বৈপরীত্য এর ম্যাজিক

বৈপরীত্যের ম্যাজিক কখনো অনুভব করেছেন ?কল্পনা করুন যে সূর্য সবসময় আলো দিচ্ছে ,কোনো অন্ধকার বলে কিছুই নেই। কি রকম লাগবে আপনার? আপনি  কেমন একঘেঁয়েমি অনুভব করবেন না ?আর সেইজন্যই কখনো কখনো আমাদের চাঁদের আলোর দরকার হয়। তাহলে কি এটাই কারণ শয়তানদের অস্তিত্বের ?

সব দিক থেকেই প্রকৃতির বৈপরীত্যের দুটো অংশই দরকার হয় ; যেমন -কালো-সাদা ;আলো -অন্ধকার ;ভগবান -শয়তান ;ভালো-খারাপ ;পুরুষ-স্ত্রী। প্রকৃতির নিজের মধ্যেও বৈপরীত্য বিরাজমান ঠান্ডা -গরম। 

কল্পনা করুন সব কিছুরই একটা দিক আর ভাবুন অন্য দিকটা নেই। সেক্ষেত্রে ,আপনার ভ্রমণের দরকার হবে না ,কারণ সব জায়গাতেই একই আবহাওয়া এবং শুধুই দিন ,রাত্রির কোনো অস্তিত্বই নেই। আবার কোনো খারাপ মানুষ ও নেই। সব্বাই ভালো।  আপনি কি একঘেঁয়েমি তে ভুগবেন না ?নতুনত্বের জন্য পাগল হবেন না ?

যদি কোনো খারাপ মানুষের অস্তিত্বই না থাকে ,তাহলে তো কোনো চোর থাকবে না। সেক্ষেত্রে,পুলিশের, উকিলের দরকার পড়বে না। কোনো কিছুই ভেজাল হবে না। সব্বাই ভালো ,সব ভালো। তাহলে তো মানুষের মন খুব ভালো থাকার কথা। আর সেক্ষেত্রে ,ডাক্তার আর ওষুধের প্রয়োজন ও খুব কমে যাবে। যেহেতু সব্বাই খুব ভালো,সেহেতু আপনার কি মনে হয় এতো শিক্ষকের প্রয়োজন আছে ?

তাহলে এমনি নিজেই ভেবে দেখুন-বৈপরীত্য না থাকলে আপনা কে চাকরি করতে হতো না ,কারণ আপনি এমনি ই খাবার পেতেন ,কারণ সব্বাই তো খুব ভালো। কাজ গুলো ভাগ করে যে যার নিজের কাজ করেই চলেছে। আপনি বসে বসে শুধু খাবেন ,ঘুমোবেন। কিন্তু রাত্রি আসবে না। শুধু সূর্যালোকেই সময় কাটবে। টাকা জমিয়ে কি করবেন ?ভ্রমণে তো কোনো আনন্দ নেই,সব জায়গায় খুব গরম। বিশাল ফ্ল্যাট কিনে কি করবেন ?সক্কলকে কিন্তু ভাগ দিতে হবে। কারণ আপনি খুব ভালো। 
আমার তো মনে হয় এইরকম হলে আমাদের  বন্য পিপিলিকার মতো জীবন কাটাতে হবে। 

আর সেই কারণে প্রকৃতি বৈপরীত্য চায়। কিন্তু আমাদের বৈপরীত্যের ভালো দিকটাকেই গ্রহণ করা উচিত যাতে আমাদের কোনো কর্ম বা চরিত্রের জন্য অন্যের কোনো ক্ষতি না হয়। যদি আমরা খারাপ দিক টা গ্রহণ করি ,আর কাউকে আঘাত করি সেক্ষেত্রে প্রকৃতি সেই খারাপটা কখনো তো ফিরিয়েই দেবে আমাদের দিকেই। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ