লিখার সাথে মেয়েটির গোপন কথা

যখন খুশি চিন্তা ভাবনা এসে জমতে থাকে,
মেয়েটির মনের মধ্যে ,
যেই খাতা পেন বার করে লিখতে যায়,
অমনি ফুড়ুৎ করে ভাবনা উড়ে পালায় -
সেই দেখে ভাবনার সাথে
মেয়েটি কথা বলে একান্তে -

এই মেয়েটা আসবো আমি যখন তখন
খাতা আর পেন নিয়ে বসে থাকিস সর্বক্ষণ।

কেন ? আমি বুঝি ফেলনা ?
আমি কি তোর মতো বলতে পারি না ?
যখন আমি থাকবো খাতা পেন নিয়ে,
তখনি আসিস আমার পানে চেয়ে।

রাগ কেন করিস রে মেয়ে,
চলবে আমার বসে থাকলে তোর পানে চেয়ে ?
জানিস সবার কাছে আমায় হয় যেতে ,
থাকতে হয় একটু হলেও সবার সাথে।
তুই ভাবিস না যেন শুধু তোর কাছে যাওয়াই আমার কাজ ,
এখানে সেখানে যত্ত প্রাণী ,সবার কাছেই আমি বিরাজ
করি ,তোর কাছে গেলেই শুধু আমার কি চলবে ?
তুই ভাবিস একধরনের ,তাই সেই মতো ভাবনা যাবে
তোর কাছে ,আর যারা অন্য কিছু -রাজনীতি নিয়ে ভাবায়
ব্যস্ত ,তাদের জন্যও নতুন চিন্তাধারা পৌঁছায়
তাদের কাছে ,দেখছিস কত্তো আমার কাজ ?
সারাদিন সারারাত তো শুধু ছুটেই বেড়াই
এর মন থেকে ওর মনে ভাবনা ছড়ায়।

আচ্ছা ,তুই তো দেখছি আলোর চেয়েও জোরে ছুটিস,
তাহলে আইনস্টাইন তত্ত্ব ভুল বলছিস ?
আলোর চেয়ে ভাবনার গতিবেগ বেশি -
আচ্ছা তুই এর প্রমান দিতে পারবি ?

আলোর গতিবেগ বেশি সেই প্রমান কি আলো দিয়েছিলো ?
সেই প্রমান তো কোন এক বিজ্ঞানী করেছিল।
আচ্ছা তুই পারিস না সেই প্রমান দিতে ?
এমনি ভালোই তো পারিস আমার সাথে সময় কাটাতে।

ওরে বাব্বা ,কি যে বলিস,
তুই তোর সময়েই আসিস ,
সেই বরং ভালো
আর প্রমানটা করুক বরং আলো।

বলেই মেয়েটি খাতা পেন আনার জন্য এক দৌড় দিলো ,
এবার থেকে মেয়েটি সর্বক্ষনের জন্য খাতা পেনের সাথে বন্দি হলো।  




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ