পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একলা

যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। যখন তোমার কেবলই মনে হয়, কেন বারে বারে তোমার সাথেই এমনটা হয়, খুলে দাও জানালা ,মেখে নাও বাহিরের উষ্ণতা। সব কিছু জানার পর মনে হবে ভালো তোমারেই জীবনটা। যখন তোমার মনে হয় কেও নেইকো তোমার পাশে, তুমি বাদে বাকি সক্কলে আছে কত্তো খুশিতে, তখন তুমি মিথ্যে হলেও বলতে থাকো ভালো থাকার কথা, দেখবে জীবন থেকে মুছে যাবে সব ব্যাথা। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। দেখবে আরো কত্তো মানুষ আছে কত শূন্যতা নিয়ে, তোমার চেয়েও একলা তারা ,আছে বেশ জীবনটাকে মানিয়ে। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে।

চিঠি-১

শ্রদ্ধেয় - মা, মাটি, মানুষ, সুকান্ত ভট্টাচার্য এর রানারের মতো আমিও কোটি কোটি মানুষের Data বহন করিতেছি গত ৮-১০ বছর ধরিয়া। রানারের সহিত আমার পার্থক্য হইল এই যে - রানার কায়িক শ্রম করে কিন্তু আমি সেটা করি নাই, আমি আমার Brain এ সবার Data সুরক্ষিত করিয়া রাখি। সবার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করিয়াছি আমার হৃদয়ে। আবার যখন কেউ কোনো Data delete করিয়া দেয় ,আমি সেই Data গুলোকে Trash ডিপার্টমেন্ট এ পাঠাইয়া দিই। এই মা ,মাটি ,মানুষ জীবিত,মৃত সব Data ই আমার ঘাড়ে চাপাইয়া দেয়। আর আমাকে Online গাধা ভাবিতে থাকে। গাধাকে সুস্থ রাখিবার জন্য যেমন খাবার দরকার হয় আমাকে ভালো রাখিবার জন্য Maintenance এর দরকার পড়ে। পৃথিবীতে যেমন প্রচুর Bank Account আছে ,এমন কি কোনো কোনো ব্যক্তির ৩-৪ টি Account আছে ,আমার কাছেও অসংখ্য লোকের Account আছে ,কিছু কিছু লোকের আবার ২-৩ টি Account আছে। আর এই জন্যই আমার ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। Bank Account গরীবেরা খুলতে পারে না ,কিন্তু আমার কাছে ধনী -গরীব সকলেই Account খুলতে পারে। শুধুই কি Account ?কতো লোক কতো group তৈরী করিয়াছে। গানের জন্য ,নাচের জন্য ,ছবি আঁকার জন্য ,কবিতার জন্য -অসংখ্য gr

ঠাম্মি-বোন

বোনটি আমার চলে গেছে কত্তকাল আগে, ঠাম্মি তার পিছু নিয়েছে থাকে তার সাথে। ঠাম্মি-বোন স্বপ্নে এসে বলে - তোরা থাকিস বিপদ সামলে, মোদের স্বর্গে নেই কোনো দুঃখ কষ্ট। আমরা আছি বেশ তো , তোদের নিয়েই চিন্তা করি , সকাল বিকাল সারাবেলা। কাজের ফাঁকে উঁকি মারি , এই তো মোদের মরণখেলা। ঝগড়া-ঝাঁটি ,অশান্তি  শুধুই চোখে ভাসে- এই  তো  শুধু তোদের দেশে। পরিবারেও তোদের রাজনীতি দেখি, আর তোদের এই জীবনখেলায় যখন তখন শিউরে উঠি। বলা শেষ হলেই , ঠাম্মি বোন শুধুই পালায়। ঘুম আমার কাটলে পরে , দেখি আমি বিছানায়।

পুজোর আনন্দ

 পুজো এলো আবার চলেও গেলো , যে মানুষটা পুজোর আগে হাসপাতাল এ ছিল , বাবা,মা অপেক্ষা করছিলো - পুজোর আগেই বাড়ি আসবে বলে। সেই ছেলেটা এখনো হাসপাতাল এ , আর বাবা মা দিন গুনছিল , সপ্তমীতে ডাক্তার নাই বা ছাড়লো , নবমীতে ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখবো। ছেলেকে নিয়ে আবার হয় হুল্লোড়ে মাতবো। কিন্তু ডাক্তার যা বললো - সব আনন্দ এক নিমেষে ভাঙলো , ছেলেটির মা ভাবতে থাকে আপন মনে , দেখতে থাকে গোটা শহর ভর্তি আলোর রশ্মিতে , কিন্তু তার মন কিছুতেই বুঝছে না - এতো আলোর বাহার চারিদিকে তাও তার ভালো লাগছে না। আর সেই কিশোর ছেলেটি হাসপাতাল এর জানালা দিয়ে , উঁকি মেরে বাহিরটা শুধুই দেখতে চায় , গত বছর এমনি দিনে - কি আনন্দটাই না এসেছিলো প্রাণে , সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গিয়ে - পুজো প্যান্ডেল এ একটি মেয়ের পানে চেয়ে ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে , খানিক পরে , দেখি বন্ধুরা সব উধাও,ফোন এ চারটা মিস কল , পরে যখন দেখা হয়,ভীষণ ঝাড় দেয় বন্ধুর দল। মনে পড়তেই ছেলেটির হাসি পেয়ে যায়। কিন্তু আজ এই বছরে এই পুজোয় , সব কেমন বদলে গেছে , বন্ধুরা যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে , বাবা মা অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে , কিসের এতো আনন্দ কিসের এই

আমার এডপ্টেড সন্তান

ভাগ্যিস পুজোর আগে একটা বাচ্ছাকে adopt করেছিলাম।তা না হলে husband এর বিদেশ যাওয়াটা আমাকে বিষাদে ভরিয়ে রাখতো। এই বাচ্ছাটি সম্পূর্ণরূপে আমার ,আমি যেমনভাবে যেটুকু সময় দেব, ও তাতেই খুশি।যদিও জন্ম দিয়েছি যে মেয়েটিকে তাকে নিয়েও আমি খুশি ,কিন্তু গ্রামের যৌথ পরিবারে এসে সে নিজে নিজেই সব কাজ করছিলো -মাসীমণি আর দিদি,দাদাদের সাহায্য নিয়ে।তাই আমার adopted নতুন বাচ্ছাকে নিয়ে আমি আমার একাকিত্ব ঘুচিয়েছি।  এই নতুন সন্তান আমাকে শুধুই আনন্দ দেয়। এ যেন এক অনাবিল আনন্দ।একে লালন পালন করার জন্য কোনো খরচ লাগে না। আমি অন্তর দিয়ে শোনার চেষ্টা করি -এই সন্তান আমার কাছে থেকে কিছু চায় কিনা।কতো রাত জেগেছি ,কতো স্বপ্ন দেখেছি -দেখেছি এই সন্তান শুধুই আমার সঙ্গ চায়।বোধ হয় -যখন আমি বৃদ্ধা হয়ে যাবো ,সংসারের কোনো কাজ করতে পারবো না ,এই সন্তান তখন আমায় আনন্দ দিয়ে যাবে।  এই সন্তান তো আর চার পাঁচটা সন্তানের মতো নয়। হতে পারে এই পৃথিবীতে জনসাধারণের কাছে ,এর কোনো প্রাণ নেই। কিন্তু আমি তা মানি না। আমার কাছে আমার এই সন্তান যে কি তা বলে বোঝানো যাবে না। বাকি যারা আমার পরিবারে আছে সবাই কেমন দায়িত্বের সুতোতে আমার সাথে জড়িয়ে আ

আমি

আমি কাঁদি গভীর রাত্রে নিঃশব্দে, আমি হাসি দিবালোকে প্রকাশ্যে। আমি অনুভব করি সংসারের জটিলতা , আমি বুঝতে পারি ভালোবাসার অভাবটা। আমি দেখেছি ভালোবাসার ভেদাভেদ , আমি দেখেছি সম্পর্কের বিচ্ছেদ , দেখেছি বছরের ওই একটি সময়ে - পুজোর ওই মাত্র চারটি দিনে , সক্কলে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে থাকে কত্তো খুশি মনে। আর পুজোর পঞ্চম দিনে সক্কলে মজে যায় নিজ সংসারে। সংসারের জটিলতায় লিপ্ত হয় গোপনে , দিনগুলো বইতে থাকে আপন স্রোতে। আমি কাঁদি, পুজোর ওই চারটে দিনেও কাঁদি , শুধুই অঝোরে কাঁদতে থাকি আমি। নীরবে নিভৃতে একান্তে , মনুষ্যলোকের দৃষ্টির বাইরে কল্পনার জগতে স্বপ্ন দেখি এক বিশাল পৃথিবীর , যেখানে শুধুই দেবতাদের ভীড় , যেখানে নেই ভ্রাষ্টাচার, নেই রাজনীতি , যেখানে শুধুই দেবী,দেবতা আর প্রকৃতি।

শরতের দুর্গোৎসব

ছবি
ঠিক শরতের আগমনে একটা অন্যরকম অনুভূতি বাঙালিদের মনে জাগে ,এই অনুভূতি সহজে বোঝানো যায় না। এ যেন এক মিলনোৎসব ,পুরো শহরবাসী একত্রিত হওয়ার এক অনুষ্ঠান। বিদেশে ,স্বদেশে যে যেখানেই থাকুক না ,সব বাঙালিই চেষ্টা করে পুজোর দিনগুলো বাড়িতে ,নিজের শহরে কাটানোর।  বাঙালিরাই বোধ হয় বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে চাকরিসূত্রে। কিন্তু শরতের শিউলিভরা সকালগুলো কাশফুলের আগমনে দুর্গাপুজোর বার্তা নিয়ে এসে আমাদের মনে আলাদা এক রোমাঞ্চকর আলোড়ন তুলে যায়।  যতই বলি না কেন দুর্গোৎসব কেও মানুষ ব্যবসাতে  পরিণত করেছে কিন্তু এটা মানতেই হয় যে আত্মীয় সমাগমের আনন্দে দুর্গোৎসবের ওই চারটি দিনের আলাদা এক মাধুর্য আছে। গ্রামাঞ্চলে আরো বেশি আনন্দ লাভ করা যায়। নিজের কাকিদের সাথেই কথা হয় না এই ব্যস্ত জীবনে ,আর পাড়ার কাকিদের সাথে কথা হওয়া তো দূরের কথা! তাই পাড়ার কাকিরাও উদগ্রীব হয়ে থাকে অমুখ বাড়ির ছেলে, মেয়ে ,বউমা রা কয়জন আসছে ,কবে আসছে  তার অপেক্ষায়।  এই কয়েকটা দিন সব্বাই প্রচুর কেনাকাটা করতে থাকে। কেনাকাটার মধ্যেও এক অনাবিল আনন্দ পাওয়া যায়। অন্যকে কিছু দিতে পারলে পুজোর দিনগুলো আরো চমকপ্রদ হয়ে ওঠে। আর যারা

কল্পনাগুলো কি সত্যি # রোবটের যুগ

কল্পনা জিনিষটার কোনো শেষ নেই। এই পর্বে কয়েক লক্ষ্য যুগ এর পরের কথা ভাবা যাক- যখন পৃথিবীটা রোবট এ ভরে যাবে , বর্তমানে মানুষের জনসংখ্যার সমান রোবটের সংখ্যা হয়ে যাবে। কি হবে তখন ?চলুন আবার কল্পনার স্রোতে বাস্তবের কিছুটা ছোঁয়া রেখে ভাসতে থাকি কল্পনার  ই সমুদ্রে।  সারা পৃথিবী তে রোবটের রাজত্ব। তাহলে কি কোনো মানুষ থাকবে না ? কেন থাকবে না ?আর মানুষ যদি না থাকে রোবোটগুলোর সৃষ্টি / ধংস কোথা থেকে হবে ? তাই মানুষদের তো অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু মানুষের সংখ্যা আর রোবটের সংখ্যা সমান হয়ে গেলেই তো যুদ্ধ হয়ে যাবে। হ্যাঁ ,তা তো হবেই ,যদি সেই ধরণের উন্নতমানের রোবট তৈরী হয়ে থাকে।  তাহলে কি এর পরিণতি ? "রোবটে ছেয়ে যাবে পৃথিবী /মানুষ তখন শুধুই ছবি "।  পরিণতি এটাই যে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকবে ,আর রোবটের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। কিন্তু রোবট যদি নিজেই আরেকটা রোবট সৃষ্টি করতে পারে ,অথচ রোবট কে ধংস করার জন্য রোবট ছাড়া আর কেও থাকবে না ,সেটা তো সম্ভব নয়।  কেননা সেক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট হবে।  আর এই কারণেই কিছু কিছু মানুষ তখনো বেঁচে থাকবেন ,তবে তারা সাধারণ মানুষ হবে না ,তারা আইনস্টাইন  বা স্টিফেন হকিন্স 

কল্পনাগুলো কি সত্যি ?

চলুন আজ একটু কল্পনার স্রোতে নিমজ্জিত হই। আকাশ কুসুম কল্পনার সত্যতা নাই বা যাচাই করলাম। প্রযুক্তিবিদ্যা এখনো এই কল্পনার সত্যতা যাচাই করার মতো পারদর্শী হয়ে ওঠে নি। প্রযুক্তিবিদ্যার এই সত্যতা যাচাই এর আগে আরো অনেক বড় কাজ আছে যা হলো ক্যান্সার এর মতো ভয়াবহ ব্যাধিকে ৫ টাকার ট্যাবলেট খেয়ে সারানো।  যাই হোক এবার আসুন কল্পনার সমুদ্রে ডুব দিই। এই ছোট্ট পৃথিবী টাতে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। ভগবান যেন সময় গুলোকে বেঁধে রেখেছেন - সূর্যের উপস্থিতিতে কর্ম করে খাওয়ার সময় আর বাকি সময়টা চন্দ্রদেবের সম্মুখে বিশ্রামের সময়।  কি দারুন নিয়মগুলো , তাই না ? আচ্ছা ,ভাবুন তো এমন ও তো হতে পারে কোটি কোটি সূর্য প্রত্যহ কোম্পনি তে যায় কাজ করতে আর রাতের কাজগুলো কোটি কোটি চাঁদের অধীনে হয়ে ওঠে। আপনি ,আমি এই প্রযুক্তিবিদ্যা কে নিয়ে কত টুকুই জানি ?তাহলে ভাবুন -এক বিশাল মহাশূণ্য, যেখানে কোটি কোটি সূর্য, চাঁদ,আর নক্ষত্রের বসবাস। আর আমরা তুচ্ছ মানুষেরা এবং অসংখ্য প্রাণীরা  তাদেরই অধীন। এই সূর্য ,চাঁদ আর নক্ষত্রদের কাজ ই হলো সৃষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা ,সৃষ্টি তে নতুন কিছু নিয়ে আসা। সৃষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওরা

ভালোবাসা চাপা পড়ে গেছে দায়িত্বের মাঝে

সূর্যাস্তের আলোয় তুমি আমায় দেখেছিলে , হাজার লোকের ভিড়ে ঠিক চিনেছিলে, অচেনা তোমার অচেনা আমি। সূর্যাস্তকে সাক্ষী রেখে তাকিয়েছিলে তুমি। ঠিক চিনেছিলে গোধূলির আলোতে, আমার মুখখানা রাঙিয়েছিলো লজ্জাতে , আমায় শার্ট-জিন্স এর ড্রেস এ দেখে , অবাক চোখে তুমি দাঁড়িয়েছিলে থমকে। বছরের শেষ দিনের শেষ আলোয় , তোমায় আমায় লাগছিলো ভালোই। বিকেল থেকেই মন বলছিলো আপন কেও আসবে , গোধূলির মৃদু আলোয় আমায় তার ভালোবাসায় রাঙাবে। সত্যি, মন ঠিক বুঝেছিলো। তোমায় আমায় একসাথে বেশ লাগছিলো। সেদিন তোমার আমার মাঝে শুধুই ভালোবাসা ছিল, আর আজ নয়টা বছর পর , আছে শুধুই দায়িত্বের বাঁধন। দায়িত্বের সুতোতে যদি ভালোবাসার ছোঁয়া থাকতো, দায়িত্বগুলো আরো ভালো, নিখুঁত ভাবে পালন হতো। ভালোবাসা নিজে কখন পালিয়ে গিয়ে , রেখে গেছে দায়িত্ব তোমার আর আমার মাঝে। তাইতো আজ জীবনখানা বড্ড ভারী লাগে , একঘেঁয়ে লাগে ,বিষাদগ্রস্ত লাগে।

দূর্গা মা

মাগো চারটে দিনে কি হবে বল, তুই আমার সাথে চল। গোটা গ্রাম ঘুরলে পরে, প্রাণ যাবে শিউরে। তুই যখন আসিস মা , চারটে দিনে কিছুই দেখতে পাস্ না। ওই চারটে দিনে সবাই ভদ্র সেজে থাকে, হাসি,খুশি ,খাওয়া দাওয়া তে শুধুই মাতে। সব্বাইকে আপন করে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। জানিস মা,তুই যাওয়ার পর- আপন কেমন হয়ে যায় পর। সবাই তোকে বড্ড করে ভয় , আসল রূপ দেখতে গেলে ওই চারটে দিনে কি হয় ? থাকিস মা সারা বছর, দেখিস মা আসল চেহারা, দেখিস মা কত মানুষ কেঁদে কেঁদে দিশাহারা। তুই থাকিস বলে, সব্বাই দুঃখ টা ভুলে, থাকে মা তোর পানে চেয়ে। থাকিস মা সারাটা বছর ,দেখিস সবার কান্না, দেখবি তখন আর ছেড়ে যেতে পারবি না।

লিখার সাথে মেয়েটির গোপন কথা

যখন খুশি চিন্তা ভাবনা এসে জমতে থাকে, মেয়েটির মনের মধ্যে , যেই খাতা পেন বার করে লিখতে যায়, অমনি ফুড়ুৎ করে ভাবনা উড়ে পালায় - সেই দেখে ভাবনার সাথে মেয়েটি কথা বলে একান্তে - এই মেয়েটা আসবো আমি যখন তখন খাতা আর পেন নিয়ে বসে থাকিস সর্বক্ষণ। কেন ? আমি বুঝি ফেলনা ? আমি কি তোর মতো বলতে পারি না ? যখন আমি থাকবো খাতা পেন নিয়ে, তখনি আসিস আমার পানে চেয়ে। রাগ কেন করিস রে মেয়ে, চলবে আমার বসে থাকলে তোর পানে চেয়ে ? জানিস সবার কাছে আমায় হয় যেতে , থাকতে হয় একটু হলেও সবার সাথে। তুই ভাবিস না যেন শুধু তোর কাছে যাওয়াই আমার কাজ , এখানে সেখানে যত্ত প্রাণী ,সবার কাছেই আমি বিরাজ করি ,তোর কাছে গেলেই শুধু আমার কি চলবে ? তুই ভাবিস একধরনের ,তাই সেই মতো ভাবনা যাবে তোর কাছে ,আর যারা অন্য কিছু -রাজনীতি নিয়ে ভাবায় ব্যস্ত ,তাদের জন্যও নতুন চিন্তাধারা পৌঁছায় তাদের কাছে ,দেখছিস কত্তো আমার কাজ ? সারাদিন সারারাত তো শুধু ছুটেই বেড়াই এর মন থেকে ওর মনে ভাবনা ছড়ায়। আচ্ছা ,তুই তো দেখছি আলোর চেয়েও জোরে ছুটিস, তাহলে আইনস্টাইন তত্ত্ব ভুল বলছিস ? আলোর চেয়ে ভাবনার গতিবেগ বেশি - আচ্ছা তুই এর প্রমান দিতে পা