পোস্টগুলি

কর্ম

পথের আবার কি ভালো ,কীই বা মন্দ ! পথচারী যখন  রাজপুত্র , পথ হয়ে ওঠে পবিত্র। নামে আবার কি যায় আসে, নামধারণকারী যদি পাগলাগারদে ? নাম তো তখনই ভালো , নামধারণকারীর চারিদিক যখন আলো। কর্মের আবার কি ভালো কি মন্দ  কর্মকারী কে দিয়েই মিটে এই দন্ড। কর্মকারী যখন ভয়ে ভয়ে চরে বেড়ায়, সেই কর্মই খারাপ নাম চিহ্নিত হয়। কর্মকারী যদি সুখের মুকুট পরে, সেই কর্মই জগতে শোভা বর্ধন করে। ব্যক্তির কর্মই ব্যক্তির নামের মূল্য নির্ধারণ করে , ব্যক্তির কর্মই পথের গুরুত্ব ঠিক করে , ব্যক্তির নাম এর গুরুত্ত ব্যক্তির কর্মের ওপর নির্ভর করে , কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। কর্মই ব্যক্তির ধর্ম কর্মই ব্যক্তির আসল পরিচয়।

এতো ভীড় তবু একা

চারিদিকে শুধু ভীড় আর ভীড়, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুকেও মানুষের নীড়। অনলাইন অফলাইন সবজায়গায় ভীড়। তবুও সব্বাই একা ,ভীষণ একা, মোবাইল ছাড়া জীবনটাই ফাঁকা। মোবাইলের জন্যই তো আজ মানুষ একা। এতো ভীড় ,তবু এক শূন্যতা গ্রাস করে সর্বক্ষণ পরিশ্রান্ত হয় সর্বজন লুপ্ত হয় সুখের পূর্ণতা।

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা – তোকে ছাড়া চলে না ছোট্টবেলা, বুঝেও যৌবনে সকলেই করে তোকে অবহেলা। ছোট্টবেলায় তোকে নিয়ে লাফালাফি, স্কুলে ঢুকেই ইংরেজী নিয়ে মাতামাতি। চাকরি নিয়ে ভাবনা,তোকে ভুলে রাতারাতি, দু তিনটে ভাষা নিয়ে শুধু টানাটানি। তোর অস্তিত্ব ওই চার দেয়ালের মধ্যে, কিংবা পাড়াপড়শির কূট কাঁচালিতে। তোর অস্তিত্ব বাথরুমে গান গাওয়াতে , কিংবা শাড়ী বা মিষ্টির দোকানে। মানুষ স্বপ্ন দেখে মাতৃভাষাতে, স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় বিদেশী ভাষার প্রয়োগে। মাতৃভাষা না, বিদেশি ভাষা জানলে চাকরী পাকা, আর না জানলে জীবনটাই ফাঁকা। তবুও মাতৃভাষা ছাড়া শ্বাস বন্ধ, মাতৃভাষা ছাড়া মনটাই অন্ধ, সারাদিন কাজের মাঝে বিদেশী ভাষার প্রয়োগে, সন্ধ্যে বেলাতে বাড়ি এসে মাতৃভাষাতে কথা বলে, যখন সব জ্বালা এক নিমেষে যায় ঘুচে, মন বলে – মাতৃভাষা থাকিস এই ভাবে আমার কাছে।

স্বপ্নে বাঁধানো ঘর

জানো ?স্বপ্নে আমি কত্তো গেছি , পাহাড়ে-জঙ্গলে, নদীর স্রোতে গা ভাসিয়েছি। আমার সেই দুই পাহাড় ,আর মধ্যখানে সেই নদী, আমার সেই স্বপ্নে বাঁধানো ঘর আজ কোথায় কি জানি ? আজো ইচ্ছে করে, সব কিছু ছেড়ে - যাই চলে ডানা মেলে, আমার ওই স্বপ্নে বাঁধানো ঘরে।

সময়ের সাথে ঝগড়া

ইচ্ছে করে সময় কে বলি -উল্টোপথে চলতে এক ঝটকায় পৌঁছে যাবো আমার ছোট্টবেলা তে। ফিরে পাবো আমার হারানো বোন টাকে আর পাওয়া মাত্রই আমার মায়ার বাঁধনে আটকে রাখবো তাকে তারপর সময় কে বলবো- এবার তুই চল সামনের দিকে তারপর না হয় আমি একটু একটু করে বড়ো হবো বোনের হাত ধরে। সময় বলবে -তুই বড্ডো চালাকি করলি কিন্তু আমি বলবো -এতে তোর নতুন অভিজ্ঞতা হবে কিন্তু ব্যাস সময় আর আমার ঝগড়া বেশ জমবে আর যাই হোক আমি জানি সময় ই জিতবে। আচ্ছা সময় -একবার আমাকে জিতিয়ে দে না - বারে বারে আমায় হারিয়ে দিস না। আমি একবার শুধু বোনটাকে হাত ধরে টেনে আনবো যমরাজের থেকে খুব সযতনে লুকিয়ে রাখবো। সময় - একটিবার আমার কথা শোন্ পুরানো জিনিস দেখে ভালো হবে তোর ও মন।

জোজো

যদি আমি বাচ্চাই থাকতাম জোজো এর মতো জঙ্গলে ঘুরতাম বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করতাম সত্যিই কি বাঘ আর আমি একসাথে থাকতে পারতাম ? জোজোর মতো আমিও যেতাম জেঠুর বাড়ি, ননী আর শিবু কে নিয়ে জঙ্গলে দিতাম পাড়ি। কিন্তু আমার তো কেও ছিল না  জঙ্গলে - তাহলে কাদের সাথে যেতাম আমি সেখানে ? ভাবতে ভাবতে দেখি আমি সিনেমা হল এ আমি আমার ছোট্ট মেয়ের সাথে। আর কিন্তু দেরি না,আমার মতো স্বপ্নে ডুবতে গেলে , আমার মতো নিজেকে বাচ্চা ভাবতে হলে , খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে এস সিনেমাহলে।

দুষ্টু ছেলের আজব ভাবনা

ছবি
পড়তে একটুও মন চায় না , পড়া ছাড়া কেন দিন কাটে না ? বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবো, যা ইচ্ছে তাই করবো। খেতেও তো বিরক্তি , খাবারের কেন যে উৎপত্তি ? খাবার যদি না থাকতো , খেতে, পড়তে যদি না হতো , শুধুই ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলো, থাকবে শধু দুষ্টুমি আর বন্ধুগুলো। টাকাই যতো নষ্টের গোড়া , টাকা -তুই মরতে পারিস না ? যা না অন্য কোথাও যা, তুই না থাকলে দেখবি কত মজা। সব্বাই হবে এক , থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। তোর জন্যই তো সব কাড়াকাড়ি , তোর জন্যই তো এতো মারামারি , তোর জন্যই তো বাবা মা এর হাঁকাহাঁকি , শুধুই বলতে থাকে বাঁচতে হলে চাই চাকরি , চাকরি করতে গেলে পড়তে হবে , আর ভালো পড়াশুনো করতে গেলে ভালো খেতে হবে। শুধু তোর জন্যই তো পড়তে হয় , তোর জন্যই তো স্কুলে যেতে হয় , তোর জন্যই তো বকা খেতে হয় , তোর জন্যই তো ২বছর বয়স থেকে দৌড়াতে হয় , টাকা একবার যা তুই মঙ্গল গ্রহে  - দেখবি-গোটা পৃথিবীর মানুষ ছুটছে মঙ্গলের দিকে। তখন আমায় পড়তে হবে না , মানুষগুলো তো ঘর টা নিয়ে যাবে না। কত্তো ঘর হবে আমার। মানুষগুলো তো সব্জির গাছগুলো নিয়ে যাবে না - কি মজা , আমাকে টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। শুধুই রাঁধবো, খাবো