পরিবেশ
পরিবেশ - মাত্র ৪টি বর্ণের শব্দ। কিন্তু এই চারটি বর্ণের ছোট্ট শব্দটিই নিয়ন্ত্রণ করছে এই সৃষ্টিকে। এই শব্দটি ই জন্ম আর মৃত্যু দিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। শব্দটি ছোট্ট হলেও শব্দটি প্রচুর তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিশাল পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণীর আর অসংখ্য উদ্ভিদের অস্তিত্ব বিরাজমান। প্রতিটি প্রাণীর বা উদ্ভিদের সৃষ্টির কারণ একটাই - পরিবেশ। সিমেন্ট এর মেঝের ওপর যদি প্রত্যহ জল ফেলা হয়,একদিন শ্যাওলা জন্ম নেবে আবার খড় এর ওপর রোদ আর জল নিয়মিত পড়তে থাকলে একদিন ছত্রাক জন্ম নেবে। মানুষের মাথায় তেল,জল, আর নোংরা নিয়মিত পড়তে থাকলে উকুন জন্ম নেবে আবার নোংরা হাতে খাবার খেলে পেটে কৃমি জন্ম নেবে। একইরকম ভাবে কেঁচো ,কাঁকড়াবিছে ,কেন্নো এই সকল প্রাণীর জন্মানোর পরিবেশ স্বতন্ত্র।যত রকমের প্রাণী বা উদ্ভিদ ঠিক তত রকমের পরিবেশ।আর জল ,বায়ু,মাটি বা আধার এই তিনটে পরিবেশের প্রধান উপকরণ। মাটি বা আধার জিনিসটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেসব প্রাণী মানুষের শরীরের মধ্যে জন্ম নেয়,তারা কখনোই খোলা হাওয়ায় মাটির মধ্যে জন্ম নিতে পারে না। আবার যেসব প্রাণী খোলা হাওয়ায় মাটির মধ্যে জন্ম নেয় তারা কখনোই মানুষের শরীরে জন্ম নিতে পারে না। কি পরিমান জল ,কি পরিমান বায়ু আর কি রকমের আধার এই তিনটে উপকরণের মাত্রার বিন্যাস সমবায়ের খেলাতেই পৃথিবীর বৈচিত্র্য বিরাজমান।
প্রতিটি প্রাণী বা উদ্ভিদ নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ,আর সেই কারণে এই পৃথিবী থেকে জল ,বায়ু নিজের প্রয়োজনমতো টেনে নিচ্ছে। এমন কি ব্যাক্টেরিয়া ,ভাইরাস গুলো ও এই বেঁচে থাকার লড়াই এর ভাগীদার। তাই জল,বায়ু দূষণ আটকানো আমাদের দায়িত্ব। জল ,বায়ু আর আধার যত খাঁটি আর শুদ্ধ থাকবে,সৃষ্টি ততই বলবান হয়ে উঠবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন