পুজোর আনন্দ

 পুজো এলো আবার চলেও গেলো ,
যে মানুষটা পুজোর আগে হাসপাতাল এ ছিল ,
বাবা,মা অপেক্ষা করছিলো -
পুজোর আগেই বাড়ি আসবে বলে।
সেই ছেলেটা এখনো হাসপাতাল এ ,
আর বাবা মা দিন গুনছিল ,
সপ্তমীতে ডাক্তার নাই বা ছাড়লো ,
নবমীতে ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখবো।
ছেলেকে নিয়ে আবার হয় হুল্লোড়ে মাতবো।
কিন্তু ডাক্তার যা বললো -
সব আনন্দ এক নিমেষে ভাঙলো ,
ছেলেটির মা ভাবতে থাকে আপন মনে ,
দেখতে থাকে গোটা শহর ভর্তি আলোর রশ্মিতে ,
কিন্তু তার মন কিছুতেই বুঝছে না -
এতো আলোর বাহার চারিদিকে তাও তার ভালো লাগছে না।
আর সেই কিশোর ছেলেটি হাসপাতাল এর জানালা দিয়ে ,
উঁকি মেরে বাহিরটা শুধুই দেখতে চায় ,
গত বছর এমনি দিনে -
কি আনন্দটাই না এসেছিলো প্রাণে ,
সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গিয়ে -
পুজো প্যান্ডেল এ একটি মেয়ের পানে চেয়ে
ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ,
খানিক পরে ,
দেখি বন্ধুরা সব উধাও,ফোন এ চারটা মিস কল ,
পরে যখন দেখা হয়,ভীষণ ঝাড় দেয় বন্ধুর দল।
মনে পড়তেই ছেলেটির হাসি পেয়ে যায়।
কিন্তু আজ এই বছরে এই পুজোয় ,
সব কেমন বদলে গেছে ,
বন্ধুরা যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ,
বাবা মা অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে ,
কিসের এতো আনন্দ কিসের এই পুজো
চারিদিকে কষ্টের ছড়াছড়ি আজো !

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ