পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সাধারণ মানুষেই বেকারত্বের শিকার

হতাশায় ভুগছেন ? বাজারে একদম ই চাকরি নেই ? কিন্তু জিনিসপত্রের দাম তো হুড়হুড় করে বেড়েই চলেছে।অথচ আপনার মাইনে কিন্তু বাড়ছে না সেই ভাবে। এমন কি মাঝে মঝে এই ভয় টাও আপনাকে কুঁড়ে খাচ্ছে যে চাকরি টাই যদি না থাকে, কি হবে ? ১০ বছর আগে ১০,০০০ টাকার চাকরি পেয়ে খুব খুশিতে বিয়ে করে ফেলেছেন। বাড়িতে দুটো বাচ্ছা ,আর বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন, তাদের কি করে খাওয়াবেন তাই ভাবছেন তো ?আপনার বাবা একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়িয়ে আপনাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন। আপনি যা যা চেয়েছিলেন,ঠিক যেমনভাবে ,যে কলেজ এ পড়তে চেয়েছিলেন,আপনার বাবাও আপনাকে ঠিক সেইভাবেই পড়িয়েছেন।  অথচ আজ আপনি এতো বছর অভিজ্ঞতা অর্জন করেও পরিবারের স্বাছ্যন্দ বজায় রাখতে পারছেন না ? আপনি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না এই চিন্তায় ?একবার ভাবছেন ব্যবসা করবেন ?আবার কখনো ভাবছেন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যাবেন ? পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গেলে বয়স্ক বাবা মা দের কে দেখবেন ? দিদি তো বিবাহিত ,শ্বশুরবাড়িতেই ব্যস্ত ?আমাদের ভারতবর্ষের সংস্কৃতি তে তো মেয়েরা শশুড়বাড়িকেই দেখে থাকেন। আপনার স্ত্রী তো দুটো বাচ্চার পড়াশুনো ,বাড়ির যাবতীয় কাজ করার পর আর সময় পান না ?সব কিছু ভেবে দেখছেন ,

ভদ্রতাই মানুষের আসল পরিচয়

ভদ্র ব্যবহার দিয়ে অনেক অসাধ্য জিনিস ও পাওয়া যায়। কিন্তু সেই একই জিনিস অভদ্র আচরণ দিয়ে পেতে গেলে কত কষ্ট পেতে হয় ,আবার সময়ের অপব্যবহার ও করতে হয়। এই ভদ্রতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।  কত ছোটোখাটো কারণে কত ঝগড়া হয়ে থাকে।  দেখেছি বাস এর মধ্যে দুই যাত্রীর একে অপরের সাথে কি নিষ্ঠূর ব্যবহার ! কারণ টা কিন্তু খুব সামান্যই ছিল। একটা ছোট্ট বাচ্ছা তার দাদুর কোলে বসে পা গুলো ওই আরেকটি লোকের দিকে রেখেছিলো। ব্যাস এই সামান্য কারণে ওই লোকটি উত্তেজিত হয়ে কত কথাই না শুনিয়ে দিয়েছিলো ওই দাদুটিকে।  আবার আরেকদিন বাস এর মধ্যে এক দাদু বসেছিলেন। বাস টি  চলছে।  একটা অল্পবয়সী মেয়ে দাদুর কাছে দাঁড়িয়েছিল। কারণ বসার কোনো জায়গা ছিল না। আর মেয়েটি ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই নেমে যাবে বলে ভেতরের দিকে যায় নি। মেয়েটি হঠাৎ করে হালকা কাশি কাশতে থাকে ,তাও অন্য দিকে মুখ ঘুরে। ব্যাস ,টাকলু ওই দাদু টির সে কি রাগ !তুমুল চিৎকার শুরু করে দেয়। ভদ্রতা (manners ) নিয়ে কথা শোনাতে থাকে ওই মেয়েটিকে।  ভদ্রতা !অন্যকে সম্মান দেওয়া ,নম্র সুরে কথা বলা -ব্যাস এইগুলোই তো ভদ্রতার পরিচয়। যাদের মধ্যে অহংকারের

বাংলা সিরিয়েল

খুব সিরিয়েল দেখছেন ?সন্ধ্যেবেলা টা সিরিয়েল দেখেই কাটিয়ে দিচ্ছেন ?এটা আপনার রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ?বাড়িতে আপনাদের সাথে বাচ্ছারাও সিরিয়েল দেখছে ?৫ বছরের বাচ্ছা তাই কোনটা আপনার বাড়ির কাজের লোক সহজেই বুঝে যাচ্ছে আর বড় বড় কথা বলছে ?কিন্তু তাও আপনি সিরিয়েল দেখার অভ্যেস কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না ? বাংলা সিরিয়েল গুলো কাকিমা ,জেঠিমা,দিদিমা,ঠাকুমাদের ভালোই মাতিয়ে রাখে। কিছু কিছু গ্রামে কাকু ,জেঠুরাও সিরিয়েল এ মেতে থাকে। সারাদিন কাজের শেষে ওই প্যাঁচানো সিরিয়ালগুলো কি করে যে কিছু মানুষের ক্লান্তি ঘোচায় তা কিছুতেই বোধগম্য হয়ে ওঠে না।  সব সিরিয়েল গুলো কিছুটা দেখলেই পরবর্তী ৫-১০ দিনের পর্বগুলোকে অনুমান করা যায়। সিরিয়েল রচয়িতাদের উদ্দেশ্য তো সিরিয়েল গুলো কে চটকে দেওয়া। একটা ভিলেন তো থাকবেই থাকবে। আর ওই ভিলেন এর কাজ ই হবে ভালো মানুষগুলোর ক্ষতি করা। ভালো মানুষগুলো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ওই ভিলেন এর শাস্তি দেবে ,শাস্তি পাওয়ার পর ভিলেন আরো বেশি বদমায়েশি শুরু করবে।  এই তো চলতে থাকে একবার ভালো মানুষগুলো কাঁদতে থাকে ,ভিলেন আনন্দ নিতে থাকে ,আবার কখনো ভালো মানুষগুলো ভিলেন কে শাস্তি দিতে পেরে উল্ল

আমার তুমি যখন ভিন দেশে

আমার তুমি যখন আমায় ছেড়ে বহু দূরে ভিন দেশে, তোমার আমাকে তোমার কাছে পৌঁছতে কত্তো কাঠ খড় হবে পোড়াতে, লাগবে পাসপোর্ট,ভিসা আরো কত্তো কি ? তোমার সরল ভালোবাসা এতো কিছু বোঝে কি ? তোমার সেই ফেলে আসা ধুলোমাখা শহরটা - একরাশ বেদনা নিয়ে জেগে -সেই কলকাতা, যাকে তুমি খুব খুব ভালোবাসতে যার জন্য অন্য শহরে পারো নি যেতে আজ হঠাৎ তোমার মন গিয়েছে বদলে তাইতো কঠিন বাস্তবে দাঁড়িয়ে,সব কিছু ফেলে পাড়ি দিয়েছো সুদূর বিদেশে ঘর বাড়ি সব কিছু থেকে দূরে ,বহূ দূরে। 

ভালোবাসার ছোঁয়া

ভালোবাসার ছোঁয়ায় জাদু আছে।  খারাপকেও বদলে দিতে জানে।  ভালোবাসা প্রকৃতির ই তো উপহার , তাইতো সহজে মানে না সে হার।  গুন্ডা,বদমায়েশ ,চোরদের কে  ভালোবাসায় জব্দ করতে পারে।  শুধু ভালোবাসার ধরণটা  জেনে নিতে হয় , যেমন চোরকে টাকা দিয়ে ভালোবাসতে হয় , আর ছিঁচকে চোরকে খাবার দিয়ে ভালোবাসতে হয়।  আর যে ছেলেটা হঠাৎ করে পড়ার পথে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে, তাকে বন্ধুত্বের স্পর্শ দিয়ে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হয়।  আর যে ছেলেটা পথভ্ৰষ্ট হয়ে মেয়েদের শ্লীলতাহানিতে মেতেছে , তাকে চাবুকের তীব্র যন্ত্রনা দিয়ে ভালোবাসতে হয় !

নারীদের চাকুরীজীবনই কি সংসার ভাঙ্গনের কারণ ?

শোনা যায় -পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নাকি প্রচুর উন্নতি হয়েছে।বাকি রাজ্য গুলোতে সেইভাবে নাকি উন্নতি হয় নি। আপনিও কি এক মত্ ?কথাগুলো খুব একটা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু। ঘরে ঘরে মেয়েরা নিজের উপার্জনে জীবন কাটাতে চাইছে। এমন কি গ্রামগুলোতেও প্রচুর মেয়ে কর্মরত। মেয়েরা স্বাধীনচেতা হয়েছে।  সবার আগে পুরুষমানুষদের কাছে থেকে আসা কিছু অভিযোগ বলা যাক : কেও কেও বলে থাকেন এতে নাকি সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে ,সংসারে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে। মানিয়ে চলার ক্ষমতা ও নাকি মেয়েদের অনেক কমে গেছে। এমনকি পুরুষ মানুষদের বেকারত্ব বেড়েছে।একজন চাকুরিরতা মহিলা কখনোই বেকার পুরুষমানুষ কে বিবাহ করতে চায় না ,কিন্তু চাকুরীরত পুরুষরা বেকার মহিলাদের তো সহজেই বিবাহ করে থাকে। একটা পরিবারে যদি স্বামী স্ত্রী দুজনেই যদি চাকুরী করে,স্ত্রীর টাকা টা  নাকি পরিবারের কোনো কাজে আসে না -মহিলারা নাকি পরিবারের দায়িত্বের বদলে নিজেকে গোছাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ মানুষ টিকেই পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী অতীতে যেমনভাবে মহিলারা দিন কাটাতো সেটাই নাকি ঠিক ছিল। সমাজের ভারসাম্য ঠিকঠাক ছিল। এখন

বৈপরীত্য এর ম্যাজিক

বৈপরীত্যের ম্যাজিক কখনো অনুভব করেছেন ?কল্পনা করুন যে সূর্য সবসময় আলো দিচ্ছে ,কোনো অন্ধকার বলে কিছুই নেই। কি রকম লাগবে আপনার? আপনি  কেমন একঘেঁয়েমি অনুভব করবেন না ?আর সেইজন্যই কখনো কখনো আমাদের চাঁদের আলোর দরকার হয়। তাহলে কি এটাই কারণ শয়তানদের অস্তিত্বের ? সব দিক থেকেই প্রকৃতির বৈপরীত্যের দুটো অংশই দরকার হয় ; যেমন -কালো-সাদা ;আলো -অন্ধকার ;ভগবান -শয়তান ;ভালো-খারাপ ;পুরুষ-স্ত্রী। প্রকৃতির নিজের মধ্যেও বৈপরীত্য বিরাজমান ঠান্ডা -গরম।  কল্পনা করুন সব কিছুরই একটা দিক আর ভাবুন অন্য দিকটা নেই। সেক্ষেত্রে ,আপনার ভ্রমণের দরকার হবে না ,কারণ সব জায়গাতেই একই আবহাওয়া এবং শুধুই দিন ,রাত্রির কোনো অস্তিত্বই নেই। আবার কোনো খারাপ মানুষ ও নেই। সব্বাই ভালো।  আপনি কি একঘেঁয়েমি তে ভুগবেন না ?নতুনত্বের জন্য পাগল হবেন না ? যদি কোনো খারাপ মানুষের অস্তিত্বই না থাকে ,তাহলে তো কোনো চোর থাকবে না। সেক্ষেত্রে,পুলিশের, উকিলের দরকার পড়বে না। কোনো কিছুই ভেজাল হবে না। সব্বাই ভালো ,সব ভালো। তাহলে তো মানুষের মন খুব ভালো থাকার কথা। আর সেক্ষেত্রে ,ডাক্তার আর ওষুধের প্রয়োজন ও খুব কমে যাবে। যেহেতু সব্বাই খুব ভালো,স

মুড়ি

আমি একটা মুড়ি , একসাথে থাকি ঝুড়ি ঝুড়ি। কোথাও বা যদি একা পড়ি , পা দিয়ে খাই মাড়ি। নেই অস্তিত্ব আমার একার, তাইতো বস্তা বস্তা রাখে দোকানদার। আমি একটা মুড়ি, খেতে পারে না বুড়ি। যদিও ভেতরখানা আমার ফাঁকা , তবুও দাঁত ছাড়া ভেতরে যায় না। বুড়ি তখনই পারবে আমায় খেতে , যদি জল মেশায় আমার সাথে। আমি একটা মুড়ি , বানিয়ে আমায় গুঁড়ি , সাথে জল মিশিয়ে আমায় লাগালে , উপকারে এসব তোমার বাতের ব্যথাতে। লাগলে মাছের কাঁটা গলাতে , গিলিও আমায় সাথে সাথে। আমি একটা মুড়ি , বেশি খেলেও বাড়ে না ভুঁড়ি। দেখতে আমি খুব সাদা , মিথ্যে তো বলি না কদা।  লাগে যদি বমি বমি, খাও তুমি জল -মুড়ি।

দুষ্টু মিষ্টি ছোটবেলা

কখনো কি জানালা দিয়ে আকাশ দেখেছেন ? কখনো কি প্রচুর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজেছেন? কখনো নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে তারা গুনেছেন ? কখনো কি অমাবস্যার রাতে জোনাকিদের ঝিকিমিকি দেখেছেন ? কখনো কি ভোরবেলার শিশিরভেজা ঘাসে হাত রেখেছেন ? কখনো কি শিউলি গাছের নিচ্ছে শিউলি ফুলদের বিছানা দেখেছেন ? কখনো কি শাল পাতা বা কলা পাতায় ঘি ভাত খেয়েছেন ? কখনো কি ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে কাট্টি করে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন ? কখনো কি ফ্রীজের বরফ নিয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে খেলেছেন ? কখনো কি মিথ্যে বলে স্কুল এ ফাঁকি দিয়েছেন ? কখনো কি মাস্টারমশায়ের কাছে মার্ খেয়েছেন ? কখনো কি নিজেই নিজের ঘর থেকে কিছু চুরি করেছেন ? কোথায় হারিয়ে গেলো সেই দুষ্টু মিষ্টি ছোটবেলা ? কোথায় হারিয়ে গেলো বন্ধুদের সাথে কাট্টি -ভাবের খেলা ? কোথায় হারিয়ে গেলো সূর্যোদয় দেখা ? কোথায় হারিয়ে গেলো নিজেকে একটু সময় দেওয়া ?

নিজেকে খুশি রাখার কিছু উপায়

আমরা যখন ধ্যান এ বসি ,বুঝতে পারি আমাদের মন কত অশান্ত। মনের মধ্যে হাজার রকমের চিন্তা ঘুরতে থাকে। ব্যতিক্রম সব কিছুরেই আছে ,আমি একদম সাধারণ মানুষের কথা বলছি। যারা ইউ -টিউব এ ভিডিও দেখে অনেকবার মেডিটেশন করেও মন কে শান্ত করতে অক্ষম হয়েছেন তাদের জন্য কিছু উপায় : ১. মেডিটেশন (যে কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে): যারা মেডিটেশন করতে চান ,তাদের বলছি -মন শান্ত হচ্ছে না ,অনেক চেষ্টা করেছেন। চিন্তা করবেন না। মেডিটেশন করার সময়ে ১ থেকে ১০০ গুনতে থাকুন কিংবা যে কোনো ঠাকুরের নাম বার বার বার বলতে থাকুন, তবে একদম মনে মনে ,নিজেকে স্থির রাখুন ,চোখ বন্ধ রাখুন। এতে আপনার মন ব্যস্ত থাকবে ওই শব্দগুলোতে। আর এর ফলে ,মন অন্য কিছু ভাবতেই পারবে না।  কয়েক মাস পর যখন আপনি এইসবের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ,তখন আর সংখ্যা গুনবেন না।  দেখবেন তখন পুরো কাজ টা আপনি কত সহজে করতে পারবেন ঠিক যেমন আপনি ইউ-টিউব ভিডিও তে দেখেন।  ২. ব্যস্ত রাখুন মন কে :  যারা ১ নাম্বার উপায়টিতেও সফল হতে পারছেন না ,মানে যারা আরোই চঞ্চল ,তাঁদের কে বলবো -নিজেকে ব্যস্ত রাখুন ,যে কোন ভালো কাজে। যদি কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না ,নিজের ঘর টা কে গোছান,ফার্নিচ

প্রতীক্ষা

দীর্ঘ প্রতীক্ষায় আমি- এক দীর্ঘ সময়ব্যাপী, রেলওয়ে স্টেশন এ, প্রচুর লোকের ভীড় এ। আমার ও সে আছে, যেমন সবার ই আছে। সেও তো দীর্ঘ প্রতীক্ষায়, দূরে বহু দূরে নির্জন নিরালায়। দিবারাত্রীকে অনুরোধ আমার, সময়টা তাড়াতাড়ি পার করার। একদিন প্রতীক্ষার অবসানে, জীবনের অবসাদ যাবে ঘুচে। সেই মধুর মিলনের দিনে, সূর্য,চন্দ্র কে সাক্ষী রেখে, এক দৌড়ে যাবো তার কাছে। একান্তে নিভৃতে গোপনে, অনেক জমানো কথা যা ছিল মনে, সব উজাড় করে দেব তার অন্তরে।

রিক্সাওয়ালা আর ট্যাক্সিওয়ালা

 পথচারী:                       ও দিদি,শরীর যদি ভালো রাখতে চান,                                       রিক্সা ছেড়ে প্রত্যহ পায়ে হেঁটে যান। শুনতে পেয়ে রিক্সাওয়ালা বলে ওঠে : দিদি,রিক্সা ছেড়ে পায়ে হেঁটে যদি যাও,                                      টাকা রোজগারের অন্য উপায় বলে দাও।                                      পেটের দায় বড়ো দায় !                                      কেমনে তাহা মেটায়।                                      বাপ্ -মা এর কিচ্ছু জোটে নাই ,                                      তাইতো কিচ্ছুটি শেখাতে পারে নাই।                                      টাকার অভাবে স্কুলটাও ছাড়িয়ে দিয়েছে।                                      ভাতের জন্য জমিটাও বিক্রি হয়েছে।                                      টাকাপয়সা টা বড্ড আমাকে ভাবায় ,                                      তোমাদের নিয়ে যেয়ে দুটো টাকা তাই কামাই।               ট্যাক্সিওয়ালা :  বড্ড বকছিস!                                      এমন হাবভাব দেখাচ্ছিস,                                      আর যেন কেও নাই দিদি ছাড়া,      

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

আজীবন আমরণ ভালোবেসেই যাবো, নিজের ঠিকানা নিজেই খুঁজে নেবো। একটা অতীত,হাজারখানা ঘটনা ঘুরে ফিরে, মনের স্মৃতিকোনে টোকা মারে বারে বারে। মন কে বোঝাতে বোঝাতে, কখন যেন নিজের অজান্তে, মেতে গেছি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাতে। তবু পুরানো বদ অভ্যেস এতো সহজে কি যায় ? তাই এখনো মন ব্যাকুল হয় অল্পস্বল্প নিরাশায়। তোমার যখন যা প্রয়োজন, আমি তোমার ই আপনজন, থাকবো তোমার সাথে পাশে পাশে। সুখ দুঃখে তোমার আষ্টেপৃষ্টে, ভালো লাগে জড়িয়ে থাকতে। তুমি তো তোমার মতো -সুন্দর ,নির্বিকার। তোমায় বদলায় এমন সাধ্য আছে কি আমার ? বদলানোর চিন্তাধারা মুছে দেব মন থেকে, মন কে বুঝিয়ে ব্যথাগুলো রেখে দেব গোপনে। নাহি দেব প্রকাশ মনের আকুতির ! নাহি দেব পরিচয় মনের ক্ষীণ প্রত্যাশার ! একদিন নিশ্চই এ মন হবে সফল, আর সেইদিন পাবো নিঃস্বার্থ ভালোবাসার ফল।  

জন্ম -মৃত্যু

জন্ম যেমন নেই মানুষের হাতে, মৃত্যুও ঠিক তেমনি চলে জন্মের সাথে। জন্ম -তুমি যেন জীবনের সূচনা, কিন্তু মৃত্যু -সূচনা না অন্ত ,সবার অজানা। জন্ম মানুষের মনে খুশি আনে, কিন্তু যে জন্মায় ,সে শুধুই কাঁদে। মৃত্যু মানুষকে শুধুই কাঁদায়, কিন্তু যার জীবন হলো অন্ত সেও কাঁদে আর বাকিদের কাঁদায়। শ্বাস যখন মুখ ফিরিয়ে নেয় জীবন থেকে , তখন থেকেই কি শুরু হয় নতুন অধ্যায় নতুন জগতে ? জন্ম -তুমি আগে থেকেই সক্কলকে জানিয়ে দাও, নতুন সদস্যের আগমনে সব্বাই আনন্দিত হও। কিন্তু মৃত্যু তুমি সত্যি ই খুব কঠিন, তুমি মনুষ্যলোকে হৃদয়হীন। অথচ নেই কোনো বৈচিত্র্য জন্মের পদ্ধতিতে, অন্যদিকে মৃত্যু ?কত রকম ভাবে পারে ঘটতে। কখনো কি শুনেছো ডিম্বাণু শুক্রাণুর মিলন ছাড়াই , জন্ম হচ্ছে মানুষের,শুরু হচ্ছে জীবনের লড়াই ? জন্ম টা কিছুটা হলেও মানুষের হাতে, কিন্তু মৃত্যু -তোমার আবির্ভাব শুধু জন্মকে গ্রাস করতে। সৃষ্টিকর্তার এ কেমন বিচার, আকস্মিক মৃত্যু দিয়ে বাড়াতে চায় শুধুই অনাচার। আবার মৃত্যু হলেই জন্ম হবে নতুনের। শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়ের। মৃত্যুই কি জন্মের আগমনবার্তা বহনকারী ? সব মৃত্যুই মানুষের অজান্তে ,তাই কি আমরা শু

বিশ্বাসঘাতক

এক নিমেষে সব মায়া ছেড়ে, তোমার কাছে এসেছিলেম দৌড়ে। কলেজ প্রাঙ্গনে তুমি কতই না কান্ড বাঁধিয়েছিলে, আমার বিমুখ মন তোমার পাগলামোর কাছে বন্দি হয়েছিলে। হোস্টেলের সবচে ভালো বান্ধবীটার সঙ্গ ছেড়ে, তোমার মধ্যে দিয়েছিলাম নিজেকে উৎস্বর্গ করে। তারপর একদিন বিবাহের গন্ডিতে, এক শুভ লগনে আবদ্ধ হয়েছিলাম দুজনে। জানো আজো মনে পড়ে, সেই দিনটা,ঘুরে ফিরে বারে বারে। মনে পড়ে -আমাদের দুই জনের ভালোবাসা এলো, আমাদের ছোট্ট ঘর আলোর রশ্মিতে ঝলসে উঠলো। তারপর কি হলো তোমার কি জানি, সেই যে আমরা সুদূর বিদেশে দিলাম পাড়ি, তুমি কেমন আনমনা হয়ে যেতে, সত্যি কত সহজে আমাকে বোকা বানাতে, কত লুকোচুরি ই না খেলেছো দিনের পর দিন ওই মেয়েটার সাথে। আমি সত্যিই বোকা,কখনো টের ও পাই নি, আমাদের বন্ধনের সুতোটা ঢিলে হচ্ছে একটু একটুখানি। কয়েকটা বছর পর আমি অসহ্য হয়ে উঠলাম তোমার কাছে, আমার সাথে আর ঘর করবে না -এই অভিযোগে, তুমি ডিভোর্স ফাইল করে এলে, এমন একটা সহজ নিষ্পাপ মেয়ের সাথে তুমি কেমন খেলা খেললে !

অভিযোগ

ওঁরা বলে আমি নয়কো মেয়ে আমি নাকি ছেলে,  হঠাৎ হঠাৎ করে একাই নাকি আমার যাতায়াত চলে, অফিসের নানান কাজে নানান অজুহাতে,  আমি নাকি ফাঁকি দিই সংসারের কাজে। ওঁরা বলে -আমি নিজেও নাকি খাই না , খেতে দিতেও নাকি জানি না।  আমি নাকি চাকরি করে অহংকারী,  আমি নাকি সব কিছু করি বাড়াবাড়ি।  ওঁরা ভাবে কিসের আমার এতো অহংকার, কিসের এত্তো দিমাক !  চাকরি টা গেলে শশুড়বাড়ির পুতুল হলে,  তবেই সব কিছু চলবে আগের তালে।  আমি বলি -শুনে যাবো সবার সব অভিযোগ,  চাকরিটা যাওয়ার আগে হোক আমার প্রাণবিয়োগ !    

একা

যখন মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম -একদম একা। খুব চিৎকার করে কেঁদেছিলাম -কিন্তু একা। বাবা,মা,দাদা,ভাই,বোন কিন্তু বেশ হাসিখুশিতে ছিল মেতে, আমিও ধীরে ধীরে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম আনন্দেতে। ব্যাস ,যেই একটু বড় হয়ে গেলাম, ওমনি স্কুল,প্রাইভেট এর খাঁচায় বন্দি হলাম। কিন্তু তবুও আপনজনের ভালোবাসা ছিল, জ্বর জ্বালাতে পাশে থাকার অনেকে ছিল। এমনিভাবেই পার করলাম কলেজের ও চারটি বছর, কিন্তু সেখানেও বন্ধুরা ছিল খুব ই আপনজন। তারপর অজানা অচেনা একজনের সাথে ঘর বাঁধলাম, কয়েকটা বছর বেশ ভালোবাসায় ডুবে থাকলাম। তারপর যখন নিজে একদিন মা হলাম, নিজের সব কিছু দুষ্টুমি ,শিশুসুলভ আচরণ ত্যাগ করলাম। এইভাবে ত্যাগ করতে করতে একদিন উপলব্ধি করলাম সব কিছু থেকেও কেমন যেন একাকিত্ব অনুভব করলাম। সত্যি আজ আমি একাকিত্বের সাথে মিশে, থাকতে পারি না বেশি লোকজনের আশেপাশে।

গদ্য আর পদ্য

বর্তমানে মানুষ হারিয়েছে ধৈর্য্য। আর তাইতো ছোটো গল্প আর পদ্যের মুল্য বেড়েই চলেছে। উপন্যাস পড়ার ধৈর্য্য মানুষ হারিয়েছে । গদ্যের ও সংক্ষিপ্ত রূপ হল পদ্য। উপন্যাস আর ছোট গল্পগুলোকে ছন্দ নামক অলংকার দিয়ে মাত্র কয়েকটি লাইন দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারলেই মানুষ গোগ্রাসে পদ্য কে মুখে তুলে নেবে । আর উপন্যাস তখন ইতিহাস আর সেকেলে হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু মানুষ তখনো ছোট গল্পকেই পছন্দ করবে । যেসব মানুষ সব ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ জানতে আগ্রহী তাদের ধৈর্য্য অনেক বেশী আর তারাই উপন্যাস প্রেমিক। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদেরকে কোন ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ বলতে গেলে বলে উঠবেন - "আরে মশাই এতো খেয়ালী না করে আসল কথাটা বলুনতো, আমার এতো শোনার সময় নেই  "। সত্যিই কি সেই ভদ্রব্যক্তির সময় নেই? আসলে সেই ব্যক্তির ধৈর্য্য নেই। ছোটগল্প রমরমিয়ে চলছে ফেসবুকে। পুস্তকে চোখ রেখে  পড়ার আনন্দ মানুষ দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে। মানুষ যেন নিজেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলছে ইন্টারনেট এর সাথে। মানুষ নিজস্বতা হারিয়ে ফেসবুকের লাইক, শেয়ার, কমেন্ট এর ওপর নির্ভর করে ঠিক করতে থাকে কোন লিখাটা সে পড়বে। ব্যস্ত এই জ

ভালোবাসা

ভালোবাসা ভালোবেসেছিলো এক যুগ আগে, রঙ্গিন স্বপ্ন আমার চোখে এঁকে, ভালোবাসা হারিয়ে গিয়েছে কঠোর বাস্তবে। নানান কাজে আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেকে জড়িয়ে, ভালোবাসা ভুলে গিয়েছিলো ভালোবাসতে । ভালোবাসা সব সম্পর্কের মধ্যে, ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে, এক নিমেষে ভুলে গিয়েছে, ভালোবাসার খেয়াল রাখতে। আজ দুই ভালোবাসা পরস্পর থেকে, সরে গিয়েছে ক্রমশই দূরে অনেক দূরে। আজ আছি শুধু অপেক্ষায়, ব্যস্ত শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতে  আছি শুধুই সেই আশায় সম্পর্কের ব্যবধান কবে ঘুচবে। আজ জীবনটা বড্ডো ঘ্যানঘ্যানে, ভালোবাসাই শুধু ক্ষমতা রাখে, আরেক ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করতে।

অনুভূতি

অনুভূতির মাত্রাগুলোর গভীরতা, কখনো কমে আবার কখনো বাড়তে থাকে, ঠিক যেমন হৃৎস্পন্দনের কম্পনতা , থাকতে পারে না সরলরেখাতে। অনুভূতি কেমন যেন খামখেয়ালি, শুধুই করতে থাকে হেয়ালি। সম্পর্কগুলো জেগে ওঠে, ভালো অনুভূতির স্পর্শে। সম্পর্কগুলো ম্লান হয়ে যায়, খারাপ অনুভূতির ছোঁয়ায়। ভালোবাসা কেমন যেন ঘ্যানঘ্যানে, যদি সব ই ভাসে একই ছন্দে একই স্রোতে, সবার জীবনেই সময়ের সাথে সাথে, সমস্ত অনুভুতিই কেমন যেন প্যানপ্যানে।

অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ

বর্তমান কেমন ঘটে যাওয়ার পর,  একদিন নাম নিয়ে নেয় অতীত। আর আগামীদিনগুলো কাছে আসার পর,  হয়ে যায় বর্তমান যা একদিন আগেও ছিল ভবিষ্যৎ। অতীতের ভুলভ্রান্তি দেখে,  বর্তমান শিখতে থাকে।  আর ভবিষ্যৎ নিজের ভীত শক্ত করে। অতীতের মন খারাপের স্মৃতি ভুলেও না ভুলে মন কে দাও শক্তি । অতীত আমাদের শেখায়,  বর্তমান আমাদের পরীক্ষা নেয়।  ভবিষ্যৎ আরো জটিল প্রশ্ন বানায়। 

কবিতায় পঠনপাঠন

কেমন হয় যদি পঠনপাঠন কে, কবিতার রূপ দিই। কেমন হয় যদি ভূগোল এর অঙ্কগুলোকে, লিখার ছন্দে ভাসিয়ে দিই। কেমন হয় যদি ইতিহাসের প্রতিবাদী আন্দোলনকে,  কবিতার যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড় করিয়ে দিই। কেমন হয় যদি জীববিজ্ঞানে মানবদেহের কোষগুলোকে, কবিতার মধ্যেকার ব্যাংজনবর্ণ দিয়ে ব্যখ্যা দিই । কেমন হয় যদি ভৌতবিগ্গানের অনু পরমানুকে, কবিতার ছন্দে ব্যাখ্যা দিই ।