পোস্টগুলি

করোনা

  উফ আর পারা যাচ্ছে না। এতো কাজের মধ্যে এই ভিডিও, ওই ভিডিও, এই খবর ,ওই খবর। সকাল বিকাল মোবাইল এ শুধু  করোনার খবরই আসতে থাকে। কেও বলে -সবসময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে,আবার কেও বলে -আমাদের হাতের মধ্যে কিছু ভালো ব্যক্টেরিয়া থাকে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বার বার হাত ধুলে বা স্যনিটাইজার লাগালে, ওই ব্যক্টেরিয়া গুলো মরে যায়। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মহা মুশকিল তো! কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল? কোনটা শোনা উচিৎ? দুদিকেই সমস্যা। এই অবধি তাও ঠিক ছিল। কিন্তু আজকের মেসেজ টা পড়ার পর আর না লিখে থাকা গেল না। ভদ্র মহিলার বাড়ীতে কারো করোনা নেই। ভদ্রমহিলা বাড়ীর বাইরে যান না, বাইরের খাবারও খান না।তবু ভদ্রমহিলার করোনা এল কি করে? এই নিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে। মেসেজ এ বলা হয়েছে যে - ভদ্রমহিলার করোনা ফ্রিজে রাখা খাবার বা সব্জি থেকে এসেছে। আর সেইজন্য কিছু টিপস ও দেওয়া হয়েছে আমাদের জন্য। টিপসগুলো কি কি দেখে নিই।  ফ্রীজ যখন খুলব, মাস্ক পরে খোলা উচিৎ। এতদিন জানতাম- ঘরে এলেই মাস্ক খুলে ফেলা উচিৎ। বেশিক্ষণ মাস্ক পরলে আমাদের ফুস্ফুসে সমস্যা হতে পারে। ফ্রিজে খাবার বা সব্জি না রাখাই ভাল-সেই ক...

করোনার জন্মবৃত্তান্ত

ছবি
এক জঙ্গলে এক মহান বাঘ বাস করতো। এই বাঘ টি সকলের থেকে আলাদা ছিল। মহাদেব এর পরম ভক্ত এই বাঘ টি। একদিন এই বাঘ টি মহাদেব কে একটি প্রশ্ন করলেন -"আচ্ছা দেব ,আপনি ই তো বলেন যে আপনি সকলকে ভালোবাসেন।  যদি আপনি সকলকে সমান ভালোবাসেন তাহলে সবার জন্য এক ই রকম নিয়ম নয় কেন ?"  মহাদেব উত্তরে বললেন -"তোমার তো চারটে  সন্তান আছে। আর তুমিও তাদের সকলকেই সমান ভালোবাসো ,তাহলে বড় সন্তান কে সবচে বড় দায়িত্ব দাও, আর ছোট কে তোমার কাছে আরাম করতে শেখাও কেন ?তুমিও তো নিয়ম সবার জন্য আলাদা ই করেছো, তাই না ?নাকি তুমি ছোট কে বেশি ভালোবাসো?"  বাঘটি বললো -"না দেব ,আমি মা হয়ে কি করে এই অন্যায়টা করতে পারি ?"  মহাদেব বললেন -" আমিও তো সকলের পিতা হয়ে কি করে ভালোবাসায় ভেদাভেদ করতে পারি ? কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন তোমার মনে ?"  বাঘটি উত্তরে বললো -"আপনার বিশাল পৃথিবীতে আমাদের বসবাসের জায়গা সীমিত কিন্তু মানুষদের বসবাসের কোনো গন্ডি আপনি তৈরী ই করেন নি। জলে,স্থলে, আসমানে,জঙ্গলে ,পুকুর-নদী -সমুদ্রের আশেপাশে ,পাহাড়ে -পর্বতে ,সমতলে-মালভূমিতে -সর্বত্রই তাদের অবাধ রাজত্ব। এই ভেদাভে...

নারী

লিখবো আমি তাদের কথা - যাদের কথা কেও কখনো বলে নি , যাদের কথা সীমাবদ্ধ রয়েছে , ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে , যাদের ঝগড়াঝাঁটি খুঁনসুটি , কারো কখনো নজর কাড়ে নি। সারা দেশের আওয়াজ ভেসে ওঠে সংবাদপত্রের মধ্যে হেডলাইন হয়ে , দেশের সমস্যায় যারা আজ চিন্তিত , তাদের পরিবার,ঘরবাড়ির খুঁটিনাটি খবর কেও কখনো রাখে নি , ঘরের মধ্যে বাসা বাঁধা শান্ত কলহ ঢেউ তুলে দেওয়াল ভেঙে যদি বা কখনো বেরিয়ে আসে , সংবাদপত্রও হয়ে পড়ে চিন্তিত ! প্রতিটা ঘর এর ভেতরে আজ ও নারীরা লুকিয়ে কাঁদে , ঘরের বাহিরে হাসে গর্বে বলে -আমি নারী ,আমি পারি। বাহিরে সে সত্যি ই রানী , ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বা রাত্রির গভীর অন্ধকারে সে বরাবরই পুরুষের দাসী। দিনের আলোয় পুরুষের ত্যাগ এর ছড়াছড়ি , নিশীথে ঘরমধ্যে তাদেরই বাড়াবাড়ি ! বাহিরে সম্মান পরনারীকে , ভেতরে ঘর মধ্যে ধিক্কার নিজনারীকে , এই কয়েক ফোঁটা ঝগড়া,অত্যাচারের কথা কোন সংবাদপত্রে পায় জায়গা ? যেদিন প্রতিটা ঘরে নারী হবে আদর্শ রানী , যেদিন প্রতিটা পুরুষ ঘরের নারীদের প্রতি ত্যাগের জন্য বিচারের জন্য থাকবে প্রস্তুত , যেদিন প্রতিটি শাশুড়ী তার বৌমা কে গৃহ শক্তি ...

কর্ম

পথের আবার কি ভালো ,কীই বা মন্দ ! পথচারী যখন  রাজপুত্র , পথ হয়ে ওঠে পবিত্র। নামে আবার কি যায় আসে, নামধারণকারী যদি পাগলাগারদে ? নাম তো তখনই ভালো , নামধারণকারীর চারিদিক যখন আলো। কর্মের আবার কি ভালো কি মন্দ  কর্মকারী কে দিয়েই মিটে এই দন্ড। কর্মকারী যখন ভয়ে ভয়ে চরে বেড়ায়, সেই কর্মই খারাপ নাম চিহ্নিত হয়। কর্মকারী যদি সুখের মুকুট পরে, সেই কর্মই জগতে শোভা বর্ধন করে। ব্যক্তির কর্মই ব্যক্তির নামের মূল্য নির্ধারণ করে , ব্যক্তির কর্মই পথের গুরুত্ব ঠিক করে , ব্যক্তির নাম এর গুরুত্ত ব্যক্তির কর্মের ওপর নির্ভর করে , কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। কর্মই ব্যক্তির ধর্ম কর্মই ব্যক্তির আসল পরিচয়।

এতো ভীড় তবু একা

চারিদিকে শুধু ভীড় আর ভীড়, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুকেও মানুষের নীড়। অনলাইন অফলাইন সবজায়গায় ভীড়। তবুও সব্বাই একা ,ভীষণ একা, মোবাইল ছাড়া জীবনটাই ফাঁকা। মোবাইলের জন্যই তো আজ মানুষ একা। এতো ভীড় ,তবু এক শূন্যতা গ্রাস করে সর্বক্ষণ পরিশ্রান্ত হয় সর্বজন লুপ্ত হয় সুখের পূর্ণতা।

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা – তোকে ছাড়া চলে না ছোট্টবেলা, বুঝেও যৌবনে সকলেই করে তোকে অবহেলা। ছোট্টবেলায় তোকে নিয়ে লাফালাফি, স্কুলে ঢুকেই ইংরেজী নিয়ে মাতামাতি। চাকরি নিয়ে ভাবনা,তোকে ভুলে রাতারাতি, দু তিনটে ভাষা নিয়ে শুধু টানাটানি। তোর অস্তিত্ব ওই চার দেয়ালের মধ্যে, কিংবা পাড়াপড়শির কূট কাঁচালিতে। তোর অস্তিত্ব বাথরুমে গান গাওয়াতে , কিংবা শাড়ী বা মিষ্টির দোকানে। মানুষ স্বপ্ন দেখে মাতৃভাষাতে, স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় বিদেশী ভাষার প্রয়োগে। মাতৃভাষা না, বিদেশি ভাষা জানলে চাকরী পাকা, আর না জানলে জীবনটাই ফাঁকা। তবুও মাতৃভাষা ছাড়া শ্বাস বন্ধ, মাতৃভাষা ছাড়া মনটাই অন্ধ, সারাদিন কাজের মাঝে বিদেশী ভাষার প্রয়োগে, সন্ধ্যে বেলাতে বাড়ি এসে মাতৃভাষাতে কথা বলে, যখন সব জ্বালা এক নিমেষে যায় ঘুচে, মন বলে – মাতৃভাষা থাকিস এই ভাবে আমার কাছে।

স্বপ্নে বাঁধানো ঘর

জানো ?স্বপ্নে আমি কত্তো গেছি , পাহাড়ে-জঙ্গলে, নদীর স্রোতে গা ভাসিয়েছি। আমার সেই দুই পাহাড় ,আর মধ্যখানে সেই নদী, আমার সেই স্বপ্নে বাঁধানো ঘর আজ কোথায় কি জানি ? আজো ইচ্ছে করে, সব কিছু ছেড়ে - যাই চলে ডানা মেলে, আমার ওই স্বপ্নে বাঁধানো ঘরে।

সময়ের সাথে ঝগড়া

ইচ্ছে করে সময় কে বলি -উল্টোপথে চলতে এক ঝটকায় পৌঁছে যাবো আমার ছোট্টবেলা তে। ফিরে পাবো আমার হারানো বোন টাকে আর পাওয়া মাত্রই আমার মায়ার বাঁধনে আটকে রাখবো তাকে তারপর সময় কে বলবো- এবার তুই চল সামনের দিকে তারপর না হয় আমি একটু একটু করে বড়ো হবো বোনের হাত ধরে। সময় বলবে -তুই বড্ডো চালাকি করলি কিন্তু আমি বলবো -এতে তোর নতুন অভিজ্ঞতা হবে কিন্তু ব্যাস সময় আর আমার ঝগড়া বেশ জমবে আর যাই হোক আমি জানি সময় ই জিতবে। আচ্ছা সময় -একবার আমাকে জিতিয়ে দে না - বারে বারে আমায় হারিয়ে দিস না। আমি একবার শুধু বোনটাকে হাত ধরে টেনে আনবো যমরাজের থেকে খুব সযতনে লুকিয়ে রাখবো। সময় - একটিবার আমার কথা শোন্ পুরানো জিনিস দেখে ভালো হবে তোর ও মন।

জোজো

যদি আমি বাচ্চাই থাকতাম জোজো এর মতো জঙ্গলে ঘুরতাম বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করতাম সত্যিই কি বাঘ আর আমি একসাথে থাকতে পারতাম ? জোজোর মতো আমিও যেতাম জেঠুর বাড়ি, ননী আর শিবু কে নিয়ে জঙ্গলে দিতাম পাড়ি। কিন্তু আমার তো কেও ছিল না  জঙ্গলে - তাহলে কাদের সাথে যেতাম আমি সেখানে ? ভাবতে ভাবতে দেখি আমি সিনেমা হল এ আমি আমার ছোট্ট মেয়ের সাথে। আর কিন্তু দেরি না,আমার মতো স্বপ্নে ডুবতে গেলে , আমার মতো নিজেকে বাচ্চা ভাবতে হলে , খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে এস সিনেমাহলে।

দুষ্টু ছেলের আজব ভাবনা

ছবি
পড়তে একটুও মন চায় না , পড়া ছাড়া কেন দিন কাটে না ? বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবো, যা ইচ্ছে তাই করবো। খেতেও তো বিরক্তি , খাবারের কেন যে উৎপত্তি ? খাবার যদি না থাকতো , খেতে, পড়তে যদি না হতো , শুধুই ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলো, থাকবে শধু দুষ্টুমি আর বন্ধুগুলো। টাকাই যতো নষ্টের গোড়া , টাকা -তুই মরতে পারিস না ? যা না অন্য কোথাও যা, তুই না থাকলে দেখবি কত মজা। সব্বাই হবে এক , থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। তোর জন্যই তো সব কাড়াকাড়ি , তোর জন্যই তো এতো মারামারি , তোর জন্যই তো বাবা মা এর হাঁকাহাঁকি , শুধুই বলতে থাকে বাঁচতে হলে চাই চাকরি , চাকরি করতে গেলে পড়তে হবে , আর ভালো পড়াশুনো করতে গেলে ভালো খেতে হবে। শুধু তোর জন্যই তো পড়তে হয় , তোর জন্যই তো স্কুলে যেতে হয় , তোর জন্যই তো বকা খেতে হয় , তোর জন্যই তো ২বছর বয়স থেকে দৌড়াতে হয় , টাকা একবার যা তুই মঙ্গল গ্রহে  - দেখবি-গোটা পৃথিবীর মানুষ ছুটছে মঙ্গলের দিকে। তখন আমায় পড়তে হবে না , মানুষগুলো তো ঘর টা নিয়ে যাবে না। কত্তো ঘর হবে আমার। মানুষগুলো তো সব্জির গাছগুলো নিয়ে যাবে না - কি মজা , আমাকে টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। শুধুই রাঁধবো, খ...

সাফল্য আর ব্যর্থতা

কখনো কি খেয়াল করেছেন -"ব"  তে ব্যর্থতা আর "স" তে সাফল্য; ব এর পর ই স আসে -বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে। এমন কি ইংরেজিতেও তাই (Failure and Success ) ঘটে। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দুটো "ব " এর পর "স" আসে। তাই ২-৩ বার ব্যর্থতা এলে হতাশ হবেন না ,মনে জোর রেখে এগিয়ে যাবেন।দেখবেন সাফল্য দরজায় কড়া নাড়ছে। "ব" এর পর ই তো "স " নেই ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকায়।তাই একটু ধৈর্য ধরুন।সাধারণ মানুষেরা ১-২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ই হাল ছেড়ে দেয়। আর এখানেই মস্ত বড় ভুল টা হয়। সাফল্য যখন ঠিক একটু খানি দূরে ,তখনই কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য যদি পালিয়ে যায় ,সাফল্য ও ওদের সাথে পালিয়ে যায়।  ব্যর্থতা আমাদের সবচে বড় শিক্ষক। ব্যর্থতা থেকে শিখুন। ব্যর্থতা যখন আসে কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে। ব্যর্থতা সব্বাইকে কিছু শেখাতে চায়। আর সেখান থেকে যদি আমরা ভালো কিছু শিখতে পারি,তাহলেই ব্যর্থতা খুশিতে সাফল্য কে পাঠিয়ে দেয়। আর যদি আমরা ব্যর্থতা থেকে কিছুই শিখতে না পারি ,ব্যর্থতা আরো জোরালো ব্যর্থতা কে পাঠিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য একটাই -আমাদের কে শেখানো। যখন আমরা ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারি, ব্যর্থতা আবার ব্যর্...

আর হতাশা নয়

না, আর হতাশা নয়। ১৮-৩০ বয়সে প্রচুর ছেলে মেয়ে হতাশায় ভোগে নানান কারণে। আর সবচে বড় কারণ -হতাশার কারণগুলো বাড়ির লোকদেরকে বলতে না পারা। বলতে কিছুতেই পারছেন না ? বলতে যখন পারছেন না , লিখতে থাকুন। ভয় করছে পাছে কেও লিখাটা দেখে ফেলে ?নিজের কাছে সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। ভয় পাবেন না ,যদি ভালো কোনো ব্যক্তি দেখে ফেলে, এতে আপনার ই লাভ। স্মার্ট ফোন আছে আপনার কাছে ? নিশ্চয় আছে। আজকাল সবার ঘরে ২-৩ টি করে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন টাকে একটু ভালো কাজে ব্যবহার করে দেখুন তো  কি হয় ? প্রচুর তো ফেসবুক ,হোয়াটস্যাপ এ সময় কাটান।  আজ থেকে কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন।একটা ফ্রী ওয়েবসাইট খুলে তাতে লিখে ফেলুন নিজের সমস্যাগুলো,ঠিক যেমনভাবে মেসেজ করেন ঠিক সেইভাবেই। চিন্তা করবেন না , কেও কিচ্ছু ভাববে না , আপনি আপনার নাম দিতে যাবেন কেন ? আপনি নাম বদলে লিখে ফেলুন আপনার সমস্যাগুলো। দেখবেন -কমেন্ট বক্স এ কত রকমের সমাধান পাবেন। ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো ভালো গুন্ লুকিয়ে রেখেছেন। যেমন এই প্রকৃতিতে কয়লা আর অক্সিজেন প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে কি কোনো কাজ ছাড়াই বিদ্যুৎ তৈরী করা যায় ?বিদ্যুৎ ত...

যেও না চলে

তুমি যদি কখনো যাও চলে, আমায় ছেড়ে দূরে বহু দূরে , আমি কোথাও যাবো হারিয়ে, ঠিকানা হবে নদীর ধারে। কি হবে দূরে গিয়ে, নাইবা থাকলো টাকা পয়সা, তোমার অস্তিত্বেই আমার ভরসা। পাগল হবো আমি আবার তুমি চলে গেলে , আসবে যখন ফিরে , দেখবে ভাসছি আমি নদীর স্রোতে , ওপরে আকাশ,নিচে মাটি , মাঝখানে ভাসছি শুধু আমি।

জন্ম -মৃত্যু

জন্ম যদি হয় , মৃত্যুও তাহার সহিত রয়। জন্ম কভু একা নাহি আসে, মৃত্যু তাহার পিছে শুধু ভাসে। একজন পরলোক গমন করিলে , অন্যজন তাহার জায়গায় অবশ্যই আসিবে। জন্মিলে মরিতে হবে , কবে,কোথায় ,কিভাবে , কেহ তাহা নাহি জানে , একজন নিশ্চয় তাহার হিসেব রাখে। 

অপেক্ষা

দিন মোর কাটে শুধু তোর অপেক্ষায়, কখন নতুন জ্যাকেটগুলো পাবে  ঠাঁই , আমার পরনে , এখনো পরে কভু দেখি নাই , গত বছর তুই যাবার পরে , কিনিয়াছিলাম উটি  এর বাজারে। মনে আমার আনন্দ নাহি ধরে। অন্য বছরতো  হেমন্তের নামটা দিস মুছে , এইবছর কেন রে তুই এতো আছিস পিছে ? অন্য বছর তো বেশ ঝগড়া করিস হেমন্তের সাথে , এই বছর কেন রে শান্ত রেখেছিস নিজেকে ? তুই এলে তবেই না পরবো নতুন জ্যাকেটগুলো , ফেসবুকে দেব তো ফটোগুলো। তাড়াতাড়ি আয় , আমরা সব্বাই তোর অপেক্ষায় !

ভালোবাসা

ভালোবাসা বড্ডো খামখেয়ালি। বিবাহের প্রাক্কালে এক রং নিয়ে তার আগমন , আর বিবাহের পরে অন্য রং এর উন্মোচন। ভালোবাসা শুধুই একঘেঁয়েমি। আজ একরকম , কাল অন্যরকম। ভালোবাসা ছদ্মবেশী। আজ হয়তো মুখে মধু ঝরছে , কাল দুজনে কোমর বেঁধে ঝগড়ায় নামছে। ভালোবাসা অস্থির। আজ আছে কাল নেই , ভালোবাসি বলেছিলাম ?তাই নাকি ?মনে তো নেই  ! যদি ভালোবাসা হয় অমর , যদি ভালোবাসার ঢেউ গুলো শুধুই ওপরের দিকে উঠতে থাকে , যদি ভালোবাসার বাঁধন টা দিনের পর দিন শক্ত হতে থাকে , আর এই ভালোবাসা - জীবনকে দিয়ে থাকে বেঁচে থাকার আশা , জীবনকে নানানভাবে স্বপ্ন দেখায় , স্বপ্নগুলো এক এক করে সাফল্যও পায়,  এমন ভালোবাসা কভু দেখেছো কি ? যদি দেখতে - জীবনের স্বাদ বদলে নিতে , শুধু দুটো মানুষেই দুনিয়াটিকে বদলে দিতে , চারপাশের মানুষের মনে খুশি নিয়ে আসতে। কিন্তু বেকার স্বপ্ন দেখা ! তোমার আমার সবার জীবন একই সুতোয় বাঁধা। এমন ভালোবাসা সত্যিই দুস্কর। 

দীপাবলি

দীপাবলির বিকেলে, মোমবাতি সব জ্বালিয়ে, বারান্দাটিকে সাজিয়ে , চৈকাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে , দূরের লোকজনকে দেখিয়ে , আনন্দে মন যায় ডুবে। দীপাবলির রাতে, বাজি ফটকার সাথে, মোমবাতির আলো হাতে , আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে , বাজিতে আগুন লাগিয়ে, আগুনের নাচ দেখে , মন আনন্দে নাচে।

সেই মেয়েটি

সেই মেয়েটি -একাই রোজ ভাত রাঁধে, কোনোদিন কম পড়ে ,কোনোদিন বাড়ে, একার রান্না -পরিমাণ আন্দাজ নাকি হয় না। সেই মেয়েটি একাই বড় বিছানাতে, কোনোদিন ঘুম আসে, কোনোদিন ঘুম হয় না রাতে। কেও যদি আসে বাড়ীতে , শুতে চায় না তার সাথে , বলে নাকি অভ্যেস খারাপ হবে এতে। তারা চলে গেলে আরো বেশি একলা হবে তাতে। সেই মেয়েটি প্রচুর কথা বলতো এক কালে, আজ কেমন যেন চুপটি মেরে থাকে। নিজেকে শুধু নিয়ন্ত্রণে রাখে , সেই মেয়েটি যে নিজেই নিজের খেয়াল রাখে , যাকে সব্বাই স্বার্থপর ভাবতে থাকে , সেই মেয়েটি নিজেকে নিয়ে খুশিতে থাকে , এটাই কি তার অপরাধ সবার কাছে ? সেই মেয়েটি এতো কিছুর মধ্যেও হাসিখুশি থাকে। কখনো উদাস হয়ে খোলা আকাশের দিকে, তাকিয়ে শুধুই ভাবতে থাকে আনমনে, ভালোবাসা কবে আসবে তার জীবনে ?

পুজো আসছে

পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। এবার শুধুই কাজ আর কাজ করে যেও, সক্কলকে ভালো রেখো ,কাজের আনন্দে ডুবে যেও। পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। এবার কি জানি কবে দেখা হবে সবার সাথে আমার, এবার থেকে শুধু কাজ করাই হবে কাজ সবার। পুজো আসছে আসছে সেই ভালো সেই ভালো, পুজো এসে চলে গেলো,সব ই তো শেষ হলো। আবার সব্বাই শুধু এক বছরের অপেক্ষায় রইবো, সকলে ভালো থাকবো আর আনন্দে কাজ করবো।                                                

একলা

যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। যখন তোমার কেবলই মনে হয়, কেন বারে বারে তোমার সাথেই এমনটা হয়, খুলে দাও জানালা ,মেখে নাও বাহিরের উষ্ণতা। সব কিছু জানার পর মনে হবে ভালো তোমারেই জীবনটা। যখন তোমার মনে হয় কেও নেইকো তোমার পাশে, তুমি বাদে বাকি সক্কলে আছে কত্তো খুশিতে, তখন তুমি মিথ্যে হলেও বলতে থাকো ভালো থাকার কথা, দেখবে জীবন থেকে মুছে যাবে সব ব্যাথা। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। দেখবে আরো কত্তো মানুষ আছে কত শূন্যতা নিয়ে, তোমার চেয়েও একলা তারা ,আছে বেশ জীবনটাকে মানিয়ে। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে।