স্মৃতি রোমন্থন
চলো ছন্দে ছন্দে লিখি,
লিখার শব্দে ভাসি,
ভাসতে ভাসতে ছোটবেলার নৌকো ধরি।
নৌকোয় চেপে ফেলে আসা অতীতে যাই,
আরো কুড়িটা বছর পিছিয়ে যাই ,
অতীতের ফেলে আসা সৌন্দর্যে নিজেদের রাঙ্গায়।
বিকেলের মলিন রোদে কিৎ কিৎ খেলবো,
কিংবা বালির স্তুপে কাঠি লুকবো,
কিংবা মাংস চুরি খেলা খেলবো।
দুপুরে স্কুলের টিফিন সময়ে,
পাড়ি দেব পাশের পুকুর পাড়ে,
পা রাখবো যেখানে সেখানে ঝোপে ঝাড়ে।
সকালবেলা স্কুল যাবো একসাথে,
ডাকতে যাবো তাদের বাড়িতে,
যাদের বাড়ি স্কুল আর আমার বাড়ির মধ্যেখানে।
কখনো কখনো দুষ্টুমিও করবো,
বাবা মার অবাধ্য হবো,
স্কুল যাবো বলে পাশের বাড়ী পুতুল খেলতে যাবো।
আবার কখনো শীতের ভোরে,
সব্বাই মিলে এক দৌড়ে,
কুল গাছে তে লুকিয়ে ঢিল মেরে,
সব কুল দেব শেষ করে।
তারপর কুল মালিক এসে
মোদের পিছু যখন নেবে,
লোকের বাড়ির সদর দরজা দিয়ে
হওয়া হয়ে যাব এক নিমেষে।
আবার কখনো কালবৈশাখীর ঝড়ে
বেরিয়ে পড়বো ঘর ছেড়ে,
লোকের বাড়ির আম নেব কেড়ে।
গ্রীষ্মের ছুটিতে দেখবো শুধু ছুটি ছুটি,
চোখের সামনে থাকবে সাদা কালো পর্দার টিভি টি;
সকাল দুপুরের মাঝখানে সাইকেল টি হাতে নিয়ে
হাফ প্যাডেল এ চালিয়ে নিজেই শেখাবো নিজেকে।
গ্রামের মেঠো পথে,
গরুর গাড়ির পিছুতে,
কখনো বা বট গাছের ঝুরি থেকে,
ঝুলবো সব্বাই একসাথে।
গ্রীষ্মের দুপুরে খাবো শাল পাতাতে,
সেই শাল পাতা জোগাড় করতে
পাড়ি দেব জঙ্গলে।
কুয়োর জল শুকিয়ে এলে,
চানের জন্য লাইনে-
কোন সেই সকাল থেকে।
কখনো বা ঘরের সামনের মাঠে
পুতুলনাচের যাত্রাপালাতে,
মালিক পক্ষের সাথে ভালো বন্ধুত্বের জোরে
বিনামূল্যেই ঢুকে পড়বো যাত্রা দেখতে।
পড়াশুনো কম,দুষ্টুমি বেশী
সব্বাই থাকবো হাসিখুশিI
এইসব কিছুই দেখতে থাকি,
অতীতের ভেলায় যখন ভাসতে থাকি।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন