পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চিঠি

ছবি
 অসংখ্য অক্ষর দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট শব্দ থেকে সুন্দর সুন্দর বাক্য বানিয়ে, রচনা হয় আমাকে। রকম রকম অনুভূতির স্পন্দন আমার শিরায় শিরায়- কখনো তীব্র আঘাতের কম্পন কিংবা আনন্দের বিজয়- ধ্বনি আমার রক্তে মিশে, কখনো অক্ষর গুলোর মাঝে ধনী গরিব নির্বিশেষে- হাসি কান্নার ছবি ভাসে। আমার অক্ষর দিয়ে সুন্দরভাবে দিই সাজিয়ে, অনুভূতি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এক গৃহ হতে অন্য গৃহে সংবাদের যাতায়াতে- সবাই ভরে ওঠে পরিপূর্ণতাতে।

দুরত্ব ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা

দুরত্ব : আমি আছি বলেই সম্পর্কের মধুরতার গভীরতা আছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : বাঃ রে,আমি না থাকলে দুরত্ব মানুষের সম্পর্ককে ভুলিয়ে দিত। দুরত্ব : আমি আছি বলেই তো তোর দরকার পড়েছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : আমি না থাকলে,তোর জন্য মানুষ মানুষকে ভুলে যেতো । দুরত্ব : তোর জন্যই তো দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দূরত্বের যখন অবসান ঘটে,তখন সেই মধুর সম্পর্কের মিলনের আনন্দের গভীরাত কমে গিয়েছে।আগেকার দিনে যখন স্মার্ট ফোন ছিল না,তখন কি মানুষ মানুষ কে ভুলে যেতো?মেয়ে রাজ্যের বাইরে পড়াশুনো করতে গিয়ে বাবা মা এর সাথে কোনো কথা হত না ঠিক ই।কিন্তু যখন মেয়ের বাবা অফিস যাওয়ার আগে পোস্টম্যান এর হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে পড়তে থাকতো,সে যে কি আনন্দ,বলে বোঝানো যায় না।মেয়ের হাতেলেখাটাকেই জ্যান্ত মনে হতো।আর লিখার অক্ষরগুলোর মাঝে মাঝে মেয়ের মুখখানা ভেসে উঠতো ।আর তারপর যখন দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর মেয়ে বাড়ি আসতো,তখন বাবা মেয়ের মিলন এক স্মরণীয় দৃশ্য হয়ে থাকতো। এই যে তুই-স্মার্ট ফোন আসার পর সব দুরত্ব কমে যাওয়াতে সেই মিলনের আনন্দের গভীরতাও কমে গেছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : তা ঠিক।তবে আমার জন্য ওই ৬ মাসে মেয়ের শরীর খারাপ হলে,বাবা সেই খ

চল যাই কল্পনার স্রোতে

ছবি
      চল যাই কল্পনার স্রোতে তুই আর আমি ভেসে ভেসে। লাগুক না হাওয়া কানে কানে- আজ কথা হবে শুধু গানে গানে। তুই আর আমি গোধূলিবেলাতে- হারিয়ে যাই মধুর স্বপ্নতে। নক্ষত্রখচিত আকাশে পূর্ণিমার আলোতে চল হারিয়ে যাই ঘুমের জগতে। সকালের সূর্যালোকে ঘুম ভাঙ্গলে দুজন দেখবো দুজনকে। বাস্তবের কঠিন ছোঁয়াতে আবার ডুবে যাবো কাজেতে। মনে এঁকে রাখবো পরবর্তী স্বপ্নকে অপেক্ষা করবো গোধূলিবেলার আগমনের তরে ।

রাস্তা

ছবি
আমার জন্মের ইতিহাস যা সবার অজানা আজ উজাড় করে দেব সেই তথ্য খানা। শুরুতে শুধুই গাছ গাছড়া তে ভর্তি চারিদিক মানব সভ্যতা ছড়িয়ে পড়লো এদিক ওদিক। ব্যাস ,শুরু হয়ে গেলো তোড়জোড় চারিদিক শুধু গাছ কাটার ভিড়। শুরু হলো নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা সকল মানুষের পরস্পর এর সাথে যোগাযোগ এর বাসনা। লাইন দিয়ে শুধু গাছের পর গাছ কেটে যাওয়া। আমার আগমন ,তোমার বিদায় নেওয়া। আমার জন্ম মানেই তো তোমার মৃত্যু। পাশাপাশি আমার তোমার অস্তিত্ব- মানবসভ্যতার জাল বিস্তারের কারণ আমি আর তুমিই তাদের বেঁচে থাকার উপকরণ। এইভাবে জন্ম হলো আমার ,বাড়তে থাকলো শাখা প্রশাখা ঠিক সেইভাবে কমতে থাকলো গাছপালার সংখ্যা। আমার আশে পাশে গড়ে উঠলো ঘর বাড়ি গাছেদের মৃত্যু রক্তে ভরে উঠলো আমার ধমনী।

মা এর প্রতিশ্রুতি

সোনা তোমায় দিলাম কথা দূর করবো তোমার ছোট্ট ছোট্ট ব্যথা। ছেড়ে দেব চাকরিটা তোমায় আমায় নিয়ে জমবে এবার সংসারটা। এবার শুধু তোমায় আর আমায় মিলে সারাক্ষণ মাতব পুতুল খেলায়। থাক না তোমার বাবা অফিসের কাজে এদিক ওদিকে ব্যস্ত শুধু যাতায়াতে। আমি তো আছি সবসময় তোমার কাছাকাছি।

ওরা

ছবি
ট্রাফিক সিগন্যাল এ বাস মাঝ রাস্তায় থেমে - সকাল ৯টাই অফিস যাওয়ার তাড়া ;ব্যস্ততা সবারই জীবনে , শুধু ওরা বাদে ,বাস অটো খুব দামি গাড়ির ভিড় এই অবস্থায় রাস্তা ক্রস হাওয়া মুশকিল যে কারো - শুধু ওরা বাদে। তুমি বাবু ,তোমার ৪ চাকার গাড়ীতে বসে - তোমার স্ত্রীর পাশে ,অফিস যাওয়ার কারণে। তোমার সিগারেট তোমার মুখে ,ড্রাইভার চালায় গাড়ী। তোমরা পেছনের সিট এ। খুব জোরে চলছে ৯৮.৩ FM  রেডিও মির্চি , চলছে তোমাদের প্রেম। পাশেই দুটো বাচ্চা বলে ওঠে -বাবু একটা টাকা দাও না। তবু তোমার সিগারেট এর ধোঁয়া অবিশ্রান্ত তোমার মুখ থেকে - বেরিয়েই চলেছে ,তুমি পরোয়া করলে না। একবার ও চোখ দুটো ফেললে না -ওই রাস্তার বাচ্চা দুটোর ওপর কেনই ফেলবে ? তোমার নিজের ছেলে মেয়ে তো ভালোই আছে , ওরা অসহায় ,ওদের নেই কোনো ঠিকানা ,নেই কোনো ঘর , নেই পা এ জুতো -জন্ম দিয়েছে যে মা ,তাকেই ওরা চেনে না , খুব অপরিষ্কার ওদের দেহ ,পরনে নেই কোনো আবরণ , বাচ্চা ওরা ,পৃথিবীটা না জানি কেমন লাগে ওদের কাছে - ওদের ও ইচ্ছে করে -বাবা মা এর ভালোবাসা পেতে - ইচ্ছে করে - বাবুদের ছেলেদের মতো স্কুল এ যেতে। এইভাবে ভিক্ষে করতে কার ভালো লাগে ? মানুষগুল

মন

ছবি
সব কল্পনা জল্পনা - মনের  মধ্যে আঁকে আলপনা, শুধু ই যাওয়া আর আসা, মনের এপার থেকে ঐপারে। দুই কল্পনার সংঘর্ষ ,হাতাহাতি,লাঠালাঠি, মন শুধু কল্পনা তে ঠাসাঠাসি। কোন কল্পনা খারাপ আর কোনটা ভালো , বাছাই করে মন ,তুমি শুধু বলো। তুমি যাকে নির্বাচিত করবে- সে মাথায় চড়ে বসবে, আর অন্যটি উল্টো পথে- হাটতে হাটতে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তোমার ওপরেই নির্ভর করে সবখানি , মন ,তুমি ই তো খারাপ ভালোর সেই ছাঁকনি। _____________________________________________________

মাতৃত্ববোধ

ছবি
এই মহাবিশ্বে সবচে প্রিয় শব্দ - মা। তাই তো,কারণে-অকারণে,সুখে-দুঃখে,ব্যস্ততায়-আলসেমিতে অনায়াসেই বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্করা আমরা সক্কলে অজান্তে এই শব্দটা উচ্চারণ করি। একটি মাত্র বর্ণ দিয়ে তৈরি এই শব্দ শুনতে যেমন মধুর,বলতেও তেমন মধুর। প্রচণ্ড আলসেমিতে আমরা যখন 'মা' বলি,সত্যিই কি আমরা আমাদের মা এর কথা ভাবি ? না,ভাবি না।কিন্তু তাও 'মা' বলি,এই কারণে,এই 'মা' শব্দে আমরা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি,হালকা হতে পারি।কিন্তু বাচ্ছারা যখন 'মা' বলে তখন কিন্তু ওরা সত্যিই মা এর কথা ভাবে।বাচ্চাদের কাছে মা ই পৃথিবী,মা ই leader,মা ই জীবনযাত্রার দিক নির্ধারক। -৯মাস থেকে ১০বছর বয়স অবধি ,মা ই বাচ্ছাদের দুনিয়া,তবে ১০০% নয়।১০-২০% অবশ্যই অন্যান্য কিছু যেমন পরিবেশ,বাচ্ছাদের বন্ধুরা,বাচ্ছার স্কুল নিয়ন্ত্রণ করে।তবুও প্রধান ভূমিকা কিন্তু মা এরই যা অস্বীকার করা যায় না। অনেক ভালো মা য়ের কুসন্তান দেখা গেছে কিন্তু কোনো খারাপ মা এর ভালো সন্তান হতেই পারে না।খারাপ বলতে খুব ই জঘন্য ব্যবহার,নিচু মন, জঘন্য কাজকর্ম। আবার ভালো বলতে সাধারণ ভালো মা দের বোঝানো হয়েছে,যারা এমনি ভালোই,কিন্তু অস্বাভ

onsite -আধুনিক যুগের প্রয়োজনীয়তা

আজকাল এই software এর যুগে,যে লাখ লাখ software engineer দেশে তৈরি হচ্ছে,তারা কি দেশের মধ্যে satisfied job পাচ্ছে ?TCS,WIPRO,CTS এর মতো অনেক কোম্পানি তে job পাচ্ছে ঠিকই,কিন্তু সেই job satisfied লেভেলে কতদিন থাকছে ?যাদের বয়স 21,সবে চাকুরীতে ঢুকেছে,তাদের জন্য প্রচুর চাকরি,তবে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে।আর যাদের বয়স 35-50 years এর মধ্যে, 14 years এর বেশী experience,কি তাদের পরিণতি ?একটা অবহেলার ঝড় তাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যায় সংসারের বাইরে,বহু দূরে,দেশের বাইরে।এটা যেন দিনে দিনে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।দেশ ছেড়ে,নিজের বয়স্ক বাবা,মা আর বও বাচ্চা ছেড়ে দেশের বাইরের প্রজেক্ট এ নিযুক্ত হওয়া।এতে নাকি প্রচুর টাকা কামানো যায়,অফিসে একটা আলাদা dignity পাওয়া যায়। যখন বাড়ির মালিক বাড়ির পরিবারকে ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেয় নিজের চাকুরীকে টিকিয়ে রাখার জন্য,তখন মালিকের পরিবার এর অনেকটাই খারাপ লাগে ঠিক ই,কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতবর্ষ। কই,আমেরিকার লোক বা আর্জেন্টিনার লোক তো আসে না ভারতে চাকরী করতে?আমাদের দেশের প্রতিটা রত্ন কাজ করছে বিদেশের হয়ে। ভারত সত্যিই গরীবের দেশ,তা না হলে 70% software engineer দেশের বাইরে যাবেই বা কে

গুরুদংমার লেক

ছবি
    See the beauty of this lake and co relate this with the below mentioned Poem                         ১ সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় তোমার নাম শীর্ষে , তুমি সবার ওপরে নামে   আর যশ এ। বৈশাখ , জ্যেষ্ঠ এ কিংবা কার্তিক অঘ্রানে ভ্ৰমণকারীরা তোমার মনে গর্ব আনে। তুমি এই প্রসন্নতাই আরো সুন্দর হয়ে ওঠো , চারিদিকে নীল আভা ছড়াও।   আকাশ নীল , পাহাড় কালচে সবুজ আর মধ্যখানে - পাহাড়গুলো বরফের আচ্ছাদনে। শুধু ই কি তাই ? বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে থাকা নুড়ি পাথরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের গোছাতে। মেঘগুলো ও তুলোর মতো হয়ে ভাসতে থাকে। মেঘেদের রাজা -কালো মেঘের দরজা বন্ধ রাখে। মেঘ , বরফে ঢাকা পাহাড় , নীল আকাশ , নীল লেক সব মিলে তুমি সুন্দর , আর আমরা নির্বাক।                               ২ নেই কোনো ভাষা যা দেবে তোমার বিবরণ , তোমরা সব্বাই মিলে মনে জাগাও শিহরণ। আমরা তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্যে অভিভূত , তোমার মনে জমে থাকা পুঞ্জীভূত বেদনার কয়জন ই খবর রাখে ? আষাঁড় , শ্রাবনে কিংবা পৌষে মাঘে- এই কঠিন সময়ে কে তোমায় দেখে ? চারিদিকে বরফ আর কালো মেঘের তীব্র গর্জনে , লেকের জল

জীবননৌকো

ছবি
নদীর এপারে লোকের প্রচুর ভীড় , সাথে ঐপারে যাওয়ার ইচ্ছা প্রচুর। লাইনের পর লাইন ,আর কিছু না - ঠেলাঠেলি,রেষারেষি আর মারামারি। একটার পর একটা নৌকো আসছে , লাইনমতো সব একে একে চাপছে। জাহাজ নাকি নৌকো -যার ভাগ্যে যা জোটে চালক কি আর সেসব খবর রাখে ? যাত্রাপথে -নৌকোডুবি তুফানের তরে না কি স্নিগ্ধ শীতল মনোরম বাতাসে - পৌঁছে যাবো অজানা ওই পারের  তরে ফেলে আসা এপার টানবে সব্বাইকে এপার আর ওপার যাওয়া আসাতে ভুলে যায় বলেই জীবন শুধু খেলে। (বিঃ দ্রঃ - কবিতা টিতে চৌদ্দ্য টি লাইন আছে আর প্রতিটা লাইনে চৌদ্দ্য টি অক্ষর আছে ) Translation Life- Travelling by Boat or Ship Imagine the life with a Vast River. There are lots of boats and ships available across the both sides of the River.There is a huge line for getting the boats /ships for going to the other side of the River.One by one boats/ships are coming for taking us. How someone may get the ship completely depends on the line position which is unknown to the person and also the availability of the ship at that particular time.After

পরিবেশ

ছবি
                                                                                  পরিবেশ - মাত্র ৪টি বর্ণের শব্দ। কিন্তু এই চারটি বর্ণের ছোট্ট শব্দটিই নিয়ন্ত্রণ করছে এই সৃষ্টিকে। এই শব্দটি ই জন্ম আর মৃত্যু দিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। শব্দটি ছোট্ট হলেও শব্দটি প্রচুর তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিশাল পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণীর আর অসংখ্য উদ্ভিদের অস্তিত্ব বিরাজমান। প্রতিটি প্রাণীর বা উদ্ভিদের সৃষ্টির কারণ একটাই - পরিবেশ। সিমেন্ট এর মেঝের ওপর যদি প্রত্যহ জল ফেলা হয়,একদিন শ্যাওলা জন্ম নেবে আবার খড় এর ওপর রোদ আর জল নিয়মিত পড়তে থাকলে একদিন ছত্রাক জন্ম নেবে। মানুষের মাথায় তেল,জল, আর নোংরা নিয়মিত পড়তে থাকলে উকুন জন্ম নেবে আবার নোংরা হাতে খাবার খেলে পেটে কৃমি জন্ম নেবে। একইরকম ভাবে কেঁচো ,কাঁকড়াবিছে ,কেন্নো এই সকল প্রাণীর জন্মানোর পরিবেশ স্বতন্ত্র।যত রকমের প্রাণী বা উদ্ভিদ ঠিক তত রকমের পরিবেশ।আর জল ,বায়ু,মাটি বা আধার এই তিনটে পরিবেশের প্রধান উপকরণ।  মাটি বা আধার জিনিসটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেসব প্রাণী মানুষের শরীরের মধ্যে জন্ম নেয়,তারা কখনোই খোলা হাওয়ায় মাটির মধ্যে জন্ম নিতে পারে না। আবার যেসব প্রাণী খোলা
ছবি
  Dont give the mobile and TV while feeding your Kids,instead you tell them stories,beauty of Nature lying in front of us. The short story is written just to make a gap between kids and mobiles and create a link between kids and nature. প্রকৃতিই ছোট্ট Tiulip er  মোবাইল   তানিয়া পরিসান হয়ে উঠেছে তার মেয়ে টিউলিপ কে নিয়ে।সবে বয়স পাঁচ।কিন্তু মোবাইলটাই যেন সব কিছু।তানিয়া মেয়ে কে খাওয়াতে গেলেই টিউলিপ বলে -মা আগে মোবাইল দাও,তাহলে খাবো।তানিয়া বাধ্য হতো মোবাইল টা দিতে।কারণ ছোট্টো টিউলিপ সেই সকাল সাত টাই স্কুলে গিয়ে দুপুর 1 টাই বাড়ী ফিরেছে,সারা সকাল টা কিচ্ছু খাই নি।তাই তানিয়া রোজ দুপুরে খাওয়ার সময় মোবাইল টা দিয়ে দিত।একদিন তানিয়ার মনে হলো এইটুকু বয়সে এতো মোবাইল দেখাটা একদমই ঠিক হচ্ছে না।খুব বকাঝকা করলো ছোট্ট টিউলিপকে।টিউলিপ কিছুতেই শুনবে না।টিউলিপ হঠাৎ করে বলে উঠলো-আমাকে তাহলে একটা মোবাইল কিনে দাও,মোবাইল ছাড়া আমার ভালো লাগে না,মা।তানিয়া টিউলিপ এর কথা শুনে হতবাক।কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। রাত্রে খাবার সময়ও টিউলিপ এর মোবাইল চাই।তানিয়া মোবাইল না দিয়ে টিভি চালিয়ে দিত মাঝে মাঝে