শিক্ষক দিবস

আজ শুভ শিক্ষক দিবস -২০১৭। আজ একটা অদ্ভুত রকমের অনুভূতি হলো যার জন্য কাজে মন বসাতে পারছি না। প্রচুর কাজ আছে , ভেবেছিলাম আজ অনেকটাই কাজ টা সেরে ফেলবো। কিন্তু আজ তোমাদের প্রোগ্র্যাম আমার মন কে এতটাই নাড়িয়ে দিলো যে আমি কেমন আনমনা হয়ে ভাবতে বসে গেলাম আমার ফেলে আসা স্টুডেন্ট জীবন। বাঁকুড়ার এক গ্রামে আমার পড়াশুনো ,জীবনে শুধু পড়াশুনোটাই করে গেছি আর কিছু করে উঠতে পারি নি। সেই আফসোস আজ ও মন কে নাড়া দেয়। তখনকার দিনে গ্রামে টিভি দেখা, নাচ ,গান এইসব কিছুই সেই সমাজের কাছে বাজে হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তার মধ্যেই অনেকে গান /নাচ শিখেছে বাবা মার্ বিরুদ্ধে গিয়ে। আমি সেটাও পারলাম না। 
      কিন্তু যাই বলো তোমাদের প্রোগ্রাম দেখে আমার স্টুডেন্ট লাইফ এ ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে খুব।তাইতো আজ এখনো কলেজ এ বসে তোমাদের কথাই ভাবছি। দেখতে দেখতে ১৬ টা বছর পেরিয়ে গেল। ১৬ বছর আগে আমিও তোমাদের মতো স্টুডেন্ট ছিলাম।এখনো অবশ্য আমি স্টুডেন্ট আমার স্যারদের এর কাছে। আবার আমি শুধু তোমাদের ই টিচার নোই, আমি আমার মেয়েরও টিচার। তাই একইরকমভাবে শুধু আমরাই তোমাদের টিচার নোই, তোমাদের সবার প্রথম টিচার হল তোমাদের বাবা মা। তাই তোমাদের  সব্বাইকে একটা কথাই বলবো যে টিচার্স ডে তে সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে বাবা মা কে প্রণাম করে বাবা মা কে হ্যাপি টিচার্স ডে উইশ করা উচিত।শুধু তথা কথিত কিছু টেক্সট বুক পড়ালেই কি টিচার্স হওয়া যায় ?টিচার্স সে ই হয় যে শেখায়। জীবনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো বোধ হয় বাবা মা রাই শেখায়।তাই নয় কি ?
তোমাদের প্রোগ্র্যাম আমার মন কে ছুঁইয়ে গেলো। একদম ঠিক একদিন তোমরাও কারো না কারো টিচার হবে। আবার তোমাদের মধ্যে অনেকে এখুনি টিচার হয়েও গিয়েছো হয়তো। কিভাবে ?অনেকে টিউশন পড়িয়ে সেই টাকায় পড়াশুনো করছে। আবার কেও হয়তো ফাঁকিবাজ রুমমেট কে বোঝাতে বোঝাতে পাগল হয়ে গেলে। আবার কেও হয়তো বন্ধু কে জীবনের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে বোঝাতেই থাকে যাতে সে বিপথে না যায়। এরাই তো আসল টিচার। তাই নয়  কি ?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ