চাকুরে মহিলা


সমাজ বদলেছে।বদলেছে সভ্যতা।জনসংখ্যা বেড়েছে।কিন্তু মানুষ উন্নত হয়েছে । ঘরে ঘরে দুটোর বেশি তিনটে বাচ্চা দেখা যায় না।তবুও জনসংখ্যা বেড়েছে। তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে মৃত্যুর হার কমেছে।তাহলে বলাই যায় যে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে । বোধ হয় একটু বেশিই উন্নত হয়েছে । উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে।তাই এবার নামার সময় হয়েছে আর সেই কারণেই ঘরে ঘরে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে,দূষণ বাড়ছে,বৃদ্ধাশ্রম ও বেশি করে গড়ে উঠছে।মানুষের চাহিদা বেড়েছে।বেড়েছে আরামে থাকার খরচ। বেড়েছে প্রতিযোগিতা।বেড়েছে বাচ্ছাদের ওপরেও সেই চাপ চাপিয়ে দেওয়া। ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকরি করছে।একজনের কামায় ইয়ে চলছে নে সংসার । কোন সংসার ? যে সংসারে মাত্র দুটো বাচ্চা আর তাদের বাবা মা।আগেকার দিনে তো ঘরে ঘরে 5-6 টা বাচ্চা থাকতো,আর শুধু ছেলেরাই টাকা রোজগার করতো।সমাজ উন্নত হল বলেই তো ঘরে ঘরে মেয়েরা চাকুরী করছে। মেয়েরা চাকরি করবেই না বা কেন ? কোনো নিশ্চয়তা নেই তো যে মেয়ে টাকে বিয়ের আগে বাবা আর বিয়ের পর তার স্বামী সমস্ত চাহিদা মেটাবে ।কত অত্যাচার মেয়েরা সহ্য করেছে বলেই না মেয়েরা আজ বদলেছে।চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এমন কি গ্রাম গুলোতেও একই ছবি দেখা যায়।যে বাবা মা এর কোনো পুত্র সন্তান নেই সেই বাবা মা তো চাইবেই মেয়েকে ছেলের মতো মানুষ করতে । এটা তো কোনো অন্যায় নয়। অন্যায় হচ্ছে অন্য জায়গায়।অন্যায় করা হচ্ছে ছোট ছোট শিশুদের ওপর। যৌথ পরিবার ভেঙেছে । মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে সুখী হতে শিখেছে।আর যে বাবা মা সকাল হলেই তাদের 3-4 মাসের বাচ্চা কে  ফ্লাটের মধ্যে একটা আয়া র কছে রেখে অফিসে চলে যায়, কি হবে সেই বাচ্ছার? মা -বাবা হয়ে কি বাচ্ছার ওপর অন্যায় করা হচ্ছে না ?তাহলে এর সমাধান কী ? মেয়েরা কি চাকরি করবে না ?  আর মেয়েরা চাকরি যদি না ই করে তাহলে বাবা মা রা এত কষ্ট করে মেয়েদের পড়াবেই বা কেন ? ক্লাস সিক্স সেভেন অবধি পড়লেই সংসার চালানো যায়।তাহলে কি কোনো বাবা মা তাদের মেয়ের কাছ থেকে কিছু আশায় করবে না ? যে মেয়ে চাকরি করে না সেই মেয়ে বৃদ্ধ বাবা মা কে দেখবে কি করে? পুরো ব্যাপার টাই কেমন যেন গড়বরে।তাহলে সমাধান কী? মেয়ে রা কি বাচ্ছা নেওয়াই বন্ধ করে দেবে ? তাহলে তো জনসংখ্যা কমতে কমতে একদিন শুন্য এ এসে দাঁড়াবে ।তাহলে কি এর সমাধান ? সমাজ যখন এতই উন্নত,বিজ্ঞান যখন এতই এগিয়ে গ্রামে গ্রামে এত বিউটি parlour ,এত দোকান তাহলে এই সরকার বাচ্ছাদের crace খুলে না কেন ? সরকারি কোম্পানি ,প্রাইভেট কোম্পানি সক্কলে এখন women এমপ্লয়ী চাইছে সেই যুগে দাঁড়িয়ে crace এর সংখ্যা এত কম কেন ? যে মেয়ে টি 10000 থেকে 15000 টাকা কামাই কোনো প্রাইভেট কোম্পানিতে receptionist এর কাজ করে তার পক্ষে কি করে সম্ভব 8000 থেকে 9000 টাকা crace কে দেওয়া ? মেয়েটি স্বাধীনভাবে থাকতে চাই বা নিজের টাকায় নিজের বাবা মা এর দেখভাল করতে চাই বলেই তো সে চাকরি করতে এসেছে।সেই খেত্রে তার স্বামীর উপার্জন কেন ধরা হবে ? মেয়েটির যে স্বামী তাকেও তো তার বাবা মা এর দেখভাল করতে হবে। সেই ছেলেটিও প্রচুর কষ্টে টাকা রোজগার করছে। যদি প্রতি টি এলাকায় crace তৈরি করা হতো আর সেটাও 3000-6000 এই range এ, বাচ্চাদের স্কুল timing 10 টা থেকে 4 টা হতো আর মা দের অফিস time ও 10 টা থেকে 4 টা হতো তাহলে হয়তো এই প্রব্লেমগুলোর সমাধান হতো আর বিজ্ঞান আরো উন্নত হতো।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ