পোস্টগুলি

নারী -পুরুষ

বদলে গেছে যুগ । একটা সময় ছিল যখন ঘরে ঘরে মেয়েরা মেয়েদের মতোই থাকতো ।আর ছেলেরা তাদের শাসিয়ে রাখতো।স্ত্রী মানেই ছিল বাচ্ছার জন্ম দেবে আর রান্না বান্না ,ঘর সামলাবে।পুত্র সন্তানের জন্ম দিলে খুব ই ভালো নয়তো এমন ও হতো যে ওই লোকটি দ্বিতীয়বার বিয়ে করতো শুধুমাত্র পুত্রসন্তানের জন্য।আর দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য ওই লোকটির মা ই ইন্ধন দিত। প্রতিটি শাশুড়ি কষ্টের স্বীকার হতো আর সেই কষ্ট একটু হলেও কম হতো যখন সেই শাশুড়ি তার বউমার ওপর ওই একরকম অত্যাচার করতে পারতো। এই যুগে বদলেছে মেয়েরা।ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বলেছে। আজ বোধ হয় একটি মেয়েও শিক্ষার আলো থেকে বন্চিত হয় না,বোধ হয় কোনো মেয়ে কে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় না,কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে তাকে বয়কট করাও হয় না বা সেই সন্তানের পিতা দুবার বিয়ে করে না।মেয়েরা ছেলেদের মতো সিগারেট খেতে শিখেছে ,রাত্রে পার্টি করতে শিখেছে,বয়ফ্রেইন্ড এর সাথে শর্ট ড্রেস এ ডিস্কো তে যেতে শিখেছে। এইগুলোই কি উন্নতির পরিচয় ? মেয়েরা বোধ হয় মেয়েদের কে ছোট চোখে দেখে তাইতো আজকাল কার মেয়েরা ছেলেদের ভালো গুন গুলো নিতে গিয়ে খারাপ গুন গুলোকেও নিতে শিখেছে। প্রতিটা মেয়ে আজকাল তুলনা করে বলতে

ভালো থেকো

হাসতে আমি চাই নি, হাসার নেইকো কোনো কারণ। তৃষ্ণা আমার পাই নি- তবুও জল খাই ,নেই কোনো কারণ। শরীর তো খারাপ হয় সকলের, মন খারাপ শুধু পাগলের। শরীরের জন্য তুমি কত খাও ! আর মন কে তুমি কি দাও? সময় ?তাও পাই না এই মন, দুশ্চিন্তার ভিড় অবসর সময়ের কিছুক্ষন। চুপচাপ ঘুম গভীর রাতের- সেই সময় শুধু শরীরের। শরীরকে জাগিয়ে রেখে, মন কে শুধু তাজা রেখে, দেখো সমস্যা কেমন  যায় চলে- ক্রমশ দূরে দূরে। একরাশ চিন্তার ভীড় তোমার আমার মনের গভীর ফেলে দাও ফেলে দাও- সেইসব জঞ্জাল ডাস্টবিনে। ভরিয়ে দাও,রাঙ্গিয়ে দাও- ভালোবাসা আর হাসি তে। মিথ্যে হলেও হাসো, প্রানখুলে হাসো,আরো হাসো। অভিনয় করো হাসার, অভিনয় করো ভালো থাকার, অভিনয় বেশিদিন থাকবে না, জীবন ও থেমে থাকবে না। কোনো একদিন তুমি বুঝবে- সব সমস্যা হাসি মুখে সেদিন তুমি দূর করবে। সেদিন অভিনয় নয়, কবে কখন জীবন হয়ে গেছে এই অভিনয় তুমি বুঝতেও পারবে না। সেইদিন কোনো সমস্যা আর থাকবে না। আজ আমি যা বলছি তোমায়- তুমিও বলবে কিন্তু তারে। ছড়িয়ে দাও এই হাসি চারিদিকে, বপন করো ভালো থাকার বীজ এই ভুবনে।।

লিখাচোর

সুযোগ পেলেই লিখতে বসি, কাজে দিই ফাঁকি । মনটা শুধু সময় খোঁজে, লিখবো কখন কাজের ফাঁকে । সবার মন চুরি করে রাখবো সযতনে, সেসব কিছু ফুটিয়ে তুলবো আমার কলমে। রাস্তার ধারের আগাছাগুলো - দেখেও তোমরা দেখো না, তাদের সাথে আমার লিখার কথা গুলো- শুনে হিংসা যেন করো না। চুরি করবো তোমার সব দুঃখ, লিখাতে রেখে যাবো সাময়িক সুখ। অলীক স্বপ্ন দেখাবো না।  আমার লিখার আছে সে ভাবনা। তোমরা যতই বলো আমায় - মনচোর, সময়য়চোর, আমিও বলে যায় - আমার লিখার আছে অনেক জোর।

সময় আর লিখা

আর কোনো কবিতা নয় কোনো লেখা নয়, এইভাবেই সময়টা শুধু হয় নয়ছয়।  লিখা তুমি থেকো শুধু মনের মধ্যে ,এস না বাহিরে - খালি আমার মন টাকে বিব্রত করো বারে বারে।  তুমি বুঝে নিও তোমায় নিয়ে থাকলে , টাকা কড়ি কোনোটাই নাহি মিলে।  লিখার নেই কোনো দাম আমার এই ব্যস্ত জীবনে।  তোমায় নিয়ে থাকলে সংসার চলিবে কিভাবে ? সময় টাও তো থেমে থাকে না লিখার কারণে , তাই তো রাতের ঘুমটাও কি লিখা তুমি কেড়ে নেবে ? লিখা তুমিই সময় কে বোঝাবে সে যেন তোমার কথা রাখে মনে , গোধূলীবেলা চাকরীশেষে বাড়ি ফিরে চায়ের সাথে - ঐটুকুই সময় শুধু তোমার ,লিখা আমি তখন তোমার সাথে। চায়ের কাপের সাথে তোমারো হবে ছুটি ,কথাটা যেন মাথায় থাকে।  লিখা তুমি শুধুই তো সব নয় ,আছে আমার পরিবার - আর আছে চাকরি ,তারা তো আগে সবার।  ওদেরকে সময় দেওয়ার পর ও  যদি থাকে কিছু সময়,  তখন না হয় এস আমার কাছে ,থেকো আমার ছায়ায়। 

মা -১

ছবি
   এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা, জানুয়ারী মাসের পনেরো ছিল তারিখটা। সাল টা ছিল 2013,সবে যখন সাতদিন গড়ালো, আমার না বোঝা আওয়াজে ঘরটা ভরে উঠলো। তিনটে মাস মায়ের সাথে কাটলো আধো আধো বুলিতে, সমস্ত ব্যথা সেরে যেত এক নিমেষে মায়ের ছোঁয়াতে। যদি জানতেম তিনটে মাসের পর সব যাবে বদলে যদি জানতেম তিনটে মাস পর আমার পৃথিবীটা যাবে ঘুরে তাহলে প্রার্থনা করতুম তিনটে মাস যেন শেষ না হয়- মা আর আমার মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব তৈরী না হয়। এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা। যখন সবে তিন মাস,চারিদিকে ধনিত হতো মা ডাকটা, শুনসান ফ্ল্যাট টা গম গম করতো মা ,মা ডাকে, মায়ের সাথে হাসি,খেলা,জড়িয়ে থাকতাম শুধু মাকে। হঠাৎ একদিন এক নতুন অতিথি এলো ঘরে, মা আমায় বললো মা-আ-আ-সি বলে ডাকিস তারে। তখনো শিখি নি কথা,শিখি নি বসতে শিখি নি দাড়াতে- এমন একদিন দেখি মা কে ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে, বড্ডো তাড়াহুড়োতে ছিল মা,বললো কেঁদো না সোনা, আরো বলেছিল অনেক কিছুই,যার কিছুই ঢুকল না- এই কচি মনে,তারপর শুধু এদিক ওদিক তাকাতে থাকে আমার নিষ্পাপ চোখ দুটো,শুধু ভাবতে থাকে আনমনে- আমায় নতুন মাসির কাছে রেখে মা তু

কৃপণ

কে  তুমি  অজানা পথচারী ? তোমায় আমি  চিনিতে  না পারি , তবুও দেবো সব গহনা উজাড় করে , রাখিবো  না কিছু নিজের তরে। আমার সর্বস্ব ধন দেবো তোমায় দিয়ে , তুমি শুধু ওঠো ভালো হয়ে। তোমায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার মন উথাল পাথাল করে। তবুও মন নাহি দেবো তোমায় সেই মন সোঁপে দিয়েছি অন্যজনে। আমার থলেতে আছে শুধু বন্ধুত্ব , বিপদে থাকিব পাশে,টাকা দিয়ে কমাবো দূরত্ব। তবুও তোমায় নাহি দেব এই মন , চাহিও না ভিক্ষা ,দৃষ্টি দিও না এমন। কৃপণ আমি ,দেব না মন তাই। যতই চাও না তুমি ,আমার কিচ্ছু করার নাই।। যে মন আমার দ্বারাই তৈরী , সেই মন আমাকেই দিতে নারাজ হলি ? ক্ষিপ্র আমি তোর এই অহংকারে, থাকি না আমি টাকা পয়সা আর পার্থিব জিনিসে। চারিদিকে এতো মন্দির ,এতো ভক্ত - তবুও  তোদের মন এতো তিক্ত! ছিঃ ! ধিক্কার হয় তোদের এই মিথ্যে ভালোবাসাকে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বাঁধতে চাস  আমাকে ? এ হেন সাহস আসে কোথা থেকে ? আসি নি আমি তোর টাকার মন্দিরে থাকতে। দেখ,দুচোখ দিয়ে দেখ ,শুধু দেখ -চারিদিক, দেখ ফুটপাথ ,দেখ ব্রিজ এর নীচ। দেখ প্রাসাদ,দেখ বহুতলা ফ্ল্যাট দেখ দুই দলের মানুষের তফাৎ। দেখ কত মানুষ তোর দিকে আছে চেয়ে, ক

আমার লিখা

ছবি
লিখতে আমি বড্ড ভালোবাসি। আমার লিখায় আছে সব- যা আছে তোমার আমার পাশাপাশি, আর আছে পাখির কলরব ।। আমার লিখা প্রকৃতির সাথে করে মাখামাখি । ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে - শুধু করে চারিদিক দেখাদেখি , ভাবতে থাকে সবার কথা আনমনে।। আমার লিখায় আছে রাস্তাঘাট,গাছপালা, আছে ঝর্নার আওয়াজ - সাথে পাহাড়,জঙ্গল,নদীনালা আর আছে সূর্যের তেজ ।। আমার লিখা আমাকে কাঁদায়,হাসায় আর ভাবায়। আমার লিখা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায় । সেই ছোটবেলায় হাত ধরেছি আমার লিখার, পথে চলতে চলতে হোঁচট খেয়েছি কতবার - তবুও থামি নি লিখা আছে যে সাথে।।