নিজেকে খুশি রাখার কিছু উপায়


আমরা যখন ধ্যান এ বসি ,বুঝতে পারি আমাদের মন কত অশান্ত। মনের মধ্যে হাজার রকমের চিন্তা ঘুরতে থাকে। ব্যতিক্রম সব কিছুরেই আছে ,আমি একদম সাধারণ মানুষের কথা বলছি। যারা ইউ -টিউব এ ভিডিও দেখে অনেকবার মেডিটেশন করেও মন কে শান্ত করতে অক্ষম হয়েছেন তাদের জন্য কিছু উপায় :

১. মেডিটেশন (যে কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে):যারা মেডিটেশন করতে চান ,তাদের বলছি -মন শান্ত হচ্ছে না ,অনেক চেষ্টা করেছেন। চিন্তা করবেন না। মেডিটেশন করার সময়ে ১ থেকে ১০০ গুনতে থাকুন কিংবা যে কোনো ঠাকুরের নাম বার বার বার বলতে থাকুন, তবে একদম মনে মনে ,নিজেকে স্থির রাখুন ,চোখ বন্ধ রাখুন। এতে আপনার মন ব্যস্ত থাকবে ওই শব্দগুলোতে। আর এর ফলে ,মন অন্য কিছু ভাবতেই পারবে না। 
কয়েক মাস পর যখন আপনি এইসবের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ,তখন আর সংখ্যা গুনবেন না। 
দেখবেন তখন পুরো কাজ টা আপনি কত সহজে করতে পারবেন ঠিক যেমন আপনি ইউ-টিউব ভিডিও তে দেখেন। 

২.ব্যস্ত রাখুন মন কে : যারা ১ নাম্বার উপায়টিতেও সফল হতে পারছেন না ,মানে যারা আরোই চঞ্চল ,তাঁদের কে বলবো -নিজেকে ব্যস্ত রাখুন ,যে কোন ভালো কাজে। যদি কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না ,নিজের ঘর টা কে গোছান,ফার্নিচার এর পজিশন গুলো বদলে ফেলুন। যদি সেটাও ভালো না লাগে করতে ,তাহলে -একবার বাজার থেকে শুধুই ঘুরে আসুন ,কিংবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার লোকজন কে দেখুন ,মন দিন তাদের কার্যকলাপের দিকে। আর সেই জন্য বারান্দা টা রাস্তার ধারে হলেই ভালো। 

৩. ভালো থাকার অভিনয় করুন : আপনি হয়তো একদম ভালো থাকতে পারছেন না , কিন্তু তাও অভিনয় করুন যে আপনি ভালো আছেন। মিথ্যে হলেও দুটো ভালো কথা বলুন। সর্বোপরি, আমরা সবাই অভিনয় এর জাগতেই বাস করছি। তাই নিরাশ হবেন না ,মন না চাইলেও যে কোনো দুজন আপনজনের খুব প্রশংসা করুন। 

৪. সাহায্য করুন : এই পৃথিবীতে অনেক মানুষের অনেক রকমের সাহায্য এর দরকার হয়। আপনি যে কোনো দুজন মানুষ কে সাহায্য করুন যে কোনো ভাবে। অর্থ দান ছাড়া অন্যভাবেও সাহায্য করতে পারেন। যদি প্রত্যহ তা করা মুশকিল মনে হয় আপনার ,তাহলে মাসে একবার করুন। 

৫. আপনজনের স্পর্শ বা সান্নিধ্য: দিনের শেষে বাড়িতে আপনজনের  এর স্পর্শ বা সান্নিধ্য এর মধ্যে কিছুটা সময় কাটান। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে ,তাকে আদর করুন। 



FROM : tanusrirchokhe.com

(With Nature: prokritir sathe)








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ