ছেলের বাবা মা বনাম মেয়ের বাবা মা
শুধুমাত্র ছেলের বাবা মা এবং শুধুমাত্র মেয়ের বাবা মা -এদের দুটো চিন্তাধারার মধ্যে কি বিশাল পার্থ্যক্য , তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। যেসব বাবা মা এর ছেলে মেয়ে দুটোই আছে তাদের জন্য প্ৰযোজ্যঃ নয়। তবে এই পাৰ্থক্যটা আগেকার দিন এর জন্যই বোধ হয় বেশি প্ৰযোজ্যঃ। এখন যুগ বদলেছে।বাবা মা দের চিন্তাধারাও বদলেছে।এখনকার বাবা মা রা বউমা কে মেয়ের চোখেই দেখে।তাই নিচের কথোপকথন টি কিছুটা অনুমানভিত্তিক।
ছেলের বাবা : ওঃ গিন্নি আমাদের তো পুত্রসন্তান ,নেই কোনো চিন্তা।
ছেলের মা : হ্যাঁ ,তা তো ঠিক ,দাঁড়াও ! ছেলে বড় হোক,নিয়ে আসুক বউমা।
ছেলের বাবা : শুধুই কি বউমা ,নিয়ে আসবো লক্ষ্মী প্রতিমা।
সাথে টাকা কড়ি ,কত্তো সোনা দানা !
ছেলে যদি চাকরি নাও করে দেখবে আমাদের জমিটা ,
আর বউমার সেবায় কাটবে আমাদের বাকি জীবনটা।
কি বলো গিন্নি-
ঠিক বলি নি ?
ছেলের মা : যাই করো ,এমন বউমা আনবে
যে ঘরের সব কাজ গুছিয়ে করবে,
সংসারের চাবি তার হাতে দেব তুলে,
সব কিছু সুন্দর ভাবে শিখে গেলে-
আমরা দুজন যাবো তীর্থস্থানে
মাঝে মাঝে সুযোগ বুঝে ফাঁকতালে।
ছেলের বাবা : এইটা কিন্তু খাঁটি কথা বলেছো গিন্নি,
কিন্তু আমার বাবা মা কে তো তুমি তীর্থে যেতে দাও নি ?
তবে তুমি যখন বলেছো,
আমরা ঘুরতে নিশ্চই যাবো।
অন্যদিকে ----------------
মেয়ের বাবা : গিন্নি ,মেয়ে হয়েছে তো কি হয়েছে?
চিন্তা করো না ,ঘরে লক্ষ্মী এসেছে।
ভগবান ঠিক ভালো রাখবে তাকে,
আমরা দুজনে মানুষ করবো সযতনে।
মেয়ের মা : আমরা কিন্তু মেয়ে কে স্বাবলম্বী হতে শেখাবো
যতই অসুবিধে হোক না কেন,
চাকুরী পাবে না এমনটা কভু না হয় যেন।
নিজের পায়ে দাঁড়ালে আমরা শান্তি পাবো।
মেয়ের বাবা : ঠিক ,একদম ঠিক ,তুমি দেখো-
মেয়ে আমার রোজগেরে হবে,
আমাদের দেখতে হবে না কো,
মেয়ে যেন নিজে সুখী থাকে।
ওপরতলার ভগবান দেখবে
আমাদের দুজনকে
মেয়ের বাবা : আমি তাহলে আরেকটা কাজ খুঁজি ,কি বলো
মেয়ের পড়াশুনোতেই খরচ করবো সেই টাকাগুলো।
আর এখন যে কাজটা করি,
তাতেই বিয়ের খরচটা হয়ে যাবে আশা করি।
মেয়ের মা : হ্যাঁ ,তাই করো ,আমি তো সামলাচ্ছি সংসার আর মেয়ের পড়াশুনো,
তুমি ভালো করে টাকা টা রোজগার করো তো,
আর শোনো দুটো আলাদা একাউন্ট খুলে নিও,
একটা তে বিয়ের টাকা আরেকটাতে পড়াশুনোর টাকা রেখে দিও।
মেয়ের বাবা : বুদ্ধিটা ভালোই দিয়েছো গিন্নি,
চলো দুজনে মিলে কাজে লেগে পড়ি।
ছেলে-মেয়ে এর বাবা : তোমাদের কথোপকথন সব ই তো শুনলাম।
সব কিছু শুনে এইটুকু বুঝলাম -
ছেলের বাবা মা নিজেরাই নিজেদেরকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে রাখে,
মেয়ের বাবা মা নিজেদের কথা মাথায় না রেখে
মেয়েটিকে স্বাবলম্বী করে তোলে নিঃস্বার্থে।
আমাদের ছেলে মেয়ে দুটোই আছে,
তাই এইসব এর হিসেব আছে আমাদের কাছে।
মানুষ করো ছেলেটিকে ওর মুখ চেয়ে,
চিন্তাধারা গড়ে তোলো মেয়েটির বাবা মা এর মতো করে।
ছেলের বাবা : ওঃ গিন্নি আমাদের তো পুত্রসন্তান ,নেই কোনো চিন্তা।
ছেলের মা : হ্যাঁ ,তা তো ঠিক ,দাঁড়াও ! ছেলে বড় হোক,নিয়ে আসুক বউমা।
ছেলের বাবা : শুধুই কি বউমা ,নিয়ে আসবো লক্ষ্মী প্রতিমা।
সাথে টাকা কড়ি ,কত্তো সোনা দানা !
ছেলে যদি চাকরি নাও করে দেখবে আমাদের জমিটা ,
আর বউমার সেবায় কাটবে আমাদের বাকি জীবনটা।
কি বলো গিন্নি-
ঠিক বলি নি ?
ছেলের মা : যাই করো ,এমন বউমা আনবে
যে ঘরের সব কাজ গুছিয়ে করবে,
সংসারের চাবি তার হাতে দেব তুলে,
সব কিছু সুন্দর ভাবে শিখে গেলে-
আমরা দুজন যাবো তীর্থস্থানে
মাঝে মাঝে সুযোগ বুঝে ফাঁকতালে।
ছেলের বাবা : এইটা কিন্তু খাঁটি কথা বলেছো গিন্নি,
কিন্তু আমার বাবা মা কে তো তুমি তীর্থে যেতে দাও নি ?
তবে তুমি যখন বলেছো,
আমরা ঘুরতে নিশ্চই যাবো।
অন্যদিকে ----------------
মেয়ের বাবা : গিন্নি ,মেয়ে হয়েছে তো কি হয়েছে?
চিন্তা করো না ,ঘরে লক্ষ্মী এসেছে।
ভগবান ঠিক ভালো রাখবে তাকে,
আমরা দুজনে মানুষ করবো সযতনে।
মেয়ের মা : আমরা কিন্তু মেয়ে কে স্বাবলম্বী হতে শেখাবো
যতই অসুবিধে হোক না কেন,
চাকুরী পাবে না এমনটা কভু না হয় যেন।
নিজের পায়ে দাঁড়ালে আমরা শান্তি পাবো।
মেয়ের বাবা : ঠিক ,একদম ঠিক ,তুমি দেখো-
মেয়ে আমার রোজগেরে হবে,
আমাদের দেখতে হবে না কো,
মেয়ে যেন নিজে সুখী থাকে।
ওপরতলার ভগবান দেখবে
আমাদের দুজনকে
মেয়ের বাবা : আমি তাহলে আরেকটা কাজ খুঁজি ,কি বলো
মেয়ের পড়াশুনোতেই খরচ করবো সেই টাকাগুলো।
আর এখন যে কাজটা করি,
তাতেই বিয়ের খরচটা হয়ে যাবে আশা করি।
মেয়ের মা : হ্যাঁ ,তাই করো ,আমি তো সামলাচ্ছি সংসার আর মেয়ের পড়াশুনো,
তুমি ভালো করে টাকা টা রোজগার করো তো,
আর শোনো দুটো আলাদা একাউন্ট খুলে নিও,
একটা তে বিয়ের টাকা আরেকটাতে পড়াশুনোর টাকা রেখে দিও।
মেয়ের বাবা : বুদ্ধিটা ভালোই দিয়েছো গিন্নি,
চলো দুজনে মিলে কাজে লেগে পড়ি।
ছেলে-মেয়ে এর বাবা : তোমাদের কথোপকথন সব ই তো শুনলাম।
সব কিছু শুনে এইটুকু বুঝলাম -
ছেলের বাবা মা নিজেরাই নিজেদেরকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে রাখে,
মেয়ের বাবা মা নিজেদের কথা মাথায় না রেখে
মেয়েটিকে স্বাবলম্বী করে তোলে নিঃস্বার্থে।
আমাদের ছেলে মেয়ে দুটোই আছে,
তাই এইসব এর হিসেব আছে আমাদের কাছে।
মানুষ করো ছেলেটিকে ওর মুখ চেয়ে,
চিন্তাধারা গড়ে তোলো মেয়েটির বাবা মা এর মতো করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন