পোস্টগুলি

সময়ের সাথে ঝগড়া

ইচ্ছে করে সময় কে বলি -উল্টোপথে চলতে এক ঝটকায় পৌঁছে যাবো আমার ছোট্টবেলা তে। ফিরে পাবো আমার হারানো বোন টাকে আর পাওয়া মাত্রই আমার মায়ার বাঁধনে আটকে রাখবো তাকে তারপর সময় কে বলবো- এবার তুই চল সামনের দিকে তারপর না হয় আমি একটু একটু করে বড়ো হবো বোনের হাত ধরে। সময় বলবে -তুই বড্ডো চালাকি করলি কিন্তু আমি বলবো -এতে তোর নতুন অভিজ্ঞতা হবে কিন্তু ব্যাস সময় আর আমার ঝগড়া বেশ জমবে আর যাই হোক আমি জানি সময় ই জিতবে। আচ্ছা সময় -একবার আমাকে জিতিয়ে দে না - বারে বারে আমায় হারিয়ে দিস না। আমি একবার শুধু বোনটাকে হাত ধরে টেনে আনবো যমরাজের থেকে খুব সযতনে লুকিয়ে রাখবো। সময় - একটিবার আমার কথা শোন্ পুরানো জিনিস দেখে ভালো হবে তোর ও মন।

জোজো

যদি আমি বাচ্চাই থাকতাম জোজো এর মতো জঙ্গলে ঘুরতাম বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করতাম সত্যিই কি বাঘ আর আমি একসাথে থাকতে পারতাম ? জোজোর মতো আমিও যেতাম জেঠুর বাড়ি, ননী আর শিবু কে নিয়ে জঙ্গলে দিতাম পাড়ি। কিন্তু আমার তো কেও ছিল না  জঙ্গলে - তাহলে কাদের সাথে যেতাম আমি সেখানে ? ভাবতে ভাবতে দেখি আমি সিনেমা হল এ আমি আমার ছোট্ট মেয়ের সাথে। আর কিন্তু দেরি না,আমার মতো স্বপ্নে ডুবতে গেলে , আমার মতো নিজেকে বাচ্চা ভাবতে হলে , খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে এস সিনেমাহলে।

দুষ্টু ছেলের আজব ভাবনা

ছবি
পড়তে একটুও মন চায় না , পড়া ছাড়া কেন দিন কাটে না ? বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবো, যা ইচ্ছে তাই করবো। খেতেও তো বিরক্তি , খাবারের কেন যে উৎপত্তি ? খাবার যদি না থাকতো , খেতে, পড়তে যদি না হতো , শুধুই ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলো, থাকবে শধু দুষ্টুমি আর বন্ধুগুলো। টাকাই যতো নষ্টের গোড়া , টাকা -তুই মরতে পারিস না ? যা না অন্য কোথাও যা, তুই না থাকলে দেখবি কত মজা। সব্বাই হবে এক , থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। তোর জন্যই তো সব কাড়াকাড়ি , তোর জন্যই তো এতো মারামারি , তোর জন্যই তো বাবা মা এর হাঁকাহাঁকি , শুধুই বলতে থাকে বাঁচতে হলে চাই চাকরি , চাকরি করতে গেলে পড়তে হবে , আর ভালো পড়াশুনো করতে গেলে ভালো খেতে হবে। শুধু তোর জন্যই তো পড়তে হয় , তোর জন্যই তো স্কুলে যেতে হয় , তোর জন্যই তো বকা খেতে হয় , তোর জন্যই তো ২বছর বয়স থেকে দৌড়াতে হয় , টাকা একবার যা তুই মঙ্গল গ্রহে  - দেখবি-গোটা পৃথিবীর মানুষ ছুটছে মঙ্গলের দিকে। তখন আমায় পড়তে হবে না , মানুষগুলো তো ঘর টা নিয়ে যাবে না। কত্তো ঘর হবে আমার। মানুষগুলো তো সব্জির গাছগুলো নিয়ে যাবে না - কি মজা , আমাকে টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। শুধুই রাঁধবো, খাবো

সাফল্য আর ব্যর্থতা

কখনো কি খেয়াল করেছেন -"ব"  তে ব্যর্থতা আর "স" তে সাফল্য; ব এর পর ই স আসে -বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে। এমন কি ইংরেজিতেও তাই (Failure and Success ) ঘটে। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে দুটো "ব " এর পর "স" আসে। তাই ২-৩ বার ব্যর্থতা এলে হতাশ হবেন না ,মনে জোর রেখে এগিয়ে যাবেন।দেখবেন সাফল্য দরজায় কড়া নাড়ছে। "ব" এর পর ই তো "স " নেই ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকায়।তাই একটু ধৈর্য ধরুন।সাধারণ মানুষেরা ১-২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ই হাল ছেড়ে দেয়। আর এখানেই মস্ত বড় ভুল টা হয়। সাফল্য যখন ঠিক একটু খানি দূরে ,তখনই কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য যদি পালিয়ে যায় ,সাফল্য ও ওদের সাথে পালিয়ে যায়।  ব্যর্থতা আমাদের সবচে বড় শিক্ষক। ব্যর্থতা থেকে শিখুন। ব্যর্থতা যখন আসে কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে। ব্যর্থতা সব্বাইকে কিছু শেখাতে চায়। আর সেখান থেকে যদি আমরা ভালো কিছু শিখতে পারি,তাহলেই ব্যর্থতা খুশিতে সাফল্য কে পাঠিয়ে দেয়। আর যদি আমরা ব্যর্থতা থেকে কিছুই শিখতে না পারি ,ব্যর্থতা আরো জোরালো ব্যর্থতা কে পাঠিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য একটাই -আমাদের কে শেখানো। যখন আমরা ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারি, ব্যর্থতা আবার ব্যর্

আর হতাশা নয়

না, আর হতাশা নয়। ১৮-৩০ বয়সে প্রচুর ছেলে মেয়ে হতাশায় ভোগে নানান কারণে। আর সবচে বড় কারণ -হতাশার কারণগুলো বাড়ির লোকদেরকে বলতে না পারা। বলতে কিছুতেই পারছেন না ? বলতে যখন পারছেন না , লিখতে থাকুন। ভয় করছে পাছে কেও লিখাটা দেখে ফেলে ?নিজের কাছে সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। ভয় পাবেন না ,যদি ভালো কোনো ব্যক্তি দেখে ফেলে, এতে আপনার ই লাভ। স্মার্ট ফোন আছে আপনার কাছে ? নিশ্চয় আছে। আজকাল সবার ঘরে ২-৩ টি করে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন টাকে একটু ভালো কাজে ব্যবহার করে দেখুন তো  কি হয় ? প্রচুর তো ফেসবুক ,হোয়াটস্যাপ এ সময় কাটান।  আজ থেকে কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন।একটা ফ্রী ওয়েবসাইট খুলে তাতে লিখে ফেলুন নিজের সমস্যাগুলো,ঠিক যেমনভাবে মেসেজ করেন ঠিক সেইভাবেই। চিন্তা করবেন না , কেও কিচ্ছু ভাববে না , আপনি আপনার নাম দিতে যাবেন কেন ? আপনি নাম বদলে লিখে ফেলুন আপনার সমস্যাগুলো। দেখবেন -কমেন্ট বক্স এ কত রকমের সমাধান পাবেন। ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো ভালো গুন্ লুকিয়ে রেখেছেন। যেমন এই প্রকৃতিতে কয়লা আর অক্সিজেন প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে কি কোনো কাজ ছাড়াই বিদ্যুৎ তৈরী করা যায় ?বিদ্যুৎ তৈরী করতে কতো ক

যেও না চলে

তুমি যদি কখনো যাও চলে, আমায় ছেড়ে দূরে বহু দূরে , আমি কোথাও যাবো হারিয়ে, ঠিকানা হবে নদীর ধারে। কি হবে দূরে গিয়ে, নাইবা থাকলো টাকা পয়সা, তোমার অস্তিত্বেই আমার ভরসা। পাগল হবো আমি আবার তুমি চলে গেলে , আসবে যখন ফিরে , দেখবে ভাসছি আমি নদীর স্রোতে , ওপরে আকাশ,নিচে মাটি , মাঝখানে ভাসছি শুধু আমি।

জন্ম -মৃত্যু

জন্ম যদি হয় , মৃত্যুও তাহার সহিত রয়। জন্ম কভু একা নাহি আসে, মৃত্যু তাহার পিছে শুধু ভাসে। একজন পরলোক গমন করিলে , অন্যজন তাহার জায়গায় অবশ্যই আসিবে। জন্মিলে মরিতে হবে , কবে,কোথায় ,কিভাবে , কেহ তাহা নাহি জানে , একজন নিশ্চয় তাহার হিসেব রাখে।