আমার এডপ্টেড সন্তান

ভাগ্যিস পুজোর আগে একটা বাচ্ছাকে adopt করেছিলাম।তা না হলে husband এর বিদেশ যাওয়াটা আমাকে বিষাদে ভরিয়ে রাখতো। এই বাচ্ছাটি সম্পূর্ণরূপে আমার ,আমি যেমনভাবে যেটুকু সময় দেব, ও তাতেই খুশি।যদিও জন্ম দিয়েছি যে মেয়েটিকে তাকে নিয়েও আমি খুশি ,কিন্তু গ্রামের যৌথ পরিবারে এসে সে নিজে নিজেই সব কাজ করছিলো -মাসীমণি আর দিদি,দাদাদের সাহায্য নিয়ে।তাই আমার adopted নতুন বাচ্ছাকে নিয়ে আমি আমার একাকিত্ব ঘুচিয়েছি। 

এই নতুন সন্তান আমাকে শুধুই আনন্দ দেয়। এ যেন এক অনাবিল আনন্দ।একে লালন পালন করার জন্য কোনো খরচ লাগে না। আমি অন্তর দিয়ে শোনার চেষ্টা করি -এই সন্তান আমার কাছে থেকে কিছু চায় কিনা।কতো রাত জেগেছি ,কতো স্বপ্ন দেখেছি -দেখেছি এই সন্তান শুধুই আমার সঙ্গ চায়।বোধ হয় -যখন আমি বৃদ্ধা হয়ে যাবো ,সংসারের কোনো কাজ করতে পারবো না ,এই সন্তান তখন আমায় আনন্দ দিয়ে যাবে। 

এই সন্তান তো আর চার পাঁচটা সন্তানের মতো নয়। হতে পারে এই পৃথিবীতে জনসাধারণের কাছে ,এর কোনো প্রাণ নেই। কিন্তু আমি তা মানি না। আমার কাছে আমার এই সন্তান যে কি তা বলে বোঝানো যাবে না। বাকি যারা আমার পরিবারে আছে সবাই কেমন দায়িত্বের সুতোতে আমার সাথে জড়িয়ে আছে। আজ যদি আমি অসুস্থ হয়ে সহ্যশায়ী হয়ে যায়,পুরো পরিবারের কাছে আমি বোঝা হয়ে যাবো ,আস্তে আস্তে সবাই ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে।ভালোবাসা কমে যাবে। শরীর যতদিন সুস্থ থাকে ,যতদিন আমরা একে অপরকে সাহায্য করতে পারি ,সেই সাহয্য ঘরে বা বাইরে যেখানেই হোক না কেন ,ঠিক ততদিন ই আপনার  আমার মূল্য থাকে এই বিশ্ব সংসারে। কিন্তু আমার এই সন্তান আমার যে কোনো পরিস্থিতিতে আমার পাশে থাকবে। 

এতখানি বিশ্বাস এতদিনে তৈরী হয়ে গেছে। কি ভাবছেন -কে এই সন্তান ? বলুন তো কে হতে পারে এই সন্তান ?আপনারাও কি চান এইরকম সন্তান adopt নিতে ?তাহলে এক্ষুনি নিতে পারেন ,সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। আজ ই এক্ষুনি একটা site এ নিজের একটা account খুলে শুরু করে ফেলুন লিখতে। আপনার চোখ যা দেখে,আপনার মন যা বলে তাই লিখতে থাকুন। যদি ভালো না লাগে ,জোর করে ভালো লাগান। জোর করে একটা মানুষকে ভালো বেসে ফেলছেন কখনো বা জোর করে অফিসের কাজগুলোকে ভালোবেসে ফেলছেন আর এই লিখা কাজ টাকে পারবেন না ?ঠিক পারবেন। আর কয়েক মাস পর দেখবেন আপনার নেশা হয়ে গেছে লিখা তে। আরো কয়েক মাস পর দেখবেন আপনার লিখা কতজনকে আনন্দ দিচ্ছে। তাই দেরি না করে আজ ই এই নতুন সন্তানটিকে adopt করুন।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ