয়ে নামতে থাকে, আমরাও ঝর্নার আনন্দে মেতে থাকি একে অপরের সাথে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় পাহাড় থেকে চল চেষ্টা করি লিখা যেন বেঁচে থাকে । আমাদের বন্ধুত্বও যেন আজীবন বেঁচে থাকে ।।

আমি কে

আমি প্রকৃতির এক অনবদ্য সৃষ্টি যখন মুষলধারে হয় বৃষ্টি, আর আমি সেই বৃষ্টিতে ভিজতে থাকি মনে হয় আমিই বৃষ্টি হয়ে পড়ছি। যখন আমি নদীতে ডুব দিই। মনে হয় আমি অংশ শুধু নদীর ই নদীর জলে চান করে আমার মন আমি তখন নদী হয়ে যায় কিছুক্ষণ। আবার যখন পাহাড়ের চূড়ায় আমি তখন কেমন পাহাড়ের ভেতর ঢুকে থাকি শুধু মনে হয় আমি ই পাহাড় মনে হয় অনেক উঁচুতে আমি,পাথরে ভর্তি এক খাড়া পাহাড় । যখন সমুদ্রের ঢেউ লাগে আমার শরীরে মনে কখন যেন মিশে যায় ঢেউয়ের সাথে একান্তে গোপনে ভাবতে থাকি বিশাল সমুদ্রের ই সন্তান আমি সমুদ্রের স্রোতে মনকে নিয়ে আমি সাঁতার কাটি । যখন কোনো পাহাড়ের কোল থেকে ঝর্ণা নামছে আর ঠিক তার নিচে আমার শরীর মনকে নিয়ে ভাবছে ভাবছে আনমনে আমি ই যেন সেই দুরন্ত ঝর্ণা । প্রবল বৃষ্টিতে আমি ই তৈরি করি বন্যা। এইভাবে প্রকৃতির সাথে মেখে থাকি আমি কখনো কখনো বুঝতে পারি না কে আমি ? আমি কি প্রকৃতির ই এক সন্তান ? নাকি প্রকৃতিই আমার সন্তান ?

প্রকৃতির উত্তর মানুষকে

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই লিখাটা আমার নয়,whatsapp থেকে নেওয়া।কিন্তু এর উত্তর টা আমার লিখা । from whatsaapp *বর্ষা তুমি শৃঙ্খলা শিখবে কবে?* নিজ অধিকারে তুষ্ট থাকতে হবে। আষাঢ়, শ্রাবণেই তোমার অধিকার জেনো, এই আশ্বীনে বর্ষা উৎশৃঙ্খলতাই মেনো। সমাজের মাঝে নিয়ম মানতে হয়, দেখেছ কি কভু প্রচন্ড শীত ঐ গ্রীষ্মের মাঝে হয় ? বর্ষাকালে  শিশির দেখেছ কভু? নিজেকে তুমি ভাব কি সবার প্রভু? অপরের সুখে গাত্রদাহ নয় শরতের পূজায় বিদায় নিতে হয়। পূজায় লোকের আনন্দ মাটি করো, তাইতো মোরে আজি কলম ধরতে হল! বাকি পাঁচ ঋতুকে দেখে তো একটু শেখো, নিজ দুই মাসেই সীমাবদ্ধ থেকো।                                  ---- আমার লিখা : প্রকৃতির উত্তর মানুষকে মানুষ তুমি তোমার সীমার মধ্যেই থেকো  । আমায় জ্ঞান দেওয়ার আগে নিজেকে ঠিক রাখো । তুমি জানো না গাছ কাটতে নেই ? তোমার তো বিন্দুমাত্র নিজের ভালো মন্দ সম্পর্কে জ্ঞান নেই ? তুমি জানো না জলের অপচয় করা মানা । নদীর জলকেও দূষিত করাটাও মানা । শরৎকালে প্রচুর গরমে ক্লান্ত হলে, আমায় কেন ডাকতে থাকো মনে মনে ? আমি প্রকৃতি কি তোমাদের মতো করে চলবো ? আর তোমরা কি আমায় মেশিনের মধ্

দুই ফুল

একটি গাছের ওপরের কান্ডে গজানো ফুলের সাথে সবচে নিচের কাণ্ডে গজানো ফুলের কথোপকথন : উপরতলার ফুল : আমি সবচে সুন্দর ফুল,কেন জানো ?আমি গাছের সবচে ওপরের ডালে আছি।আমি ওপর থেকে পুরো কলকাতা শহর দেখি।আমার চারিপাশে বিশুদ্ধ তাজা বাতাস।আসলে আমার বাবা মা ওই বাজে মাটি তে জন্ম নিলে কি হবে,আমি ভাগ্যবান তাইতো আজ ওই অশুদ্ধ মাটি থেকে উঠে আসতে পেরেছি। নিচের তলার ফুল : কিন্তু আমি তো মা বাবার খুব কাছে আছি।এই যে শিকড় যেখান থেকে তোর আমার দুজনের ই জন্ম,তার কত কাছে আমি। জানিস তো বোন,আমি বাবা মার ছায়ার মধ্যে থাকি,এর চেয়ে বড় সুখ কি আর আছে ? উপরতলার ফুল : কিন্তু বোন তুই শুধু একতলা বাড়ি আর মাঠ ঘাট দেখতে পাস,আমি এখান থেকে সব দেখতে পাই,বিশাল বড় প্রাসাদ,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত। আমি তো রাজা রে। নিচের তলার ফুল : তা অবশ্য পাস । কিন্তু দেখিস বোন,সাবধানে থাকিস। বাবা মা আর আমরা তোর থেকে অনেক দূরে আছি। নিজে নিজের যত্ন নিস । তোর পাশ দিয়ে যে পাখিগুলো উড়ে যায় তাদের একটু দেখভাল করিস ।বলা তো যায় না কার কাকে কখন দরকার পড়ে  । উপরতলার ফুল : তুই চিন্তা করিস না । আমি রাজাই থাকবো । তোর সাথে ও কথা বলে আনন্দ পাই না,তু

চাকুরে মহিলা

সমাজ বদলেছে।বদলেছে সভ্যতা।জনসংখ্যা বেড়েছে।কিন্তু মানুষ উন্নত হয়েছে । ঘরে ঘরে দুটোর বেশি তিনটে বাচ্চা দেখা যায় না।তবুও জনসংখ্যা বেড়েছে। তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে মৃত্যুর হার কমেছে।তাহলে বলাই যায় যে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে । বোধ হয় একটু বেশিই উন্নত হয়েছে । উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে।তাই এবার নামার সময় হয়েছে আর সেই কারণেই ঘরে ঘরে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে,দূষণ বাড়ছে,বৃদ্ধাশ্রম ও বেশি করে গড়ে উঠছে।মানুষের চাহিদা বেড়েছে।বেড়েছে আরামে থাকার খরচ। বেড়েছে প্রতিযোগিতা।বেড়েছে বাচ্ছাদের ওপরেও সেই চাপ চাপিয়ে দেওয়া। ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকরি করছে।একজনের কামায় ইয়ে চলছে নে সংসার । কোন সংসার ? যে সংসারে মাত্র দুটো বাচ্চা আর তাদের বাবা মা।আগেকার দিনে তো ঘরে ঘরে 5-6 টা বাচ্চা থাকতো,আর শুধু ছেলেরাই টাকা রোজগার করতো।সমাজ উন্নত হল বলেই তো ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকুরী করছে। মেয়েরা চাকরি করবেই না বা কেন ? কোনো নিশ্চয়তা নেই তো যে মেয়ে টাকে বিয়ের আগে বাবা আর বিয়ের পর তার স্বামী সমস্ত চাহিদা মেটাবে ।কত অত্যাচার মেয়েরা সহ্য করেছে বলেই না মেয়েরা আজ বদলেছে।চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এমন কি গ্রাম গুলোতেও একই ছবি দেখা যায়।যে বাবা মা এর কোনো