পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারী -পুরুষ

বদলে গেছে যুগ । একটা সময় ছিল যখন ঘরে ঘরে মেয়েরা মেয়েদের মতোই থাকতো ।আর ছেলেরা তাদের শাসিয়ে রাখতো।স্ত্রী মানেই ছিল বাচ্ছার জন্ম দেবে আর রান্না বান্না ,ঘর সামলাবে।পুত্র সন্তানের জন্ম দিলে খুব ই ভালো নয়তো এমন ও হতো যে ওই লোকটি দ্বিতীয়বার বিয়ে করতো শুধুমাত্র পুত্রসন্তানের জন্য।আর দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য ওই লোকটির মা ই ইন্ধন দিত। প্রতিটি শাশুড়ি কষ্টের স্বীকার হতো আর সেই কষ্ট একটু হলেও কম হতো যখন সেই শাশুড়ি তার বউমার ওপর ওই একরকম অত্যাচার করতে পারতো। এই যুগে বদলেছে মেয়েরা।ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বলেছে। আজ বোধ হয় একটি মেয়েও শিক্ষার আলো থেকে বন্চিত হয় না,বোধ হয় কোনো মেয়ে কে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় না,কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে তাকে বয়কট করাও হয় না বা সেই সন্তানের পিতা দুবার বিয়ে করে না।মেয়েরা ছেলেদের মতো সিগারেট খেতে শিখেছে ,রাত্রে পার্টি করতে শিখেছে,বয়ফ্রেইন্ড এর সাথে শর্ট ড্রেস এ ডিস্কো তে যেতে শিখেছে। এইগুলোই কি উন্নতির পরিচয় ? মেয়েরা বোধ হয় মেয়েদের কে ছোট চোখে দেখে তাইতো আজকাল কার মেয়েরা ছেলেদের ভালো গুন গুলো নিতে গিয়ে খারাপ গুন গুলোকেও নিতে শিখেছে। প্রতিটা মেয়ে আজকাল তুলনা করে বলতে

ভালো থেকো

হাসতে আমি চাই নি, হাসার নেইকো কোনো কারণ। তৃষ্ণা আমার পাই নি- তবুও জল খাই ,নেই কোনো কারণ। শরীর তো খারাপ হয় সকলের, মন খারাপ শুধু পাগলের। শরীরের জন্য তুমি কত খাও ! আর মন কে তুমি কি দাও? সময় ?তাও পাই না এই মন, দুশ্চিন্তার ভিড় অবসর সময়ের কিছুক্ষন। চুপচাপ ঘুম গভীর রাতের- সেই সময় শুধু শরীরের। শরীরকে জাগিয়ে রেখে, মন কে শুধু তাজা রেখে, দেখো সমস্যা কেমন  যায় চলে- ক্রমশ দূরে দূরে। একরাশ চিন্তার ভীড় তোমার আমার মনের গভীর ফেলে দাও ফেলে দাও- সেইসব জঞ্জাল ডাস্টবিনে। ভরিয়ে দাও,রাঙ্গিয়ে দাও- ভালোবাসা আর হাসি তে। মিথ্যে হলেও হাসো, প্রানখুলে হাসো,আরো হাসো। অভিনয় করো হাসার, অভিনয় করো ভালো থাকার, অভিনয় বেশিদিন থাকবে না, জীবন ও থেমে থাকবে না। কোনো একদিন তুমি বুঝবে- সব সমস্যা হাসি মুখে সেদিন তুমি দূর করবে। সেদিন অভিনয় নয়, কবে কখন জীবন হয়ে গেছে এই অভিনয় তুমি বুঝতেও পারবে না। সেইদিন কোনো সমস্যা আর থাকবে না। আজ আমি যা বলছি তোমায়- তুমিও বলবে কিন্তু তারে। ছড়িয়ে দাও এই হাসি চারিদিকে, বপন করো ভালো থাকার বীজ এই ভুবনে।।

লিখাচোর

সুযোগ পেলেই লিখতে বসি, কাজে দিই ফাঁকি । মনটা শুধু সময় খোঁজে, লিখবো কখন কাজের ফাঁকে । সবার মন চুরি করে রাখবো সযতনে, সেসব কিছু ফুটিয়ে তুলবো আমার কলমে। রাস্তার ধারের আগাছাগুলো - দেখেও তোমরা দেখো না, তাদের সাথে আমার লিখার কথা গুলো- শুনে হিংসা যেন করো না। চুরি করবো তোমার সব দুঃখ, লিখাতে রেখে যাবো সাময়িক সুখ। অলীক স্বপ্ন দেখাবো না।  আমার লিখার আছে সে ভাবনা। তোমরা যতই বলো আমায় - মনচোর, সময়য়চোর, আমিও বলে যায় - আমার লিখার আছে অনেক জোর।

সময় আর লিখা

আর কোনো কবিতা নয় কোনো লেখা নয়, এইভাবেই সময়টা শুধু হয় নয়ছয়।  লিখা তুমি থেকো শুধু মনের মধ্যে ,এস না বাহিরে - খালি আমার মন টাকে বিব্রত করো বারে বারে।  তুমি বুঝে নিও তোমায় নিয়ে থাকলে , টাকা কড়ি কোনোটাই নাহি মিলে।  লিখার নেই কোনো দাম আমার এই ব্যস্ত জীবনে।  তোমায় নিয়ে থাকলে সংসার চলিবে কিভাবে ? সময় টাও তো থেমে থাকে না লিখার কারণে , তাই তো রাতের ঘুমটাও কি লিখা তুমি কেড়ে নেবে ? লিখা তুমিই সময় কে বোঝাবে সে যেন তোমার কথা রাখে মনে , গোধূলীবেলা চাকরীশেষে বাড়ি ফিরে চায়ের সাথে - ঐটুকুই সময় শুধু তোমার ,লিখা আমি তখন তোমার সাথে। চায়ের কাপের সাথে তোমারো হবে ছুটি ,কথাটা যেন মাথায় থাকে।  লিখা তুমি শুধুই তো সব নয় ,আছে আমার পরিবার - আর আছে চাকরি ,তারা তো আগে সবার।  ওদেরকে সময় দেওয়ার পর ও  যদি থাকে কিছু সময়,  তখন না হয় এস আমার কাছে ,থেকো আমার ছায়ায়। 

মা -১

ছবি
   এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা, জানুয়ারী মাসের পনেরো ছিল তারিখটা। সাল টা ছিল 2013,সবে যখন সাতদিন গড়ালো, আমার না বোঝা আওয়াজে ঘরটা ভরে উঠলো। তিনটে মাস মায়ের সাথে কাটলো আধো আধো বুলিতে, সমস্ত ব্যথা সেরে যেত এক নিমেষে মায়ের ছোঁয়াতে। যদি জানতেম তিনটে মাসের পর সব যাবে বদলে যদি জানতেম তিনটে মাস পর আমার পৃথিবীটা যাবে ঘুরে তাহলে প্রার্থনা করতুম তিনটে মাস যেন শেষ না হয়- মা আর আমার মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব তৈরী না হয়। এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা। যখন সবে তিন মাস,চারিদিকে ধনিত হতো মা ডাকটা, শুনসান ফ্ল্যাট টা গম গম করতো মা ,মা ডাকে, মায়ের সাথে হাসি,খেলা,জড়িয়ে থাকতাম শুধু মাকে। হঠাৎ একদিন এক নতুন অতিথি এলো ঘরে, মা আমায় বললো মা-আ-আ-সি বলে ডাকিস তারে। তখনো শিখি নি কথা,শিখি নি বসতে শিখি নি দাড়াতে- এমন একদিন দেখি মা কে ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে, বড্ডো তাড়াহুড়োতে ছিল মা,বললো কেঁদো না সোনা, আরো বলেছিল অনেক কিছুই,যার কিছুই ঢুকল না- এই কচি মনে,তারপর শুধু এদিক ওদিক তাকাতে থাকে আমার নিষ্পাপ চোখ দুটো,শুধু ভাবতে থাকে আনমনে- আমায় নতুন মাসির কাছে রেখে মা তু

কৃপণ

কে  তুমি  অজানা পথচারী ? তোমায় আমি  চিনিতে  না পারি , তবুও দেবো সব গহনা উজাড় করে , রাখিবো  না কিছু নিজের তরে। আমার সর্বস্ব ধন দেবো তোমায় দিয়ে , তুমি শুধু ওঠো ভালো হয়ে। তোমায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার মন উথাল পাথাল করে। তবুও মন নাহি দেবো তোমায় সেই মন সোঁপে দিয়েছি অন্যজনে। আমার থলেতে আছে শুধু বন্ধুত্ব , বিপদে থাকিব পাশে,টাকা দিয়ে কমাবো দূরত্ব। তবুও তোমায় নাহি দেব এই মন , চাহিও না ভিক্ষা ,দৃষ্টি দিও না এমন। কৃপণ আমি ,দেব না মন তাই। যতই চাও না তুমি ,আমার কিচ্ছু করার নাই।। যে মন আমার দ্বারাই তৈরী , সেই মন আমাকেই দিতে নারাজ হলি ? ক্ষিপ্র আমি তোর এই অহংকারে, থাকি না আমি টাকা পয়সা আর পার্থিব জিনিসে। চারিদিকে এতো মন্দির ,এতো ভক্ত - তবুও  তোদের মন এতো তিক্ত! ছিঃ ! ধিক্কার হয় তোদের এই মিথ্যে ভালোবাসাকে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বাঁধতে চাস  আমাকে ? এ হেন সাহস আসে কোথা থেকে ? আসি নি আমি তোর টাকার মন্দিরে থাকতে। দেখ,দুচোখ দিয়ে দেখ ,শুধু দেখ -চারিদিক, দেখ ফুটপাথ ,দেখ ব্রিজ এর নীচ। দেখ প্রাসাদ,দেখ বহুতলা ফ্ল্যাট দেখ দুই দলের মানুষের তফাৎ। দেখ কত মানুষ তোর দিকে আছে চেয়ে, ক

আমার লিখা

ছবি
লিখতে আমি বড্ড ভালোবাসি। আমার লিখায় আছে সব- যা আছে তোমার আমার পাশাপাশি, আর আছে পাখির কলরব ।। আমার লিখা প্রকৃতির সাথে করে মাখামাখি । ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে - শুধু করে চারিদিক দেখাদেখি , ভাবতে থাকে সবার কথা আনমনে।। আমার লিখায় আছে রাস্তাঘাট,গাছপালা, আছে ঝর্নার আওয়াজ - সাথে পাহাড়,জঙ্গল,নদীনালা আর আছে সূর্যের তেজ ।। আমার লিখা আমাকে কাঁদায়,হাসায় আর ভাবায়। আমার লিখা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায় । সেই ছোটবেলায় হাত ধরেছি আমার লিখার, পথে চলতে চলতে হোঁচট খেয়েছি কতবার - তবুও থামি নি লিখা আছে যে সাথে।।

জে.কে.এম -2

সকালটা শুরু আমি ই করি। তোরা শুধু মেজাজেই রইলি। আশা নাকি করিস না তুই। বলিস মুকুল সবসময়ই । দেখলি তো আশা ছাড়া জীবনটাই ছন্নছাড়া  । জয়িতা,কৃষ্ণা সবাই ব্যস্ত যে যার কাজে অভ্যস্ত। সে সেই কাজ নিয়ে খুশি আমিও তাই প্রানভরে লিখছি, তোদের নিয়ে,এটাই তো কাজ আমার, এখানেই থাক আজ।

জে.কে.এম

আমার best school friendsদের জন্য : জে.কে.এম. আমি লিখছি আমার মতো করে । মাঝে মাঝেই মোবাইলটা বেজে ওঠে । জানি এটা তোরা ছাড়া আর কেউ না , তখনই থেমে যায় আমার সব ভাবনা । তোরা যেমন আমার সবচে আপনজন , ঠিক তেমনি লিখাটাও যে আমায় ছাড়া থাকে না একটুক্ষণ । বলতো জয়িতা কৃষ্ণা মুকুল কেমনে করি তোদের আকুল ব্যাকুল ? আমার লিখার সাথে তোরাও চল লিখার হাত ধরে চল যায় জঙ্গল লিখা যদি স্পর্শ করে বাঘকে চল লিখার হাত ধরে আমরাও ঢুকে পড়ি বাঘের খাঁচাতে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় ভরা নদীতে, চল আমরা সাঁতার কাটি লিখার সাথে। লিখা যদি ঝর্না হয়ে নামতে থাকে, আমরাও ঝর্নার আনন্দে মেতে থাকি একে অপরের সাথে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় পাহাড় থেকে চল চেষ্টা করি লিখা যেন বেঁচে থাকে । আমাদের বন্ধুত্বও যেন আজীবন বেঁচে থাকে ।।

আমি কে

আমি প্রকৃতির এক অনবদ্য সৃষ্টি যখন মুষলধারে হয় বৃষ্টি, আর আমি সেই বৃষ্টিতে ভিজতে থাকি মনে হয় আমিই বৃষ্টি হয়ে পড়ছি। যখন আমি নদীতে ডুব দিই। মনে হয় আমি অংশ শুধু নদীর ই নদীর জলে চান করে আমার মন আমি তখন নদী হয়ে যায় কিছুক্ষণ। আবার যখন পাহাড়ের চূড়ায় আমি তখন কেমন পাহাড়ের ভেতর ঢুকে থাকি শুধু মনে হয় আমি ই পাহাড় মনে হয় অনেক উঁচুতে আমি,পাথরে ভর্তি এক খাড়া পাহাড় । যখন সমুদ্রের ঢেউ লাগে আমার শরীরে মনে কখন যেন মিশে যায় ঢেউয়ের সাথে একান্তে গোপনে ভাবতে থাকি বিশাল সমুদ্রের ই সন্তান আমি সমুদ্রের স্রোতে মনকে নিয়ে আমি সাঁতার কাটি । যখন কোনো পাহাড়ের কোল থেকে ঝর্ণা নামছে আর ঠিক তার নিচে আমার শরীর মনকে নিয়ে ভাবছে ভাবছে আনমনে আমি ই যেন সেই দুরন্ত ঝর্ণা । প্রবল বৃষ্টিতে আমি ই তৈরি করি বন্যা। এইভাবে প্রকৃতির সাথে মেখে থাকি আমি কখনো কখনো বুঝতে পারি না কে আমি ? আমি কি প্রকৃতির ই এক সন্তান ? নাকি প্রকৃতিই আমার সন্তান ?

প্রকৃতির উত্তর মানুষকে

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই লিখাটা আমার নয়,whatsapp থেকে নেওয়া।কিন্তু এর উত্তর টা আমার লিখা । from whatsaapp *বর্ষা তুমি শৃঙ্খলা শিখবে কবে?* নিজ অধিকারে তুষ্ট থাকতে হবে। আষাঢ়, শ্রাবণেই তোমার অধিকার জেনো, এই আশ্বীনে বর্ষা উৎশৃঙ্খলতাই মেনো। সমাজের মাঝে নিয়ম মানতে হয়, দেখেছ কি কভু প্রচন্ড শীত ঐ গ্রীষ্মের মাঝে হয় ? বর্ষাকালে  শিশির দেখেছ কভু? নিজেকে তুমি ভাব কি সবার প্রভু? অপরের সুখে গাত্রদাহ নয় শরতের পূজায় বিদায় নিতে হয়। পূজায় লোকের আনন্দ মাটি করো, তাইতো মোরে আজি কলম ধরতে হল! বাকি পাঁচ ঋতুকে দেখে তো একটু শেখো, নিজ দুই মাসেই সীমাবদ্ধ থেকো।                                  ---- আমার লিখা : প্রকৃতির উত্তর মানুষকে মানুষ তুমি তোমার সীমার মধ্যেই থেকো  । আমায় জ্ঞান দেওয়ার আগে নিজেকে ঠিক রাখো । তুমি জানো না গাছ কাটতে নেই ? তোমার তো বিন্দুমাত্র নিজের ভালো মন্দ সম্পর্কে জ্ঞান নেই ? তুমি জানো না জলের অপচয় করা মানা । নদীর জলকেও দূষিত করাটাও মানা । শরৎকালে প্রচুর গরমে ক্লান্ত হলে, আমায় কেন ডাকতে থাকো মনে মনে ? আমি প্রকৃতি কি তোমাদের মতো করে চলবো ? আর তোমরা কি আমায় মেশিনের মধ্

দুই ফুল

একটি গাছের ওপরের কান্ডে গজানো ফুলের সাথে সবচে নিচের কাণ্ডে গজানো ফুলের কথোপকথন : উপরতলার ফুল : আমি সবচে সুন্দর ফুল,কেন জানো ?আমি গাছের সবচে ওপরের ডালে আছি।আমি ওপর থেকে পুরো কলকাতা শহর দেখি।আমার চারিপাশে বিশুদ্ধ তাজা বাতাস।আসলে আমার বাবা মা ওই বাজে মাটি তে জন্ম নিলে কি হবে,আমি ভাগ্যবান তাইতো আজ ওই অশুদ্ধ মাটি থেকে উঠে আসতে পেরেছি। নিচের তলার ফুল : কিন্তু আমি তো মা বাবার খুব কাছে আছি।এই যে শিকড় যেখান থেকে তোর আমার দুজনের ই জন্ম,তার কত কাছে আমি। জানিস তো বোন,আমি বাবা মার ছায়ার মধ্যে থাকি,এর চেয়ে বড় সুখ কি আর আছে ? উপরতলার ফুল : কিন্তু বোন তুই শুধু একতলা বাড়ি আর মাঠ ঘাট দেখতে পাস,আমি এখান থেকে সব দেখতে পাই,বিশাল বড় প্রাসাদ,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত। আমি তো রাজা রে। নিচের তলার ফুল : তা অবশ্য পাস । কিন্তু দেখিস বোন,সাবধানে থাকিস। বাবা মা আর আমরা তোর থেকে অনেক দূরে আছি। নিজে নিজের যত্ন নিস । তোর পাশ দিয়ে যে পাখিগুলো উড়ে যায় তাদের একটু দেখভাল করিস ।বলা তো যায় না কার কাকে কখন দরকার পড়ে  । উপরতলার ফুল : তুই চিন্তা করিস না । আমি রাজাই থাকবো । তোর সাথে ও কথা বলে আনন্দ পাই না,তু

চাকুরে মহিলা

সমাজ বদলেছে।বদলেছে সভ্যতা।জনসংখ্যা বেড়েছে।কিন্তু মানুষ উন্নত হয়েছে । ঘরে ঘরে দুটোর বেশি তিনটে বাচ্চা দেখা যায় না।তবুও জনসংখ্যা বেড়েছে। তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে মৃত্যুর হার কমেছে।তাহলে বলাই যায় যে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে । বোধ হয় একটু বেশিই উন্নত হয়েছে । উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে।তাই এবার নামার সময় হয়েছে আর সেই কারণেই ঘরে ঘরে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে,দূষণ বাড়ছে,বৃদ্ধাশ্রম ও বেশি করে গড়ে উঠছে।মানুষের চাহিদা বেড়েছে।বেড়েছে আরামে থাকার খরচ। বেড়েছে প্রতিযোগিতা।বেড়েছে বাচ্ছাদের ওপরেও সেই চাপ চাপিয়ে দেওয়া। ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকরি করছে।একজনের কামায় ইয়ে চলছে নে সংসার । কোন সংসার ? যে সংসারে মাত্র দুটো বাচ্চা আর তাদের বাবা মা।আগেকার দিনে তো ঘরে ঘরে 5-6 টা বাচ্চা থাকতো,আর শুধু ছেলেরাই টাকা রোজগার করতো।সমাজ উন্নত হল বলেই তো ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকুরী করছে। মেয়েরা চাকরি করবেই না বা কেন ? কোনো নিশ্চয়তা নেই তো যে মেয়ে টাকে বিয়ের আগে বাবা আর বিয়ের পর তার স্বামী সমস্ত চাহিদা মেটাবে ।কত অত্যাচার মেয়েরা সহ্য করেছে বলেই না মেয়েরা আজ বদলেছে।চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এমন কি গ্রাম গুলোতেও একই ছবি দেখা যায়।যে বাবা মা এর কোনো

শিক্ষক দিবস

আজ শুভ শিক্ষক দিবস -২০১৭। আজ একটা অদ্ভুত রকমের অনুভূতি হলো যার জন্য কাজে মন বসাতে পারছি না। প্রচুর কাজ আছে , ভেবেছিলাম আজ অনেকটাই কাজ টা সেরে ফেলবো। কিন্তু আজ তোমাদের প্রোগ্র্যাম আমার মন কে এতটাই নাড়িয়ে দিলো যে আমি কেমন আনমনা হয়ে ভাবতে বসে গেলাম আমার ফেলে আসা স্টুডেন্ট জীবন। বাঁকুড়ার এক গ্রামে আমার পড়াশুনো ,জীবনে শুধু পড়াশুনোটাই করে গেছি আর কিছু করে উঠতে পারি নি। সেই আফসোস আজ ও মন কে নাড়া দেয়। তখনকার দিনে গ্রামে টিভি দেখা, নাচ ,গান এইসব কিছুই সেই সমাজের কাছে বাজে হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তার মধ্যেই অনেকে গান /নাচ শিখেছে বাবা মার্ বিরুদ্ধে গিয়ে। আমি সেটাও পারলাম না।        কিন্তু যাই বলো তোমাদের প্রোগ্রাম দেখে আমার স্টুডেন্ট লাইফ এ ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে খুব।তাইতো আজ এখনো কলেজ এ বসে তোমাদের কথাই ভাবছি। দেখতে দেখতে ১৬ টা বছর পেরিয়ে গেল। ১৬ বছর আগে আমিও তোমাদের মতো স্টুডেন্ট ছিলাম।এখনো অবশ্য আমি স্টুডেন্ট আমার স্যারদের এর কাছে। আবার আমি শুধু তোমাদের ই টিচার নোই, আমি আমার মেয়েরও টিচার। তাই একইরকমভাবে শুধু আমরাই তোমাদের টিচার নোই, তোমাদের সবার প্রথম টিচার হল তোমাদের বাবা মা। তাই তোমাদের  সব্বা

মেঘ -বৃষ্টি

মেঘ -বৃষ্টি এইবছর যাই বলো ,মেঘটা খেলছে ভালো লুকোচুরির খেলায় মেঘটাই জিতলো। বৃষ্টি টার কি হয়েছে কি জানি ,শুধু হারছে মেয়ে বলেই কি মেঘ কে জিতিয়ে দিচ্ছে ? আকাশ টা মা হয়ে কি ভাবছে ? তাহলে শুধুই কি মেঘ কে ভালোবাসছে ? মা রা কি ছেলেদের কে বেশি ভালোবাসে ? বৃষ্টি টা বড্ডো কাঁদে অনায়াসে। এই বৃষ্টি কেঁদে আর  কি করবি  ? এবার থেকে তুই ই শুধু জিতবি। বড্ডো ঝগড়া করিস ভাই বোনে দুজনেই আসতে পারিস  না সমানে সমানে ?

আজ, বৃষ্টির সাথে

আজ, বৃষ্টির সাথে  আজ দিনটা লাগছে বেশ ভালো ঘরে নেই তেমন কোনো আলো , আমি আছি একা ,সাথে বৃষ্টি এক পশলা জানালা টা সকাল থেকেই যে খোলা। আজ দিনটা সত্যিই লাগছে বেশ আজ নেই কারো সাথে কোনো রেশ। আজ আমি উন্মুক্ত একদম বাঁধন ছাড়া আজ আমার কোথাও যেতে নেই কোনো মানা। জানলা দিয়ে লাগছে বেশ আমার প্রকৃতি কে খেজুর গাছের পাতাগুলো জানালার কাঁচগুলো কে বৃষ্টি দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে বারে বারে ইচ্ছে করছে কাঁচের জায়গায় আমি ই থাকি পাতার আদর খেতে। সন্ধ্যে হলেই বাড়ি যাবো আবার তখন বন্ধনে জড়াবো আবার আমার পরিবারে বন্দি হবো এমনি করেই একবার বন্ধন ছাড়া একবার বন্দি রবো।

ইচ্ছে

ইচ্ছে  ইচ্ছেগুলো মনের কোনে থেকে মনকে খোঁচা মারলে ভালো ইচ্ছেগুলো পূরণ না হলেই  সব হয় এলোমেলো। ইচ্ছেগুলো আকাশকুসুম হলে পূর্ণ হলে ,খুব ভালো লাগে ব্যর্থ হলেই বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও থাকে না আর মনে। ইচ্ছে পূরণ না হলে বদলে ফেলো ইচ্ছে কে  আঁকড়ে আর কদিন ই বাঁচবে সাথে নিয়ে সেই জেদ কে। তুমিও দেখিয়ে দাও অনেক রাস্তা তোমার খোলা অনেক রাস্তায় - তোমারি জন্য জ্বলছে কত আলো। ইচ্ছে পূরণ না হলে আত্মহত্যা করাটা বোকামো ইচ্ছের কাছে নিজেকে সপেঁ দেওয়াটা মুর্খামো। একটা ইচ্ছে পূর্ণ না হলে বসে থাকো পরের বছরের জন্য কিংবা বদলে ফেলো ইচ্ছেটাকে নিজের জীবনের জন্য।

স্বপ্ন

স্বপ্ন অনেকগুলো স্বপ্ন পূরণ করে কিছু স্বপ্ন ব্যার্থ হয়ে আরো কিছু নতুন স্বপ্ন কে পূরণ করার উদ্দেশ্যে এখনো আমি হেঁটে চলেছি স্বপ্নের সাথে ,স্বপ্ন কে ভালোবেসে আর স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন পূরণ করে রওনা দেব কবে বিদেশে। স্বপ্ন ছিল ভালোবাসায় ভরিয়ে দেব আমার বোন কে কিন্তু সময় কাটাতাম না একটুও তার সাথে। ভুলটা এখন বুঝতে পেরে ভুলের প্রায়শ্চিত্ব করে উপায় নেই সময় কাটাবো তার সাথে নতুন করে। এখন সে যে অতীত ,তাকে কি করে ফেরায় তার আর আমার মাঝে শুধুই দেওয়াল। এই ভুল থেকে শিখলাম -স্বপ্ন শুধুই দেখতে নেই স্বপ্ন দেখলে তার পিছু ছাড়তে নেই। এমনেই এক স্বপ্নের মুখে আমি,যাকে দিই না সময় সবার আগে ভরিয়ে দিতে হবে তাকে ভালোবাসায় কিন্তু সেই জটিল তত্ব ফর্মুলা কিছুই যে ঢোকে না মগজে তবুও পিএইচডি টা কমপ্লিট করতেই হবে যে আমাকে। জানি না কিভাবে  কোন পথে হাটবো আমি যখনই তাকে  নিয়ে বসি আমি ,আঁখি শুধু ছলছল শুধু   বলতে থাকি পার করে দাও ভগবান দেখাও পথ ,পূরণ করে দাও আমার স্বপন।

স্বান্তনা

মা গো তোমার মতোই অভিমানী আমি তাও সকাল সকাল ঝগড়া করলে তুমি ? মাগো তোমার কষ্টে আমিও কষ্ট পাই এইটুকু বয়সে সেটা কি করে বোঝাই ? মাগো ঝগড়া টা বন্ধ কারো বাবার সাথে ক্ষতি হয় তোমার আর আমার তাতে। মাগো বাবার কি কিছু যায় আসে তোমার কষ্টে? তাহলে সেই বেদনায় জড়াচ্ছো কেন আষ্টেপৃষ্টে ? মাগো তাড়াতাড়ি বড়ো করো আমায় তোমার নিঃসঙ্গতা যে কাটাতে চায়। মাগো তুমিই তো বলো আমি বড় হলে তুমি আমি যাবো একসাথে সিনেমাহলে। মাগো তোমায় আমি বড্ডো বাসি ভালো দেখবে,বড়ো হলে তোমার জীবন করবো আলো। মাগো ততদিন একটু ধর্য্যো ধরো যতদিন না হচ্ছি আমি বড়ো। মাগো ততদিন ঝগড়া টা কম করো আর আমায় শুধু আদর করো। (৫ বছর বয়সের মেয়ের মা কে দেওয়া সান্ত্বনা )

বাবা তোমার জন্য

ছবি
বাবা তোমার জন্য দেখতে দেখতে কেটে গেলো তোমার ৭০ টা বছর। ইচ্ছে করছে আজ তোমার মুখ  থেকে কিছু শুনি জীবন সম্পর্কে তোমার কি মতামত। তবে তোমারটা শোনার আগে কিছু কথা আমি বলি যেগুলো আমি কখনো ভুলবো না।     ফিরে যাওয়া যাক পুরানো দিনগুলোতে। সেই তুমি কখনো সাদা জামা ছাড়া অন্য কোনো রং এর  জামা পরে স্কুল এ যেতে না। সত্যি তোমার ব্যক্তিত্বের কোনো তুলনা হয় না। তুমি ছিলে আমার স্যার।  প্রচুর ভয় পেতাম তোমাকে।ঘরের মধ্যে বা স্কুল এ সব জায়গাতেই তোমাকে ভয় পেতাম।স্কুলে তোমার সাথে আমার্ সম্পর্কটা ছিল শুধুই স্যার আর ছাত্রীর সম্পর্ক। কিন্তু ঘরে তুমি এক দায়িত্ববান পিতা। তুমি ক্লাসরুমে ঢোকার আগেই শুরু করে দিতে তোমার বক্ত্যব্য ,তুমি কি পড়াতে চাও সেইসব। ঠিক তেমনি বাড়িতেও  ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম সবার হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা এতগুলো বোন ,সাথে থাকতো দাদা।  সব মিলে ৭ জনের হোমওয়ার্ক ,বিভিন্ন ক্লাস এর হোমওয়ার্ক।শুধুই কি হোমওয়ার্ক ? ভোরে দিতে হোমওয়ার্ক আর খুব সকালে মা এর সব গামলা ভরিয়ে রাখতে ,কুয়ো থেকে জল তুলে।গামলা ,কলসি  সব পাত্র গুলো ভরিয়ে রাখতে।  চা করাটা কার কাছে শিখলাম সেটা মনে নেই। তবে একটা বকুনি না

প্রকৃতি

ছবি
এই যে তুমি ,তোমরা কখনো ভগবান কে দেখেছো ? যাকে তোমরা কখনোই দেখো নি তাকে তোমরা কত ভালোবাসো ,তাঁর জন্য কত মন্দির তৈরী করেছো, কত পুজো দাও ,কত উপোস করো। সেই ভগবান কে নিয়ে তোমাদের কত আদিখ্যেতা। একবার ভেবে দেখো তো যদি তোমরা তাকে দেখতে পেতে তাহলে কি একইরকম ভাবে ভালোবাসতে ? কিছু কিছু জিনিস অদৃশ্য থাকাই বোধ হয় ভালো ,এতে সেই অদৃশ্য জিনিসের মূল্য বেড়ে যায়। হঠাৎ করে কোনোদিন যদি সারা বিশ্বে দৈববাণী হয় যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে পুরি তে ভগবান আসছেন সব মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ,যেটা সম্ভব নয় ,তবুও তর্কের খাতিরে যদি এমনটাই ধরে নিই ,কী হবে তোমাদের প্রতিক্রিয়া ? আমার তো মনে হয় বেশিরভাগ মানুষ দুদিন আগে থেকেই ওখানে হাজির হবে ,আর বাকিদের মধ্যে কিছুজন নিজেকেই ভগবান ভাবে বা ভগবানে বিশ্বাস করে না বলে যাবে না ,আরও কিছুজন সুখী বলে যাবে না। ভগবান কিন্তু কাউকে সারাজীবন অসুখী রেখেছে এমনটা নয়,তবে সুখ জিনিষটা আপেক্ষিক ব্যাপার, তবুও যারা ভগবানের কাছে বর্তমানের সমস্যার কথা জানাবে তারাই অতীতের সুখের কথা জানাবে না।  তাহলে সেই ভগবানের সেই বিশেষ দিনের কথা ভাবা যাক। শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ শুনে যাবেন ভগবান। এতো চিৎকা

চিনি না

চিনি না  কেমনে আমি চিনিব তোমায় যে আমি চিনি না আমায়। দোষীও না আমারে , ঠাঁই দিও তোমার হৃদয়ে। কভু কখনো ভুল করিলে  , শাসন করিও আমায় পিতার মতো করে। এখন এই ব্যস্ত জীবনে , খুঁজে পাই না তোমার ভালোবাসা কে। তুমিও তো মানুষ, তোমার তো চাই - তবুও তোমার চোখে চিহ্নটুকু কেন নাই ? এমন সুপ্ত ভালোবাসা কভু দেখি নাই - যার কোনো কিছু চাওয়া পাওয়া নাই। সখা প্রকাশ করো নিজেকে , উজাড় করে দাও,মেতে ওঠো আনন্দে। ভাসিয়ে দাও শরীর  প্রেমের আকাশে , আর হারিয়ে দাও মন মাটির সবুজে। ছোট্টো এই জীবন আর ছোট্টো এই সংসার - ভরিয়ে দাও রং আর ভালোবাসায়। 

ভগবান

ভগবান তুচ্ছ আমি ,তবু তোমারেই সৃষ্টি , তুচ্ছ এই পিপীলিকা ,সেও তো তোমারেই সৃষ্টি। যদি তুমি হও মহান শক্তি , কেন এতো অবিচার অন্যায় রক্তারক্তি ? যদি তোমার হৃদয় এতো বড়, মানুষের পূজোয়, উপোসে সত্যিই কী তুমি দাও সাড়া ? এতো মন্দির ,এতো মানুষের এতো প্রার্থনা সত্যিই কী তোমার মন কে দেয় নাড়া ? কিছুই মেলাতে পারি না, তুমি সত্যিই খুব গভীর আমার কাছে তুমি সংজ্ঞা হীন ,অসীম এই জগতের এতো লীলা, সে ও কি  তোমারেই খেলা ? সূর্য ,চন্দ্র ,পৃথিবী সেও কি তুমি, তুমি কে গো সেই অন্তর্যামী ? আমার কাছে তুমি এই মহাবিশ্বের ডিরেক্টর , আর আমরা চরিত্র তোমার লেখা নাটকের। কিছু ভালো হলে সবাই বলে নিজে করেছে , কিছু খারাপ হলে বলে ভগবান দেখছে না। কারো মন বদলে যাওয়া ,ভাগ্য খুলে যাওয়া, আমি বলি সবই তোমার করা। এটাও মানি সবার অন্তরে থাকো তুমি অসীম শক্তিধারী তুমি সেই তুমি জাগো অন্তর হতে জাগো।

পরিবর্তন

পরিবর্তন  আজকালকার বাচ্চারা শৈশব হারিয়েছে। হারিয়েছে spontaneousness,natural way te বড়ো হওয়া।আমাদের সময় যৌথ পরিবারের মধ্যে বড় হওয়াতে এখনকার বাচ্চাদের মতো মা কে কাছে পেতাম না। আর সেই জন্যে নিজে নিজে খেতে শিখে যেতাম কম বয়সেই। বন্ধু একটা বিশাল জিনিস ছিল। বিকেল হলেই খেলতে যাওয়া।এখনকার বাচ্চারা পুরো অন্য রকম। তাদের মা বাবা ছাড়া কেউ নেই। মা বাবা আবার থেকেও নেই। কারণ তাদের ব্যস্ত জীবন। আমরা মা বাবা কে না পেলেও কাকু কাকী পিসি ঠাম্মা দাদু কতজনকে পেতাম কাছে। এখনকার বাচ্চারা বডো একা। কি জানি কি ভবিষ্যৎ  এদের। এদের পৃথিবী টা বাংলা কিন্তু স্কুল টা ইংরেজি। এরা স্বপ্ন দেখবে বাংলা তে কিন্তু পড়াশুনো করবে ইংরেজি তে। বাংলা কে অবহেলা করে তাড়াতে চাইলেও পারছে না কারণ এদের রক্তে বাংলা বংশে বাংলা। এরা ইংরেজী তে কথা বলবে বেশ ভালো কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ কে জানবে না। এরা যতই পরীক্ষা দিক না কেন এরা একটি মেশিন তৈরী হবে। একটা সময় আসবে এরা প্রকৃতির খামখেয়ালীকে মেনে নিতে পারবে না। দোষ এদের না, দোষ এই সমাজের।এরা প্রকৃতি কেও নিজের হাতে আনতে চাইবে। এরা ভাবতে জনবে না। ভাবার মতো এদের কে সময় দেওয়া হয় না। দুই বছর ব

তুমি

ছবি
তুমি আমিই  সেই  মেয়ে, ভেসে বেড়াই কল্পনার ভেলায়। তুমি বাস্তব, বড্ড কঠিন , আমাকেও করেছো রংহীন। ভেবেছিলাম তোমায় আমি রাঙ্গাবো , তোমাকে আমার ভেলায় ভাসাবো। বাস্তব তুমি,হারিয়ে দিয়েছো কল্পনাকে , কল্পনা তুমি মুল্যহীন,রাখো আড়ালে নিজেকে।  আমিই  সেই  মেয়ে, স্বপ্ন দেখি দিবালোকে। তুমি ভাবো  টাকায় পেট ভরে , আমি ভাবি ভালোবাসায় মন ভরে। তুমি বলো মন ভরলেই কি পেট ভরে ? আমি বলি ভালোবাসা অসাধ্য সাধন করে। তুমি ভাবো কাল বাদে পরশুর কথা। আমি ভাবি মজায় কাটুক আজকের দিনটা। আমিই  সেই  মেয়ে, বৃষ্টি হয়ে পড়তে চাই তোমার গায়ে। তুমি ভিজলেও তোমার মন ভিজবে না, তবু আমি তোমার কাছে হার মানবো  না। তুমি এইরকমই বড্ডো নির্বিকার , আমার মন করে হাহাকার। তোমার জন্যই আজ আমি কবি , হয়ে শুধু ভালোবাসার কথাই ভাবি।