বাংলা সিরিয়েল

খুব সিরিয়েল দেখছেন ?সন্ধ্যেবেলা টা সিরিয়েল দেখেই কাটিয়ে দিচ্ছেন ?এটা আপনার রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ?বাড়িতে আপনাদের সাথে বাচ্ছারাও সিরিয়েল দেখছে ?৫ বছরের বাচ্ছা তাই কোনটা আপনার বাড়ির কাজের লোক সহজেই বুঝে যাচ্ছে আর বড় বড় কথা বলছে ?কিন্তু তাও আপনি সিরিয়েল দেখার অভ্যেস কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না ?

বাংলা সিরিয়েল গুলো কাকিমা ,জেঠিমা,দিদিমা,ঠাকুমাদের ভালোই মাতিয়ে রাখে। কিছু কিছু গ্রামে কাকু ,জেঠুরাও সিরিয়েল এ মেতে থাকে। সারাদিন কাজের শেষে ওই প্যাঁচানো সিরিয়ালগুলো কি করে যে কিছু মানুষের ক্লান্তি ঘোচায় তা কিছুতেই বোধগম্য হয়ে ওঠে না। 

সব সিরিয়েল গুলো কিছুটা দেখলেই পরবর্তী ৫-১০ দিনের পর্বগুলোকে অনুমান করা যায়। সিরিয়েল রচয়িতাদের উদ্দেশ্য তো সিরিয়েল গুলো কে চটকে দেওয়া। একটা ভিলেন তো থাকবেই থাকবে। আর ওই ভিলেন এর কাজ ই হবে ভালো মানুষগুলোর ক্ষতি করা। ভালো মানুষগুলো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ওই ভিলেন এর শাস্তি দেবে ,শাস্তি পাওয়ার পর ভিলেন আরো বেশি বদমায়েশি শুরু করবে। 
এই তো চলতে থাকে একবার ভালো মানুষগুলো কাঁদতে থাকে ,ভিলেন আনন্দ নিতে থাকে ,আবার কখনো ভালো মানুষগুলো ভিলেন কে শাস্তি দিতে পেরে উল্লসিত হয় আর ভিলেন আরো বাজে মতলব করতে থাকে। ব্যাস ,এই চলতে থাকে ঘুরে ফিরে। 

সিরিয়েল রচয়িতাদের কাছে এটা একটা চাকরি। আপনাদের ই মনের রুচি টা বদলানো দরকার। মনে রাখবেন বউমা -শাশুড়ির লড়াই ,বাচ্ছাদের অতিরিক্ত বায়না সব কিন্তু আপনার সাথে বাড়ির বাচ্ছারাও ওই সিরিয়ালগুলোতে দেখছে। আপনারা যদি আপনাদের মনের রুচি বদলান ,সিরিয়েল রচয়িতারা বাধ্য হবেন সিরিয়ালগুলোর ধরণ বদলাতে। 

বদলে ফেলুন আপনাদের রুচি। দেখতে থাকুন -দিদি নম্বর ওয়ান ,রান্নাঘর এই ধরনের সিরিয়ালগুলো। এমন সিরিয়েল দেখার জন্য প্রস্তাব পাঠান যেখানে শুধু ভালোটাই দেখাবে ,দেখাবে দুই জ্যা এর ভাব ,দেখাবে শাশুড়ি বউমা এর ঠিক মা-মেয়ের মতো সম্পর্ক। দেখাবে এক পথচারী এক শিশুকে বিপদ থেকে বাঁচিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে পরম যত্নে তাকে মানুষ করলো। আর বাচ্ছাটিও বড় হয়ে ওই পথচারী কে বাবার মতো ভালোবাসলো। 

ভালো জিনিস দেখার অনেক গুন্ আছে। সবসময় ভালো জিনিস দেখুন ,ভালো কথা শুনুন ,দেখবেন বাড়ির পরিবেশ টা কেমন ভালো হয়ে গেছে।  


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ