গদ্য আর পদ্য
বর্তমানে মানুষ হারিয়েছে ধৈর্য্য। আর তাইতো ছোটো গল্প আর পদ্যের মুল্য বেড়েই চলেছে। উপন্যাস পড়ার ধৈর্য্য মানুষ হারিয়েছে । গদ্যের ও সংক্ষিপ্ত রূপ হল পদ্য। উপন্যাস আর ছোট গল্পগুলোকে ছন্দ নামক অলংকার দিয়ে মাত্র কয়েকটি লাইন দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারলেই মানুষ গোগ্রাসে পদ্য কে মুখে তুলে নেবে । আর উপন্যাস তখন ইতিহাস আর সেকেলে হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু মানুষ তখনো ছোট গল্পকেই পছন্দ করবে । যেসব মানুষ সব ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ জানতে আগ্রহী তাদের ধৈর্য্য অনেক বেশী আর তারাই উপন্যাস প্রেমিক। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদেরকে কোন ঘটনার পুংঙ্খানুপুংঙ্খ বলতে গেলে বলে উঠবেন - "আরে মশাই এতো খেয়ালী না করে আসল কথাটা বলুনতো, আমার এতো শোনার সময় নেই "। সত্যিই কি সেই ভদ্রব্যক্তির সময় নেই?
আসলে সেই ব্যক্তির ধৈর্য্য নেই।
ছোটগল্প রমরমিয়ে চলছে ফেসবুকে। পুস্তকে চোখ রেখে পড়ার আনন্দ মানুষ দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে। মানুষ যেন নিজেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলছে ইন্টারনেট এর সাথে। মানুষ নিজস্বতা হারিয়ে ফেসবুকের লাইক, শেয়ার, কমেন্ট এর ওপর নির্ভর করে ঠিক করতে থাকে কোন লিখাটা সে পড়বে। ব্যস্ত এই জীবনে মানুষ বড্ড সৌখিন হয়ে গেছে। আর গদ্যের সৌখিন রূপই তো পদ্য। যদি এমন কোন কবির আবির্ভাব হয় যিনি অতীতের সব ৪০০-৫০০ পাতার উপন্যাসকে ৪০-৫০ লাইনের কবিতায় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, তাহলে কী সেই উপন্যাস পড়ার লোকের সংখ্যা কমবে না ?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন