কৃপণ



কে  তুমি  অজানা পথচারী ?
তোমায় আমি  চিনিতে  না পারি ,
তবুও দেবো সব গহনা উজাড় করে ,
রাখিবো  না কিছু নিজের তরে।
আমার সর্বস্ব ধন দেবো তোমায় দিয়ে ,
তুমি শুধু ওঠো ভালো হয়ে।
তোমায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে
আমার মন উথাল পাথাল করে।
তবুও মন নাহি দেবো তোমায়
সেই মন সোঁপে দিয়েছি অন্যজনে।
আমার থলেতে আছে শুধু বন্ধুত্ব ,
বিপদে থাকিব পাশে,টাকা দিয়ে কমাবো দূরত্ব।
তবুও তোমায় নাহি দেব এই মন ,
চাহিও না ভিক্ষা ,দৃষ্টি দিও না এমন।
কৃপণ আমি ,দেব না মন তাই।
যতই চাও না তুমি ,আমার কিচ্ছু করার নাই।।

যে মন আমার দ্বারাই তৈরী ,
সেই মন আমাকেই দিতে নারাজ হলি ?
ক্ষিপ্র আমি তোর এই অহংকারে,
থাকি না আমি টাকা পয়সা আর পার্থিব জিনিসে।
চারিদিকে এতো মন্দির ,এতো ভক্ত -
তবুও  তোদের মন এতো তিক্ত!
ছিঃ ! ধিক্কার হয় তোদের এই মিথ্যে ভালোবাসাকে
শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বাঁধতে চাস  আমাকে ?
এ হেন সাহস আসে কোথা থেকে ?
আসি নি আমি তোর টাকার মন্দিরে থাকতে।
দেখ,দুচোখ দিয়ে দেখ ,শুধু দেখ -চারিদিক,
দেখ ফুটপাথ ,দেখ ব্রিজ এর নীচ।
দেখ প্রাসাদ,দেখ বহুতলা ফ্ল্যাট
দেখ দুই দলের মানুষের তফাৎ।
দেখ কত মানুষ তোর দিকে আছে চেয়ে,
কখন তুই যাবি তাদের কাছে তোর মন নিয়ে।
কখন তুই তুলে আনবি অভুক্ত শিশুকে -
ওই পথ থেকে ,ওই ব্রিজ এর নীচ থেকে।
মন না দিলে কি করে করিবি এই মহৎ কাজ ?
কি করে এই ভুবন কে দিবি চমৎকার সাজ ?



















 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ