পোস্টগুলি

সাধারণ মানুষেই বেকারত্বের শিকার

হতাশায় ভুগছেন ? বাজারে একদম ই চাকরি নেই ? কিন্তু জিনিসপত্রের দাম তো হুড়হুড় করে বেড়েই চলেছে।অথচ আপনার মাইনে কিন্তু বাড়ছে না সেই ভাবে। এমন কি মাঝে মঝে এই ভয় টাও আপনাকে কুঁড়ে খাচ্ছে যে চাকরি টাই যদি না থাকে, কি হবে ? ১০ বছর আগে ১০,০০০ টাকার চাকরি পেয়ে খুব খুশিতে বিয়ে করে ফেলেছেন। বাড়িতে দুটো বাচ্ছা ,আর বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন, তাদের কি করে খাওয়াবেন তাই ভাবছেন তো ?আপনার বাবা একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়িয়ে আপনাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন। আপনি যা যা চেয়েছিলেন,ঠিক যেমনভাবে ,যে কলেজ এ পড়তে চেয়েছিলেন,আপনার বাবাও আপনাকে ঠিক সেইভাবেই পড়িয়েছেন।  অথচ আজ আপনি এতো বছর অভিজ্ঞতা অর্জন করেও পরিবারের স্বাছ্যন্দ বজায় রাখতে পারছেন না ? আপনি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না এই চিন্তায় ?একবার ভাবছেন ব্যবসা করবেন ?আবার কখনো ভাবছেন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যাবেন ? পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গেলে বয়স্ক বাবা মা দের কে দেখবেন ? দিদি তো বিবাহিত ,শ্বশুরবাড়িতেই ব্যস্ত ?আমাদের ভারতবর্ষের সংস্কৃতি তে তো মেয়েরা শশুড়বাড়িকেই দেখে থাকেন। আপনার স্ত্রী তো দুটো বাচ্চার পড়াশুনো ,বাড়ির যাবতীয় কাজ করার পর আর সময় পান না ?সব কিছু ভেবে দেখছেন ,

ভদ্রতাই মানুষের আসল পরিচয়

ভদ্র ব্যবহার দিয়ে অনেক অসাধ্য জিনিস ও পাওয়া যায়। কিন্তু সেই একই জিনিস অভদ্র আচরণ দিয়ে পেতে গেলে কত কষ্ট পেতে হয় ,আবার সময়ের অপব্যবহার ও করতে হয়। এই ভদ্রতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।  কত ছোটোখাটো কারণে কত ঝগড়া হয়ে থাকে।  দেখেছি বাস এর মধ্যে দুই যাত্রীর একে অপরের সাথে কি নিষ্ঠূর ব্যবহার ! কারণ টা কিন্তু খুব সামান্যই ছিল। একটা ছোট্ট বাচ্ছা তার দাদুর কোলে বসে পা গুলো ওই আরেকটি লোকের দিকে রেখেছিলো। ব্যাস এই সামান্য কারণে ওই লোকটি উত্তেজিত হয়ে কত কথাই না শুনিয়ে দিয়েছিলো ওই দাদুটিকে।  আবার আরেকদিন বাস এর মধ্যে এক দাদু বসেছিলেন। বাস টি  চলছে।  একটা অল্পবয়সী মেয়ে দাদুর কাছে দাঁড়িয়েছিল। কারণ বসার কোনো জায়গা ছিল না। আর মেয়েটি ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই নেমে যাবে বলে ভেতরের দিকে যায় নি। মেয়েটি হঠাৎ করে হালকা কাশি কাশতে থাকে ,তাও অন্য দিকে মুখ ঘুরে। ব্যাস ,টাকলু ওই দাদু টির সে কি রাগ !তুমুল চিৎকার শুরু করে দেয়। ভদ্রতা (manners ) নিয়ে কথা শোনাতে থাকে ওই মেয়েটিকে।  ভদ্রতা !অন্যকে সম্মান দেওয়া ,নম্র সুরে কথা বলা -ব্যাস এইগুলোই তো ভদ্রতার পরিচয়। যাদের মধ্যে অহংকারের

বাংলা সিরিয়েল

খুব সিরিয়েল দেখছেন ?সন্ধ্যেবেলা টা সিরিয়েল দেখেই কাটিয়ে দিচ্ছেন ?এটা আপনার রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ?বাড়িতে আপনাদের সাথে বাচ্ছারাও সিরিয়েল দেখছে ?৫ বছরের বাচ্ছা তাই কোনটা আপনার বাড়ির কাজের লোক সহজেই বুঝে যাচ্ছে আর বড় বড় কথা বলছে ?কিন্তু তাও আপনি সিরিয়েল দেখার অভ্যেস কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না ? বাংলা সিরিয়েল গুলো কাকিমা ,জেঠিমা,দিদিমা,ঠাকুমাদের ভালোই মাতিয়ে রাখে। কিছু কিছু গ্রামে কাকু ,জেঠুরাও সিরিয়েল এ মেতে থাকে। সারাদিন কাজের শেষে ওই প্যাঁচানো সিরিয়ালগুলো কি করে যে কিছু মানুষের ক্লান্তি ঘোচায় তা কিছুতেই বোধগম্য হয়ে ওঠে না।  সব সিরিয়েল গুলো কিছুটা দেখলেই পরবর্তী ৫-১০ দিনের পর্বগুলোকে অনুমান করা যায়। সিরিয়েল রচয়িতাদের উদ্দেশ্য তো সিরিয়েল গুলো কে চটকে দেওয়া। একটা ভিলেন তো থাকবেই থাকবে। আর ওই ভিলেন এর কাজ ই হবে ভালো মানুষগুলোর ক্ষতি করা। ভালো মানুষগুলো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ওই ভিলেন এর শাস্তি দেবে ,শাস্তি পাওয়ার পর ভিলেন আরো বেশি বদমায়েশি শুরু করবে।  এই তো চলতে থাকে একবার ভালো মানুষগুলো কাঁদতে থাকে ,ভিলেন আনন্দ নিতে থাকে ,আবার কখনো ভালো মানুষগুলো ভিলেন কে শাস্তি দিতে পেরে উল্ল

আমার তুমি যখন ভিন দেশে

আমার তুমি যখন আমায় ছেড়ে বহু দূরে ভিন দেশে, তোমার আমাকে তোমার কাছে পৌঁছতে কত্তো কাঠ খড় হবে পোড়াতে, লাগবে পাসপোর্ট,ভিসা আরো কত্তো কি ? তোমার সরল ভালোবাসা এতো কিছু বোঝে কি ? তোমার সেই ফেলে আসা ধুলোমাখা শহরটা - একরাশ বেদনা নিয়ে জেগে -সেই কলকাতা, যাকে তুমি খুব খুব ভালোবাসতে যার জন্য অন্য শহরে পারো নি যেতে আজ হঠাৎ তোমার মন গিয়েছে বদলে তাইতো কঠিন বাস্তবে দাঁড়িয়ে,সব কিছু ফেলে পাড়ি দিয়েছো সুদূর বিদেশে ঘর বাড়ি সব কিছু থেকে দূরে ,বহূ দূরে। 

ভালোবাসার ছোঁয়া

ভালোবাসার ছোঁয়ায় জাদু আছে।  খারাপকেও বদলে দিতে জানে।  ভালোবাসা প্রকৃতির ই তো উপহার , তাইতো সহজে মানে না সে হার।  গুন্ডা,বদমায়েশ ,চোরদের কে  ভালোবাসায় জব্দ করতে পারে।  শুধু ভালোবাসার ধরণটা  জেনে নিতে হয় , যেমন চোরকে টাকা দিয়ে ভালোবাসতে হয় , আর ছিঁচকে চোরকে খাবার দিয়ে ভালোবাসতে হয়।  আর যে ছেলেটা হঠাৎ করে পড়ার পথে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে, তাকে বন্ধুত্বের স্পর্শ দিয়ে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হয়।  আর যে ছেলেটা পথভ্ৰষ্ট হয়ে মেয়েদের শ্লীলতাহানিতে মেতেছে , তাকে চাবুকের তীব্র যন্ত্রনা দিয়ে ভালোবাসতে হয় !

নারীদের চাকুরীজীবনই কি সংসার ভাঙ্গনের কারণ ?

শোনা যায় -পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নাকি প্রচুর উন্নতি হয়েছে।বাকি রাজ্য গুলোতে সেইভাবে নাকি উন্নতি হয় নি। আপনিও কি এক মত্ ?কথাগুলো খুব একটা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু। ঘরে ঘরে মেয়েরা নিজের উপার্জনে জীবন কাটাতে চাইছে। এমন কি গ্রামগুলোতেও প্রচুর মেয়ে কর্মরত। মেয়েরা স্বাধীনচেতা হয়েছে।  সবার আগে পুরুষমানুষদের কাছে থেকে আসা কিছু অভিযোগ বলা যাক : কেও কেও বলে থাকেন এতে নাকি সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে ,সংসারে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে। মানিয়ে চলার ক্ষমতা ও নাকি মেয়েদের অনেক কমে গেছে। এমনকি পুরুষ মানুষদের বেকারত্ব বেড়েছে।একজন চাকুরিরতা মহিলা কখনোই বেকার পুরুষমানুষ কে বিবাহ করতে চায় না ,কিন্তু চাকুরীরত পুরুষরা বেকার মহিলাদের তো সহজেই বিবাহ করে থাকে। একটা পরিবারে যদি স্বামী স্ত্রী দুজনেই যদি চাকুরী করে,স্ত্রীর টাকা টা  নাকি পরিবারের কোনো কাজে আসে না -মহিলারা নাকি পরিবারের দায়িত্বের বদলে নিজেকে গোছাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ মানুষ টিকেই পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী অতীতে যেমনভাবে মহিলারা দিন কাটাতো সেটাই নাকি ঠিক ছিল। সমাজের ভারসাম্য ঠিকঠাক ছিল। এখন

বৈপরীত্য এর ম্যাজিক

বৈপরীত্যের ম্যাজিক কখনো অনুভব করেছেন ?কল্পনা করুন যে সূর্য সবসময় আলো দিচ্ছে ,কোনো অন্ধকার বলে কিছুই নেই। কি রকম লাগবে আপনার? আপনি  কেমন একঘেঁয়েমি অনুভব করবেন না ?আর সেইজন্যই কখনো কখনো আমাদের চাঁদের আলোর দরকার হয়। তাহলে কি এটাই কারণ শয়তানদের অস্তিত্বের ? সব দিক থেকেই প্রকৃতির বৈপরীত্যের দুটো অংশই দরকার হয় ; যেমন -কালো-সাদা ;আলো -অন্ধকার ;ভগবান -শয়তান ;ভালো-খারাপ ;পুরুষ-স্ত্রী। প্রকৃতির নিজের মধ্যেও বৈপরীত্য বিরাজমান ঠান্ডা -গরম।  কল্পনা করুন সব কিছুরই একটা দিক আর ভাবুন অন্য দিকটা নেই। সেক্ষেত্রে ,আপনার ভ্রমণের দরকার হবে না ,কারণ সব জায়গাতেই একই আবহাওয়া এবং শুধুই দিন ,রাত্রির কোনো অস্তিত্বই নেই। আবার কোনো খারাপ মানুষ ও নেই। সব্বাই ভালো।  আপনি কি একঘেঁয়েমি তে ভুগবেন না ?নতুনত্বের জন্য পাগল হবেন না ? যদি কোনো খারাপ মানুষের অস্তিত্বই না থাকে ,তাহলে তো কোনো চোর থাকবে না। সেক্ষেত্রে,পুলিশের, উকিলের দরকার পড়বে না। কোনো কিছুই ভেজাল হবে না। সব্বাই ভালো ,সব ভালো। তাহলে তো মানুষের মন খুব ভালো থাকার কথা। আর সেক্ষেত্রে ,ডাক্তার আর ওষুধের প্রয়োজন ও খুব কমে যাবে। যেহেতু সব্বাই খুব ভালো,স