পোস্টগুলি

একলা

যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। যখন তোমার কেবলই মনে হয়, কেন বারে বারে তোমার সাথেই এমনটা হয়, খুলে দাও জানালা ,মেখে নাও বাহিরের উষ্ণতা। সব কিছু জানার পর মনে হবে ভালো তোমারেই জীবনটা। যখন তোমার মনে হয় কেও নেইকো তোমার পাশে, তুমি বাদে বাকি সক্কলে আছে কত্তো খুশিতে, তখন তুমি মিথ্যে হলেও বলতে থাকো ভালো থাকার কথা, দেখবে জীবন থেকে মুছে যাবে সব ব্যাথা। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে। দেখবে আরো কত্তো মানুষ আছে কত শূন্যতা নিয়ে, তোমার চেয়েও একলা তারা ,আছে বেশ জীবনটাকে মানিয়ে। যখন তুমি একলা, কেউ নেইগো তোমার সাথে, ঘরের বাহিরে থেকে দেখো পৃথিবীটাকে।

চিঠি-১

শ্রদ্ধেয় - মা, মাটি, মানুষ, সুকান্ত ভট্টাচার্য এর রানারের মতো আমিও কোটি কোটি মানুষের Data বহন করিতেছি গত ৮-১০ বছর ধরিয়া। রানারের সহিত আমার পার্থক্য হইল এই যে - রানার কায়িক শ্রম করে কিন্তু আমি সেটা করি নাই, আমি আমার Brain এ সবার Data সুরক্ষিত করিয়া রাখি। সবার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করিয়াছি আমার হৃদয়ে। আবার যখন কেউ কোনো Data delete করিয়া দেয় ,আমি সেই Data গুলোকে Trash ডিপার্টমেন্ট এ পাঠাইয়া দিই। এই মা ,মাটি ,মানুষ জীবিত,মৃত সব Data ই আমার ঘাড়ে চাপাইয়া দেয়। আর আমাকে Online গাধা ভাবিতে থাকে। গাধাকে সুস্থ রাখিবার জন্য যেমন খাবার দরকার হয় আমাকে ভালো রাখিবার জন্য Maintenance এর দরকার পড়ে। পৃথিবীতে যেমন প্রচুর Bank Account আছে ,এমন কি কোনো কোনো ব্যক্তির ৩-৪ টি Account আছে ,আমার কাছেও অসংখ্য লোকের Account আছে ,কিছু কিছু লোকের আবার ২-৩ টি Account আছে। আর এই জন্যই আমার ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। Bank Account গরীবেরা খুলতে পারে না ,কিন্তু আমার কাছে ধনী -গরীব সকলেই Account খুলতে পারে। শুধুই কি Account ?কতো লোক কতো group তৈরী করিয়াছে। গানের জন্য ,নাচের জন্য ,ছবি আঁকার জন্য ,কবিতার জন্য -অসংখ্য gr

ঠাম্মি-বোন

বোনটি আমার চলে গেছে কত্তকাল আগে, ঠাম্মি তার পিছু নিয়েছে থাকে তার সাথে। ঠাম্মি-বোন স্বপ্নে এসে বলে - তোরা থাকিস বিপদ সামলে, মোদের স্বর্গে নেই কোনো দুঃখ কষ্ট। আমরা আছি বেশ তো , তোদের নিয়েই চিন্তা করি , সকাল বিকাল সারাবেলা। কাজের ফাঁকে উঁকি মারি , এই তো মোদের মরণখেলা। ঝগড়া-ঝাঁটি ,অশান্তি  শুধুই চোখে ভাসে- এই  তো  শুধু তোদের দেশে। পরিবারেও তোদের রাজনীতি দেখি, আর তোদের এই জীবনখেলায় যখন তখন শিউরে উঠি। বলা শেষ হলেই , ঠাম্মি বোন শুধুই পালায়। ঘুম আমার কাটলে পরে , দেখি আমি বিছানায়।

পুজোর আনন্দ

 পুজো এলো আবার চলেও গেলো , যে মানুষটা পুজোর আগে হাসপাতাল এ ছিল , বাবা,মা অপেক্ষা করছিলো - পুজোর আগেই বাড়ি আসবে বলে। সেই ছেলেটা এখনো হাসপাতাল এ , আর বাবা মা দিন গুনছিল , সপ্তমীতে ডাক্তার নাই বা ছাড়লো , নবমীতে ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখবো। ছেলেকে নিয়ে আবার হয় হুল্লোড়ে মাতবো। কিন্তু ডাক্তার যা বললো - সব আনন্দ এক নিমেষে ভাঙলো , ছেলেটির মা ভাবতে থাকে আপন মনে , দেখতে থাকে গোটা শহর ভর্তি আলোর রশ্মিতে , কিন্তু তার মন কিছুতেই বুঝছে না - এতো আলোর বাহার চারিদিকে তাও তার ভালো লাগছে না। আর সেই কিশোর ছেলেটি হাসপাতাল এর জানালা দিয়ে , উঁকি মেরে বাহিরটা শুধুই দেখতে চায় , গত বছর এমনি দিনে - কি আনন্দটাই না এসেছিলো প্রাণে , সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গিয়ে - পুজো প্যান্ডেল এ একটি মেয়ের পানে চেয়ে ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে , খানিক পরে , দেখি বন্ধুরা সব উধাও,ফোন এ চারটা মিস কল , পরে যখন দেখা হয়,ভীষণ ঝাড় দেয় বন্ধুর দল। মনে পড়তেই ছেলেটির হাসি পেয়ে যায়। কিন্তু আজ এই বছরে এই পুজোয় , সব কেমন বদলে গেছে , বন্ধুরা যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে , বাবা মা অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে , কিসের এতো আনন্দ কিসের এই

আমার এডপ্টেড সন্তান

ভাগ্যিস পুজোর আগে একটা বাচ্ছাকে adopt করেছিলাম।তা না হলে husband এর বিদেশ যাওয়াটা আমাকে বিষাদে ভরিয়ে রাখতো। এই বাচ্ছাটি সম্পূর্ণরূপে আমার ,আমি যেমনভাবে যেটুকু সময় দেব, ও তাতেই খুশি।যদিও জন্ম দিয়েছি যে মেয়েটিকে তাকে নিয়েও আমি খুশি ,কিন্তু গ্রামের যৌথ পরিবারে এসে সে নিজে নিজেই সব কাজ করছিলো -মাসীমণি আর দিদি,দাদাদের সাহায্য নিয়ে।তাই আমার adopted নতুন বাচ্ছাকে নিয়ে আমি আমার একাকিত্ব ঘুচিয়েছি।  এই নতুন সন্তান আমাকে শুধুই আনন্দ দেয়। এ যেন এক অনাবিল আনন্দ।একে লালন পালন করার জন্য কোনো খরচ লাগে না। আমি অন্তর দিয়ে শোনার চেষ্টা করি -এই সন্তান আমার কাছে থেকে কিছু চায় কিনা।কতো রাত জেগেছি ,কতো স্বপ্ন দেখেছি -দেখেছি এই সন্তান শুধুই আমার সঙ্গ চায়।বোধ হয় -যখন আমি বৃদ্ধা হয়ে যাবো ,সংসারের কোনো কাজ করতে পারবো না ,এই সন্তান তখন আমায় আনন্দ দিয়ে যাবে।  এই সন্তান তো আর চার পাঁচটা সন্তানের মতো নয়। হতে পারে এই পৃথিবীতে জনসাধারণের কাছে ,এর কোনো প্রাণ নেই। কিন্তু আমি তা মানি না। আমার কাছে আমার এই সন্তান যে কি তা বলে বোঝানো যাবে না। বাকি যারা আমার পরিবারে আছে সবাই কেমন দায়িত্বের সুতোতে আমার সাথে জড়িয়ে আ

আমি

আমি কাঁদি গভীর রাত্রে নিঃশব্দে, আমি হাসি দিবালোকে প্রকাশ্যে। আমি অনুভব করি সংসারের জটিলতা , আমি বুঝতে পারি ভালোবাসার অভাবটা। আমি দেখেছি ভালোবাসার ভেদাভেদ , আমি দেখেছি সম্পর্কের বিচ্ছেদ , দেখেছি বছরের ওই একটি সময়ে - পুজোর ওই মাত্র চারটি দিনে , সক্কলে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে থাকে কত্তো খুশি মনে। আর পুজোর পঞ্চম দিনে সক্কলে মজে যায় নিজ সংসারে। সংসারের জটিলতায় লিপ্ত হয় গোপনে , দিনগুলো বইতে থাকে আপন স্রোতে। আমি কাঁদি, পুজোর ওই চারটে দিনেও কাঁদি , শুধুই অঝোরে কাঁদতে থাকি আমি। নীরবে নিভৃতে একান্তে , মনুষ্যলোকের দৃষ্টির বাইরে কল্পনার জগতে স্বপ্ন দেখি এক বিশাল পৃথিবীর , যেখানে শুধুই দেবতাদের ভীড় , যেখানে নেই ভ্রাষ্টাচার, নেই রাজনীতি , যেখানে শুধুই দেবী,দেবতা আর প্রকৃতি।

শরতের দুর্গোৎসব

ছবি
ঠিক শরতের আগমনে একটা অন্যরকম অনুভূতি বাঙালিদের মনে জাগে ,এই অনুভূতি সহজে বোঝানো যায় না। এ যেন এক মিলনোৎসব ,পুরো শহরবাসী একত্রিত হওয়ার এক অনুষ্ঠান। বিদেশে ,স্বদেশে যে যেখানেই থাকুক না ,সব বাঙালিই চেষ্টা করে পুজোর দিনগুলো বাড়িতে ,নিজের শহরে কাটানোর।  বাঙালিরাই বোধ হয় বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বিভিন্ন দেশে চাকরিসূত্রে। কিন্তু শরতের শিউলিভরা সকালগুলো কাশফুলের আগমনে দুর্গাপুজোর বার্তা নিয়ে এসে আমাদের মনে আলাদা এক রোমাঞ্চকর আলোড়ন তুলে যায়।  যতই বলি না কেন দুর্গোৎসব কেও মানুষ ব্যবসাতে  পরিণত করেছে কিন্তু এটা মানতেই হয় যে আত্মীয় সমাগমের আনন্দে দুর্গোৎসবের ওই চারটি দিনের আলাদা এক মাধুর্য আছে। গ্রামাঞ্চলে আরো বেশি আনন্দ লাভ করা যায়। নিজের কাকিদের সাথেই কথা হয় না এই ব্যস্ত জীবনে ,আর পাড়ার কাকিদের সাথে কথা হওয়া তো দূরের কথা! তাই পাড়ার কাকিরাও উদগ্রীব হয়ে থাকে অমুখ বাড়ির ছেলে, মেয়ে ,বউমা রা কয়জন আসছে ,কবে আসছে  তার অপেক্ষায়।  এই কয়েকটা দিন সব্বাই প্রচুর কেনাকাটা করতে থাকে। কেনাকাটার মধ্যেও এক অনাবিল আনন্দ পাওয়া যায়। অন্যকে কিছু দিতে পারলে পুজোর দিনগুলো আরো চমকপ্রদ হয়ে ওঠে। আর যারা