আর হতাশা নয়

না, আর হতাশা নয়। ১৮-৩০ বয়সে প্রচুর ছেলে মেয়ে হতাশায় ভোগে নানান কারণে। আর সবচে বড় কারণ -হতাশার কারণগুলো বাড়ির লোকদেরকে বলতে না পারা। বলতে কিছুতেই পারছেন না ? বলতে যখন পারছেন না , লিখতে থাকুন। ভয় করছে পাছে কেও লিখাটা দেখে ফেলে ?নিজের কাছে সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। ভয় পাবেন না ,যদি ভালো কোনো ব্যক্তি দেখে ফেলে, এতে আপনার ই লাভ। স্মার্ট ফোন আছে আপনার কাছে ? নিশ্চয় আছে। আজকাল সবার ঘরে ২-৩ টি করে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন টাকে একটু ভালো কাজে ব্যবহার করে দেখুন তো  কি হয় ? প্রচুর তো ফেসবুক ,হোয়াটস্যাপ এ সময় কাটান।  আজ থেকে কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন।একটা ফ্রী ওয়েবসাইট খুলে তাতে লিখে ফেলুন নিজের সমস্যাগুলো,ঠিক যেমনভাবে মেসেজ করেন ঠিক সেইভাবেই। চিন্তা করবেন না , কেও কিচ্ছু ভাববে না , আপনি আপনার নাম দিতে যাবেন কেন ? আপনি নাম বদলে লিখে ফেলুন আপনার সমস্যাগুলো। দেখবেন -কমেন্ট বক্স এ কত রকমের সমাধান পাবেন।

ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো ভালো গুন্ লুকিয়ে রেখেছেন। যেমন এই প্রকৃতিতে কয়লা আর অক্সিজেন প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে কি কোনো কাজ ছাড়াই বিদ্যুৎ তৈরী করা যায় ?বিদ্যুৎ তৈরী করতে কতো কিছু করতে হয় , তাই না ? ঠিক তেমনি আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অনেক গুন্ লুকিয়ে আছে , শুধু সেই গুনগুলোকে বাহির করে প্রজ্জ্বলিত করতে হয়।  আপনি কি জানেন ,আপনি যে গুন্ গুন্ করে বাথরুম এ গান গেয়ে যান ,সেটা রেকর্ড করেও আপনার সাইট এ প্রকাশ করতে পারেন। আপনি তো জানেন যে আপনি খুব ভালো গান , কিন্তু হয়তো কখনো ভাবেন নি যে এই গান আপনাকে এক অনাবিল আনন্দ এনে দিতে পারে। 

চলুন -সবার প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বার করি। 

মন্তব্যসমূহ

  1. Loved this post. Good advise to youngsters.
    If you can't say out your angst, pour it out or express it with writing, singing...

    খুব ভালো 👍

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাতৃভাষা

কালবৈশাখীর আগমনে

মাতৃত্ববোধ