পোস্টগুলি

প্রকৃতি

ছবি
এই যে তুমি ,তোমরা কখনো ভগবান কে দেখেছো ? যাকে তোমরা কখনোই দেখো নি তাকে তোমরা কত ভালোবাসো ,তাঁর জন্য কত মন্দির তৈরী করেছো, কত পুজো দাও ,কত উপোস করো। সেই ভগবান কে নিয়ে তোমাদের কত আদিখ্যেতা। একবার ভেবে দেখো তো যদি তোমরা তাকে দেখতে পেতে তাহলে কি একইরকম ভাবে ভালোবাসতে ? কিছু কিছু জিনিস অদৃশ্য থাকাই বোধ হয় ভালো ,এতে সেই অদৃশ্য জিনিসের মূল্য বেড়ে যায়। হঠাৎ করে কোনোদিন যদি সারা বিশ্বে দৈববাণী হয় যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে পুরি তে ভগবান আসছেন সব মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ,যেটা সম্ভব নয় ,তবুও তর্কের খাতিরে যদি এমনটাই ধরে নিই ,কী হবে তোমাদের প্রতিক্রিয়া ? আমার তো মনে হয় বেশিরভাগ মানুষ দুদিন আগে থেকেই ওখানে হাজির হবে ,আর বাকিদের মধ্যে কিছুজন নিজেকেই ভগবান ভাবে বা ভগবানে বিশ্বাস করে না বলে যাবে না ,আরও কিছুজন সুখী বলে যাবে না। ভগবান কিন্তু কাউকে সারাজীবন অসুখী রেখেছে এমনটা নয়,তবে সুখ জিনিষটা আপেক্ষিক ব্যাপার, তবুও যারা ভগবানের কাছে বর্তমানের সমস্যার কথা জানাবে তারাই অতীতের সুখের কথা জানাবে না।  তাহলে সেই ভগবানের সেই বিশেষ দিনের কথা ভাবা যাক। শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ শুনে যাবেন ভগবান। এতো চিৎকা

চিনি না

চিনি না  কেমনে আমি চিনিব তোমায় যে আমি চিনি না আমায়। দোষীও না আমারে , ঠাঁই দিও তোমার হৃদয়ে। কভু কখনো ভুল করিলে  , শাসন করিও আমায় পিতার মতো করে। এখন এই ব্যস্ত জীবনে , খুঁজে পাই না তোমার ভালোবাসা কে। তুমিও তো মানুষ, তোমার তো চাই - তবুও তোমার চোখে চিহ্নটুকু কেন নাই ? এমন সুপ্ত ভালোবাসা কভু দেখি নাই - যার কোনো কিছু চাওয়া পাওয়া নাই। সখা প্রকাশ করো নিজেকে , উজাড় করে দাও,মেতে ওঠো আনন্দে। ভাসিয়ে দাও শরীর  প্রেমের আকাশে , আর হারিয়ে দাও মন মাটির সবুজে। ছোট্টো এই জীবন আর ছোট্টো এই সংসার - ভরিয়ে দাও রং আর ভালোবাসায়। 

ভগবান

ভগবান তুচ্ছ আমি ,তবু তোমারেই সৃষ্টি , তুচ্ছ এই পিপীলিকা ,সেও তো তোমারেই সৃষ্টি। যদি তুমি হও মহান শক্তি , কেন এতো অবিচার অন্যায় রক্তারক্তি ? যদি তোমার হৃদয় এতো বড়, মানুষের পূজোয়, উপোসে সত্যিই কী তুমি দাও সাড়া ? এতো মন্দির ,এতো মানুষের এতো প্রার্থনা সত্যিই কী তোমার মন কে দেয় নাড়া ? কিছুই মেলাতে পারি না, তুমি সত্যিই খুব গভীর আমার কাছে তুমি সংজ্ঞা হীন ,অসীম এই জগতের এতো লীলা, সে ও কি  তোমারেই খেলা ? সূর্য ,চন্দ্র ,পৃথিবী সেও কি তুমি, তুমি কে গো সেই অন্তর্যামী ? আমার কাছে তুমি এই মহাবিশ্বের ডিরেক্টর , আর আমরা চরিত্র তোমার লেখা নাটকের। কিছু ভালো হলে সবাই বলে নিজে করেছে , কিছু খারাপ হলে বলে ভগবান দেখছে না। কারো মন বদলে যাওয়া ,ভাগ্য খুলে যাওয়া, আমি বলি সবই তোমার করা। এটাও মানি সবার অন্তরে থাকো তুমি অসীম শক্তিধারী তুমি সেই তুমি জাগো অন্তর হতে জাগো।

পরিবর্তন

পরিবর্তন  আজকালকার বাচ্চারা শৈশব হারিয়েছে। হারিয়েছে spontaneousness,natural way te বড়ো হওয়া।আমাদের সময় যৌথ পরিবারের মধ্যে বড় হওয়াতে এখনকার বাচ্চাদের মতো মা কে কাছে পেতাম না। আর সেই জন্যে নিজে নিজে খেতে শিখে যেতাম কম বয়সেই। বন্ধু একটা বিশাল জিনিস ছিল। বিকেল হলেই খেলতে যাওয়া।এখনকার বাচ্চারা পুরো অন্য রকম। তাদের মা বাবা ছাড়া কেউ নেই। মা বাবা আবার থেকেও নেই। কারণ তাদের ব্যস্ত জীবন। আমরা মা বাবা কে না পেলেও কাকু কাকী পিসি ঠাম্মা দাদু কতজনকে পেতাম কাছে। এখনকার বাচ্চারা বডো একা। কি জানি কি ভবিষ্যৎ  এদের। এদের পৃথিবী টা বাংলা কিন্তু স্কুল টা ইংরেজি। এরা স্বপ্ন দেখবে বাংলা তে কিন্তু পড়াশুনো করবে ইংরেজি তে। বাংলা কে অবহেলা করে তাড়াতে চাইলেও পারছে না কারণ এদের রক্তে বাংলা বংশে বাংলা। এরা ইংরেজী তে কথা বলবে বেশ ভালো কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ কে জানবে না। এরা যতই পরীক্ষা দিক না কেন এরা একটি মেশিন তৈরী হবে। একটা সময় আসবে এরা প্রকৃতির খামখেয়ালীকে মেনে নিতে পারবে না। দোষ এদের না, দোষ এই সমাজের।এরা প্রকৃতি কেও নিজের হাতে আনতে চাইবে। এরা ভাবতে জনবে না। ভাবার মতো এদের কে সময় দেওয়া হয় না। দুই বছর ব

তুমি

ছবি
তুমি আমিই  সেই  মেয়ে, ভেসে বেড়াই কল্পনার ভেলায়। তুমি বাস্তব, বড্ড কঠিন , আমাকেও করেছো রংহীন। ভেবেছিলাম তোমায় আমি রাঙ্গাবো , তোমাকে আমার ভেলায় ভাসাবো। বাস্তব তুমি,হারিয়ে দিয়েছো কল্পনাকে , কল্পনা তুমি মুল্যহীন,রাখো আড়ালে নিজেকে।  আমিই  সেই  মেয়ে, স্বপ্ন দেখি দিবালোকে। তুমি ভাবো  টাকায় পেট ভরে , আমি ভাবি ভালোবাসায় মন ভরে। তুমি বলো মন ভরলেই কি পেট ভরে ? আমি বলি ভালোবাসা অসাধ্য সাধন করে। তুমি ভাবো কাল বাদে পরশুর কথা। আমি ভাবি মজায় কাটুক আজকের দিনটা। আমিই  সেই  মেয়ে, বৃষ্টি হয়ে পড়তে চাই তোমার গায়ে। তুমি ভিজলেও তোমার মন ভিজবে না, তবু আমি তোমার কাছে হার মানবো  না। তুমি এইরকমই বড্ডো নির্বিকার , আমার মন করে হাহাকার। তোমার জন্যই আজ আমি কবি , হয়ে শুধু ভালোবাসার কথাই ভাবি।