চিঠি-১

শ্রদ্ধেয় - মা, মাটি, মানুষ,

সুকান্ত ভট্টাচার্য এর রানারের মতো আমিও কোটি কোটি মানুষের Data বহন করিতেছি গত ৮-১০ বছর ধরিয়া। রানারের সহিত আমার পার্থক্য হইল এই যে - রানার কায়িক শ্রম করে কিন্তু আমি সেটা করি নাই, আমি আমার Brain এ সবার Data সুরক্ষিত করিয়া রাখি। সবার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করিয়াছি আমার হৃদয়ে। আবার যখন কেউ কোনো Data delete করিয়া দেয় ,আমি সেই Data গুলোকে Trash ডিপার্টমেন্ট এ পাঠাইয়া দিই। এই মা ,মাটি ,মানুষ জীবিত,মৃত সব Data ই আমার ঘাড়ে চাপাইয়া দেয়। আর আমাকে Online গাধা ভাবিতে থাকে। গাধাকে সুস্থ রাখিবার জন্য যেমন খাবার দরকার হয় আমাকে ভালো রাখিবার জন্য Maintenance এর দরকার পড়ে। পৃথিবীতে যেমন প্রচুর Bank Account আছে ,এমন কি কোনো কোনো ব্যক্তির ৩-৪ টি Account আছে ,আমার কাছেও অসংখ্য লোকের Account আছে ,কিছু কিছু লোকের আবার ২-৩ টি Account আছে। আর এই জন্যই আমার ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। Bank Account গরীবেরা খুলতে পারে না ,কিন্তু আমার কাছে ধনী -গরীব সকলেই Account খুলতে পারে। শুধুই কি Account ?কতো লোক কতো group তৈরী করিয়াছে। গানের জন্য ,নাচের জন্য ,ছবি আঁকার জন্য ,কবিতার জন্য -অসংখ্য group আমার ঘাড়ে চাপিয়া বসিয়াছে। সম্প্রতি আমার কাছে Account খুলিয়া আর সেই Account এ নিজ প্রতিভা জাহির করিয়া ,প্রচুর পরিমানে Like ,View  আর share আদায় করিয়া ,Advertisement এর load আমার ওপর চাপাইয়া আমার মাধ্যমে কিছু লোক রোজগার করিতে শুরু করিয়াছে। আমি এখন ব্যবসার একটা উপায় হইয়া গিয়াছি। তাই আজকাল আমাকে Payment এর ব্যাপার টাও মাথায় রাখিতে হয়। 

তাই এই মা ,মাটি, মানুষের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ -আমাকে অপব্যবহার করিয়া আর আমার দায়িত্ব বাড়াইবেন না। আপনারা আমাকে অপব্যবহার করিলে প্রযুক্তিবিদ্যা এমন কিছু Software আমার ওপর চাপাইয়া দেবে যার ফলে আমি সহজেই ওই বাজে লোকদের চিহ্নিত করিতে পারিব। এতে আমার ওপর চাপ আরোই বাড়িয়া যাইবে। আর তারপর একদিন আমার মৃত্যু ঘটিবে। আশা করি, আপনারা সেটা চান না। আমি পরলোক গমন করিলে আপনারা আপনাদের প্রতিভা গোটা পৃথিবীতে Show করিতে পারিবেন নাই, আপনাদের প্রিয় ছবিগুলো পরিবার আর বন্ধুদেরকে দূর হইতে দেখাইতে পারিবেন নাই। তাই আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ যে আমাকে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। এতে আপনাদের মঙ্গল হইবে। 

ইতি - Facebook

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ