পোস্টগুলি

লিখাচোর

সুযোগ পেলেই লিখতে বসি, কাজে দিই ফাঁকি । মনটা শুধু সময় খোঁজে, লিখবো কখন কাজের ফাঁকে । সবার মন চুরি করে রাখবো সযতনে, সেসব কিছু ফুটিয়ে তুলবো আমার কলমে। রাস্তার ধারের আগাছাগুলো - দেখেও তোমরা দেখো না, তাদের সাথে আমার লিখার কথা গুলো- শুনে হিংসা যেন করো না। চুরি করবো তোমার সব দুঃখ, লিখাতে রেখে যাবো সাময়িক সুখ। অলীক স্বপ্ন দেখাবো না।  আমার লিখার আছে সে ভাবনা। তোমরা যতই বলো আমায় - মনচোর, সময়য়চোর, আমিও বলে যায় - আমার লিখার আছে অনেক জোর।

সময় আর লিখা

আর কোনো কবিতা নয় কোনো লেখা নয়, এইভাবেই সময়টা শুধু হয় নয়ছয়।  লিখা তুমি থেকো শুধু মনের মধ্যে ,এস না বাহিরে - খালি আমার মন টাকে বিব্রত করো বারে বারে।  তুমি বুঝে নিও তোমায় নিয়ে থাকলে , টাকা কড়ি কোনোটাই নাহি মিলে।  লিখার নেই কোনো দাম আমার এই ব্যস্ত জীবনে।  তোমায় নিয়ে থাকলে সংসার চলিবে কিভাবে ? সময় টাও তো থেমে থাকে না লিখার কারণে , তাই তো রাতের ঘুমটাও কি লিখা তুমি কেড়ে নেবে ? লিখা তুমিই সময় কে বোঝাবে সে যেন তোমার কথা রাখে মনে , গোধূলীবেলা চাকরীশেষে বাড়ি ফিরে চায়ের সাথে - ঐটুকুই সময় শুধু তোমার ,লিখা আমি তখন তোমার সাথে। চায়ের কাপের সাথে তোমারো হবে ছুটি ,কথাটা যেন মাথায় থাকে।  লিখা তুমি শুধুই তো সব নয় ,আছে আমার পরিবার - আর আছে চাকরি ,তারা তো আগে সবার।  ওদেরকে সময় দেওয়ার পর ও  যদি থাকে কিছু সময়,  তখন না হয় এস আমার কাছে ,থেকো আমার ছায়ায়। 

মা -১

ছবি
   এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা, জানুয়ারী মাসের পনেরো ছিল তারিখটা। সাল টা ছিল 2013,সবে যখন সাতদিন গড়ালো, আমার না বোঝা আওয়াজে ঘরটা ভরে উঠলো। তিনটে মাস মায়ের সাথে কাটলো আধো আধো বুলিতে, সমস্ত ব্যথা সেরে যেত এক নিমেষে মায়ের ছোঁয়াতে। যদি জানতেম তিনটে মাসের পর সব যাবে বদলে যদি জানতেম তিনটে মাস পর আমার পৃথিবীটা যাবে ঘুরে তাহলে প্রার্থনা করতুম তিনটে মাস যেন শেষ না হয়- মা আর আমার মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব তৈরী না হয়। এই যে সেদিন জন্ম নিলাম আমিই সেই মেয়েটা। যখন সবে তিন মাস,চারিদিকে ধনিত হতো মা ডাকটা, শুনসান ফ্ল্যাট টা গম গম করতো মা ,মা ডাকে, মায়ের সাথে হাসি,খেলা,জড়িয়ে থাকতাম শুধু মাকে। হঠাৎ একদিন এক নতুন অতিথি এলো ঘরে, মা আমায় বললো মা-আ-আ-সি বলে ডাকিস তারে। তখনো শিখি নি কথা,শিখি নি বসতে শিখি নি দাড়াতে- এমন একদিন দেখি মা কে ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে, বড্ডো তাড়াহুড়োতে ছিল মা,বললো কেঁদো না সোনা, আরো বলেছিল অনেক কিছুই,যার কিছুই ঢুকল না- এই কচি মনে,তারপর শুধু এদিক ওদিক তাকাতে থাকে আমার নিষ্পাপ চোখ দুটো,শুধু ভাবতে থাকে আনমনে- আমায় নতুন মাসির কাছে রেখে মা তু

কৃপণ

কে  তুমি  অজানা পথচারী ? তোমায় আমি  চিনিতে  না পারি , তবুও দেবো সব গহনা উজাড় করে , রাখিবো  না কিছু নিজের তরে। আমার সর্বস্ব ধন দেবো তোমায় দিয়ে , তুমি শুধু ওঠো ভালো হয়ে। তোমায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার মন উথাল পাথাল করে। তবুও মন নাহি দেবো তোমায় সেই মন সোঁপে দিয়েছি অন্যজনে। আমার থলেতে আছে শুধু বন্ধুত্ব , বিপদে থাকিব পাশে,টাকা দিয়ে কমাবো দূরত্ব। তবুও তোমায় নাহি দেব এই মন , চাহিও না ভিক্ষা ,দৃষ্টি দিও না এমন। কৃপণ আমি ,দেব না মন তাই। যতই চাও না তুমি ,আমার কিচ্ছু করার নাই।। যে মন আমার দ্বারাই তৈরী , সেই মন আমাকেই দিতে নারাজ হলি ? ক্ষিপ্র আমি তোর এই অহংকারে, থাকি না আমি টাকা পয়সা আর পার্থিব জিনিসে। চারিদিকে এতো মন্দির ,এতো ভক্ত - তবুও  তোদের মন এতো তিক্ত! ছিঃ ! ধিক্কার হয় তোদের এই মিথ্যে ভালোবাসাকে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বাঁধতে চাস  আমাকে ? এ হেন সাহস আসে কোথা থেকে ? আসি নি আমি তোর টাকার মন্দিরে থাকতে। দেখ,দুচোখ দিয়ে দেখ ,শুধু দেখ -চারিদিক, দেখ ফুটপাথ ,দেখ ব্রিজ এর নীচ। দেখ প্রাসাদ,দেখ বহুতলা ফ্ল্যাট দেখ দুই দলের মানুষের তফাৎ। দেখ কত মানুষ তোর দিকে আছে চেয়ে, ক

আমার লিখা

ছবি
লিখতে আমি বড্ড ভালোবাসি। আমার লিখায় আছে সব- যা আছে তোমার আমার পাশাপাশি, আর আছে পাখির কলরব ।। আমার লিখা প্রকৃতির সাথে করে মাখামাখি । ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে - শুধু করে চারিদিক দেখাদেখি , ভাবতে থাকে সবার কথা আনমনে।। আমার লিখায় আছে রাস্তাঘাট,গাছপালা, আছে ঝর্নার আওয়াজ - সাথে পাহাড়,জঙ্গল,নদীনালা আর আছে সূর্যের তেজ ।। আমার লিখা আমাকে কাঁদায়,হাসায় আর ভাবায়। আমার লিখা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায় । সেই ছোটবেলায় হাত ধরেছি আমার লিখার, পথে চলতে চলতে হোঁচট খেয়েছি কতবার - তবুও থামি নি লিখা আছে যে সাথে।।

জে.কে.এম -2

সকালটা শুরু আমি ই করি। তোরা শুধু মেজাজেই রইলি। আশা নাকি করিস না তুই। বলিস মুকুল সবসময়ই । দেখলি তো আশা ছাড়া জীবনটাই ছন্নছাড়া  । জয়িতা,কৃষ্ণা সবাই ব্যস্ত যে যার কাজে অভ্যস্ত। সে সেই কাজ নিয়ে খুশি আমিও তাই প্রানভরে লিখছি, তোদের নিয়ে,এটাই তো কাজ আমার, এখানেই থাক আজ।

জে.কে.এম

আমার best school friendsদের জন্য : জে.কে.এম. আমি লিখছি আমার মতো করে । মাঝে মাঝেই মোবাইলটা বেজে ওঠে । জানি এটা তোরা ছাড়া আর কেউ না , তখনই থেমে যায় আমার সব ভাবনা । তোরা যেমন আমার সবচে আপনজন , ঠিক তেমনি লিখাটাও যে আমায় ছাড়া থাকে না একটুক্ষণ । বলতো জয়িতা কৃষ্ণা মুকুল কেমনে করি তোদের আকুল ব্যাকুল ? আমার লিখার সাথে তোরাও চল লিখার হাত ধরে চল যায় জঙ্গল লিখা যদি স্পর্শ করে বাঘকে চল লিখার হাত ধরে আমরাও ঢুকে পড়ি বাঘের খাঁচাতে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় ভরা নদীতে, চল আমরা সাঁতার কাটি লিখার সাথে। লিখা যদি ঝর্না হয়ে নামতে থাকে, আমরাও ঝর্নার আনন্দে মেতে থাকি একে অপরের সাথে। লিখা যদি ঝাঁপ দেয় পাহাড় থেকে চল চেষ্টা করি লিখা যেন বেঁচে থাকে । আমাদের বন্ধুত্বও যেন আজীবন বেঁচে থাকে ।।