দুরত্ব ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা

দুরত্ব : আমি আছি বলেই সম্পর্কের মধুরতার গভীরতা আছে।
উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : বাঃ রে,আমি না থাকলে দুরত্ব মানুষের সম্পর্ককে ভুলিয়ে দিত।
দুরত্ব : আমি আছি বলেই তো তোর দরকার পড়েছে।
উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : আমি না থাকলে,তোর জন্য মানুষ মানুষকে ভুলে যেতো ।
দুরত্ব : তোর জন্যই তো দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দূরত্বের যখন অবসান ঘটে,তখন সেই মধুর সম্পর্কের মিলনের আনন্দের গভীরাত কমে গিয়েছে।আগেকার দিনে যখন স্মার্ট ফোন ছিল না,তখন কি মানুষ মানুষ কে ভুলে যেতো?মেয়ে রাজ্যের বাইরে পড়াশুনো করতে গিয়ে বাবা মা এর সাথে কোনো কথা হত না ঠিক ই।কিন্তু যখন মেয়ের বাবা অফিস যাওয়ার আগে পোস্টম্যান এর হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে পড়তে থাকতো,সে যে কি আনন্দ,বলে বোঝানো যায় না।মেয়ের হাতেলেখাটাকেই জ্যান্ত মনে হতো।আর লিখার অক্ষরগুলোর মাঝে মাঝে মেয়ের মুখখানা ভেসে উঠতো ।আর তারপর যখন দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর মেয়ে বাড়ি আসতো,তখন বাবা মেয়ের মিলন এক স্মরণীয় দৃশ্য হয়ে থাকতো।
এই যে তুই-স্মার্ট ফোন আসার পর সব দুরত্ব কমে যাওয়াতে সেই মিলনের আনন্দের গভীরতাও কমে গেছে।
উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : তা ঠিক।তবে আমার জন্য ওই ৬ মাসে মেয়ের শরীর খারাপ হলে,বাবা সেই খবর পেয়ে মেয়ের কাছে ছুটে যেতে পারে।
দুরত্ব : হ্যাঁ,তাই তো তোর আমার দুজনের ই দরকার আছে।আগেও আমরা দুজনেই পাশাপাশি ছিলাম।শুধু চিঠির জায়গায় স্মার্ট ফোন হয়েছে মাত্র।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ