পোস্টগুলি

চিঠি

ছবি
 অসংখ্য অক্ষর দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট শব্দ থেকে সুন্দর সুন্দর বাক্য বানিয়ে, রচনা হয় আমাকে। রকম রকম অনুভূতির স্পন্দন আমার শিরায় শিরায়- কখনো তীব্র আঘাতের কম্পন কিংবা আনন্দের বিজয়- ধ্বনি আমার রক্তে মিশে, কখনো অক্ষর গুলোর মাঝে ধনী গরিব নির্বিশেষে- হাসি কান্নার ছবি ভাসে। আমার অক্ষর দিয়ে সুন্দরভাবে দিই সাজিয়ে, অনুভূতি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এক গৃহ হতে অন্য গৃহে সংবাদের যাতায়াতে- সবাই ভরে ওঠে পরিপূর্ণতাতে।

দুরত্ব ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা

দুরত্ব : আমি আছি বলেই সম্পর্কের মধুরতার গভীরতা আছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : বাঃ রে,আমি না থাকলে দুরত্ব মানুষের সম্পর্ককে ভুলিয়ে দিত। দুরত্ব : আমি আছি বলেই তো তোর দরকার পড়েছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : আমি না থাকলে,তোর জন্য মানুষ মানুষকে ভুলে যেতো । দুরত্ব : তোর জন্যই তো দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দূরত্বের যখন অবসান ঘটে,তখন সেই মধুর সম্পর্কের মিলনের আনন্দের গভীরাত কমে গিয়েছে।আগেকার দিনে যখন স্মার্ট ফোন ছিল না,তখন কি মানুষ মানুষ কে ভুলে যেতো?মেয়ে রাজ্যের বাইরে পড়াশুনো করতে গিয়ে বাবা মা এর সাথে কোনো কথা হত না ঠিক ই।কিন্তু যখন মেয়ের বাবা অফিস যাওয়ার আগে পোস্টম্যান এর হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে পড়তে থাকতো,সে যে কি আনন্দ,বলে বোঝানো যায় না।মেয়ের হাতেলেখাটাকেই জ্যান্ত মনে হতো।আর লিখার অক্ষরগুলোর মাঝে মাঝে মেয়ের মুখখানা ভেসে উঠতো ।আর তারপর যখন দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর মেয়ে বাড়ি আসতো,তখন বাবা মেয়ের মিলন এক স্মরণীয় দৃশ্য হয়ে থাকতো। এই যে তুই-স্মার্ট ফোন আসার পর সব দুরত্ব কমে যাওয়াতে সেই মিলনের আনন্দের গভীরতাও কমে গেছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : তা ঠিক।তবে আমার জন্য ওই ৬ মাসে মেয়ের শরীর খারাপ হলে,বাবা সেই খ

চল যাই কল্পনার স্রোতে

ছবি
      চল যাই কল্পনার স্রোতে তুই আর আমি ভেসে ভেসে। লাগুক না হাওয়া কানে কানে- আজ কথা হবে শুধু গানে গানে। তুই আর আমি গোধূলিবেলাতে- হারিয়ে যাই মধুর স্বপ্নতে। নক্ষত্রখচিত আকাশে পূর্ণিমার আলোতে চল হারিয়ে যাই ঘুমের জগতে। সকালের সূর্যালোকে ঘুম ভাঙ্গলে দুজন দেখবো দুজনকে। বাস্তবের কঠিন ছোঁয়াতে আবার ডুবে যাবো কাজেতে। মনে এঁকে রাখবো পরবর্তী স্বপ্নকে অপেক্ষা করবো গোধূলিবেলার আগমনের তরে ।

রাস্তা

ছবি
আমার জন্মের ইতিহাস যা সবার অজানা আজ উজাড় করে দেব সেই তথ্য খানা। শুরুতে শুধুই গাছ গাছড়া তে ভর্তি চারিদিক মানব সভ্যতা ছড়িয়ে পড়লো এদিক ওদিক। ব্যাস ,শুরু হয়ে গেলো তোড়জোড় চারিদিক শুধু গাছ কাটার ভিড়। শুরু হলো নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা সকল মানুষের পরস্পর এর সাথে যোগাযোগ এর বাসনা। লাইন দিয়ে শুধু গাছের পর গাছ কেটে যাওয়া। আমার আগমন ,তোমার বিদায় নেওয়া। আমার জন্ম মানেই তো তোমার মৃত্যু। পাশাপাশি আমার তোমার অস্তিত্ব- মানবসভ্যতার জাল বিস্তারের কারণ আমি আর তুমিই তাদের বেঁচে থাকার উপকরণ। এইভাবে জন্ম হলো আমার ,বাড়তে থাকলো শাখা প্রশাখা ঠিক সেইভাবে কমতে থাকলো গাছপালার সংখ্যা। আমার আশে পাশে গড়ে উঠলো ঘর বাড়ি গাছেদের মৃত্যু রক্তে ভরে উঠলো আমার ধমনী।

মা এর প্রতিশ্রুতি

সোনা তোমায় দিলাম কথা দূর করবো তোমার ছোট্ট ছোট্ট ব্যথা। ছেড়ে দেব চাকরিটা তোমায় আমায় নিয়ে জমবে এবার সংসারটা। এবার শুধু তোমায় আর আমায় মিলে সারাক্ষণ মাতব পুতুল খেলায়। থাক না তোমার বাবা অফিসের কাজে এদিক ওদিকে ব্যস্ত শুধু যাতায়াতে। আমি তো আছি সবসময় তোমার কাছাকাছি।

ওরা

ছবি
ট্রাফিক সিগন্যাল এ বাস মাঝ রাস্তায় থেমে - সকাল ৯টাই অফিস যাওয়ার তাড়া ;ব্যস্ততা সবারই জীবনে , শুধু ওরা বাদে ,বাস অটো খুব দামি গাড়ির ভিড় এই অবস্থায় রাস্তা ক্রস হাওয়া মুশকিল যে কারো - শুধু ওরা বাদে। তুমি বাবু ,তোমার ৪ চাকার গাড়ীতে বসে - তোমার স্ত্রীর পাশে ,অফিস যাওয়ার কারণে। তোমার সিগারেট তোমার মুখে ,ড্রাইভার চালায় গাড়ী। তোমরা পেছনের সিট এ। খুব জোরে চলছে ৯৮.৩ FM  রেডিও মির্চি , চলছে তোমাদের প্রেম। পাশেই দুটো বাচ্চা বলে ওঠে -বাবু একটা টাকা দাও না। তবু তোমার সিগারেট এর ধোঁয়া অবিশ্রান্ত তোমার মুখ থেকে - বেরিয়েই চলেছে ,তুমি পরোয়া করলে না। একবার ও চোখ দুটো ফেললে না -ওই রাস্তার বাচ্চা দুটোর ওপর কেনই ফেলবে ? তোমার নিজের ছেলে মেয়ে তো ভালোই আছে , ওরা অসহায় ,ওদের নেই কোনো ঠিকানা ,নেই কোনো ঘর , নেই পা এ জুতো -জন্ম দিয়েছে যে মা ,তাকেই ওরা চেনে না , খুব অপরিষ্কার ওদের দেহ ,পরনে নেই কোনো আবরণ , বাচ্চা ওরা ,পৃথিবীটা না জানি কেমন লাগে ওদের কাছে - ওদের ও ইচ্ছে করে -বাবা মা এর ভালোবাসা পেতে - ইচ্ছে করে - বাবুদের ছেলেদের মতো স্কুল এ যেতে। এইভাবে ভিক্ষে করতে কার ভালো লাগে ? মানুষগুল

মন

ছবি
সব কল্পনা জল্পনা - মনের  মধ্যে আঁকে আলপনা, শুধু ই যাওয়া আর আসা, মনের এপার থেকে ঐপারে। দুই কল্পনার সংঘর্ষ ,হাতাহাতি,লাঠালাঠি, মন শুধু কল্পনা তে ঠাসাঠাসি। কোন কল্পনা খারাপ আর কোনটা ভালো , বাছাই করে মন ,তুমি শুধু বলো। তুমি যাকে নির্বাচিত করবে- সে মাথায় চড়ে বসবে, আর অন্যটি উল্টো পথে- হাটতে হাটতে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তোমার ওপরেই নির্ভর করে সবখানি , মন ,তুমি ই তো খারাপ ভালোর সেই ছাঁকনি। _____________________________________________________