সাফল্য আর ব্যর্থতা

কখনো কি খেয়াল করেছেন -"ব"  তে ব্যর্থতা আর "স" তে সাফল্য; ব এর পর ই স আসে -বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে। এমন কি ইংরেজিতেও তাই (Failure and Success ) ঘটে। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দুটো "ব " এর পর "স" আসে। তাই ২-৩ বার ব্যর্থতা এলে হতাশ হবেন না ,মনে জোর রেখে এগিয়ে যাবেন।দেখবেন সাফল্য দরজায় কড়া নাড়ছে। "ব" এর পর ই তো "স " নেই ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকায়।তাই একটু ধৈর্য ধরুন।সাধারণ মানুষেরা ১-২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ই হাল ছেড়ে দেয়। আর এখানেই মস্ত বড় ভুল টা হয়। সাফল্য যখন ঠিক একটু খানি দূরে ,তখনই কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য যদি পালিয়ে যায় ,সাফল্য ও ওদের সাথে পালিয়ে যায়। 

ব্যর্থতা আমাদের সবচে বড় শিক্ষক। ব্যর্থতা থেকে শিখুন। ব্যর্থতা যখন আসে কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে। ব্যর্থতা সব্বাইকে কিছু শেখাতে চায়। আর সেখান থেকে যদি আমরা ভালো কিছু শিখতে পারি,তাহলেই ব্যর্থতা খুশিতে সাফল্য কে পাঠিয়ে দেয়। আর যদি আমরা ব্যর্থতা থেকে কিছুই শিখতে না পারি ,ব্যর্থতা আরো জোরালো ব্যর্থতা কে পাঠিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য একটাই -আমাদের কে শেখানো। যখন আমরা ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারি, ব্যর্থতা আবার ব্যর্থতা কে পাঠিয়ে আমাদের পরীক্ষা নেয় ,আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়। এই পরীক্ষা তে পাস করলেই সাফল্য চলে আসে হাতের মুঠোয়।

তাই চলুন আর পিছিয়ে যাবেন না। জোর উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলুন। ব্যর্থতা কে ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন যে ব্যর্থতা ছাড়া যারা সাফল্য অর্জন করেছে ,তাদের সাফল্য ক্ষণস্থায়ী, সেই সাফল্য স্বাদ হীন। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ